ঐতিহ্য ঘেরা,লালন শাহের মাজার।
আসসালামু আলাইকুম আমি,@abdullah-44
আশা করি সবাই ভাল আছেন।আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ )
ঐতিহ্য ঘেরা লালন শাহের মাজারে,মেলার সময়ের কিছু দৃশ্য।
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর, বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক,কুষ্টিয়া ছেউড়িয়ায় নিজের আখড়ায় ১১৬ বছর বয়সে লালন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। লালন তার জীবন দশায় এই আখড়া তৈরি করেছেন এবং দীর্ঘদিন যাবত এখানে অবস্থান করেছেন।বাউল সম্রাট লালন শাহের মৃত্যুর পর তাকে,তার নিজ আখড়ায় কবর দেওয়া হয়।লালনের মৃত্যুর পর তার অনুসারীদের লালন আখড়া বাড়ির সামনে কবর দেওয়া হয়।পরবর্তীতে এই লালন আখড়া পুনরাই নির্মাণ করা হয়।লালনের মৃত্যুর পর প্রতিবছর লালন শাহের মাজার কে কেন্দ্র করে,বছরে দুইবার এখানে মেলা হয়। প্রতিবছর এই মেলা আয়োজন করে আসছে কুষ্টিয়া লালন একাডেমী। এই মেলায় প্রতিবছরই সরকারি সহযোগিতা এবং প্রশাসনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।এই মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য সাধুবেশী লালন ভক্তদের সমাগম দেখা যায়। শুধু দেশেই নয়,দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশ থেকে আশা লালন ভক্তদের দেখা যায়।
লালন একাডেমী মেলার আয়োজন করার পূর্বে,লালন শাহের আখড়া বাড়িসহ সামনে থাকা কবরগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়া হয়।এরপর কবরগুলোর ওপর সুন্দর চাদর বিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটা কবরে সামনের দিকে ফুল দিয়ে বৃত্তের মতো করে রাখা হয়।এরকমটা কেন রাখা হয় আমার সঠিক জানা নেই।আর কবরের চারপাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখলাম,দুই হাতজোর করে কবরের সামনে কেউ বসে আবার কেউ দাঁড়িয়ে আছে।কবরের সামনে দাঁড়িয়ে এরা কি করছে আমি অনেকক্ষণ দেখলাম তাও বুঝতে পারলাম না। মেলার শেষের দিন সাধুবেশী লালন ভক্তরা , কবরগুলোকে দুধ দিয়ে ধুয়ে,নিজেরাও দুধ দিয়ে গোসল করে নেয়। তাদের ধারণা দুধ দিয়ে গোসল করলে তারা পবিত্র হবে। এটা কতটুকু যুক্তিসম্মত সেটা আপনারা কমেন্টে জানিয়েন।
লালন মেলায় অসংখ্য সাধুর সমাগম দেখা যায়। এই লালন ভক্ত সাধুরা কেউ কেউ লালন সংগীত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আবার কেউ কেউ মাঠের ধারে ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে বসে যান। এইসব দোকান গুলোতে সাধুরা বিভিন্ন ধরনের অষ্টধাতুর আংটি,পুরনো দিনের মুদ্রা,বিভিন্ন ধরনের গাছের শিকড় এবং এক ধরনের বিশেষ গাছের ফুল শত শত কেজি বিক্রি করা হয় এই মেলাতে। এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন , একটি সাধু একটি বটগাছের নিচে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে বসে আছে।এখানে সাধুটি মূলত বিশেষ ধরনের গাছের ফুল বিক্রি করছে। এই সাধুর সামনে যাদের বসে থাকতে দেখছেন এরা আসলে সাধুর শিষ্য। এরা আসলে ওই বিশেষ ধরনের গাছের ফুল,গানের তালে তালে সবাই একসাথে খায়।
লালন শাহের মাজার এর বাইরে অনেকগুলো দোকান রয়েছে। দোকান গুলোতে মেয়েদের কসমেটিক্স,মাটির তৈরি সুন্দর সুন্দর নকশা করা ফুলদানি,মাটির হাড়ি,গ্লাস ইত্যাদি পাওয়া যায়। ওই দোকানগুলোতে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য করার বাদ্যযন্ত্রসহ আরো অনেক কিছুই পাওয়া যায়। আর মেলার সময় অনেক ফেরিওয়ালাদের দেখা যায়,তারা মেলায় ঘুরে ঘুরে বাচ্চাদের খেলনা,গ্যাস ভর্তি বেলুন, মাছ ইত্যাদি বিক্রি করে থাকেন। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন লোক মেলায় ঘুরে ঘুরে বেলুন বিক্রি করছে। লালন শাহের মাজারে মেলার সময় এত পরিমাণে লোকের সমাগম ঘটেছে যে,হাঁটার পর্যন্ত জায়গা পাওয়া যায় না। বিশেষ করে রাতে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়।আমি খুব কষ্ট করে এই ছবিটা তুলেছি।
লালন শাহের মাজারে মেলার সময় প্রচুর মানুষের ভিড় হওয়ার কারণে, এই ছবি দুইটা আমি ভালোভাবে তুলতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে মেলা শেষ হওয়ার পরে ছবিটি আমি তুলেছি।মাজারে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম এই একতারা টি চোখে পড়বে। এই একতারা টি যেন লালন শাহের একতারা বাজিয়ে গান গাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। লালন শাহের মাজারের বাইরে পুকুর পাড়ে বাউল সম্রাট,ফকির লালন শাহের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে,এখানে ঘুরতে আসা মানুষদের মনোরঞ্জন করার জন্য। একতারা হাতে লালনের ভাস্কর্যটি দেখতে ভালোই লাগছে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
লালন শাহ্ মাজার নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। লালন শাহ্ মাজার কখনও যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম লালন শাহ্ মাজারের স্মৃতি এখনও ঠিকে আছে। আপনার ফটো গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
লালনের মৃত্যুর পর তার ভক্তরা এখানে ভিড় করতে থাকে, বহু দর্শনার্থী সমাগমের ফলে এই মাজারটির উৎপত্তি হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়া লালন একাডেমী কে ধন্যবাদ কারণ তারা লালন শাহের সৃতি এখনও ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ এই মেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম লালন শাহ এর সম্পর্কে জানতে পারবে৷ অনেক কিছু শিখতেও পারবে। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
ঐতিহ্য ঘেরা,লালন শাহের মাজার নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। তবে এই লালন শাহের মাজার আমি নিজ চোখে দেখিনি। আজকে প্রথম দেখলাম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
বাউল সম্রাট লালন শাহ এর মাজার এর ছবি আপনি অনেক সুন্দরভাবে তুলেছেন ভাইয়া। সামনের দোকানের ছবি গুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন। লালনের মেলা অনেক ঐতিহাসিক একটি মেলা। অনেক কাল ধরে এই মেলা পালন হয়ে আসছে। বর্তমানে লালনের মেলাকে ঘিরে অনেক ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
লালন শাহের মাজার নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।এই মাজার সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য এখনো আমার হয়নি। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে সেখানে যাওয়ার। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন।শুভ কামনা রইল
বাহ ভাইয়া আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা সবগুলো ছবি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। পাশাপাশি আপনি দারুন সব তথ্য শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
লাল শাহ এর মাজার নিয়ে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট করছেন। লালন শাহ মাজার সম্পর্কে বইয়ে পড়ছি কিন্তু সরাসরি কখনো দেখিনি। আপনার পোস্টটি পড়ে লালন শাহ মাজার সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। আপনার তোলা ছবি গুলো ও অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
আমি জীবনে একবার মাজারে গিয়েছিলাম সেটি ছিল হযরত শাহজালাল মাজার সিলেট। লালন শাহের মাজারে আমি কোনদিন যাইনি। আমার মনে হয় প্রত্যেকটি মাজারের সামনে মেলা বসে থাকে যেখান থেকে প্রতিটি দর্শনার্থী বিভিন্ন রকমের জিনিস কিনে বাড়ি ফিরেন। ধন্যবাদ আপনাকে
আমার পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।