সোনালী আঁশ, পাট বাঙালির ঐতিহ্য।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন,আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ )
বাংলাদেশে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টন পাট উৎপাদন হয়। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পাট রপ্তানির একটি অন্য রকম খ্যাতি রয়েছে। সারা বিশ্বে পাট উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বাংলাদেশ প্রতিবছর বিশ্ববাজারে সবচেয়ে বেশি পাট রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ প্রতিবছর সারা বিশ্বের মোট পাটের 33 শতাংশ পাট উৎপাদন করে। যা বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে, সম্পূর্ণটা বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
বাংলাদেশ ২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটের তৈরি পণ্য রপ্তানি করে ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হয় ফরিদপুরে।পাট একটি বর্ষাকালীন ফসল। পাট চাষ শুরু হয় চৈত্র ও বৈশাখ মাস থেকে। পাটের বীজ বোনার ১৫ থেকে ২১ দিন পর, একবার আগাছা পরিষ্কার করতে হয় এবং পাট যদি অতিরিক্ত ঘনমাত্রাই হয় তাহলে সেগুলোকে তুলে পাতলা করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে আর একবার আগাছা পরিষ্কার করতে হয়,এতে পাটের ফলন ভালো হয়।
পাটের ফলন বৃদ্ধি করার জন্য শুধু ইউরিয়া সারই যথেষ্ট অন্য কোন সার বা কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। যখন পাট কাটার উপযোগী হয়ে যায়, তখন পাটের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১৪ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পাট যেহেতু বর্ষাকালীন একটি ফসলএবং পাট জাগ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ও প্রয়োজন হয় এইজন্য আষাঢ় শ্রাবণ মাসে পাট কাটা হয়। পাট কেটে কিছু দিন রেখে দেওয়া হয় পাতা ঝরানোর জন্য।
পাতা ঝরানোর শেষে পাট গুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় খাল, বিল, পুকুর বা নদীতে। খাল, বিল, নদী বা পুকুরে নিয়ে যাওয়ার পরে সেগুলোকে ভালোভাবে জাগ দেওয়া হয় এবং ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়। পাট গুলোকে ১৫ থেকে ২০ দিন জাগ দেওয়ার ফলে, সেগুলো পচে সুন্দর আসে পরিণত হয়, যা আমরা সোনালী আঁশ নামে চিনি। এরপর কৃষকরা সেগুলোকে পানিতে ধুয়ে পাট এবং পাটকাঠি আলাদা করেন। এরপর পাট ও পাটকাঠি নিয়ে এসে রোদে শুকানো হয়।
পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু পাট রেখে বাজারজাত করা হয় এবং পাটকাঠি গুলো জ্বালানি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়। কৃষকেরা এই পাটগুলো বিক্রি করে দেওয়ার পর ,সোনালী আঁশ খ্যাত ও পাট গুলো বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে নেওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের পন্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। পাটের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, পাটের তৈরি দড়ি, বস্তা, চট,ব্যাগ , পাপোশ, ইত্যাদি পন্য সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে।যা আমাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের কাজে আমরা ব্যবহার করে আসছি।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
বাংলার প্রাণপ্রিয় ঐতিহ্য হলো সোনালী আঁশ। এটি একটি বর্ষাকালীন ফসল। তাই বর্ষার সময় সোনালী আঁশ ঘরে তোলা হয়। এবং সোনালী আঁশ আমাদের বাংলাদেশে অনেক শিল্প কাজে ব্যবহার করা হয়। আর আঁশের ভিতর থেকে আমরা যে সিন্ডা পেয়ে থাকি সেটিকে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করে থাকি। বাংলার ঐতিহ্য সোনালী আসলে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে কৃষকেরা পাট চাষ করে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু পাট পঁচানোর জন্য যে জলাশয়ে পাট ভিজিয়ে দেয়া হয় সেই পানি দূষিত হয় এবং যে দুর্গন্ধ ছড়ায় তা বায়ু দূষণ করে। পাট নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি আপনার এই আলোচনায় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
পাটের সোনালী আঁশের জন্যই বাংলাদেশকে সোনালী আঁশের দেশ বলা হয়ে থাকে। ছোটবেলায় এটা আমরা অনেকেই পড়েছি বই এ। পাট শুকাতে দেওয়ার পর যে ঘ্রাণ হয় সেটা আমার কাছে ভালোই লাগে। আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন পাটের আঁশের। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। প্রায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টন পাট উৎপাদন করা হয়। পাট কাটার পর পানিতে পাট ভিজিয়ে রাখতে হয়,পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ভালো লাগলো আপনার পোস্ট। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
সোনালী আঁশ পাট আমার একটি ঐতিহ্যবাহী ফসল। বর্তমানে পাট আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। গাছ থেকে আঁশ ছাড়ানোর পদ্ধতিটি আমার অনেক ভালো ভালো লাগে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আমাদের প্রায় সকলের বাসায় কিছু পাটের তৈরি বস্তা রয়েছে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পাট একটি অর্থকরী ফসল।পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।বর্তমানে কৃষকদের পাট কাটা প্রায় শেষের পথে এবং পাট জাগানোও শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে চারিদিকে পাটের আঁশ ছাড়াবনোর ধুম পড়ে গেছে। সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
পাট একটি ফসল যা বাংলাদেশে চাষ করা হয়।দাদা আর নানা বাড়িতে যেতেই রাস্তায় এগুলো চোখে পড়ে। পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয় এটি বাংলাদেশের অন্য তম অর্থকারি ফসল যে কাজ করে অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে।পাট দিয়ে অনেক কিছু বানানো যায় যা আপনি সুন্দর করে বিস্তারিত ভাবে পোস্টে উল্লেখ করেছেন।আপনার উপস্থাপন ও ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
আগে যখন নদী বড় ছিল তখন দেখতাম নদীতে এভাবে পাট জাগিয়েছে কৃষকরা। তবে এখন তেমন একটা দেখতে পাই না আমাদের এলাকায়। এখন খুব কম লোক এই চাষ করে এই পাট। এক সময় পাট শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছিল। কিন্তু এখন তুলনামূলক একটু পিছিয়ে পাট শিল্পে। ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলো সোনালী আঁশ বা পাট। এই পাট দিয়ে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করা হয় যা দেশে-বিদেশে রপ্তানি করা হয়।আমাদের দেশে যেন দিন দিন পাটের চাহিদা কমে যাচ্ছে এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা চলে পাটের তেমন দাম নেই।যাইহোক দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।