কুষ্টিয়া ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এবং হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি
আসসালামু আলাইকুম আমি,@abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তা'লার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।( আলহামদুলিল্লাহ)
কুষ্টিয়া ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এবং হায়দ্রাবাদি
আমাদের কুষ্টিয়া শহরে বিখ্যাত কয়েকটি রেস্টুরেন্টের মধ্যে ধোঁয়ার রেস্টুরেন্ট একটি। ধোঁয়ার রেস্টুরেন্টের খাবারের গুণগত মান অনেক ভালো হওয়ায় আশেপাশে কয়েকটি জেলায় এর সুনাম রয়েছে। ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের আগে তিনটা শাখা ছিল, এখন সেটা ভেঙে দুইটি করা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন আগের থেকে অনেক সুন্দর করা হয়েছে। এই রেস্টুরেন্টের দুইটি শাখার মধ্যে একটি ভেড়ামারা অপরটি কুষ্টিয়া সদরে অবস্থিত।
এই রেস্টুরেন্টে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি এবং পিজ্জা। জনপ্রিয় হাইদ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য আমরা বেশ কয়েকজন একসাথে ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে বের হলাম। রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে আমি পুরা অবাক হয়ে গেছি। কারণ এক সপ্তাহ আগেও আমি এই রেস্টুরেন্টে আসছিলাম তখন এত সুন্দর ডেকোরেশন ছিল না।
আমরা ভিতরে প্রবেশ করে ওইখানে ওয়েটারদের কাছে শুনলাম তাদের নাকি আরো অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, পরিপূর্ণ ডেকোরেশন সম্পন্ন হয়নি। রাতের বেলা যখন রেস্টুরেন্ট অফ হয়ে যায় তখন নাকি তারা রেস্টুরেন্টের অসম্পূর্ণ কিছু ডেকোরেশনের কাজ ধীরে ধীরে সম্পন্ন করছেন। এই রেস্টুরেন্টে প্রত্যেকের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক, কারণ প্রায়ই যাওয়া হয় এ রেস্টুরেন্টে, এর থেকে বড় কথা হলো আমাদের এলাকার একটা বড় ভাই এই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার।
এই রেস্টুরেন্টে গেলে তাদের সাথে অনেক ইয়ার্কি, ফাজলামো,আড্ডা দেওয়া হয়, তারা ও সবার সাথে খুব ভালো বিএফ করে। এই রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, এক কোথায় বলা যায় খুবই সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। আগের যা কিছু ছিল সেগুলো পরিপূর্ণভাবে চেঞ্জ করে, নতুন করে সাজিয়েছে।
অনেক সময় বাচ্চাদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়, বাচ্চারা অনেক ডিস্টার্ব করে এই জন্য বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে বাচ্চাদের খেলার একটি সুন্দর জায়গা করা হয়েছে। ছবিতে তো অবশ্যই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কয়েকটি বাচ্চা খুব সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্টের মধ্যে খেলছে। অনেকে রেস্টুরেন্টে জন্মদিন উদযাপন করে, তাদের কথা মাথায় রেখে জন্মদিন উদযাপন করার জন্য সুন্দর একটি জায়গা তৈরি করেছে তারা। রেস্টুরেন্টের এক পাশে দোলনায় এবং ছবি উঠানোর জন্য একটি বসার আসনকে ঘিরে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রেখেছে। তারই অপর পাশে খুব সুন্দর একটি আর্টিফিশিয়াল ফুলের গাছ বসানো আছে। বিভিন্ন ধরনের লাইটিংও ঝাড়বাতি খুব সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্টের মধ্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
রেস্টুরেন্টের মধ্যে ছোট ছোট খুব সুন্দর কয়েকটি একুরিয়াম বসানো হয়েছে যা দেখতে খুব ভালো লাগছিল। এক কথায় খুব সুন্দর ডেকোরেশন করেছে তারা।ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের জনপ্রিয় হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি খেতে আমরা আটজন গিয়েছিলাম। এরপর আমরা ৮প্লেট হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার করি। প্রতি প্লেট হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানির মূল্য ছিল ২৩০ টাকা। এই বিরিয়ানি রান্না করার জন্য বাসমতি চাউল ব্যবহার করা হয়েছে।
বিরিয়ানিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আমাদের বিরিয়ানির সাথে একটি করে এগ অমলেট দিয়েছিল,অমলেট এর ওপর সাদা একটা মসলা ছিটানো ছিল, এই মসলার কারণে অমলেটি খুবই মজাদার হয়েছিল।আর এই বিরিয়ানি সাথে এক ধরনের চাটনি দিয়েছিল, ঐ চাটনি জন্য মনে হচ্ছিল বিরিয়ানির টেস্টটা যেন দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে বিরানিটা অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
বাহ চমৎকার ডেকোরেশন করেছে তো, ডেকোরেশন দেখে মুগ্ধ হওয়ার মতো। বাচ্চাদের জন্য খেলনার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এটা অনেক ভালো দিক এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানির কথা আমিও শুনেছি, আমার এক আঙ্কেল এর কাছে তার বাসা কুষ্টিয়া। আজ দেখে নিলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
যা-ই হোক ভাই ডেকোরেশনটা সেই মাপের করছে তারা। আমি টেলিভিশনে হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানির কথা অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। বাচ্চাদের জন্য খেলার ব্যবস্থা তো কোথাও দেখিনি এই প্রথম দেখলাম ভাই। অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়া ধোঁয়া রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাইয়া। রেস্টুরেন্টের ভিতরে অসাধারণ ডেকোরেশন করেছেন, বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য খেলনা জায়গাটা এটি একটি ইউনিক আইডিয়া। ডেকোরেশন তো অনেক সুন্দর তাই মনে হইতেছে হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি ও অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হবে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল, অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্টি উপস্থাপনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1689724692939321344?s=19
বাহ অনেক সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টের গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি রেস্টুরেন্টে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতাছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য খেলনার জায়গাগুলো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। এবং প্রত্যেকটি ফটো অসাধারণভাবে আপনি ক্যামেরাবন্দি করেছেনে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়া ধোঁয়ার রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন তো দারুন ভাইয়া।তবে সবথেকে আমার দোলনাটি বেশি ভালো লেগেছে। এটা যেনে খুব ভালো লাগলো যে এখানে বাচ্চাদের জন্য খেলার ও ব্যবস্তা আছে।আমার এক বড় ভাই কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে ওনার কাছে অনেক শুনেছি হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি কথা।কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু।
কুষ্টিয়ার এই রেস্টুরেন্টটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টেটি বেশ নামিদামি, সাজানো গোছানো এবং যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।