কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস।
আসসালামু আলাইকুম আমি,@abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন,আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি । (আলহামদুলিল্লাহ)
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস।
১৯৬৩ সালে স্থাপিত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের এই ছাত্রাবাস। ছাত্রাবাসের দোতালায় বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কারণে এবং অনেক পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণে ছাত্রাবাসটি ব্যবহার করার অনুপযোগী হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ছাত্রদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রাবাসটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এই ছাত্রাবাস এখন থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল,বিভিন্ন জেলা থেকে পড়তে আসা ছাত্রদের কথা চিন্তা করে। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তরা যাতে স্বল্প খরচে থেকে লেখাপড়া করতে পারে।
এখন অবশ্য এরকম ছাত্রাবাস প্রয়োজন হয় না, কারণ বিভিন্ন জেলা থেকে পড়তে আসা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কুষ্টিয়া শহরে অসংখ্য বিল্ডিং গড়ে উঠেছে।এই ছাত্রাবাস মুক্তিযুদ্ধের প্রায় 7 থেকে 8 বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৬৩ সাল থেকে শুরু করে ২০১০ সাল পর্যন্ত এই ছাত্রাবাস চলমান অবস্থায় ছিল। এই ৪৭ বছরে এখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজার হাজার ছাত্ররা এইখানে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেছিলেন। ছাত্রাবাসের দেয়ালের দিকে তাকালে,এখনো তাদের কিছু স্মৃতিমণ্ডিত বাক্য চোখে পড়ে। ৬০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য এবং ছাত্রদের স্মৃতি নিয়ে, সরকারি কলেজের মাঠের এক পাশে এখনো দোতলা বিশিষ্ট এই বিল্ডিংটি দাঁড়িয়ে আছে।
এই ছাত্রাবাস ২০১০ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর, ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় 13 বছর, ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘ 13 বছর পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকার কারণে ছাত্রাবাসে দেয়ালে শ্যাওলা পড়ে পুরো দেয়ালের কালার পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের লতাপাতা এবং ছোট বটগাছ লতা পাতার মত দেয়াল বেয়ে উপরে উঠে গেছে।
ছাত্রাবাসের ভিতরের অংশতে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট গাছ লতা দিয়ে পুরোটা ভরে গেছে । সন্ধ্যার সময় এখানে আসলে ভুতুড়ে পরিবেশের মত লাগে। এরই সুযোগ নিয়ে এখানে কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা, নিজেদের ব্যবসা চালানোর একটি নিরাপদ আস্তানা বানিয়ে ফেলেছে। এখন এই পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবনকারীদেরই বেশি আনাগোনা দেখা যায়।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায।ছাত্রাবাসের ভিতরের অংশে গেলেই বোঝা যায় এখানে কত ধরনের অপকর্ম হয়ে থাকে ।
এইখানে বিভিন্ন ধরনের মাদকের শিশি,প্যাকেট সহ নানা ধরনের অশ্লীলতার ছোঁয়াও দেখা যায়। এইখানে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়েছে। তারপরও তেমন কোন লাভ হয়নি। এখন স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে এই মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে, দূর দূরান্ত থেকে লেখাপড়া করতে আসা অনেক শিক্ষার্থীরাই মাদকের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে।এই মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের যুবসমাজের অনেক বড় অংশ এখন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই এখন স্থানীয়দের প্রশাসনের কাছে দাবি, এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
বর্তমানে সরকারি কলেজ গুলোতে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজ করতে দেখা যায় ভাই। আমাদের এইদিকে সরকারি কলেজ গুলোতে সিরিজ সহ আরো অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়। যায়গাটি অনেক ভয়ংকর হয়ে গিয়েছে ভাই।
হুম,ঠিক বলেছেন ভাই।
কুষ্টিয়া কলেজের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক পুরানো ছাত্রাবাস। তবে বর্তমানে অনেক ছাত্রাবাস গুলো পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছে, যেখানে নেশাখুর দের আড্ডা জমে, সুন্দর লিখছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
অনেক পুরনো একটি ছাত্রাবাস দেখলাম ভাইয়া, আর এতো পুরনো হওয়ার কারণেই বাজে মানুষরা ওখানে বাজে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে, পুরনো ছাত্রাবাসটি নিয়ে অনেক জানা অজানা তত্ত্ব দিয়েছেন, পোস্টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
আসলে মানুষ কতটা খারাপ হলে এরকম নূন্যতম কাজ করতে পারে এরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ভিতরে। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। এবং প্রত্যেকটি ফটো দেখতে অসাধারণ লাগতাছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
বর্তমানে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রাবাস এখন পরিত্যক্ত প্রায়। আর এই সব ছাত্রাবাস ঠিক মতো মেরামতের অভাবে আজ পরিত্যক্ত। সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।
১৯৬৩ সালে স্থাপিত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের এই পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস নিয়ে আপনি দারুন একটি রিভিও দিয়েছেন আমাদের মাঝে। আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক পুরনো একটি ছাত্রাবাস। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1686997192081539072?t=9_j34BR1RFsdklFOikPe9A&s=19
ছাত্রাবাসটি বেশ পুরনো হয়ে যাওয়ার ফলে কর্তৃপক্ষ এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে খুবই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। কেননা পুরনো ভবনে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখত তাহলে হয়তো কোনদিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা সম্মুখীন হতে হতো। তার চেয়ে এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা অনেক প্রশংসনীয় কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোষ্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ছাত্রাবাসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে হয়তো অনেকদিন থেকেই। ১৩ বছর একটি দীর্ঘ সময় আসলেই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।