জগদ্ধাত্রী মায়ের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি জগদ্ধাত্রী মায়ের চিত্র অঙ্কন করেছি। বেশ কিছুদিন আগে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে গেছে আমাদের এদিকে, কিন্তু যাবো যাবো করে আর যাওয়াই হলো না এই বছর। যাইহোক কালকে সন্ধ্যার দিক থেকে চিন্তা করছিলাম কি আঁকবো আজকের জন্য। আসলে জগদ্ধাত্রী মায়ের ছবিটা অনেকদিন আগেই আঁকার কথা ছিল, কিন্তু অঙ্কন করার সময় কখন কোনটা যে মাথায় চলে আসে আমি নিজেও বুঝতে পারিনা অর্থাৎ যেটা সাথে সাথে মনে আসে সেটাই শুরু করে দেই। আর কালকেও অঙ্কনটা রাতের দিকে খাবার পরে করেছি, তবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে হা হা, রাতে ঘুম পায় না কখনো কিন্তু কালকে ঘুম আসছিলো বড্ড। জগদ্ধাত্রী মায়ের চিত্রটা বড়ো করেই করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আর করে উঠতে পারিনি, কালকে রাতে তাড়াহুড়ো করে আঁকিয়ে রেখেছিলাম আর সকালের দিকে উঠে কালার দিয়ে শেষ করেছিলাম। আজকে অঙ্কনটা একটু ছোট করেই করেছি, তবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের অঙ্কনটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


✠উপকরণ:✠

আর্ট পেপার
বোর্ড
স্কেচ পেন্সিল
পেন
কালার পেন্সিল
রাবার

✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---

❖প্রথম ধাপে জগদ্ধাত্রী মায়ের মুখমণ্ডলটা ভালোভাবে এঁকে নিয়েছিলাম এবং মুখমণ্ডলে চোখ, নাক, মুখ আর ত্রিনেত্র অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর মাথায় মুকুট অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।

❖দ্বিতীয় ধাপে গলার অংশ থেকে টেনে বডির দিকটা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং সাথে পোশাক অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। গলায় একটা হার অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর ৪ টি হাত অঙ্কন করে দিয়েছিলাম যার একটি হাতে শঙ্খ, দ্বিতীয় হাতে চক্র ,তৃতীয় হাতে তীর এবং চতুর্থ হাতে তীরধনুক।

❖তৃতীয় ধাপে বডির যে পর্যন্ত অঙ্কন করে রেখেছিলাম অর্থাৎ কোমরের অংশ থেকে বাকিটা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং পায়ের দিকটাও অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। একটি পা আরেকটি পায়ের উপর দিয়ে আছে এমনটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।

❖চতুর্থ ধাপে একটি মণ্ডপের দৃশ্য অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং উপরের দিকে একটু ডিজাইন করে নিয়েছিলাম। এরপর মণ্ডপের উপরে একটি সিংহকে সম্পূর্ণভাবে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম যেখানে মা জগদ্ধাত্রী সিংহের পিঠে বসে আছে।

❖পঞ্চম ধাপে পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করা সমস্ত বিষয়ের উপর দিয়ে পেনের কালী টেনে দিয়ে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❖ষষ্ঠ ধাপে মণ্ডপের একদম উপরের অংশে একটু ফুল ফুল ডিজাইন দিয়ে কালার করে দিয়েছিলাম।

❖সপ্তম ধাপে মায়ের পিছন দিকে মণ্ডপের আরেকটি অংশে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মায়ের চুল কালার করে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে মুখমন্ডল, গলা আর চারটি হাতে কালার করে দিয়েছিলাম।

❖অষ্টম ধাপে মায়ের পিছন দিকে মণ্ডপের বাকি থাকা অংশটা পুরোপুরি কালার করে দিয়েছিলাম এবং সেই সাথে মুকুটটিকেও কালার করে দিয়েছিলাম।

❖নবম ধাপে মায়ের শাড়িটিতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং সাথে পায়ের দিকেও কালার করে দিয়েছিলাম।

❖দশম ধাপে সিংহকে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।

❖একাদশ ধাপে মণ্ডপের নিচের অংশে কালার দিয়ে অংকনটিকে পরিপূর্ণ করেছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

জগদ্ধাত্রী মায়ের চিত্রাঙ্কন খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে চিত্রটি আমাদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।চিত্রটি ছোট হলেও অনেক সুন্দর লাগছে। কিছু দিন আগে পুজো হয়ে গেল, আপনি যাবেন যাবেন করে আর যাওয়া হয়নি। তারপরও আপনার মাথার ভিতরে কল্পনায়ই ছিলো এই চিত্রটি অংকনের। আজকে চিত্রটি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। একদম অরজিনাল চিত্র হয়েছে এবং খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।চিত্রটি বড় না হলেও অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং সকালবেলা রং করেছেন। অসাধারণ ভাবে একদম ফুটে উঠেছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি চিত্র শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আর কালকেও অঙ্কনটা রাতের দিকে খাবার পরে করেছি, তবে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে হা হা, রাতে ঘুম পায় না কখনো কিন্তু কালকে ঘুম আসছিলো বড্ড।

আমি তো ভেবেছিলাম আর্ট করতে বসলে শুধু আমারই একা ঘুম পায়। এখন তো দেখছি সেই রোগে আপনিও আক্রান্ত😅😅। তবে যাই বলুন না কেন দাদা আপনার অঙ্কন কিন্তু অসাধারণ। আপনি একেবারে প্রফেশনাল আর্টিস্ট এর মতই সুন্দরভাবে অঙ্কন করেন। আর আপনার আর্ট গুলো দেখে দারুন লাগে। সত্যি দাদা আপনার আর্ট গুলো দেখে দেখে অনেক কিছু শিখছি। জগদ্ধাত্রী পুজোতে যাননি অথচ দারুন আর্ট করেছেন। পুজোতে যাননি তাতে কি হয়েছে আপনি আপনার অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিমার ছবি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি দাদা একেবারে নিখুঁতভাবে একেছেন আপনি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

দাদা আপনার অংকন আমার বরাবরই ভালো লাগে। ভীষণ যত্ন সহকারে আঁকেন আপনি।
জগদ্ধাত্রী মায়ের ছবিটি ভীষণ সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন।
ঘুম পাচ্ছিল ভীষণ, তারপরও নিজের এগ্রতার পরিচয় দিয়ে এঁকে ফেলেছেন। সামনের বার আরো বড় করে এঁকে নেবেন নিশ্চয়ই।

দাদা আপনার অংকন থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

দাদা, ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে হলেও আপনি খুবই চমৎকার অংকন করেছেন। আপনার নিখুঁতঙ্কনের কোন তুলনাই হয় না। দাদা আপনার অংকনের দক্ষতা অনেক বেশি। আর তাইতো জগদ্ধাত্রী মায়ের চিত্রাংকন এতটাই সুন্দর করে সম্পন্ন করেছেন, তা দেখে প্রশংসা করার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি। সব সময় আপনার অংকনগুলো খুবই আকর্ষণীয় হয়। জগদ্ধাত্রী মায়ের অংকনের প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদা 'জগদ্ধাত্রী' কোন পূজা? এই পূজার নাম আগে কখনো শুনিনি কিন্তু ছবিটি দেখে পরিচিত লাগছে। আমি আজকের আর্টটি দেখে ভাবছিলাম যে দাদা মনে হয় খুব ব্যস্ত তা না হলে দাদা এই আর্টের পেছনে আরো কিছু ডিজাইন করতো। পরে দেখলাম যে তাই আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আর্টটি করেছেন। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে এত সুন্দর আর্ট করা যায় তা আপনার আর্ট না দেখলেই বোঝায় যেত না। আপনি অনেক ভাল আর্ট করতে পারেন জন্যই ঘুম চোখেও এত সুন্দর আর্ট করেছেন। বিশেষ করে সিংহের মুখটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

এটাও দুর্গা পূজার মতো। মা দুর্গারই আরেকটি রূপ, মা দূর্গা ভিন্ন ভিন্ন রূপে অবতীর্ণ হন।

 2 years ago 

তারাহুরো করে করলেও কিন্তু চিত্রটি চমৎকার হয়েছে।মায়ের শান্ত সৌম্য মূর্তি আর সিংহের রাগী আক্রামনাত্মক ভাব দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে।দাদা আপনার ছবি দুর্দান্ত।তবে দাদা কালার গুলোর পাল্টালে আরো ফুটে উঠত।এগুলো কেমন ছাড়াছাড়া ভাবে পড়ে,ফলে আপনার ছবির সৌন্দর্য ঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে দিচ্ছে না।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফ টি শেয়ার করার জন্য।

কয় দিন আগেই মায়ের পুজো গেল,, এর মাঝে ছবিও এঁকে ফেললেন । বাহ্ বাহ্। আপনার তো রাতে ঘুম পায় না, এখন থেকে ছবি আকতে নিবেন কেমন, তাহলে ঠিক ঘুম পেয়ে যাবে রোজ 😉। তবে ভালো লেগেছে ছবিটা দাদা। মায়ের মুখের গাম্ভীর্য টা বেশ ফুটে উঠেছে।

 2 years ago 

ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ভালোই তো এঁকেছেন। ঘটনা কি রাতে ঘুম পায় বা,তাহলে কখন ঘুমান আপনি 😉😉।যাই মোবাইল চালালে আমার ঘুম পায় না,কিন্তু আঁকাআকি কিংবা পড়তে বসলে আমার খালি ঘুম পায়😂😂।সব মিলিয়ে ভালো এঁকেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ

 2 years ago 

আমি কখনো জগদ্ধাত্রী মায়ের পুজো দেখিনি।তবে আপনি যে মায়ের ছবিটি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এঁকেছেন এবং আপনার চিন্তা দ্বারা ফুটিয়ে তুলেছেন তা এককথায় অসাধারণ।তাছাড়া লেখক, চিত্রকারদের মনে হঠাৎ করেই কোনো কিছুর উদয় হয় দাদা।আপনার অঙ্কনটি খুবই নিখুঁত ও মনমুগ্ধকরভাবে সম্পন্ন করেছেন।বিশেষ করে কালার কম্বিনেশন বরাবরের মতোই ভালো লাগলো।শুনেছি জগদ্ধাত্রী মায়ের মূর্তি নাকি অনেক বড়ো হয়!ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

বাহ্ আপনি খুব সুন্দর মা জগদ্ধাত্রীর ছবি এঁকেছেন। আসলে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন কৃষ্ণনগর হোক বা চন্দননগর, এখনো উৎসবের পালন সব জায়গাতেই হয় আর সবাই করে। আগে আমাদের এখানে এত জগদ্ধাত্রী পূজা হতে দেখতাম না।এখন বেশ ভালোই জগদ্ধাত্রী পূজা হয়। তবে অবশ্যই কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরের মত নয়। যদিও এই কথাগুলো অপ্রাসঙ্গিক। তবুও মায়ের ছবিটা দেখে এ কথাগুলোই প্রথমে মাথায় এলো। আপনার ছবির রংটা খুব ডিপ ভাবে না করাতে আরো যেন ফুটে উঠেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64041.25
ETH 2762.17
USDT 1.00
SBD 2.66