মুভি রিভিউ: রোবোক্রোক ( Robocroc )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি রাতের দিকে একটা মুভি দেখেছিলাম আর এই মুভিটা অ্যাকশন, এডভেঞ্চার এবং কমেডি। কাহিনীটি বেশ সুন্দর আর ইংলিশ মুভিগুলোর কাহিনী একটু বেশি ইন্টারেষ্টিং ক্যাটাগরির হয়ে থাকে যা বিষয়গুলো আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। এই মুভিটির নাম হলো "রোবোক্রোক"। এই মুভির কাহিনীটি আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় কিছু সায়েন্টিস্ট মিলে একটা রকেট লঞ্চ করে কিন্তু রকেটটি সঠিক দিশায় না গিয়ে অন্যদিকে যাচ্ছিলো ফলে তারা রকেটটিকে বিভক্ত হয়ে যেতে বলে আর একটা রকেট এর অংশ চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে এসে পড়ে আর ওই চিড়িয়াখানায় ছিল সব থেকে বিপদজনক একটা কুমির। আর সায়েন্টিস্ট দের বানানো কিছু জীবাণু বা ভাইরাস জাতীয় এইরকম কিছু সেইটার থেকে বেরিয়ে যায় আর কুমিরটির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে চলে যায় আর তার রক্তকণিকার সাথে মিশে যাওয়ার পরে হঠাৎ করে আরো হিংস্র হয়ে যায়। আর সব থেকে বড়ো বিষয় হলো কুমিরটি চোখ খুললেই যেন রোবটের মতো তার চোখে সব কিছু স্ক্যান মতো হতে থাকে। আর চিড়িখানার প্রাণীদের দেখাশোনা করার জন্য একটা লোক খাবার নিয়ে যখন কুমিরটির কাছে যায় তখন কুমির হিংস্র গতিতে তার দিকে ছুটে চলে আসে আর তার ধরার জন্য হন্যে হয়ে যায়। এরপর লোকটি কোনোমতে একটা ম্যানহলের মতো স্থানে গিয়ে বেঁচে যায়। আর এদিকে সেই সায়েন্টিস্টরা তাদের সেই জিনিস খোঁজার জন্য কিছু আর্মি আর কর্নেল কে সাথে নিয়ে সেই চিড়িয়াখানায় যায় আর সেখানে একজন মহিলা বায়োলজিস্ট আর একটা লোক মিলে কুমিরটিকে ধরার জন্য বন্দুক নিয়ে বসে থাকে। এই বন্দুকটির মাথায় আসলে ডাঁট লাগানো ছিল আর এই ডাঁটে ছিল ঘুমের ঔষধ। কুমিরটি জলের নিচে চলাফেরার সময় তার চোখে স্ক্যান হয় যে ওখানে তার খাবার আছে অর্থাৎ ওদের দুইজনকে স্ক্যানে ধরা পড়ে। এরপর কুমিরটি জলের থেকে বেরিয়ে তাদের উপর হামলা করতে যাওয়ার সময় তাকে ডাঁট মেরে দেয় আর অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর তারা সেই শেপ অর্থাৎ দেখাশোনা করা লোকটির খোঁজ করতে করতে সেই সুরঙ্গের কাছে গিয়ে পৌঁছায় কিন্তু তাকে পায়নি। আর এর মধ্যে কুমিরটি আবার সাথে সাথে স্বজ্ঞানে ফিরে আসে আর সেখান থেকে একটা সুরঙ্গের পথ ধরে পালিয়ে যায়।
কুমিরটি সুরঙ্গের পথ দিয়ে চিড়িয়াখানার বাইরে অর্থাৎ তার এরিয়ার বাইরে চলে যায়। এরপর কুমিরটি চিড়িয়াখানায় রাখা অন্য প্রাণী সিংহ এদের ধারে কাছে চলে যায় কিন্তু এটাক করতে পারেনা কারণ সিংহ ছিল উপরে আর কুমিরের পক্ষে অতো উপরে ওঠা সম্ভব না। এরপর সেই শেপ এ কাজ করা লোকটির সন্ধান পেলে সেই বায়োলজিস্ট মেয়ে আর সেই লোকটি দড়ির সাহায্য নিয়ে সিংহ রাখা আছে যেখানে সেখানে যায় আর কোনো সাড়াশব্দ না করে লোকটিকে বের করে আনে। আর কুমিরটি ছিল ওখানেই কিন্তু যখন লোকগুলোকে দেখে সিংহ নিচের দিকে নামলো তখন কুমিরটি তার উপর হামলা করে দেয়। কুমিরটি আসলে একটা রোবটের মতো কাজ করছিলো, যখন তার স্ক্যানে খাবারের বিষয়টা চলে আসে তখন সেইটার উপরে এটাক করে দেয়। এরপর কিছু লোক একটি লেকের কাছে মাছ ধরছিল আর কুমিরটি তাদের সন্ধান পাওয়ার সাথে সাথে সেখানেও এটাক করে দেয়। এরপর কুমিরটি আসলে একপ্রকার সবারই নাগালের বাইরে চলে যায়। সায়েন্টিস্টরাও তাদের লোকেশন এ আর দেখতে পাচ্ছিলো না বা বুঝতে পারছিলো না যে কোথায় চলে গেলো। দুটো লোক মোটর নিয়ে রেস দিচ্ছিলো তখন কুমিরটির চোখে টার্গেট স্ক্যান লেখা উঠলেই তাদের উপর এটাক করে মেরে ফেলে। এরপর কুমিরটি আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপের মধ্যে দিয়ে চারিদিকে ঘোরাঘুরি করতে লাগে আর চিড়িয়াখানার ঠিক অপজিটে একটা পার্ক মতো স্থান আছে আর সেখানে বহু লোকজন একসাথে আনন্দ উল্লাসে মেতে রয়েছে আর সেখানে লেক মতো আছে। ফলে সেই কুমিরটি সেখানে গিয়েও সবাইকে আক্রমণ করে আর বেশ কয়েকজনকে মেরেও ফেলে। এদিকে এই সায়েন্টিস্টরা যে কুমিরটিকে একপ্রকার রোবট তৈরি করে ফেলেছে সেটা চিড়িয়াখানার লোকগুলো জেনে ফেলে।
ওখানে কর্নেল এর সাথে যে সায়েন্টিস্ট এসেছিলো আর কুমিরটিকে রোবট করেছিল উনিও একজন বায়োলজিস্ট ছিল। আর উনি কুমিরটির উপর কিছু একটা রিসার্চ করার জন্য এই কাজটি করেছিল। যাইহোক এখানে চিড়িয়াখানার লোকজন তার কাছে জানতে চাইলে না বলে এড়িয়ে যায় আর গভর্নমেন্ট এর ভয় দেখায়। এরপর কর্নেল কুমিরটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কিন্তু বয়স্ক সেই সায়েন্টিস্ট তা করতে বাধা দেয় কারণ উনি কুমিরটিকে জীবিত ধরতে চায়। এরপর ডাফি নামক লোক আর তার পরিচিত কয়েকজন লেকের ভিতরে প্রবেশ করে কুমিরটিকে খুঁজে মারার জন্য কিন্তু তার মধ্যে একজনের উপর এটাক করে মেরে ফেলে। আর এর আগে হেলিকপ্টার এ করে কয়েকজন খুঁজতে যায় কিন্তু তারা যখন হেলিকপ্টার সহ জলের কাছে যায় তখন কুমিরটি যেন উড়ন্ত কোনো পাখির মতো গিয়ে হেলিকপ্টার ধংস করে ফেলে। এরপর কর্নেল সম্পূর্ণ লেকের জলে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ প্রয়োগ করে যাতে কুমিরটিকে মেরে ফেলতে পারে কিন্তু কিছুক্ষনের জন্য অচেতন হয়ে গেলেও আবার বেঁচে ওঠে। এদিকে ডাফি এর ছেলে আর তার কিছু বন্ধু-বান্ধব লেকের কাছে আটকা পড়ে আর তাদের বাঁচাতে যেতে বলে। এর ফাঁকে তারা সবাই সেখান থেকে বেরিয়ে তার বাবার কথা মতো জায়গায় যাওয়ার জন্য। তারা রোড ধরে যাওয়ার পথেই কুমিরটি এটাক করে আর একজনকে মেরে ফেলে আর তখন তারা সেখানে পরে থাকা সেই মোটর দুটিকে নিয়ে পালায় আর সেই সাথে কুমিরটিও তাদের পিছনে দৌড়াতে থাকে। কুমিরটি দৌড়িয়ে না পেরে জল মার্গ বেছে নেয়। আর তারা বন্ধুরা মিলে উঁচু জায়গায় যেতে চায় কারণ কুমির সব পারলেও উপরে চড়তে পারবে না।
ডাফি আর তার বন্ধু রোজার সেই ছেলেমেয়ে গুলোকে সেখান থেকে উদ্ধার করার জন্য যায় কিন্তু রোজার কুমিরটিকে মারতে যায় ছুরি নিয়ে। কুমিরটি পুরোপুরি রোবট এ পরিণত হয়ে গেছিলো ফলে তার উপর কোনো কিছুই কাজ করছিলো না। যার উপরেই টার্গেট নিছে তার উপরেই লক হয়ে যাচ্ছে। এরপর রোজার কে মেরে ফেললে ডাফি কর্নেল এর কাছে যায় আর সে বলে আমার সাথে কয়েকজন লোক পাঠান আমি কুমিরটিকে নিয়ে আসছি কারণ আমি জানি তাদের কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। এরপর সেই হিসেবে কর্নেল সহ সবাই বেরিয়ে পড়ে আর তারা কুমিরটিকে রাস্তার উপরে দেখতে পায়। দেখার সাথে সাথে তারা কুমিরটির উপরে মিসাইল প্রয়োগ করে আর রাস্তার ওখানে গর্ত হয়ে যায়। রোবোটিক কুমিরটি সেই গর্তের মধ্যে চলে যায়, মূলত ওর নিচে ম্যানহলের মতো বড়ো জায়গা। এরপর কর্নেল আর ডাফি দুইজনেই টানেল এর মধ্যে নেমে পড়ে কুমিরটিকে খোঁজার জন্য। তারা বেশ কিছুক্ষন ধরে খুঁজতে লাগে কিন্তু কুমিরটি টানেলের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে ঘোরাঘুরি করতে থাকে আর সেখানে আবার ডাফি তার ছেলে আর তার বন্ধুদের দেখতে পায়। তাদের একটা কর্নারে বসতে বলে আর তারা খুঁজতে আবার চলে যায়। এখানে সায়েন্টিস্টও টানেলের ভিতরে চলে আসে আর তার কিছুক্ষন পরেই কর্নেলের উপর এটাক করে মেরে ফেলে। এরপর বয়স্ক সায়েন্টিস্ট কেও শেষে এটাক করে আর ডাফি বুদ্ধি করে বোমা মেরে রোবো কুমিরটিকে মেরে ফেলে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটি দেখে বোঝা গেলো যে পুরো কাহিনীটা একটা রোবো কুমিরকে ঘিরে। কাহিনীটি হচ্ছে এই কুমিরটিকে বাইরের থেকে চিড়িয়াখানায় এনেছিল যা অনেক বড়ো , ওজন বেশি আর শক্তিশালী। তবে তাদের বক্তব্য ছিল যে এই কুমিরটি মোটেও এখানকার পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নিতে পারছিলো না কিন্তু হঠাৎ করে এতটা হিংস্র কখনো ছিল না। আর এইসবের পিছনে ছিল সম্পূর্ণরূপে ওই বয়স্ক সায়েন্টিস্ট আর কর্নেল আর হাত। কর্নেল প্রথম দিকে তার সাথে হাত মিলিয়ে এইসব করলেও শেষের দিকে তার কথা আর শোনেনি। আর এই কুমিরটিকে প্রথম থেকেই ওই সায়েন্টিস্ট তার সিস্টেম এর দ্বারা চালনা করছিলো অর্থাৎ কুমিরটি কখন কোথায় যাচ্ছিলো তার গতিবিধির উপর তার খেয়াল ছিল কারণ সেই এইগুলো করাচ্ছে। এইরকমভাবে আস্তে আস্তে কুমিরটির পুরো শরীর রোবটে পরিণত হয়ে যায় ফলে তার উপর আর কোনো প্রকার আঘাত কাজ করছে না। শেষের দিকে আরেকজন যে বায়োলজিস্ট ছিল সে বিষয়টি ধরে ফেলেছিলো আর তাকেই ধরার জন্য টানেলের ভিতরে চলে গিয়েছিলো। সে যখন কুমিরটির সামনে গিয়ে পড়ে তখন তারই উপরে হামলা করে দেয়। কুমিরটিকে নিজে হাতে রোবট তৈরি করে শেষে নিজেই বিপদে পড়ে গেলো, খারাপ কাজের পরিনাম খারাপই হয়ে থাকে শেষমেশ ।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
০৮/১০
✔মুভির ট্রেইলার লিঙ্ক:
দাদা মুভি রিভিউ: রোবোক্রোক ( Robocroc) পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।আমি আসলে মুভি খুবই কম দেখি।তবে নিয়মিত আপনার মুভি রিভিউ পড়ে প্রায় বেশ কয়েকটি মুভি দেখা হয়ে গেল বলে বেশ ভালো লাগছে। দাদা এই মুভিটি দেখে বোঝা গেলো যে পুরো কাহিনীটা একটা রোবো কুমিরকে ঘিরে। কাহিনীটি হচ্ছে এই কুমিরটিকে বাইরের থেকে চিড়িয়াখানায় এনেছিল যা অনেক বড়ো ওজন। আর শক্তিশালী। তবে তাদের বক্তব্য ছিল যে এই কুমিরটি মোটেও এখানকার পরিবেশের সাথে খাপখাইয়ে নিতে পারছিলো না কিন্তু হঠাৎ করে এতটা হিংস্র কখনো ছিল না।আপনার রিভিউটি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে দাদা আমার খুব খুব খুব ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।♥♥
প্রথমেই বলি ইংলিশ একশন মুভিগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি যে মুভিটির রিভিউ করেছেন এটার সম্পর্কে আমার এক বন্ধুর কাছে শুনছিলাম। আজকে রোবোক্রোক মুভির রিভিউ পড়ে অনেক সুন্দর ভাবে ঘটনা বুঝতে পারলাম।
আসলে কুমিরটি যখন বিজ্ঞানীদের ভাইরাস খাওয়ার পর আরো শক্তিশালী হয় তখন থেকেই মুভিটির মজা শুরু হয়। আসলে ইংলিশ মুভিগুলোতে অনেক হাই গ্রাফিক্স এর কাজ থাকে তাই অনেক মজা পাওয়া যায়। আমার কাছে মুভির কাহিনী অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা। আশা করি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি রিলেটেড আরো সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ করবেন। অনেক অনেক ভালোবাসা আপনার জন্য 💕💕🤟
ভাইয়া বরাবরের মতো খুব সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন। আপনার মুভি রিভিউ গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তেমনি আজকেরটা ও ব্যতিক্রম নয়। আপনি খুব সুন্দর করে মুভি রিভিউ করেন। আপনার মুভি রিভিউ গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে এবং আপনি খুব সুন্দর করে পুরো মুভিটা আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন। মুভি রিভিউ টা পড়ে বুঝতে পারলাম এখানে একটি ভয়ানক কুমির কে নিয়ে পুরো মুভিটার কাহিনী। খুবই ইন্টারেস্টিং একটি মুভি আমি অবশ্যই দেখবো। আর এই হলিউডের মুভি গুলো দেখতে আমার অসম্ভব ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। সামনে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর মুভি রিভিউ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
হলিউডের মুভিগুলির মধ্যে ইন্টারেস্টিং কিছু থাকে সবসময় এবং আগে থেকেই বলে দেওয়া যায় না কোনটার পর কোনটা হবে।কিন্তু আমাদের বাংলা সিনেমাগুলি এক ধাঁচের হয় বলে আগে থেকেই কাহিনী বলে দেওয়া যায় ।আসলে এইসব মুভি আমার খুবই ভালো লাগে।আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি তারা ভয়ানক জীবজন্তুকে সামনে রেখেই মুভিগুলি তৈরি করে।মুভি দেখার নেশা আমার ছোটবেলা থেকেই।কি ভয়ানক ছিল কুমিরটি, পাপ করলে তার শাস্তি ভোগ করতেই হয়।এই মুভিগুলো অনেক উত্তেজনাময় হয়।অনেক সুন্দর মুভি রিভিউ করেছেন দাদা,পড়ে সব চোখের সামনে ভাসছিল।আপনার রিভিউগুলো একটু ব্যাতিক্রম হয়, যেটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
"রোবোক্রোক" নামক এই মুভি রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। আপনি সব সময় বিভিন্ন ধরনের মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আসলে এই মুভি রিভিউটি যখন পড়া শুরু করছিলাম তখন মনের মাঝে ভালোলাগা তৈরি হয়েছিল। কারণ এই মুভিটি একটি ভয়ঙ্কর কুমিরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর রোবটিক কুমির জন্ম থেকে ভয়ঙ্কর ছিল না। আসলে রকেটের কিছু পাওয়ার এই কুমিরের মাঝে ঢুকে পড়ায় এই কুমিরটি রোবটিক কুমিরে পরিণত হয়েছে। রোবটিক কুমির তার শিকার খোঁজার জন্য স্ক্যান করত এবং নিরীহ মানুষদের কে মেরে ফেলত। আসলে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কমিটিকে আরো বেশি ভয়ানক করে তুলেছে তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। দাদা আপনি একটি কথা ঠিকই বলেছেন খারাপ কাজের পরিণত সব সময় খারাপ হয়। অনেক সুন্দর ভাবে এই সুন্দর মুভিটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💝💝💝💝💝
রোবটিক কুমিরের এই মুভিটি আপনি সুন্দর করে রিভিউ করেছেন। আপনার মুভি রিভিউ পড়ে বোঝাই যাচ্ছে এই ভয়ঙ্কর কুমির অনেক মানুষের ক্ষতি করেছে। পুরো মুভি জুড়ে এই রোবটিক কুমির তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয়েছে। একজন অসৎ ব্যক্তি কুমিরটিকে রোবটে পরিণত করেছে এবং শেষে নিজে এসে বিপদে পড়েছে। আসলে অন্যের বিপদ তৈরি করতে গেলে নিজেকেও বিপদে পড়তে হয়। দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই মুভি রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও এই মুভি এর আগে আমি কখনও দেখিনি তবে আপনার এই মুভি রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে এই মুভি সম্পর্কে ধারণা হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অন্যরকম এক এডভেঞ্চার ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে। দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
এই ধরনের মুভি গুলো খুব ভালো লাগে আমার কাছে। এমন মুভি প্রায় খুজি আমি। কারণ দেখার সময় একটা ভয় ও কাজ করে অনেক। আজ রাতেই এই মুভিটি নামিয়ে রাখবো। তারপর দেখবো সময় হলে। ধন্যবাদ দাদা।
ওয়াও দারুন ইন্টারেস্টিং কাহিনী আর খুব সুন্দর তো মুভিটি। যদিও এর আগে দেখা হয়নি এমন সুন্দর একটি মুভি। তবে আপনার রিভিউটি পড়ে মুভিটি দেখার বেশ আগ্রহ জন্মেছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি মুভি রিভিউ দেওয়ার জন্য আমাদের মাঝে।
খুবই ইন্টারেস্টিং কাহিনি। পড়ে ভালোই লাগলো।যদিও আমি ইংলিশ মুভি তেমন দেখি না।চিড়িয়াখানা, কুমির সব মিলিয়ে অসাধারন। ধন্যবাদ বাসায় দেখার চেষ্টা করবো।
দাদা আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করলেন। রোবোক্রোক মুভি রিভিউ পড়ে আমার মুভিটি দেখার খুব ইচ্ছা জাগল। আসলে ইংলিশ মুভি গুলো খুবই সুন্দর হয়। এগুলোর ভিতরে অ্যাকশন-রোমান্টিক এবং কমেডি সকল বিষয় থাকে যার কারণে মুভি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার এই মুভিটির প্রধান কাহিনী হলো তারা রকেট পাঠিয়েছিল কিন্তু ভুলবশত রকেট দিশেহারা হয়ে কিছু অংশ চিড়াখানায় পড়েন আর চিড়িয়াখানার পড়ার কারণে সবচাইতে হিংস্র প্রাণী কুমিরের মধ্যে কিছু অংশ যাওয়া।যার কারণে সে আরও হিংস্র হয়ে যায় এবং সে মারাত্মক আকার ধারণ করে। আসলে এই কাহিনী পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল এবং মুভিটি দেখার খুবই আগ্রহ জাগল। তাই আজকে আপনার রিভিউটি পড়েই আমি মুভি দেখা শুরু করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।