ঘড়িয়াল গ্রামঞ্চলের দিকে মাঝে মাঝে বেরোতে দেখা যায় কিন্তু খুব কম. এখন মানুষের অত্যাচারে আস্তে আস্তে সব বিলুপ্ত। বনবিড়াল আগে বাড়িতে এসে হাঁস, মুরগির উপরে হানা দিতো কিন্তু সেটাও এখন আর দেখা যায় না. অর্থের প্রতি মানুষের লোভ এতো বেড়ে যাচ্ছে যে একদিন বাঘ মেরে চামড়া বিক্রি করতে করতে জঙ্গল থেকে বাঘও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। জঙ্গল একদিন শূন্যতায় ভরে যাবে কিছু মানুষের লোভের কারণে।
আমাদের গ্রামেও বলে ঘড়িয়াল, কিন্তু আমাদের মামা বাড়ির দিকে বলে "গুঁইসাপ" । আসলেই কিন্তু এগুলো "গুঁইসাপ" বা "গোসাপ", ইংরেজিতে বলে Monitor lizard । যেগুলো শুধুমাত্র ডাঙায় চলে বেড়ায় এগুলোর গায়ের রং হলো ধূসর রঙের, আর লেজ গোল, এগুলোকেই আমাদের গ্রামে "ঘড়িয়াল" বলে । আর যে গোসাপ গুলোর গায়ের রং উজ্জ্বল হলুদের উপর সবুজ চাকা চাকা ছোপ, লেজ চ্যাটালো আর অধিকাংশ সময় জলে কাটায় সেগুলোকে আমাদের মামাবাড়িতে বলে "গুইসাপ" । এই ধরণের গুঁইসাপ সুন্দরবনে এখন আছে, কিন্তু ঘড়িয়াল নেই । আঞ্চলিক ভাষায় যেগুলোকে ঘড়িয়াল বলে আসলে ওগুলো Monitor lizard বা গোসাপ । ঘড়িয়াল সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতির reptile । এদেরকে মেছো কুমিরও বলে, আসলেই এরা এক প্রজাতির কুমির । নাকের উপর ঘটির মতো একটা উঁচু ঢিবি থাকে, চোয়াল অসম্ভব সরু, অসংখ্য ছোট ছোট দাঁতের সারি; আর শুধু নদীর মাছই এদের প্রধান খাদ্য । এরা এখন থেকে সম্পূর্ণ বিলূপ্ত ।
গোসাপ
ঘড়িয়াল