বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে একটি বালকের স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা অঙ্কন শেয়ার করে নেবো। আজকে অন্য ধরণের দৃশ্যের ছবি অঙ্কন করেছি। ছোটবেলার কিছু বিষয় স্মরণ করে এই আর্টটি করা বলা যায় অর্থাৎ বর্ষাকালে যখন কাদামাখা রাস্তা দিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে স্কুলে যেতাম তখনকার দৃশ্যগুলো স্মরণ করে এই আর্টটি করেছি। এখানেও অঙ্কনের মাধ্যমে সেই ধরণের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এখানে দেখিয়েছি একটি ছেলে বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে, কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে হেঁটে হেঁটে স্কুলের দিকে এগিয়ে চলেছে। এখনকার সময়ে আসলে সেইসব দৃশ্য আর দেখা যায় না, এখন সবাই পাকা রাস্তা দিয়ে যায়। আগে কাঁচা রাস্তায় বৃষ্টির দিনে আমাদের স্কুলে যেতে কত অসুবিধা হতো, তারপরেও একটা স্কুলে যাওয়ার ঝোঁক ছিল তখন। যতই বৃষ্টি আর কাদা হোক না কেন যেতেই হবে আজকে স্কুলে। তখন বড়ো বড়ো একধরণের বুট পাওয়া যেত কাদার ভিতর দিয়ে চলাচলের জন্য আর সেটা দিয়েই চলতে হতো পুরো বর্ষাকালটা। যাইহোক আজকের আর্টের মাধ্যমে সেই বিষয়টাই কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা। আশা করি আজকের অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


☀উপকরণ:☀

আর্ট পেপার
বোর্ড
স্কেচ পেন্সিল
পেন
কালার পেন্সিল
রাবার

✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---

❣প্রথম ধাপে একটি বালককে সম্পূর্ণভাবে অঙ্কন করে নিলাম এবং তার পিঠে একটি স্কুল ব্যাগ ঝুলানো অবস্থায় এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর বালকটির একটি হাতে খেলানো ছাতা রয়েছে দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।

❣দ্বিতীয় ধাপে একটি রোডের মতো দেখতে তৈরি করেছিলাম এবং দূরে মাঠের মতো দেখতে কিছুটা তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর রাস্তার পাশে একটা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলাম।

❣তৃতীয় ধাপে রাস্তার পাশে একটি গাছ অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর বাড়ির কর্নারে কলা গাছের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম। দূরে মেঘের মতো দেখতে এঁকে দিয়েছিলাম।

❣চতুর্থ ধাপে পেনের কালী দিয়ে অঙ্কিত চিত্রগুলিকে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।

❣পঞ্চম ধাপে কালার দিয়ে আকাশের দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম। এরপর ঘরের কর্নারে অঙ্কিত কলা গাছটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।

❣ষষ্ঠ ধাপে ঘরের ছাউনিতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং রাস্তার পাশে অঙ্কিত গাছটির পাতাগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর মেঘের মতো দেখতে সেটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।

❣সপ্তম ধাপে বাড়ির বাদবাকি অংশগুলো কালার করে সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলাম।

❣অষ্টম ধাপে রাস্তাটিতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং দূরে মাঠের মতো দৃশ্যটিতে কালার করে দিয়ে সবুজতার দৃশ্যপট তুলে ধরেছিলাম।

❣নবম ধাপে রাস্তার পাশগুলো দিয়ে কালার করে দিয়েছিলাম এবং পরে রাস্তার পাশের গাছটিতে পুরোপুরি কালার করে দিয়েছিলাম।

❣দশম ধাপে বালকটিকে সম্পূর্ণভাবে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর ছাতার বাটে কালার করে দিয়েছিলাম।

❣একাদশ ধাপে ছাতার আরো বাকি অংশ কালার দিয়ে সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলাম। এরপর কালার দিয়ে রাস্তার পাশে বয়ে যাওয়া নদীর মতো দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।

❣দ্বাদশ ধাপে বৃষ্টি পড়ার দৃশ্য এঁকে দিয়েছিলাম এবং অঙ্কনটিকে পুরোপুরিভাবে এখানে সম্পূর্ণ করে তুলেছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনার আর্টের মাধ্যমে আজ আমার ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। আমিও বৃষ্টির দিনে এভাবেই স্কুলে যেতাম। মাঝে মাঝে বাতাসের তোড়ে ছাতা উল্টো হয়ে যেতো তখন যে একটা খারাপ লাগতো 😄 যাক দিনগুলো মনে পরলে সত্যিই হাসি পায় এখনো।
আপনি বরাবরই চমৎকার অংকন করেন, আর আজকের অংকনটি জাষ্ট অসাধারণ হয়েছে দাদা।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

বৃষ্টি দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে স্কুলে যাওয়ার একটি বালকের চিত্র অংকনটি অসাধারণ হয়েছে। দাদা আপনি খুবই সুন্দর চিত্রটি অঙ্কন করেছেন এবং গ্রামের এই দৃশ্যটি আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার চিত্র অংকন যতো দেখি ততই ভালো লাগে। আজকে চিত্র অংকন সেই পুরনো দিনের কথা মনে করে দিয়েছে। আসলে ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের রয়েছে। সত্যিই আপনার চিত্রটি অরজিনাল হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি চিত্র অংকন করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

বৃষ্টির দিন দেখলেই তো ঘুম দিয়ে দিতাম দাদা। স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা😅। আর যেদিন পড়া হতো না সেদিন মনে মনে বলতাম আজকে বৃষ্টি হয় না কেন🤭। তবে যাই বলো না কেন দাদা বৃষ্টির দিনে ছাতা মাথায় নিয়ে স্কুলে যাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও বড় বড় বুট জুতা কখনো পড়া হয়নি। তবে এই জুতাগুলো ভীষণ উপকারী। জুতা পরে কাদা রাস্তায় হাঁটতে অনেক সুবিধা হয়। দাদা আপনি বরাবরের মতোই দারুণ এঁকেছেন। আপনার অঙ্কন চিত্রটি অসাধারণ হয়েছে। ছেলেটিকে দেখতেও কিন্তু বেশ সুন্দর লাগছে। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি এই দৃশ্যটির সাথে জড়িয়ে আছে। দারুন একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন দাদা। অঙ্কন চিত্রটির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আসল দাদা আপনার কনসেপ্টটা অনেক স্মরণীয়। সত্যি বলতে ছোটবেলায় আমরাও, এই রকম গ্রামের মেঠোপথে কাদার মধ্যে স্কুলে যেতে বাধ্য হতাম। কারণ স্কুলে যেতেই হবে সেক্ষেত্রে বৃষ্টি হলে বৃষ্টি তারপর ও যেতে হতো। আর সেই ছোটবেলার বিষয়টিকে মাথায় রেখে খুব চমৎকার একটি দৃশ্য এঁকেছেন, অনেক চমৎকার হয়েছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।

 2 years ago 

আগেকার দিনে স্কুলে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ মানুষই হেঁটে হেঁটে যেত এখনকার দিনের মতো নয়। তাছাড়া সে সময় বৃষ্টি হলে স্কুলে যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যেত । আমরা যদিও পাকা রাস্তা দিয়ে যেতাম তারপরও । আমি অবশ্য কখনোই ছাতা নিতাম না। কেন যেন ছাতা আমার নিতে খুব আলসেমি লাগতো। অনেক বেশি বৃষ্টি হলে তখন অবশ্য রিকশায় যাতায়াত করতাম । যাই হোক আপনার আজকের আর্টটি দেখে ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। ছোট ছোট সব বিষয় খুব নিখুঁতভাবে আপনি আর্ট করেছেন। যার কারণে আর্টটি এত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খুব ভালো লাগছে দেখতে দাদা । ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

দাদা আপনার আর্টটি সত্যি ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিল। ছেলেবেলা যদিও কাঁদা মাখা রাস্তা ছিল না কিন্তু এমন হেঁটেই স্কুলে যেতাম।আপনি আপনার আঁকার মধ্যে দারুনভাবে দৃশ্যটি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনি একাধারে এতো গুনের অধিকারি। সত্যিই খুব ভাল লাগে। আপনার গুনের কিঞ্চিৎ পরিমান ছিটেফোটা গুন যদি আমার মাঝে থাকতো সত্যি ই আমি ধন্য হয়ে যেতাম। সুন্দর একটি আর্ট ধৈর্য নিয়ে এঁকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।অনেক অভিনন্দন দাদা।

 last year 

দাদা আপনার পোষ্টের প্রথম চিত্রটি দেখেই ছোট সময়ে স্কুলে যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। ভিতরে বিস্তারিত পড়তে গিয়ে দেখি আপনিও সেটা আপনার ছোট সময়ের স্মৃতি মনে করেই চিত্রটি আর্ট করেছেন। আমরাও বৃষ্টির দিনে কাদামাখা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতাম। এখন অবশ্য কিছুটা পাকা হয়েছে। আমরা অবশ্য স্কুল লাইফে বুট পায়নি। সেটা পেয়েছি হাইস্কুল লাইফে গিয়ে। যায়হোক ড্রয়িংয়ের কথা কিছু বলার নাই। যেভাবে নদী,রাস্তা,গাছ আর ছাতা ও বালকটিকে অংঙ্কন করেছেন। জাষ্ট অসাধারন। দাদা বালকটি কি আপনি না কি, হি হি হি। ধন্যবা দাদা।

 last year 

দাদা,শীতের সময় বৃষ্টির দিনের ছবি এঁকেছেন এটি কিন্তু ভারী মজার।তাছাড়া এইরকম দৃশ্য শীতের দিনে ও মাঝে মাঝেই দেখা যায়।আসলে আপনার শৈশবকে স্মরণ করে চিত্রটি এঁকেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।এভাবে কাঁদায় স্কুলে যেতে যেতে কত না আছার ও খায় ।নিশ্চয়ই আপনিও খেয়েছেন?☺️☺️যাইহোক কাঁদায় স্কুলে যাওয়াটা বেশ কষ্টের ছিল।চিত্রটি সুন্দর হয়েছে।এখনো গ্রামে ওই বুটগুলো দেখা যায় দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 67975.29
ETH 3240.67
USDT 1.00
SBD 2.66