মুভি রিভিউ: Mom

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটির নাম হলো "Mom". মুভিটি দেখেছি বেশ কিছুদিন আগে, আসলে মুভি এখন আর টানা দেখার সময় হয় না, যখন সময় পাই অল্প করে কয়েকদিনে নামাই। মুভিটি থ্রিলার মুভি। মুভিটির গল্প দেখা যাক কিভাবে শুরু থেকে শেষ হয় এই অপরাধমূলক একটা কাহিনীর মাধ্যমে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

মুভির নাম
Mom
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
পরিচালকের নাম
Ravi Udyawar
লেখক
গিরিশ কোহলি, Ravi Udyawar, কোনা ভেঙ্কট
অভিনয়
শ্রীদেবী, সজল আলী, অক্ষয় খান্না, আদনান সিদ্দিকী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, অভিমন্যু সিং ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৭ জুলাই ২০১৭
সময়
২ ঘন্টা ২৬ মিনিট
মূল ভাষা
হিন্দি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া
বাজেট
₹৩০ কোটি
বক্স অফিস
₹১৭৫.৭ কোটি


☫মূল কাহিনী:☫


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

কাহিনীটা সাধারণত শুরু হয় একটা মা ও মেয়ের কাহিনীর মধ্যে দিয়ে। তবে মেয়েটা অর্থাৎ আর্য তার মা -কে কখনোই ভালো চোখে দেখতো না, কারণ সে তার আসল মা ছিল না। তার মা এমনিতেই একজন সাধারণ শিক্ষিকা ছিলেন একটি স্কুলের জীবনবিজ্ঞান ক্লাসের। তো একদিন ক্লাসে তিনি সব স্টুডেন্টসদের ফ্রেন্ডলিভাবে জীবনবিজ্ঞান পড়াচ্ছিলেন এবং সেই ক্লাসে তার মেয়ে আর্যও ছিল। ক্লাস চলাকালীন মোহিত নামক একটি ছেলে ক্লাসে বসে আর্য এর ফোনে একটা খারাপ ভিডিও লিঙ্ক পাঠায় আর এইটা দেখে আর্য আর তার বন্ধু একটু চিৎকার করে ওঠে মোহিত ছেলেটির উপরে এবং তখন ম্যাডাম এসে আর্য এর হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে সেই ভিডিও দেখলে মোহিতকে তার মাকে স্কুলে এসে দেখা করতে বলে। আর মোহিত আর ফোনটা পরে নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। আর এর পরের থেকে আর্য এর উপরে একটা রাগের জন্ম নেয়। আর্য এর মা স্কুলে একটু কড়াকর থাকলেও আর্যকে অনেক ভালোবাসতো সে আর্য তাকে যতই অবহেলা করুক না কেন। যাইহোক এরপর আর্য হঠাৎ করে বাড়িতে এসে তার বাবার কাছে একটা পার্টিতে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায় কিন্তু তার মা ওসব জায়গায় যেতে মানা করে। তার মা কিন্তু তাকে ভালোর জন্যই মানা করে কিন্তু আর্য তার উপর রাগ দেখিয়ে চলে যায়। এরপর তার বাবা অফিস থেকে বাইরের দেশে কাজের কোনো কারণে যাওয়ার সময় পারমিশন দিয়ে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এরপর তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে পার্টিতে যায়। আর ওখানে যাওয়াই তার জীবনের সব থেকে বড়ো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ সেখানে ওই মোহিত এবং তার বড়ো ভাই আর তার একজন বন্ধু যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত অর্থাৎ এক কোথায় বলা যায় সন্ত্রাসমূলক কাজের সাথে লিপ্ত। যাইহোক, এদিকে মোহিত আর্যকে দেখে তার পিছনে লাগে কিন্তু পাত্তা দেয় না, এরপর তার বড়ো ভাই এবং সেই বন্ধু মিলে তাকে জোর করে পার্টির বাইরের থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে রাস্তায় একটা পঁচা ড্রেনের মধ্যে ফেলে দিয়ে যায়। তার মা এদিকে দুশ্চিন্তা করতে লাগে, কারণ মেয়ে রাত ১২ টার সময় একবার ফোন করলে জানায় যে সে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছে। সেখানে রাত ৩ টা বেজে গেলে আরো চিন্তা বেড়ে যায়। এরপর আর উপায় না পেয়ে তার মা সেই পার্টিতে চলে যায় এবং সেখানে তার অন্যান্য বন্ধুদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে জানেনা কারণ সবাই নেশার ঘোরে ছিল আর মোহিতও আবার সেখানে চলে আসে, যাতে প্রমান না থাকে। এমনিতেই সব জায়গায় টাকা খাইয়ে প্রমান মিটিয়ে ফেলেছে। যাইহোক, এরপর লোকাল থানায় গিয়ে রিপোর্ট করে আসে। পরেরদিন সকালে একজন ব্যক্তি মর্নিং ওয়াক করার সময় ড্রেনের মধ্যে মেয়েকে পায় আর দ্রুত হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এরপর খুবই ক্রিটিকাল অবস্থা সৃষ্টি হয় আর্যর আর তার মা দ্রুত আর্য এর বাবাকে ফোন করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এরপর যেহেতু এটি পুলিশ কেস আর এটা নিঃসন্দেহে পরিকল্পিত একটা কাজসাধী। তাই এই কেসের দ্বায়িত্ব অক্ষয় নামক একজন অফিসারের কাঁধে দিয়ে দেয়। আর্য কথা বলার মতো স্বাভাবিক হলে তার কাছ থেকে স্টেটমেন্ট নেয় এবং কারা কারা ছিল নাম বলে দেয়। এরপর সেই হিসেবে সব কয়টাকে তুলে আনে এবং কোর্টে কেসও ওঠে। কিন্তু ক্ষমতা আর টাকা খাইয়ে সমস্ত ডিএনএ রিপোর্ট এবং যাবতীয় প্রমান উলটপালট করে ফেলে। কোর্টে যে মা তার মেয়ের সাথে হওয়া ভয়ানক অন্যায়ের জন্য ন্যায় পাওয়ার জন্য কেস করেছিল সেই ন্যায় কেউ পেলো না। এরপরে তার মেয়ের সাথে হওয়া এই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নিজেই ঠিক করে যে সে নিজে হাতে সব কয়জনকে মেরে ফেলবে। যেহেতু সে একজন সায়েন্স এর টিচার তাই সে অনেক কিছুই জানে কিভাবে কি করলে সহজেই এই কাজগুলো করা যাবে। প্রথমত মোহিতকে গাড়ি দিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু হাত ছাড়া হয়ে যায়। এরপর সেই পার্টিতে থাকা গার্ডকে ধরে প্রথমে কিছু পুরানো লোকজনের সাহায্য নিয়ে এবং তারাও একসময় এই ম্যাডামের স্টুডেন্ট ছিল তাই তার কাজে সাহায্য করাও তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

যাইহোক, এরপর গার্ডটাকে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তুলে এনে এমন সার্জারি করে যে নিজেই পরেরদিন সকালে দেখে অজ্ঞান হয়ে বাথরুমে রডের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারা যায়। এরপর মোহিত এর বড়ো ভাইকে মারার প্ল্যান করে অন্যভাবে অর্থাৎ আপেল এর বীজ থেকে সায়ানাইড তৈরি করে যেটা তার প্রোটিন শেক এর গুঁড়োর ভিতরে মিশিয়ে দেয় আর খাওয়ার কিছুক্ষন পরেই প্যারালাইসিস হয়ে যায়। তবে অক্ষয় অফিসার বুঝতে পারে এগুলো স্বাভাবিক কিছু না অর্থাৎ কেউ একজন পরিকল্পিত ভাবে এদের মারছে এবং সন্দেহটা করে আর্য এর মায়ের দিকে কারণ তার মা ঠিক যেমনটা চশমা পড়তো সেইরকমই দেখতে চশমা মোহিত এর বড়ো ভাইয়ের কিচেনে পায় যেখানে এই সায়ানাইড তৈরি করা হয়েছিল। আর এইগুলো করেছে দয়া শংকর নামের একজন গোয়েন্দার সাহায্য নিয়ে। আর মোহিতকে এই কেসে ফাঁসিয়ে দেয় কায়দা করে যে সে তার বড়ো ভাইকেই মারার চেষ্টা করেছিল। যাইহোক এরপরের পালা আসে অভিমন্যু নামক একজন পেশাদার খুনির আর সে পরে বুঝতে পেরেছিলো এইগুলো করছে আর্য এর মা। আর তার সাথে আছে দয়া শঙ্কর নামক একজন গোয়েন্দা। এদিকে আর্য হঠাৎ করে প্ল্যান করে যে সে শিমলা ঘুরতে যাবে, কিন্তু সে কিন্তু জানে না যে তার জন্য তার মা এইসব করছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এরপর তার মা মানা না করে শিমলা চলে যায় আর এদিকে দয়া শঙ্করকে খুঁজে বের করে গুলি করে দেয়। তবে তার চশমায় সবসময় একটা গোপন চিপ বা মেমোরি লুকানো থাকতো যেটাতে সামনের ব্যক্তির সমস্ত কথা এবং ভিডিও রেকর্ড থাকতো। অফিসার অক্ষয় এসে পরে সেইটা দেখে এবং অভিমন্যুও জেনে যায় তারা শিমলায় আছে আর সেখানে ঠিকানা নিয়ে চলে যায়। অক্ষয়ও রওনা দেয় কারণ সে বুঝতে পেরেছিলো তাদের সামনে বিপদ আছে। আর্য এবং তার বাবা মা সবাই সারাদিন ঘোরাঘুরি করে রুমে আসার সাথে সাথে অভিমন্যু হামলা করে এবং অলরেডি আর্য এর বাবাকে গুলি করে দেয়, তবে অক্ষয় সময় মতো এসে তাকে হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আর্যকে ধরে কিন্তু সামনে তার মা চলে আসলে তার মাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে আর আর্য এদিকে অন্য দরজা দিয়ে বাইরে পালিয়ে যায় কিন্তু বাইরে বরফ এর কারণে দৌড়িয়ে বেশিদূর যেতে পারিনি, ফলে তাকে ধরে ফেলে। আর্য এর মায়ের কিছুক্ষন পরে জ্ঞান ফিরে আসলে সে তাদের পিছু নিতে থাকে কিন্তু সেখানে আবার অফিসার অক্ষয় পৌঁছিয়ে যায়, তবে আর্য এর মাকে আর থামায়নি, বরং নিজের পিস্তলটা দিয়ে তাকে গুলি করে দিতে বলে। আর আর্য লুকিয়ে লুকিয়ে সবকিছু শোনে যে তার মা তার জন্য কি করেছে। এতেই তার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আরো বেড়ে যায় এবং মাকে আপন করে নেয়।


☫ব্যক্তিগত মতামত:☫

এই মুভিটা দেখে বলা যায় যে, একটা মায়ের এবং মেয়ের আর্তনাদের কাহিনী উঠে এসেছে এখানে। মেয়ের সাথে হওয়া একটা জঘন্য অন্যায় যার কোনো ন্যায় নেই, যে কোর্টে সবাই ন্যায়ের জন্য যায় সেই কোর্টে আজকে সবকিছু মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে আছে। হাইকোর্টে আপিল করার কথা বললে তার মা আর রাজি হয় না, কারণ সেখানকার রেজাল্ট কি আসবে সেটা পরিষ্কার, এইরকম আবার টাকা দিয়ে এভিডেন্স মিটিয়ে দেবে। তার থেকে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে সে। এটা কিন্তু আসলে আজকাল আমাদের বর্তমান সমাজে সাথে অনেকটা মিল আছে বললেও চলে, আজকাল বাইরে মেয়েদের একা চলাফেরার কোনো নিরাপত্তা নেই কিছু জঘন্য পাপীদের জন্য। তবে একজন মা বুঝিয়ে দিলো মেয়েকে পেটে না ধরেও কিভাবে মেয়ের প্রতি সঠিক কর্তব্য পালন করা যায়। মেয়ে তার মাকে মানত না কিন্তু শেষ মুহূর্তে গর্বে তার মায়ের এই সাহসিমুলক কাজের জন্য চোখে জল চলে আসলো যে চোখে সবসময় একটা রাগের ফুলকি থাকতো। মুভিটাতে আসলেই সামাজিক কিছু প্রতিচ্ছবিকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, কাহিনীটা অনেক সুন্দর ছিল সবশেষে বলতে গেলে।


☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৯.৭/১০


☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

এই মুভিটা আমার দেখা হয়নি।তবে আপনার মতামত আর মুভির রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ প্রবল হলো।শ্রীদেবীর অভিনয় আমার খুব ভালো লাগতো।একজন গুনী শিল্পী ছিলেন তিনি।সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি মুভিটি দেখবো সময় করে আশা রাখি।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

 last year 

দাদা আপনি তো দেখছি আজকে নতুন একটি মুভি রিভিউ করেছেন। আসলে এই মুভিটি আমার দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার রিভিউটা পড়ে বুঝতে পারলাম মূলত একটি সামাজিক প্রতিচ্ছবি নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে একটা মা এবং মেয়ের কাহিনী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আসলেই বর্তমানে কোন অন্যায়ের বিপক্ষে কোর্টে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। আর এই বিষয়টা এখন একদম এভেলেবেল হয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েটার মায়ের সাহসিকতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই এই মুভিটা দেখার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে অন্য কোন রিভিউ দেখতে পাবো।

 last year 

দাদা আপনি খুব সুন্দর একটা মুভি রিভিউ পোস্ট করেছেন। মম মুভিটির রিভিউ বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছি। আর এই মুভিটিতে আমাদের সমাজের সাথে অনেক কিছুই মিল রয়েছে। আসলে সমাজের এমন কিছু জঘন্য মানুষ রয়েছে যাদের জন্য মেয়েদেরকে এখন একা একা চলাচলের জন্য বাহিরে বের করা যায় না। তারা নিজেদের স্বাধীন মতো চলতে পারে না। আর একটা মা বুঝিয়ে দিয়েছে একটা মেয়েকে পেটে না ধরে ও কিভাবে কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালন করা হয়। এই বিষয়টা সত্যি আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে। আর্য যখন তার মায়ের কথা লুকিয়ে লুকিয়ে শুনছিল, তখন মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছিল। তখন সে তার মাকে আপন করে নেয়, সত্যি এরকম মিলন হলে খুব ভালো লাগে। দাদা পরবর্তীতেও এরকম সুন্দর সুন্দর মুভি গুলোর রিভিউ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 last year 

দাদা আজকে আবারো একটি নতুন মুভি রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে এই মুভিটি দেখছি মা এবং মেয়ের কাহিনী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে তো দেখছি শুরু থেকে আর্য তার মাকে দেখতে পারত না। যদিও তার মা সঠিক পথে ছিল। আর ন্যায়ের জন্য লড়াই করেও দেখছি কোর্টে বিচার পেল না। আসলে এখনকার বিচারব্যবস্থায় এরকম হয়ে গিয়েছে। সকল প্রমাণ ওলটপালট করে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেয়েটার মায়ের সাহসিকতা বেশ ভালো লাগলো। আর আর্য নিজেও তার ভুল বুঝতে পারল। কাহিনীটা পড়ে ভীষণ ভালোই লাগলো।

 last year 

দাদা আজকে আবারো নতুন একটা রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছেন সত্যি খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা এই রিভিউটা। নতুন নতুন এরকম মুভির ভিডিও গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে। আপনার এই মুভিটার নাম ছিল মম। আর্য তার মাকে দেখতে না পারলেও তার মা যখন উনার কর্তব্য বুঝিয়েছিল তখন সে সবকিছু বুঝতে পারে। আসলে কিছু কিছু পাপী মানুষ রয়েছে প্রত্যেকটা সমাজে যাদের জন্য একটা মেয়েকে একা ছাড়া যায় না। আর বেশিরভাগ সময় তো এর বিচারও পাওয়া যায় না। এটা সত্যি অনেক বেশি কষ্টদায়ক। এই কারণেই তো একটা মা তার কর্তব্য বুঝিয়ে দিয়েছিল। পেটে না ধরলেও কর্তব্য এবং দায়িত্ব অবশ্যই থাকে। ঠিক বলেছেন দাদা মুভিটাতে অনেক সামাজিক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। খুব ভালো লেগেছে সম্পূর্ণটা।

 last year 

দাদা, বেশ কিছুদিন আগে আমি এই সুন্দর মুভিটি দেখেছি। আর মুভিটি দেখে আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছে। যদিওবা আর্য তার সৎ মাকে নিজের মায়ের জায়গায় বসাতে পারেনি, তবুও আর্যর সৎ মা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে আর্যর নিজের মায়ের জায়গায় বসাতে। আর তাইতো মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে আর্যর মা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এবং এক এক করে অবশেষে সেই নর পশুদের নিজ হাতে শাস্তি দিয়ে একজন মায়ের দায়িত্ব পালন করেছিল। তাইতো অবশেষ আর্য সবকিছু বুঝতে পেরে তার সৎ মাকে নিজের করে নিয়েছিল। মম নামের এই থ্রিলার মুভিটি সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা, খুব সুন্দর একটি মুভির রিভিউ দেওয়ার জন্য।

 last year 

থ্রিলার মুভি দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। এই মুভিটি কখনো দেখিনি। আজকে প্রথমবার এই মুভি রিভিউ পড়ে মুভিটি সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই মুভিটি এক কথায় অসাধারণ ছিল দাদা। একজন মা তার মেয়েকে আপন করে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। কারণ সে তার নিজের মা ছিলনা। কিছু কিছু মুভির গল্প গুলো এতটাই দারুন হয় যে হৃদয়ে গিয়ে স্পর্শ করে। এই মুভির গল্পটিও ঠিক তেমনটাই। একজন মা তার সন্তানকে এতটাই ভালোবাসতো যে তার ওপরে হওয়া অন্যায়ের বদলা নেওয়ার জন্য সে অনেক কিছুই করেছে। তার চোখে রাগ থাকলেও অন্তরে কিন্তু সন্তানের জন্য অনেক ভালোবাসা ছিল। নিজের মায়ের মতই আর্যকে টেক কেয়ার করতে সে। কিন্তু অবুঝ মেয়েটি তার মাকে আপন করে নিতে পারছিল না। তার মায়ের কথা মেনে না চলার কারণে সে অনেক বিপদের মধ্যে পড়েছে। আর তার সাথে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য তার মা অনেক কিছুই করেছে। তবে শেষে এসে আর্য তার নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং মাকে আপন করে নিয়েছে জেনে সত্যিই ভালো লেগেছে। দারুন একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56325.56
ETH 2374.82
USDT 1.00
SBD 2.33