টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - এস্টিমেটেড টাইম অফ ডিপার্চার( ষোড়শ পর্ব -সিজন ১)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির সিজন ১ এর শেষ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের শেষ পর্ব অর্থাৎ ষোড়শ পর্বের নাম হলো "এস্টিমেটেড টাইম অফ ডিপার্চার"। গত পর্বের শেষের দিকে দেখা গিয়েছিলো গ্রিফিন মেলিসাকে বলার পরে একটা মার্কেটের ভিতরে গিয়ে বোম রিফিউজ করে আসে। আজকের পর্বে দেখা যাক কি কাহিনী ঘটে।
❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂
☬মূল কাহিনী:☬
এখানে দেখা যায় জোশ আর এথেনা সহ তাদের সব পরিবার একসাথে কোনো দ্বীপে ঘুরতে যায়, এটা সাধারণত তাদের পূর্ব লাইফে কাটানো সময়ের দিকটা তুলে ধরেছে। সমস্ত চিন্তার মধ্যে জোশ এইগুলো চিন্তা করছিলো, গ্রিফিন আসলে তাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে একটা চিন্তা ধরিয়ে দিয়েছে। এদিকে জ্যাকও খুব মাঝে মাঝে বিপদজনক হয়ে উঠছে। ঘরের মধ্যে হঠাৎ করে জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করে দেয় জ্যাক আর কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সে বলে যে আমি জেক এর সাথে বলবো। এদিকে গ্রিফিনকে আটকিয়ে রাখার কিছুদিন পরে তাকে আবার রিলিজ করে দেয়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন তাকে রিলিজ করলো এই বিষয়টাও তাদের ডিপার্টমেন্ট এর প্রত্যেকের কাছে শিওর না। যাইহোক পরে গ্রিফিন বেরিয়ে যাওয়ার সময় মেলিসাও তার পিছন পিছন যায় কিন্তু গ্রিফিন যখন ট্যাক্সি ধরে চলে যেতে চায় তখন একসাথে মেলিসা, জেক, জোশ এবং পারভীন প্রত্যেকের মাইন্ডে একটা শব্দই চলে আসলো যে 'স্টপ হিম" অর্থাৎ এই শব্দের মাধ্যমে গ্রিফিনকে আটকানোর কথা বলছে। মেলিসা এই শব্দ শোনার পরে তাকে আটকাতে গেলেও সে আর ধরতে পারিনি কারণ সে অলরেডি ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে যায়। জেক এদিকে তার মায়ের সাথে দেখা করে এসে আবার মেলিসার বাড়িতে চলে আসে কিন্তু মেলিসা ঘরে ঢোকার সাথে সাথে জেক কিছু একটা লুকিয়ে ফেলে।
মেলিসা ঘরে ঢুকতেই দেখে জেক তার পোশাক এবং তার সব কিছুই গুছিয়ে প্যাক করতে লাগে কারণ সে চলে যেতে চায় সেখান থেকে। রামিরেজ আসলে মেলিসার বাড়িতে জেক এর থাকাটা পছন্দ করছে না আর এইটা নিয়ে মেলিসার সাথেও একটু তর্কবিতর্ক হয়ে যায় আর মেলিসা বলে জেক আমার শুধুই একজন ভালো বন্ধু। রামিরেজ জেক এর উপর পুরোপুরি সন্দেহ করে ফলে তাদের ডিপার্টমেন্ট এর একজনকে তার গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলে অর্থাৎ কোথায় যায়, কি করে তার উপর। মেলিসা আর জেক জোশ এর বাড়িতে আসে পরে কারণ জ্যাক জেক এর সাথে তার সমস্যাটা বলতে চেয়েছিলো। জ্যাক নিজেও খুব ডিপ্রেশনের মধ্যে থাকে এবং জেককে প্রমিস করিয়ে নেয় যেন সে এই কথা তার বাবা, মা, মেলিসা কাউকেই না বলে। জেক প্রমিস করার পরে বিষয়টা বলার জন্য রাজি হয় জ্যাক এবং সে একটা ড্রয়িং করে যেটাতে খুব ভয়ঙ্কর বিষয় ছিল আর সেটা হলো একটা হল ঘরের মতো আঁকা যার একটা একটা খোপে জোশ, জ্যাক এবং মেলিসা তিনজনেরই নাম লেখা আছে। আর এই বিষয়টা নিয়ে জ্যাক বলে যে আমরা মরতে যাচ্ছি আর এই কথাটা আমি তাদের সাথে কিভাবে বলি। জেক এইসব শোনার পরে বেরিয়ে আসে এবং তার কাছে শুনতে চাইলে কথা ঘুরিয়ে অন্য কিছু বলে চলে যায় তাড়াহুড়ো করে। কোথাও একটা পুরানো জায়গায় গিয়ে কারো সাথে জেক দেখা করে আর কিছু একটা দিতে গেলে রামিরেজ এর গুপ্তচর সেগুলো ছবি তুলে পাঠায় রামিরেজ এর কাছে।
রামিরেজ ছবিগুলো দেখতে লাগলে গুপ্তচর জেককে ধরতে চায় কিন্তু রামিরেজ না বলে দেয়। জেক ফ্লো করতে করতে একটা মল এর কাছে চলে যায় অর্থাৎ গ্রিফিন সেখানে আসবে সেটা সে জানতো বা কোথাও কারো কাছ থেকে খবর পেয়ে এসেছে। গ্রিফিন সম্ভবত কোনো কিছুর জন্য সেলিব্রিটি বা কোনো গভার্মেন্ট এর সাথে জড়িত ছিল যার কারণে সে গাড়িতে করে আসতেই যেন মিডিয়ার ঢল নেমে গেলো। সেখানে মেলিসা আর জোশও এসেছিলো। গ্রিফিন যখন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো তার কিছুক্ষন পরে তার মুখ দিয়ে যেন অটোমেটিক জল বের হতে লাগলো আর এইটা দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো। তার মুখ দিয়ে এতটাই জল বেরিয়েছিল যে সেখানে চারিদিকে জল জল মতো হয়ে গেছিলো। তবে গ্রিফিন সেখানে মারা যায় জল বেরোনো বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে। মেলিসা পরে সেখানে জেককে দেখতে পায় এবং তার আগে সেখানে জেক মেলিসা আর রামিরেজকে দেখে বেরিয়ে যায়। মেলিসা সেখান থেকে অফিসে গেলে রামিরেজ জেককে প্রশ্ন তোলে কিন্তু মেলিসা সেইসব শুনতে চায় না, তারপর রামিরেজ তার গুপ্তচর লাগিয়ে যেসব ছবি তুলেছিল জেক এর সেই ছবিগুলো সামনে দিয়ে বলে এইগুলো কি। দেওয়ার পরে আরো একটু রেগে যায় কারণ তাকে ফ্লো করছে সব বিষয়ে। যাইহোক এদিকে পরে মেলিসা আর জোস্ হসপিটালে যায় পারভীন এর সাথে দেখা করতে।
মেলিসা আর জোশ পারভীন এর কাছে গিয়েছিলো গ্রিফিন এর মৃত্যুর কারণটা জানতে এবং মেডিকেল রিপোর্ট যেটা দেখায় সেটা হলো দীর্ঘক্ষণ জলে ডুবে থাকার কারণে হয়েছে। সব থেকে আশ্চর্য বিষয় হলো ৮২ ঘন্টা কেউ জলে ডুবে থাকার পরে কিভাবে আবার জীবিত হলো যেটা একদমই ইম্পসিবল। আর এখানে পারভীন আরো একটা কথা বলে যে শুধু এই একটা বিষয় না আরো একটা বিষয় আছে এবং সেটি সাধারণত জ্যাক এর সাথে গ্রিফিন ব্লাড নিয়ে কিছু একটা বিষয় বলে যেটা শুনে জোশ এরও হুশ উড়ে যায় আর পারভীন সেখান থেকে চলে যায় কিন্তু নার্ভাস হয়ে। আর মেলিসা সবসময় "স্টপ হিম" শব্দটা শুনতে পাচ্ছে অর্থাৎ তাকে কিছু ক্ষতির হাত থেকে কাউকে আটকাতে বলছে। এইটা শোনার পর সে জেক এর কথা ভাবে যে অনর্থ কিছু একটা ঘটতে চলেছে তাই জেককে খুঁজতে বের হলো। এদিকে জোশ বাড়ি যায় এবং জোশ জেনে ফেলে যে তার মৃত্যু সামনে আসতে যাচ্ছে আর দীর্ঘ ৫ বছর পরে পরিবারের সবাই তাদের ফিরে পেয়ে হারাতেও চাচ্ছে না। জ্যাক ড্রয়িংটা নিয়ে সবার সামনে আসলেও লুকিয়ে রেখেছে। এদিকে রামিরেজ জেক এর পিছু নিতে নিতে এক জায়গায় আসে এবং দেখে জেক উপরে দোতলায় কোনো একটা রুমে গিয়েছে আর রামিরেজও তার পিছু পিছু উপরে চলে যায়।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
সিজন ১ এর শেষ পর্বে কিছুটা ইমোশনাল বিষয় উঠে এসেছে কারণ এই পর্বে দেখা গেলো গ্রিফিন সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে হাটতে হাটতে হঠাৎ করে মারা গেলো। আর গ্রিফিন একজন ক্রিমিনাল এইটা সাধারণ মানুষজনের কাছে স্পষ্ট হলেও মিডিয়ার কাছে এইসব প্রমান নেই কারণ এইরকম এক শ্রেণীর লোকজন থাকে যারা বাইরে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে চলে আর ভিতরে অন্য কিছু নিয়ে চলে এখানে গ্রিফিন এর বিষয়টাও ঠিক তাই। এখানে গ্রিফিন এর মৃত্যুটাও একটা অদ্ভুত টাইপ এর যেন কারণ সে ৮২ ঘন্টা জলের মধ্যে থাকার পরেও কিভাবে যে বেঁচে থাকলো আর মৃত্যুর সময়েও যেন তার মুখ দিয়ে ঝর্ণার জলের মতো অবিরাম পড়তে লাগলো মানুষের বমি হওয়ার মতো কিছুটা। এদিকে জোশের পরিবারে যেন একপ্রকার মৃত্যুর ছায়ার মতো নেমে এসেছে কারণ জ্যাক, জোশ আর মেলিসা তিনজনেরই মাথার উপর মৃত্যুর ডংকা বাজছে। এদিকে সেই রামিরেজ জেক এর পিছন পিছন উপরে চলে যায় আর তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় আর ধস্তাধস্তি শুরুও হয়ে যায়। একপ্রকার বলা যায় রামিরেজ জেককে সহ্য করতে পারতো না মেলিসার সাথে দেখলে ফলে রাগটাও বেশি ছিল আরো। যাইহোক ধস্তাধস্তি করতে করতে পিস্তল বের করে জেক আর রামিরেজকে নিশানা করে। জেক মূলত এই পিস্তলটা কিনেছিলো গ্রিফিনকে মারার জন্য আর ওইদিন ওই পিস্তলই নিয়ে গেছিলো মারার জন্য কিন্তু তার আগেই কেস ডিসমিস। যাইহোক এখন মেলিসাও এদিকে খুঁজতে তার লোকেশন ট্রাক করে সেই জায়গায় যায় এবং দরজা খুলতেই গুলি চলে যায় আর এই গুলিটা মেলিসার গায়ে লাগলো কিনা দেখা আর যায়নি, এটা সিজন ২ তে দেখা যাবে কি ঘটনা হলো সেখানে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৯/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
সিজন-১ এর শেষ পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। আসলে এ পর্বটি পড়ে একটা ইমোশনাল ভাব চলে আসলো। কারণ খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলাম গ্রিফিন আস্তে আস্তে হাঁটতে হাঁটতে মারা গেল। এটি খুবই রহস্যজনক আর আমাদের সমাজে এমন অনেক মুখোশধারী মানুষ রয়েছে। ঠিক তেমনি এই পর্বের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনি খুবই ভালভাবে করেছেন শেষ পর্ব রিভিউ করেছেন। পুরো কাহিনীটা খুবই ভালভাবে বুঝতে পারলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - এস্টিমেটেড টাইম অফ ডিপার্চার( ষোড়শ পর্ব -সিজন ১)এখানে দেখা যাচ্ছে জোশের পরিবারে একেবারে মৃত্যুর মতো হাহাকার হয়ে গেছে । কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি জোশ ,জ্যাক আর মেরিসা তিনজনের মাথার উপর যেন মৃত্যুর ঘন্টা বাজছে। দাদা এখানে গ্রিফিনের মৃত্যুর ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই রহস্যজনক লেগেছে।পানিতে ডুবে থাকার পরেও বেঁচে ছিল। যাইহোক সম্পূর্ণ কাহিনীটি পড়ে বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।
গ্রিফিন সত্যি একজন মুখোশধারী মানুষ। হয়তো জনসাধারণের কাছে তার মুখোশ খুলে গেছে। কিন্তু অনেক প্রমান এখনো সবার সামনে আসেনি। তবে তার মৃত্যুর কথা জেনে অনেকটা বিস্ময় হলাম। তার মৃত্যু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। যেহেতু তার মুখ থেকে বমির মতো পানি পড়ছে তাই এই ব্যাপারটি সত্যি বিস্ময়কর। এছাড়া মেলিসার গায়ে গুলি লাগলো কিনা বুঝতে পারছি না। হয়তো পরবর্তী পর্বে এই বিষয়টি একেবারে সামনে আসবে। দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজ রিভিউ এর পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
জ্যাকের আবার নতুন সমস্যা শুরু হয়েছে। আগে তো ভাঙচুর করত না। এদিকে গ্রিফিনকে কেন ছেড়ে দিলো? আবার জেক, মেলিসা , পারভীন, জোশ সবার মনেই একটি কথাই আসে। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেলো। জেক আবার মেলিসার কাছ থেকে কি লুকালো? জ্যাক যা দেখে তা তো সত্যি হয়। তাহলে কি এরা সবাই মারা যাচ্ছে।
গ্রিফিনের মুখ দিয়ে এত পানি কোথা থেকে আসলো। সেদিন পানির নিচে কতসময় থাকতেও কিছু হল না। আজকে এমনি এমনি মারা গেল। কোথায় শেষ হল কাহিনী? মেলিসা কি বেঁচে যাবে। এত রহস্যময় সিরিজ দাদা একবারে না দেখে কিভাবে আছেন?
এখন তো আবার দ্বিতীয় সিরিজের অপেক্ষা।
জেক মেলিসার কাছে লুকিয়েছিল পিস্তল, যেটা ও লুকিয়ে কারো কাছ থেকে কিনেছিলো। আর এই বিষয়টা রামিরেজ তার গুপ্তচর দিয়ে ছবি তুলে রেখেছিলো কেনার সময়। এই পিস্তলটা কিনেছিলো গ্রিফিনকে মেরে মেলিসাকে তার বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য।
একবারে দেখলে তো মজাটাই হারিয়ে ফেলবো। আর একবারে সব দেখার সময়ও নেই। মাঝে মাঝে দেখি আর আপনাদের সাথে শেয়ার করি এই আর কি। রহস্যময় সিরিজ এর গল্পগুলো আসলে বেশ মজার।
একদম সত্যি কথা বলি,, পুরো লেখাটা একবার চুপ করে পড়লাম,, তারপর দেখি মাথা ঘুরে উঠলো। আরো একবার পড়লাম। কার সাথে কি হচ্ছে আসলে! এত এত ঘটনা এক সিরিজে! মাথা নষ্ট পুরা। তবে গ্রিফিন চরিত্র টা আমার বেশ মজার লেগেছে। অদ্ভূত সব কান্ড ঘটেছে ওর সাথে। আবার জোশের জন্য বেশ ইমোশনাল লাগছিল, এতদিন পর পরিবারকে পেয়েও মৃত্যু ভয় পিছু তাড়া করে মারছে। আবার মেসিলার কি হবে শেষমেশ! বাপরে বাপ ড্রামার ওপর ড্রামা। তবে এমন সিরিজ গুলো শুধু রিভিউ পড়ে পুরোপুরি বোঝা একদম অসম্ভব বলে আমার কাছে মনে হয়। একটা ধরতে গিয়ে আরেকটা মাথা থেকে আউট হয়ে যায় 😉
যাক অবশেষে সিজন এক শেষ হলো। দাদা আপনি সত্যিই পারেন, এতো গোলমেলে একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ করাটা সহজ নয়।
গ্রিফিনের মতো লোকদের অবস্থা সত্যি এরকমই হয়, এরা অধিকাংশ সময় অপমৃত্যুর শিকার হয়। তবে পানির নিচে ৮২ ঘন্টা বেঁচে থাকা এটা সত্যিই বেশ অস্বাভাবিক ব্যাপার যা দেখিয়েছে এখানে। এদিকে জোশ আর মেলিসার পরিবারের উপ বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। শেষ দৃশ্যে মেলিসার গায়ে গুলি লাগলো কিনা বোঝা গেল না।
দেখা যাক দ্বিতীয় সিজনে কি ঘটে, অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল 🥀
টিভি সিরিজ, ম্যানিফেস্ট:-এস্টিমেটেড টাইম অফ ডিপার্চার এর রিভিউটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। প্রিয় দাদা, গ্রিফিন এর চরিত্রটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল কিন্তু তার মৃত্যুর কথাটা জেনে সত্যি আমি অবাক হয়ে গেলাম। যাই হোক প্রিয় দাদা পরবর্তী পর্বের রিভিউ এর অপেক্ষায় রইলাম।
সিজন ১ পরে বুঝতে পারলাম কিছু ঘটনার সমাপ্তি হয়েছে আবার কিছু ঘটনার রহস্য রয়ে গিয়েছে যা আমরা সিজন ২ এ দেখতে পাবো। গ্রিফিনের সাথে যা হয়েছে হয়তো ঠিকই হয়েছে কিন্তু কেমন জানি তার মৃত্যুটা খুবই রহস্যজনক মনে হচ্ছে । গ্রিফিনের সাথে বাস্তবে কিছু মুখোশ পড়া মানুষের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের এই সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা উপরে একদম ভালো দেখায় কিন্তু ভিতরে তাদের মতো খারাপ আর কেউ নেই । আবার দেখতে পাচ্ছি তার মুখ থেকে বমির মতো পানি পড়ছে তাই এই ব্যাপারটি আমার কাছে অস্বাভাবিক লাগছে। রামিরেজ মেলিসাকে পছন্দ করে বলেই জেকের উপর তার এত রাগ। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গুলিটা কি আদো মেলিসার গায়ে লেগেছে কিনা বুঝতে পারলাম না। এ কোন রহস্যের মধ্যে গিয়ে থেমে গেলেন দাদা।
গ্রিফিন যেহেতু তাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে একটা চিন্তা ধরিয়ে দিয়েছে সেইকারনে জ্যাকের মানসিক অবস্থা এখন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। গ্রিফিন ৮২ ঘন্টা জলের মধ্যে থাকার পরেও বেঁচে থাকলো তারপর হঠাৎ মুখ দিয়ে অটোমেটিক জল বের হতে লাগলো এবং মারা গেল এটি আমার কাছে রহস্য লেগেছে। কারন এত জল কি তাহলে গ্রিফিনের শরীরে জমাট বেঁধে ছিল দাদা? সবমিলিয়ে মেলিসা ও তার পরিবার বেশ বিপদের মধ্যে রয়েছে।মেলিসা বেঁচে আছে কিনা দ্বিতীয় সিরিজের অপেক্ষায় রইলাম, ধন্যবাদ দাদা।