টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - হার্ড ল্যান্ডিং( পঞ্চদশ পর্ব -সিজন ১)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে টিভি সিরিজ ম্যানিফেস্ট এর প্রথম সিজনের পঞ্চদশ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পঞ্চদশ পর্বের নাম হলো "হার্ড ল্যান্ডিং"। গত পর্বে লাস্ট দেখা গিয়েছিলো পারভীনকে একটা মহিলা আটকে রেখেছিলো এবং পরে তাকে সবাই ছাড়িয়ে নেয় আর আজকের এই পর্বে কি কাহিনী উদ্ঘাটন হয় দেখা যাক।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
হার্ড ল্যান্ডিং
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( পঞ্চদশ পর্ব -সিজন ১ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


☬মূল কাহিনী:☬


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এই পর্বে কাহিনীটা সেখান থেকেই শুরু হয় যেখানে এক্সিডেন্ট হয় গাড়িটার আর জলের থেকে তুলে নিয়ে আসার পর মেলিসার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই লোকটার নাম গ্রিফিন ছিল। একটু পিছনের দিকে যদি দেখা যায় এই লোকটার এক্সিডেন্ট কাহিনীটা কিভাবে ঘটলো তাহলে একটু বোঝা যাবে বিষয়টা। এই লোকটা ছোটোখাটো ডাকু সদস্যেরই একজন ছিল এককোথায় বলতে গেলে। কিছু ইলেক্ট্রিশিয়ান এর লোক তাদের গাড়ি নিয়ে একটা রোডের উপরে কিছু ঠিক করছিলো আর তখন এই গ্রিফিড আর তার আরো দুইজন সাথী ব্যাগে করে কিছু নিয়ে গাড়ির কাছে আসে আর চালাকির সাথে ইলেট্রিশিয়ানদের বেহুশ করে দেয় আর গ্রিফিন তার অন্য দুই সাথীকেও গুলি করে দেয়। এরপর গ্রিফিন সেই গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় আর ওই সময়েই গাড়িটা এক্সিডেন্ট হয়ে উল্টে জলে গিয়ে পড়ে। আর জলের ভিতরে ছিলও অনেকদিন কিন্তু সিট বেল্ট পড়া ছিল ফলে লোকটার তেমন বেশি কিছু ক্ষতি হয়নি, কিন্তু অনেকক্ষন জলে থাকার কারণে তার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিলো। মেলিসার উপর লাফিয়ে পড়তে গিয়ে আবার বেহুশ হয়ে যায় এবং তখন লোকটাকে পুলিশের লোকজন হসপিটালে এডমিট করে দেয়। এরপর হসপিটালে রামিরেজ আর পারভীনও চলে আসে। পরে মেলিসা জোশকে ফোন করে বাড়ির থেকে ডেকে আনে হসপিটালে আর জেক এর সাথে রামিরেজ এর পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে গ্রিফিন লোকটা মেলিসাকে দেখে কেমন যেন একটা অদ্ভুত আচরণ করতে লাগে, লোকটির হুশ ফিরে আসতে আসতে আবার কিছুক্ষনের মধ্যে বেহুশ হয়ে যাচ্ছে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জেক মেলিসাকে পরে জ্যাক এর আঁকা চিত্রটি দেখালে ভাবে যে নেকড়ের ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়টা কি এই গ্রিফিন লোকটার মাধ্যমে বোঝাচ্ছে !? এটা জাস্ট তার ভাবনায় এসেছে কিন্তু এখনো সিউর না এই চিত্রের মূল রহস্য। যাইহোক এরপর গ্রিফিন মোটামুটি সুস্থ হয়ে গেলে মেলিসা তার কাছে যায় এবং অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে যেমন এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো আর তার সাথে মেলিসা তার কাছে নিজের পরিচয় দেয় আর ফ্লাইট ৮২৮ এর কথা তোলে কারণ মেলিসারও একটু সন্দেহ যে এই লোকটিও ফ্লাইট ৮২৮ এর যাত্রী, এটা পরে জোশ খোঁজখবর নেওয়ার পরে জানা যায় ক্লিয়ারলি। জোশ এই গ্রিফিন লোকটার ব্যাপারে যখন তার ল্যাপটপে সার্চ করছিলো তখন একটা লোকের ভিডিও পায় যে লোকটা ক্রস চিহ্ন দিচ্ছিলো আগে এবং এই লোকটা ভিডিওতে বলে যে ফ্লাইট ৮২৮ এর প্যাসেঞ্জাররা খুবই বিপদজনক তার প্রমান হলো এই গ্রিফিন আর জোশ যে তাকে একদিন গিয়ে অপমান করেছিল সেটাও পাবলিক করে দেয়। এরপর বিষয়টা মেলিসাকে সব ফোনে বলে দেয়। গ্রিফিন লোকটাকে পরে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে জেলে নিয়ে যায় আর সেখানে তাকে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করে। আর মেলিসার সাথে সে বোমবিং হওয়ার কথা বলে কিন্তু কোথায় জিজ্ঞাসা করলে বলে না। আর এই গ্রিফিন এর আগেও অনেকবার বিভিন্ন কেসে এরেস্ট হয়েছে আর এই নিয়ে মেলিসা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক কিছু।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

গ্রিফিন লোকটা মেলিসার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় না এবং টোটালি দিতেও চায় না। এরপর জেককে দেখা যায় একটা বাড়ির সামনে গিয়ে বন্ধ দরজা কোনো পিন এর সাহায্যে খুলতে চায় কিন্তু তখনি পুলিশের গাড়ি চলে আসে আর তাকে এরেস্ট করে নিয়ে যায়, জেককে এমনিই ধরে নিয়ে যেতে বলেছিলো রামিরেজ। জেক এর সাথে কথা বলার পরে রামিরেজ এর মনে হয়েছে যে সে কিছু বিষয় লুকিয়েছে। জেক মেলিসার এদিকে ভালো বন্ধুও হয়ে গেছে তাই মেলিসারও একটু খারাপ লেগেছে তাকে ধরে আনায়, কিন্তু রামিরেজ তাকে ধরে নিয়ে এসেছে যাতে মেলিসার কোনো ক্ষতি না করতে পারে। মেলিসাও রামিরেজকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে গ্রিফিন আর জেক একই না। মেলিসা পরে আবারো গ্রিফিন এর কাছে চলে যায় তার রিপোর্ট এর ফাইল নিয়ে, কিন্তু গ্রিফিনকে মেলিসা অনেকরকম বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু শুনতেই চায় না। জোশ, এথেনা সবাই গ্রিফিন এর বিষয়ে জানার চেষ্টা করতে লাগে এবং তারা দুইজন গ্রিফিন এর বিষয়ে কিছু ইনফরমেশন পায় আর সেখানে গিয়ে একটা মহিলাকে গ্রিফিন এর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে কিন্তু মহিলাটি তখন নানান তালবাহানা দেখিয়ে বিষয়টা এভোইড করতে চায় কিন্তু পরে এথেনা যখন বলে যে গ্রিফিন আমার ফ্যামিলিকে থ্রেড করেছে তখন মহিলাটি গ্রিফিন এর বিষয়ে বলতে চায় আর বলে যে গ্রিফিন খুবই ভয়াবহ আর আতঙ্কজনক লোক,এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে তাকে বলে।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

এথেনা মহিলাটির কাছ থেকে মোটামুটি অনেক কিছু ইনফরমেশন নিয়ে বাড়ির দিকে আসে আর জোশ পারভীন এর সাথে দেখা করতে যায় কিন্তু পারভীন অনেকটা ভয়ভীতি হয়ে বসে থাকে তার চেম্বারে। এরপর মেলিসা জেককে জল খেতে দেয় জেলের ভিতরে আর তাকে রিলিজ করে দেয় আর রামিরেজ এইটা নিয়ে একটু হতাশ হয়, কিন্তু মেলিসা বলে জেক এর উপর আমার ভরসা আছে তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। জেক যে জলের গ্লাসটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলো সেই গ্লাসটা রামিরেজ তুলে নিয়ে ফরেনসিক রিপোর্ট করতে পাঠিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অনেকবার বলার পরে গ্রিফিন সবকিছু বলে দেয় আর বোমটা কোথায় লাগানো আছে সেটাও বলে দেয়। পরে রামিরেজ আর মেলিসা পুলিশ বাহিনী আর বোম ডিটেক্টরদের নিয়ে যায় বোম রিফিউজ করতে আর জায়গাটাও বেশ জনবহুল ছিল অর্থাৎ যেসব জায়গায় প্রতিদিন লোকজন ভিড় করে ঠিক সেই জায়গাটায় বোম লাগিয়েছিল আর তারা বোম রিফিউজ করেও ফেলে সময়ের মধ্যে।


☬ব্যক্তিগত মতামত:☬

এখানে আসলে যে নেকড়ের বিষয়টা চিত্রের মাধ্যমে মেলিসাকে নিয়ে জ্যাক তুলে ধরেছিলো সেটা মূলত এই গ্রিফিন লোকটার দিকে নির্দেশ করেছিল। আর এই গ্রিফিন লোকটাও ফ্লাইট ৮২৮ এর যাত্রী হলেও এ আগে থেকেই একটা সন্ত্রাসী মতো ছিল অর্থাৎ কিলার ম্যান যাকে বলে, টাকা নিয়ে নিয়ে পেশাদার খুনিদের মতো খুন করে , লুটপাট এইসব করে। ওই সময়েও এই গ্রিফিন গাড়িতে করে $৭৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছিলো আর সাথে ব্যাংকের দুইজন গার্ডকে মেরেও দেয়। গ্রিফিন তার দুইজন সঙ্গীর সাথে একটা ব্যাঙ্ক লুট করে পালাচ্ছিল। আর লোকটা বিপদজনক তো বটেই আর জোশ এর ফ্যামিলির উপর তার নজর পড়েছে ফলে তাদের থ্রেডও দেয়। আর জেক যে একটা বন্ধ বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করছিলো ওটা আসলে তার নিজেরই বাড়ি অর্থাৎ সে তার মায়ের সাথে দেখা করতে গেছিলো কিন্তু দেখা করতে পারিনি পুলিশ ধরে নিয়ে আসায় তাই মেলিসা তাকে জেল থেকে রিলিজ করে আবারো তার মায়ের সাথে দেখা করতে বলে। পারভীন সেই ঘটনার পরে এখনো সে ডিপ্রেশনে ভুগছে, যেনো সে একটা আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মুহূর্ত। বার বার কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে আগের সেই ঘটনা তার সামনে ভেসে উঠছে, তবে আস্তে আস্তে নিজেকে আবার এই ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে।


☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৪/১০


☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

জ্যাক মেলিসা ও একটি নেকড়ের ছবি এঁকেছিল। এর মাধ্যমে ভয়ংকর কিছু ইঙ্গিত করেছিল। এবার সেই ভয়ংকর লোকটি সামনে আসলো। জ্যাকের অংকন চিত্রের মাধ্যমে হয়তো গ্রিফিনকে ইঙ্গিত করেছিল। গ্রিফিন ও নেকড়ের মাঝে মিল রেখেছিল। গ্রিফিন মেলিসাকে আক্রমণ করেছিল। আর অন্যদিকে জ্যাকের অঙ্কন চিত্রটিতেও সেই দৃশ্যই দেখা গেছে। গ্রিফিন একজন ভয়ংকর লোক। সে তার সঙ্গীদেরকেও মেরে ফেলেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম দাদা। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️

 2 years ago 

দাদা, গ্রিফিন লোকটা অনেক দিন পর্যন্ত জলের তলায় ছিল তো ক্ষুধা পায়নি,না খেয়ে কিভাবে বেঁচেছিল?প্রত্যেকটি পর্বে নতুন নতুন লোকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।আর গল্পটি ও এক বিপরীতমুখী রূপ নিচ্ছে, যাইহোক এই পর্বে একটি বিষয় জেনে ভালো লাগছে যে জেক এর ও কেউ আছে,তবে দেখা করতে পারলো না বলে খারাপ লাগছে। আমার মনে হয় গ্রিফিন লোকটা নেকড়ের পোশাক পরে ব্যাংক লুট করে এবং মানুষকে খুন করে ও দেয়।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

দাদা, গ্রিফিন লোকটা অনেক দিন পর্যন্ত জলের তলায় ছিল তো ক্ষুধা পায়নি,না খেয়ে কিভাবে বেঁচেছিল?

বেঁহুশ অবস্থায় ছিল। এর প্রতিটা পর্ব রহস্যে ঘেরা অর্থাৎ সম্পূর্ণ সিরিজটাই রহস্যময়,এক এক সময় এক এক রকম রহস্যের উন্মোচন ঘটছে।

 2 years ago 

হ্যাঁ দাদা,এইজন্য ঘুলিয়ে যাচ্ছে।

 2 years ago 

আজকের পর্বটি আপনি খুব সুন্দরভাবেই রিভিউ করেছেন। আজকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে তারা পেশাদার খুনির মতো হয়েছে এবং তারা খুন করে এবং লুটপাট করে। ব্যাংকে থেকে তারা অনেক ডলার লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল।ব্যাংকের দুজন গার্ডাে মেরে দেয়। আর এইদিকে পারভিন ডিপ্রেশন এর মধ্যে আছে। বার বার সেই ঘনটা সামনের ভেসে আসে।ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছে। এখন দেখা যাবে আগামী পর্বে কি হয়। ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে পারি কিনা। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

দাদা আজকে আবার নতুন একটি পর্ব নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন ।এখানে লোকটা ফ্লাইট ৮২৮ এর যাত্রী হলেও আগে থেকেই কিন্তু সন্ত্রাসীর মতোই ছিল ।যাকে বলে আর কি সন্ত্রাসী। সত্যিকারের কিলাররা যেমন টাকা পয়সা নিয়ে লুটপাট করে ,খুন করে হত্যা করে এমনটাই দেখা যাচ্ছে এখানে। এদিকে দেখা যাচ্ছে পারভিন সেই ঘটনার পরে এখনো ডিপ্রেশনে ভুগছে ।পরবর্তী পর্বে বুঝা যাবে কি ঘটতে যাচ্ছে।

 2 years ago 

জেক মেলিসাকে যে নেকড়ের চিত্র এঁকে দিয়েছিলো তা দ্বারা এই গ্রিফিন লোকটাকেই মনে হয় বোঝাচ্ছিলো। গ্রিফিনও নেকড়ের মতোই মেলিসাকে হামলা করতে গিয়েছিলো। এদিকে পুলিশ আবার জেক কে ধরে নিয়ে গেল। গ্রিফিনও ৮২৮ নম্বর ফ্লাইটে ছিল। সে আবার আগে থেকেই টেরোরিস্ট ছিলো। গ্রিফিন তার সাথের সঙ্গীদের মেরে ফেলেছে ব্যাংকের লুটের টাকা পুরোটা নিজে নেয়ার জন্য মনে হয়। জেক তার মায়ের সাথে দেখা করতে পারলো না। আগামী পর্বে প্রথম সিরিজ শেষ হলে কিছু রহস্য সমাধান হতে পারে। দেখা যাক কি হয়।

 2 years ago 

আজকের পঞ্চদশ পর্বের নাম হলো "হার্ড ল্যান্ডিং"।

দেখতে দেখতে আপনার টিভি সিরিজ রিভিউ এর পঞ্চদশ পর্ব চলে আসলো। বোঝাই যাচ্ছে এই টিভি সিরিজটি বেশ লম্বা। মনে হয় আরো বেশ কিছু পর্ব বাকি আছে। গত পর্বটিতে একটি নেকড়ের চিত্র সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। এই পর্বে আরো কিছু ধারনা পেলাম। গ্রিফিন লোকটি খুবই ভয়ঙ্কর এটা বোঝাই যাচ্ছে। তাই তো এই ভয়ঙ্কর লোকটিকে নেকড়ের প্রতিচ্ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই লোকটি ব্যাংক ডাকাতি করেছে এবং লুট করেছে। এতে বোঝাই যাচ্ছে লোকটি বেশ ভয়ঙ্কর। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। এই অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

ভাইয়া তারাতারি বড় লোক হওয়ার জন্য গ্রিফিন থেকে আইডিয়া নিতে হবে বা তাকে অনুসরন করতে হবে। সৎ ভাবে টাকা পয়সার মালিক হতে হতে জীবন শেষ হয়ে যাবে।একটু ভিন্ন ধরনের চিন্তা করলাম হা হা হা...। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - হার্ড ল্যান্ডিং এর রহস্যজনক রিভিউ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। দাদা আমার কাছে সবচাইতে বেশি রহস্যজনক মনে হয়েছে যে,গ্রিফিন লোকটা অনেক পানির তলায় কিভাবে জীবিত ছিল। আর তার জীবিত থাকার বিষয়টি আমার কাছে খুবই রহস্যজনক মনে হচ্ছে। অসাধারণ একটি টিভি সিরিজ এর রিভিউ শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

জ্যাকের আসলেই অনেক বুদ্ধি আছে তা মানতে হবে। গত পর্বে আপনি বলেছিলেন জ্যাক যে নেকড়ের ছবি এঁকেছে তা অনেকটা মানুষের মতো আর আজকের পর্বে তা একদম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এই পর্বে আবার গ্রিফিন নামের আরও একজনকে খুঁজে পাওয়া গেলে। সেও নাকি ৮২৮ নম্বর ফ্লাইটে ছিল। গ্রিফিন সম্পর্কে জানতে পারলাম সে নাকি আগে থেকেই টেরোরিস্ট ছিল। এই লোকটি অনেক খারাপ তা ওর কিছু ঘটনা দেখে বুঝতে পারলাম। ব্যাংক চুরির সব টাকা নিজের করার জন্য তার সব সঙ্গীদের মেরে ফেলে। খুব খারাপ লাগছে জ্যাক তার মায়ের সাথে আর দেখা করতে পারলো না।তার আগেই পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আগামী পর্বের সিরিজে কিছু রহস্যের সমাধান হতে পারে। অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

জ্যাক মূলত নেকড়ে আর মেলিসার ছবিটি এঁকেছিল তা মূলত গ্রিফিন লোকটাকে ঘিরে। মানে গ্রিফিন মেলিসার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গ্রিফিন লোকটা বেশ মারাত্মক, টাকার জন্য খুন পর্যন্ত করেছে। আবার ডাকাতি করে পালাচ্ছিল কি সাংঘাতিক। এদিকে জশের পরিবারের উপর নজর রাখার পাশাপাশি থ্রেড ও দিয়েছে।

এদিকে পারভীন ডিপ্রেশনে চলে গেছে তবে সবকিছু সামলিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।
বেশ রহস্যময় প্রতিটি পর্ব, মাঝে মাঝেই গোলক ধাঁধায় পড়ে যাচ্ছি। দেখা যাক সামনের পর্বে কি ঘটে।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59325.16
ETH 2609.11
USDT 1.00
SBD 2.41