বাংলা মুভি রিভিউ: সুন্দর বউ

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটি একটি পারিবারিক মুভি। আমি কয়েক দিন আগে একটা পারিবারিক মুভি রিভিউ দিয়েছিলাম, আর আজকেও অন্য একটি পারিবারিক মুভি নিয়ে আলোচনা করবো। আজকে আমি সুন্দর বউ মুভির বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। এই মুভিটিও পারিবারিক মুভির মধ্যে একটি অন্যতম মুভি। আশা করি এই মুভিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে


✔কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

মুভির নাম
সুন্দর বউ
পরিচালক & লেখক
সুজিত গুহ
অভিনয়
রঞ্জিত মল্লিক, লিলি চক্রবর্তী, তাপস পাল, দেবশ্রী রায় ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯৯৯ সাল ( ভারত )
ভাষা
বেঙ্গলি
সময়
২ ঘন্টা ১১ মিনিট ৭ সেকেন্ড
মিউজিক ডিরেক্টর
অনুপম দত্ত
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ভারত
প্রোডাকশন কোম্পানি
জয়শ্রী সাহাবাদী


✔মূল কাহিনী:


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

মুভির শুরুতে দেখা যায় তাপস পাল বাজার থেকে ব্যাগ ভর্তি বাজার করে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই হোঁচট খেয়ে নিচে পড়ে যায় এবং দুধের প্যাকেটগুলো নিচে পড়ে ফেটে যায়। তখন তার সৎ মা রুমের থেকে বেরিয়ে গালি দিতে লাগে আর লাঠি দিয়ে মারধর করতে লাগে। এরপর তাপস পালের ছোট বোন বেরিয়ে এসে মারতে মানা করে এবং বলে সামান্য দুধের প্যাকেট ফেটে গেছে বলে বড়দা কে মারছো আর এদিকে পড়ে গিয়ে যে কপাল ফেটে গেছে সেইটা দেখতে পাচ্ছ না!? এরপর তার বাবা বাইরে এসে বলে ওর কপাল তো সেইদিন ফেটেছে যেদিন ওর মা মারা গিয়েছে ( এখানে তাপস পাল কিন্তু কথা বলতে পারে না )। যাইহোক এরপর তার ছোট ছেলে বেরিয়ে এসে বলে লন্ড্রি থেকে কাপড় আনতে বলেছিলাম সেগুলো এনেছে কিনা, তাপস পাল কে বড়ো ভাই হিসেবে মানে না সে এক প্রকার। এরপর তার বোন তাকে বলে বড়দার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা জানিস না? তখন বলে বড়ো ভাই না তো ছাগল তখন উত্তরে বোন বলে এ ছাগল হলে তুই তাহলে পাঠা। যাইহোক এরপর তাপস পাল কে নিয়ে ঘরে যায় এবং ডেটল দিয়ে কাটা জায়গায় ধুয়ে দেয়। তবে এরপর তার জ্বর মতো আসে। এদিকে ছোট ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে বাড়ির লোকজন চলে আসে। এরপর তাদের আশীর্বাদ সম্পূর্ণ করে ফেলে। এদিকে পাত্রী এসে গাড়ির থেকে নামার সময় যখন চটিতে গোবর লেগে গিয়েছিলো তখন সেই চটিটাকে বাড়ির কাজের লোক দিয়ে ধুয়ে আগুনে সেঁকে দিতে বলে আর সেই জন্য তার সৎ মা তাপস পাল কে বলে। কিন্তু তার জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে ফলে তার ছোট বোন বলে আমি করে দিচ্ছি। এরপর সেই চটি নিয়ে আগুনে সেঁক দিতে গিয়ে এক প্রকার পুড়িয়ে ফেলে এবং সেই চটি নিয়ে তাদের সামনে গেলে বলে বাড়িতে একটা পার্মানেন্ট ঝি রাখুন এইসব কাজ করার জন্য। এরপর তার সৎ মা চিন্তা করে আর প্ল্যান করে যে তাপস পাল কে বিয়ে দিয়ে ঘরে বউ আনলে তাকে দিয়ে সারাদিন কাজ করালে আর পয়সা খরচ হবে না। এরপর তাপস পালের ছবি নিয়ে পাত্রীর বাড়িতে যায় এবং সবাই দেখে পছন্দ করে ফেলে, এমনকি পাত্রী দেবশ্রীও একবারে দেখেই পছন্দ করে ফেলে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

তাপস পালের ছোট বোন কলেজ থেকে বাড়ির দিকে তার বন্ধুদের সাথে আসার সময় কিছু বখাটে ছেলে বিরক্ত করে। এরপর তাপস পাল সেখানে আসে এবং তাদের মধ্যে মারপিট হয় আর সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দেয় সেখান থেকে। এরপর বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় এবং তাপস পাল বর সেজে মেয়ের বাড়িতে চলে আসে। এরপর তাকে বরণ করে নিয়ে ভিতরে যায়। এরপর দেবশ্রী লুকিয়ে তাপস পাল কে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় এক প্রকার। এরপর বিয়ের সুন্দর একটা নাচ গান হয়। এরপর তাপস পাল আর দেবশ্রী কে বিয়ের আসরে নিয়ে বসায় কিন্তু সে যে কথা বলতে পারে না সেটা কেউ জানে না। পুরোহিত মন্ত্র পাঠ করতে বলছে কিন্তু বলতে পারছে না ফলে সবাই একটা ধারণা করে নিয়েছে যে সে কথা বলতে পারে না। এরপর মেয়ের বাবা বিয়ে ভেঙে দিতে বলে কিন্তু দেবশ্রী বলে আমি একেই বিয়ে করবো। মেয়ের বাবা এই নিয়ে তাপস পালের বাবা কে অনেক অপমান করে। এরপর তার হয়ে দেবশ্রী মন্ত্রপাঠ করে শেষ পর্যন্ত তাপস পাল কে বিয়ে করে নিলো। এরপর আবারো সুন্দর কণ্ঠে একটি গান আর সেই সাথে নাচ হলো। এরপর বিয়ে করে বাড়িতে আসার পরে তাপস পালের বাবা তার বউমা দেবশ্রীকে ঘরে ডেকে কান্নাকাটি করে ক্ষমা চায় আর বলে যা শাস্তি আমাকে দাও কিন্তু ওকে কোনোদিন কষ্ট দিওনা যেনো। এরপর তাপস পালের সাথে ঘটে যাওয়া সব কথা তাকে বলতে লাগে। ছোট বেলায় তার মায়ের সাথে ছাদে কানামাছি খেলতে গিয়ে যে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যায় আর তাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়ে যাওয়ায় একপ্রকার কঠিন শক পায় মনে আর এতে তার বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। আর সেখান থেকেই কথা বলতে পারে না।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এইসব শোনার পরে দেবশ্রী বললো আপনারা ওকে ডাক্তার দেখাননি? তখন বলে ওর মা কে বিয়ে করার আগে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম কিন্তু বিয়ে করার পরে আর এক টাকাও আমাকে খরচ করতে দেয়নি তার পিছনে অর্থাৎ ওর সৎ মায়ের কথা বলছে এখানে। এরপর বিয়ের সাজে দেবশ্রী বসে থাকে এবং তাপস পালের ছোট বোনটাও তার পাশে বসে থাকে। এরপর তার ছোট ভাইয়ের বউয়ের কাজের মেয়েটি এসে অপমান করে দেবশ্রী কে তখন তাপস পালের ছোট বোনটা ওটাকেও উল্টো করে অপমান করে দেয়। এরপর চোখের জল ফেলতে ফেলতে তাপস পালের ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়ে নালিশ দেয় যে তোমার বোন আমাকে অপমান করেছ, তখন এই কথা শুনে তার বোনটাকে গালি দিতে যায় এবং হাত ধরে বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে দেবশ্রী হাত ধরে বলে ওর হাতটা ছেড়ে দাও না হলে একটা চড় মেরে ঘরের থেকে বাইরে বের করে দেবো। এরপর বলে ঠিক আছে দেখে নেবো, তখন দেবশ্রী উত্তরে বলে ঠিক আছে কাল সকাল থেকে দেখে নিও ভালো করে। এরপর এই ঘটনাটা তার মা আর ও তার বাবার কাছে গিয়ে নালিশ দেয় এবং সেই নালিশ এ তারা কোনো ফল পেলো না বরং উল্টো করে কিছু কথা শুনিয়ে দিলো। এরপর তারা ঘরের মধ্যে আসার পরে তাপস পালকে বলে আমি তোমাকে বিয়ে করে এক ফোটাও কষ্ট পাইনি আর আজ থেকে তোমার সব ব্যাথা, কষ্টের ভার আমি নেবো। এরপর দেবশ্রী তাপস পালকে যা যা জিজ্ঞাসা করে তার সব উত্তর একটা স্লেটে চক দিয়ে লিখে উত্তর দেয়। এরপর আবার কিছুক্ষন তাদের মধ্যে গান চলে স্বপ্নের মধ্যে ।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর সকালে তারা দুইজন কয়লা ভাঙতে বসে এবং তার সৎ মা বেরিয়ে বলে এসব কি করছো। তখন বলে এখন থেকে মেয়েদের কাজ আমরা মেয়েরাই করবো আর ছেলেদের কাজ ও করবে। তখন এই কথা বলার পরে দেবশ্রী তার শ্বশুর মশাইয়ের ঘরে চলে যায় এবং সেখানে তাপস পালের সৎ মা বলে আমার একমাত্র ছেলের জন্য বড়োলোক বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করিয়ে বাড়িতে আনছি আর তার ঝি হিসেবে তোমাকে রাখার জন্য এই বোবা হাদাটার সাথে বিয়ে করিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এরপর দেবশ্রী তার নিজের বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে দেখা করতে যায় এবং ঘটনাগুলো বলতে লাগে কিন্তু তারা শুনেও সেগুলো তুচ্ছতা হিসেবে দেখে আর তার বড়ো বোন ডিভোর্চ এর পেপার এনে বলে এখানে সই করতে। তখন দেবশ্রী বলে এইটা তোর কাছেই রেখে দে, ভবিষ্যতে তোদের কাজে লাগতে পারে। এরপর এই কথা বলে বাড়ির থেকে চলে যায়। এরপর বাড়িতে আসার পরে তারা দুইজন মুড়ি খেতে লাগে এবং সেই মুহূর্তে তার শ্বশুর আর ছোট ননদ এসে পড়ে আর তারা যে সারাদিন আর রাতে কিছু খাইনি সেটা বুঝতে পেরে রান্না ঘরের থেকে খাবার আনতে বলে কিন্তু তারপর তার সৎ মা এসে বলে খাবার নেই। এরপর তার ছোট ননদ তার টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে রেখে তাদের জন্য লুকিয়ে খাবার কিনে আনে বাইরের থেকে। এরপর তার সৎ মায়ের এক আত্মীয় বাড়িতে আসায় তাদের রুমে থাকতে দিয়ে ওদের সিঁড়ির নিচে ঘুমোতে বলে। এরপর বাড়িতে আসা সেই লোকটি রাতে কুনজর দেয় এবং তার জন্য তাপস পাল থেকে চরমভাবে মারে।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

সারা রাত সিঁড়ির নিচে থাকার কারণে জ্বর চলে আসে তাপস পালের তখন তার শ্বশুর মশাইয়ের সাথে কথা বলে ডাক্তারের সাথে দেখা করে এবং ডাক্তার বলে এই জ্বর সেরে যাবে কিন্তু ব্লাড পেসার অনেক কমে গেছে। তখন ডাক্তার বলে এখন থেকে প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খাওয়াতে হবে। এরপর বাড়িতে তারা চলে আসে এবং বাড়িতে যারা বেড়াতে এসেছিলো তাদের ছোট মেয়েকে দুধ দিতে এসে তার সৎ শ্বাশুড়ীকে বলে আপনার বড়ো ছেলেকে এক গ্লাস দুধ দেবো!? তখন তার কোথায় কোনো পাত্তা দেয় না বরং সেই ছোট মেয়েকে তার মা বলে গ্লাস থেকে একটু দুধ ফেলে দে কারণ দুধে তোর বৌদির নজর লেগেছে। তখন মেয়েটি দুধ এর গ্লাস নিয়ে গিয়ে জানালা থেকে সব দুধ ফেলে দেয় এবং বলে একটু দুধ ফেললে একটু নজর কাটবে তাই পুরোটা ফেলে দিলাম যাতে পুরো নজরটা কাটে। এরপর রাতে মেয়েটি খেতে বসে এবং তার মা সেখান থেকে উঠে গেলে মেয়েটি তার দাদা তাপস পাল কে সেই দুধ নিয়ে গিয়ে খেতে দেয় এবং তার বাবা দেখে ফেললে মিথ্যা অপবাদ দেয় যে একটা ছোট বাচ্চার দুধ কেড়ে নিয়ে চুরি করে দুধ খাচ্ছে। এরপর তাকে মারধর করে অসুস্থ শরীরে। এরপর দেবশ্রী গিয়ে তাকে সেখান থেকে বাঁচিয়ে এনে ঠাকুরঘরে নিয়ে যায় এবং ঠাকুরের সামনে গান গাইতে থাকে । এরপর রঞ্জিত মল্লিক ট্রেন থেকে নামে এবং সেখানে একজন কুলি খোঁজে রিক্সা স্ট্যান্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর তাপস পাল সেখানে বসে ছিল আর রঞ্জিত মল্লিক কে দেখে বুঝতে পারে সে একজন কুলি খুঁজছে তাই সে তার ব্যাগটি মাথায় করে নিয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড পর্যন্ত নিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে এসে শোনার পরে শোনে যে সে বোবা ছেলেটাকে বিয়ে করেছে আর এই কথা শুনে বলে এমন একজনকে বিয়ে করলো কেন। তখন বাড়িতে ওর ছবি দেখালে চিনতে পারে এবং তার বাড়িতে যায়। এরপর তার সৎ মা বেরিয়ে এসে বলে কোন লাশ সাহেব এলেন যে তার কাছে সব জমা খরচ দেওয়া লাগছে। তখন রঞ্জিত মল্লিক বলে আপনি তো একে বোবা ছেলে বলে ঠকিয়েছেন কিন্তু আমার দিদি তো আপনাকে আরো বেশি ঠকিয়েছে। তারপর রঞ্জিত মল্লিক বলে বিয়ের সময় গহনা গুলো ঠিকমতো দেখে নিয়েছিলেন তো? তখন তাপসের সৎ মা বলে না বড়ো বউমা পড়ে এসেছিলো এইজন্য আর দেখিনি। তখন রঞ্জিত মল্লিক চালাকি করে বলে তা আপনি হাতে নিয়ে বুঝতে পারেননি যে এটা আসল গহনা না, এটা নকল গহনা। তখন সব গহনা বাইরে নিয়ে আসতে বলে এবং তার ভাগ্নি কে বলে কোনো কথা না, শুধু দেখে যা।


ছবি: ইউটিউব থেকে স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে

এরপর বাইরে আনার পরে সবাই চালাকি করে বলে হ্যা তাইতো এগুলোতো সব নকল গহনা। এরপর রঞ্জিত মল্লিক বলে আমি একটা ব্যবস্থা করতে পারি এই গহনার পরিবর্তে নতুন গহনা দিতে কিন্তু আপনি বড়ো ছেলে আর তার বউকে সিঁড়ির নিচে রাখেন এইটা শোনার পরে দিদি মনে হয় আপনাকে আর দেবে না। তখন বলে না না আমি এখনই আমার ভাইদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছি অর্থাৎ যারা বেড়াতে এসেছিলো তাদের কথা। তখন তাদের কাছে গিয়ে বলে তোরা আজকের থেকে আমার ছোট ছেলের ঘরে গিয়ে থাকবি। এরপর গহনাগুলো নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরে বলে আজকে গহনা এনেছি কালকে ওই ত্রিশ হাজার টাকাও আনবো, ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখিনি । এরপর তাপস পালের ছোট বোন কলেজের কাছে ফুসকা খেতে লাগে এবং সেই সময় সেই বখাটে ছেলেগুলো গাড়িতে করে এসে আবার উত্তপ্ত করে। এরপর সেখানে রঞ্জিত মল্লিক এসে সব কয়টাকে পেঁদিয়ে হাড্ডি ভেঙে দেয়। এরপর সেই বখাটেদের প্রধান কে দিয়ে মিথ্যা মিথ্যা মেয়েটিকে কিডনাফ করে এবং বাড়িতে ফোন করে সেই ত্রিশ হাজার দাবি করে। এরপর ভারী একটা ঝামেলায় পড়ে গেছে টাকা মোটেও দিতে মন সায় দিচ্ছে না। এরপর শেষ পর্যন্ত টাকাটা বের করে দিলো। এরপর সেই টাকা নিয়ে সেখানে যায় আর বলে এই টাকা দিয়ে তাপস পালের চিকিৎসা হবে। এরপর রঞ্জিত মল্লিক একজন বড়ো ডাক্তারের সাথে দেখা করে এবং সব বিষয় বলে। এরপর ডাক্তারবাবু বলে ঠিক আছে দেখে দেবো একদিন নিয়ে এসো। এরপর তাদের সৎ মা আবার বলতে লাগে যে এতদিন হয়ে গেলো কিন্তু গহনাগুলো আর ফেরত দিলো না তো, তখন তার ছোট মেয়েটি বলে ওই আশা বাদ দাও কারণ তুমি যেমন ওদের ঠকিয়ে টাকা আর গহনা নিয়েছিলে তেমনি তোমাকে ঠকিয়ে সেগুলো তারা নিয়েছে। এরপর তার ছোট ছেলের বিয়ে শুরু হলো এবং বড়ো বউমা কে ছোটো বউয়ের ঝি হিসেবে রেখে দেওয়ার জন্য বলে। তখন ছোট বউ বলে যে ও আমার বড়ো ফলে ও কেন আমার ঝি হতে যাবে। এরপর সৎ শ্বাশুড়ি বলে ওর স্বামী এক টাকাও কাজ করে না তাই ওকে ঝি হিসেবে রেখেছি তোমার জন্য উত্তরে ছোট বউ বলে আপনার নিয়ম অনুযায়ী যদি তাই হয় তাহলে আপনার স্বামীও এক টাকাও আয় করে না ফলে আপনাকেও তো আমার ঝি নম্বর ২ হতে হয়। এরপর রঞ্জিত মল্লিক এসে তাদের মুখের উপরে আচ্ছা করে কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। এরপর রঞ্জিত মল্লিক তাপস পাল কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায় এবং ডাক্তার দেখার পরে বললো সবকিছু নরমালি আছে দেখছি। এরপর বলে ঔষধ বা চিকিৎসা করে হবে না। ওকে কথা বলাতে হবে কারণ ওর মা ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পরে ভীষণ ভয় পেয়েছিলো। ঠিক সেইরকম ভাবে ঐরকম একটা কিছু করতে হবে। এরপর তাপস পাল কে নিয়ে দেবশ্রী ছাদে চলে যায় এবং সেখানে চোখ বেঁধে কানামাছি খেলতে চায় কিন্তু ওই ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলে আর খেলতে চায় না শেষ পর্যন্ত। তখন অন্য প্ল্যান বের করলো তারা, তারা চলন্ত ট্রেনের সাহায্য নিলো। এখানে দেবশ্রীকে দূরে ট্রেন লাইনের উপর দিয়ে হেটে যেতে বলে এবং পিছন দিক থেকে ট্রেন চলে আসে, তখন ট্রেনের পিছন পিছন তাপস পাল দৌড়াতে লাগে এবং মুখ দিয়ে দেবশ্রীকে ডাকার চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত সে কোথাও বলতে পারলো এবং প্ল্যানটা সফল হলো তাদের। এরপর তাদের বাড়িতে রঞ্জিত মল্লিক গিয়ে তাদের সৎ মা কে বলে আপনি যে আমার ভাগ্নির সাথে আপনার ছেলের বিয়ে দিয়ে জীবন নষ্ট করেছেন তার জন্য আপনাকে কি করতে পারি, আপনার ছেলের প্রতি কোনো সহানুভূতি ছিল না যার জন্য আপনি লোভের কারণে এগুলো করেছেন। এরপর তাপস পালের দাদু কে খুঁজে বের করে বাড়িতে আনে এবং তার সমস্ত সম্পত্তি তাকে বুঝিয়ে দিতে বলে।


✔শিক্ষা:

এখানে লোভ একটা মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে সেটা না দেখলে বোঝা যায় না। লোভ মানুষের বিবেক মনুষত্বকে গিলে ফেলে আর নানা কুকর্ম করতে বাধ্য করে। এখানে সৎ মা হিসেবে বড়ো ছেলের সাথে আর তার বউয়ের সেটাই করেছে। কিন্তু শেষে তাপস পাল তাকে সৎ মা হিসেবে ফেলে দেইনি, বরং বুকে টেনে নিয়েছিল শেষে ।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

আমার মতে এই মুভিটি অনেক সুন্দর লেগেছে। এই মুভিটি পারিবারিক মুভি হিসেবে একদম অসাধারণ । এই মুভিটা না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আপনারা এই মুভিটি অবশ্যই দেখবেন, অনেক ভালো একটা পারিবারিক মুভি।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৮/ ১০


মুভির লিংক

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

______

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

একটি খুব ভাল পারিবারিক চলচ্চিত্র, এবং চলচ্চিত্রের গল্প খুব চলমান, সেখানে একটি সুন্দর দিন কাটুক @winkles

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

আবার ধন্যবাদ, বন্ধু

 3 years ago 

এই মুভিটা অনেক আগেই দেখেছি।এই সকল অভিনেতা শিক্ষা মুলক ছবি করে থাকে। খুব ভালো লাগে তাদের করা মুভি গুলো দেখতে। এতো সুন্দর মুভির রিভিউ আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আগেরকার মুভিগুলো সব শিক্ষণীয়। অঞ্জন চৌধুরী, সুজিত গুহ এনারা এইধরণের মুভিগুলো দারুন ফুটিয়ে তুলেছে। আর এই মুভিগুলো এমনভাবে তৈরি করে রেখেছে যে এতো বছর পরেও মুভির কদর কারো কাছে কমেনি।

 3 years ago 

সুন্দর বউ এই মুভিটা আমি দেখেছি জি সিনেমার অসাধারণ একটি পারিবারিক মুভি। অনেক সুন্দর করে রিভিউ করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার জন্য শুভকামনা রইলো

 3 years ago 

আমি এই মুভিটা বহুবার দেখেছি কিন্তু তারপরও যেন বার বার দেখতে মন চায়। এইসব মুভির একটা অন্যরকম আকর্ষণ আছে। খুবই সুন্দর মুভি এইটা। ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

এই মুভিটা আমি দেখেছি। অনেক সুন্দর সামাজিক একটি মুভি।

বর্তমানের শিক্ষিত মেয়েরা যেভাবে মা বাবার অ'মতে বিয়ে করে। কিন্তু এই ছবিতে নায়িকাও সেটা করে। কিন্তু এর পেছনের কারণ ছিল ছেলেটি অর্থাৎ তাপস পাল বাকপ্রতিবন্ধি। কিন্তু মেয়েটি তাকে অবহেলা না করে বিয়ে করে। এবং আমাদের সমাজের একটি বাস্তব চিএ কোনো ছেলে প্রতিবন্ধি হলে তাকে যে বৈষম্যের শিকার হতে হয় এই ছবিতে সেটা তাপস পালকে দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মুভিটির খুব সুন্দর রিভিউ করেছেন দাদা।

 3 years ago 

হ্যা এই বিষয়গুলো এখানে মুভির চরিত্রগুলোর ভিতর দিয়ে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। আজকালকার সমাজে এই বিষয়গুলো বেশি বেশি দেখা যায়। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে কোনো কিছুর খুঁত দেখলে সেটাকে মারাত্মক অবহেলার চোখে দেখে আর দূরে সরিয়ে দিয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।

 3 years ago 

সত্যিই লোভ খুবই খারাপ জিনিস।আপনি সুন্দরভাবে মুভি রিভিউ করেছেন।এইসব পুরোনো মুভিগুলি দেখতে খুবই ভালো লাগে।এতে শিক্ষনীয় বিষয় ও সামাজিকতা থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

লোভ মানুষকে অনেক খারাপের দিকে নিয়ে যায়। আর এমন এমন কাজ করে যে সে নিজেও বুঝতে পারে না কি করছে। আগেরকার মুভির মতো কোনো মুভি হয় না।

ভাইয়া আপনি আজকে অনেক একটা পুরনো মুভি রিভিউ করেছেন। সুন্দর বউ মুভিটা আমি দেখেছি। অনেক সুন্দর একটি মুভি। ধৈর্য ও কষ্টের সাথে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করে সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করেছেন। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।

 3 years ago 

আমি এখন প্রায় পুরানো মুভিগুলো দেখি।পুরানো মুভির মধ্যে অনেক কিছু শেখার এবং বোঝার আছে। আর তাছাড়া পুরাতন মুভিগুলো দেখার সময় একটা অন্যরকম আকর্ষণীয় ব্যাপারটা চলে আসে। ধন্যবাদ আপনাকেও ।

 3 years ago 

সুন্দর বউ মুভি ছোট বেলায় সিডি তে দেখেছি। রঞ্জিত মল্লিকের এই ধরনের অনেক মুভি আছে, যেমন ছোট,বড় বউ, মেজ বউ সব গুলো মুভির সমাজের পারিবারিক বিষয় গুলো তুলে ধরেছে। এক কথা শিক্ষনীয় মুভি একটি। তবে এই মুভিতে লোভি মনমানসিকতাকে ফুটে তুলেছে সাথে সমাজে অবস্থান কেমন লোভিদের তাও দেখানো হয়েছে।

 3 years ago 

আমিও এইসব মুভি সিডির আমল থেকে দেখতে দেখতে এসেছি। এইসব মুভি শত পুরানো হলেও পুরানো হতে চায় না। এইসব মুভি এখনো চলমান রয়ে গেছে। রঞ্জিত মল্লিকের মুভি মানে অন্যরকম ব্যাপার। এই মুভিতে সমাজের বাস্তবিকতাকে ভালোমতো ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।

 3 years ago 

এক সময় কতবার দেখছে দাদা এই ছবিটা কোন বলার মত না এবং তাপস পাল বোবা থাকায় সবথেকে ভালো মুহূর্ত সে কথা বলতে পারছিল না কিন্তু সে এবং তার স্ত্রী এবং মামা ছিল তারা একটি বুদ্ধি খাটালো ট্রেনের কাছে গেল এবং তার সুন্দরী বউ ট্রেনের রাস্তার ওপর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল এবং তাপস পাল একটু সময় কথা বলে ফেলল খুবই সুন্দর মুহূর্ত এবং আসলে লোভ মানুষকে ধ্বংস করে এবং সে তার সৎ মাকে প্রচুর ভালোবাসে তাকে এত অবহেলা করার পরও তাকে ফেলে যায়নি। আসলেই খুবই শিক্ষনীয় একটি মুভি।

 3 years ago 

লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু একটা কথা আছে। এটাও তাই লোভ বেশি করলে সেখানে তার পরিণতি শেষ পর্যন্ত খুবই ভয়ানক হয়ে থাকে। ছেলে বোবা বলে সৎ মা তাকে যতই অবহেলা করুক না কেনো, মায়ের প্রতি ভালোবাসার একটা দৃষ্টান্ত উদাহরণ এই মুভিতে দেখিয়ে দিলো।

অসম্ভব সুন্দর একটি পারিবারিক মুভি,মুভি টা আমি দেখেছি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজায়েছেন এবং ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এইসব মুভির উপরে কোনো মুভি হয় না। আজকালকার মুভি এইসব পুরাতন মুভির কাছে ঠাঁই পাবে না। আপনাকেও ধন্যবাদ।

 3 years ago 

এই ছবিটি আমি কতবার যে দেখেছি তার কোনো শেষ নেই। কারণ এই ছবির ডিভিডি আমার বাসায় ছিল। ছোটবেলায় আমি এই ছবি অনেকবারই দেখেছি। এই ছবি দেখতে দেখতে প্রতিটি মুহূর্ত মনে হয় মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। আজ আপনার এই ছবির উপর রিভিউ পড়ে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আমিও কতবার দেখেছি তার কোনো হিসেবে নেই, এখনো দেখে থাকি। এইসব মুভি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এইসব মুভিগুলো থেকে যেমন শিক্ষা নেওয়া যায় তেমনি ইন্টারেষ্টিংও লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 53776.88
ETH 2232.91
USDT 1.00
SBD 2.30