সন্ধ্যার সময়ে বই মেলার চারিদিকে একটু ঘোরাঘুরি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
গত ২ মার্চ গিয়েছিলাম কলকাতার সব থেকে বড়ো বই মেলাতে। বই মেলাতে গেলাম অনেক বছর বাদে। সেভাবে বই মেলায় যাওয়া হতো না কখনো । আর তারপর করোনা আসার পরের থেকে গত ২ বছর একদমই যাওয়া হয়নি। তো এই বছর আবার বই মেলায় দাদা-বৌদির সাথে চলে গেছিলাম। আমরা বাড়ির থেকে ২ টা নাগাদ বেরিয়েছিলাম এবং ১ ঘন্টার মধ্যে সেখানে পৌঁছিয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়ির থেকে গাড়ি করে বই মেলায় যেতে ১ ঘন্টার মতো সময় লেগে যায় রাস্তাঘাটে বেশি জ্যাম থাকলে, নাহলে তার আগেই চলে যাওয়া যায়। কিন্তু ওইদিন রাস্তায় জ্যাম ছিল খুব ফলে ১ ঘন্টার মতো সময় লেগে গিয়েছিলো । যাইহোক, সেখানে পৌঁছিয়েই আমরা বই এর স্টলগুলোতে চলে গেছিলাম বই কেনার জন্য। দাদা এক এক দোকান থেকে বেছে বেছে বেশ খানিকটা বই কিনলো আর এই কিনতে কিনতে সন্ধ্যা নেমে আসলো। এরপর আমরা আর তেমন একটা বই এর দোকানে যাইনি কারণ অনেকগুলো বই হয়ে গেছিলো আর ভারী ব্যাগ টেনে নিয়ে চলাও একপ্রকার মুশকিল। অনেক বড়ো এরিয়া নিয়ে করা ফলে সবজায়গায় যাওয়া সম্ভবপর হয়ে উঠিনি। কলকাতার এই বই মেলাতে নানান দেশের বুক স্টল আছে। যেমন এখানে জাপান, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, রাশিয়া, ইটালি, আর্জেন্টিনা এবং বাংলাদেশ সহ বহু কান্ট্রি এই কলকাতার বই মেলাতে অংশগ্রহণ করেছে এই বছর। যেহেতু এটি একটি আন্তর্জাতিক বই মেলা ফলে প্রতিবছরই এইরকম বিভিন্ন দেশ পার্টিসিপেট করে থাকে। এটি এই বছর ধরে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কলকাতায়।
Photo by @winkles
বই কেনাকাটা হয়ে গেলে আমরা সবাই একটা ফাঁকা স্থানে গিয়ে বসেছিলাম। কিছুক্ষন পরে আমাদের একটু চা খাওয়ার ইচ্ছা হলো তাই চায়ের দিকে চলে গেলাম এবং লেবু চা খেলাম। একটা চায়ের দাম ৩০ টাকা করে , তবে মাটির কাপগুলো ভালোই বড়ো ছিলো আর চা বেশি করেই দিয়েছিলো। তবে খেয়ে যা বুঝলাম তাতে ৩০ টাকা একেবারে বৃথা যাইনি, ভালোই লেগেছিলো।
Photo by @winkles
চা খাওয়ার পরে সামনের আইসক্রিম এর দোকান থেকে আমাদের টিনটিন সোনার জন্য কয়েকটি আইসক্রিম কিনে নিয়েছিলাম। টিনটিন সোনা আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এরপর আমরা সেখান থেকে আশেপাশে কয়েকটি স্থানে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসলাম। অনেক কিছু দেখার আছে বই মেলাতে। সবকিছু অনেকভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আয়োজন করেছে যা দেখার মতো। তবে আমরা হাঁটতে হাঁটতে কয়েকটি বাইরের দেশের স্টলের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু ভিতরে আর প্রবেশ করিনি, বাইরের থেকে দেখার মতো টুকটাক কিছু জিনিষ হাঁটতে হাঁটতে দেখে নিয়েছিলাম। আমাদের বাঁকুড়ার টেরাকোটা সম্পর্কিত লোকসংস্কৃতি, নৃতত্ত্ব , প্রত্নতত্ত্ব এর বই ছিল এই মেলাতে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এরপর আমাদের হাঁটাহাঁটি শেষ হলে চলে গিয়েছিলাম সোজা খাদ্য ভান্ডারের দিকে। মেলায় কত সুন্দর সুন্দর খাবার উঠেছিল আর বিভিন্ন পদের খাবার। দেখেই নিজেকে সামলানো মুশকিল, মনে হয় তুলে খাওয়া শুরু করে দেই। এখানে খাবারের মধ্যে বেশিরভাগটাই ফ্রাই জাতীয় খাবার, যাই নেওয়া হোক না কেন তাই ফ্রাই করা। এখানে গলদা কাটলেট, লোটে ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন কাটলেট, হারিয়ালি শিক কাবাব, বাঁশের ভিতরে তৈরি চিকেন বিরিয়ানি ইত্যাদি এইরকম আরো বিভিন্ন পদের আইটেম সেখানে আছে। আর এইসব দেখলে কি একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা যায়!? কিন্তু খাবারের দাম শুনলে জিভের জলগুলো আবার শুকিয়ে যাবে, তখন মনে হবে খাওয়ার দরকার নেই, বাড়ির দিকে পালাই । ২০০ টাকার নিচে কোনো খাবার নেই, ভীষণ দাম। তাই আমরা অল্প করে কিনে নিয়েছিলাম, কারণ ও কিনে লাভ নেই তেমন, যে দাম তাতে বাড়িতে ওই দামে ৪ টা মুরগি কিনে খাওয়া যাবে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
খাবার কেনার পরে আমরা একটি মাঠ মতো স্থানে কিছুক্ষন বসে থাকলাম। আর ওই সন্ধ্যার সময় সেখানে শঙ্খ ঘোষের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মতো হচ্ছিলো। তাই সেখানে কিছু সময় তার গান শুনছিলাম এবং ১৫-২০ মিনিট বাদে সেখান থেকে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
All photos what3words location: https://w3w.co/repaid.insulated.overpaid
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | কলকাতা বই মেলা |
তারিখ | ০২.০৩.২০২২ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা,বইমেলায় আমার ও সেভাবে কখনো যাওয়া হয় নি।তবে অবশ্যই একদিন যাবো ইচ্ছে আছে।আমার বই পড়তে খুবই ভালো লাগে, আর নতুন বইয়ের গন্ধ আরো বেশি ভালো লাগে।কিন্তু গল্পের বই বেশি ভালো লাগে আমার কাছে, যাইহোক আপনারা সবাই দারুণ সময় কাটিয়েছেন।খুঁজে খুঁজে বই কেনার মজাটাই আলাদা,তবে বয়ে নিয়ে আসাটা খুবই কষ্টকর।বই খুবই ভারী হয়ে যায়।আমার সবথেকে বেশি মজা লেগেছে যে মাঠে বসে থাকা মানুষগুলো বইয়ের থেকে বেশি খেতে ব্যস্ত ও গল্প করতে।আরো বেশি মজার ও আকর্ষণীয় আপনার খাবারের ফটোগ্রাফিগুলি।মনে হচ্ছে বইয়ের থেকে খাবারের দোকানে মানুষ বেশি।😊😊অনেক সুন্দর সুন্দর লোভনীয় খাবার দেখছি, মনেই হচ্ছে না বইমেলা বলে।আমার মনে হয় কিছু মানুষ বই কিনতে যাওয়া ছাড়া ও এই মেলায় সুন্দর সুন্দর খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে ও যায়।খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
এইতো কিছু দিন আগে আমিও বই মেলায় গিয়েছিলাম তবে, গত বছর করোনার জন্য আমারও যাওয়া হয় নাই। আপনার বইমেলা ভ্রমণের লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে পরিবারের সাথে বই মেলায় যাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আমি গিয়েছিলাম একা। বাংলাদেশে এটাই সব চেয়ে বড় বই মেলা অমর একুশে বইমেলা। তবে আপনারদের বই মেলায় খাবারের আইটেমগুলো অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে বাঁশের ভেতর চিকেন বিরিয়ানি এটা আন কমন একটা খাবার।
আপনি একদম ঠিক কথা বলছেন, বই মেলায় খাবারের দাম অনেক বেশি রাখে। বড় বড় রেস্টুরেন্টে ভ্যাটসহ এতো টাকা বিল আসে না, তারা খাবারের দাম রাখে প্রায় ডাবল। আমি কাবাব খেয়েছিলাম তবে দাম অনুযায়ী মজা লাগে নাই। আবার এই সব অনুষ্ঠানে নামি দামি ব্যান্ডের নাম নকল করেও খাবার বিক্রি করা হয়।
খুবই ভালো লাগলো আপনি দীর্ঘ দুই বছর পর পরিবার নিয়ে বই মেলা ভ্রমন করছেন। অনেকগুলো বই কিনছেন, খাবার কিনছেন। সব কিছু মিলিয়ে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আসলে করোনার জন্য মানুষের মাঝে ঘুরাঘুরির আমেজ অনেকটা কমে গুয়েছিলো। তবে এখন আবার সব কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে। যাইহোক, দাদা আপনি সব সময় ভালো থাকবেন, নিজের শরীরের যত্ন নিবেন। ❣️❣️❣️🖐️
কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা সত্যি বিশাল বড়। এই বইমেলার কথা অনেক শুনেছি কিন্তু আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখতেও পারলাম। সত্যিই খুব সুন্দর দেখতে বইমেলা। আমার মনে হয় এমন কোন বই নেই যায় এই বই মেলায় পাওয়া যাবে না। আর আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বইমেলার গেট। গেট এর পরে খুব সুন্দর একটা বিশাল বড় ব্যাংক দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আপনি খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া। আর খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিলাম না খুবই লোভনীয় সবগুলো খাবার। খাবারের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে বাশের ভিতর চিকেন বিরিয়ানির কথা শুনি। এভাবে কখনো দেখিনি বাশের ভিতর চিকেন বিরিয়ানি বিক্রি করতে। সত্যি সবগুলো খাবার খুবই লোভনীয়। তবে ভাইয়া মেলার মধ্যে সব সময় খাবারের দাম এত বেশি থাকে। আমাদের এখানেও এইরকম কয়েকদিন আগে বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলাম সেখানেও খাবারের প্রচুর দাম। ডাবল দাম জানা সত্বেও মানুষ বাধ্য হয়ে খায় কি আর করবে। আপনারা একদম ঠিক করেছেন অল্প খাবার খেয়ে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ওই দাম দিয়ে বাসা ৪টি মুরগি কিনে খাওয়া যাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্তটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এইজন্য। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন সব সময় ভাইয়া।
প্রিয় দাদা♥
প্রাণের এই বইমেলায় আপনার ঘোরাঘুরি বই কেনাকাটা দেখে আমি ভীষণ আনন্দিত হলাম।বেশ কয়েক বছর বাদে আপনি বই মেলায় প্রবেশ করেছেন। এজন্য বইমেলার পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।বইমেলা আমার কাছে প্রাণের মেলা।প্রতিবছর হাজারো প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে বই মেলায় অংশগ্রহণ করতাম।কিন্তু গত দু'বছর থেকে আমারও বই মেলায় প্রবেশ করা হয় না।নানাবিধ কারণে।তাছাড়া বই পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে।বই মেলায় দেশি-বিদেশি অনেক লেখকের এর বই পাওয়া যায়।অনেকের সাথে পরিচিত হওয়া যায় অনেক বিনোদন করা যায়।আর কবি সাহিত্যিকদের জন্য তো মিলনমেলা এই বইমেলা। বইমেলার স্টলগুলোতে আমা র্বই থাকে।কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমি কোন বই প্রকাশ করিনা।বিশেষ কিছু কারণে।প্রাণের বইমেলায় আপনার ঘোরাঘুরি দেখে আমারও খুব মনে পড়ছিল কিভাবে বইমেলায় আমরা বিনোদন করেছিলাম করেছিলাম আড্ডা দিয়েছিলাম।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলোতে কবিতা পাঠ করেছিলেন।আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।নতুন নতুন লেখকের এর নতুন নতুন বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেছিলাম।কত স্মৃতি বিজড়িত এই বইমেলা।অনেক বড় বড় দেশ থেকে লোকজন এসেছে কলকাতার বইমেলায়।জেনে ভীষণ ভালো লাগলো।বইমেলায় আপনার বই কেনার কথা শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো।আসলে বই হচ্ছে আমাদের পরম বন্ধু।আর তাই প্রত্যাশা করব বই হোক আমাদের নিত্যসঙ্গী।যেকোনো ধরনের বই পাঠের মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে।আলাদা একটি রিদম কাজ করে।ইনশাআল্লাহ বেঁচে থাকলে আগামী বইমেলায় আমার নতুন বই আসবে।এটা আমার প্রত্যাশা।আমাদের প্রতিটা মানুষের বই মেলায় অংশগ্রহণ করা উচিত এবং বেশি বেশি বই পড়া উচিত।আমার ঘরে আমার মাথার কাছে চারিদিকে শুধু বই আর বই।প্রতিদিন আমি কোনো না কোনো বই পড়ি।♥♥
কলকাতার বইমেলা সম্পর্কে অনেক শুনেছি। দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে আরো অনেক বেশি ধারণা পেলাম। কলকাতার বইমেলা মানে হচ্ছে একটি বড় ধরনের আয়োজন। এখানে যেহেতু জাপান, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালি, জার্মানি সহ আরো অন্যান্য বিভিন্ন দেশ বই মেলায় অংশগ্রহণ করে তার মানে আয়োজন টা অনেক বিশাল। আন্তর্জাতিক ভাবে এই বইমেলা উদযাপন করা হয়। এছাড়াও 45 তম আন্তর্জাতিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে গত দুই বছর থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়তো সেভাবে মানুষ বই মেলায় যেতে পারেনি বা সময় কাটাতে পারেনি। তাই এবারের বইমেলাটি সবার জন্যই অনেক বেশি আনন্দের। একদিকে যেমন তারা নিজেদের পছন্দের বইগুলো সংগ্রহ করতে পারছে অন্যদিকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছে। আসলে বই মেলায় যাওয়ার মাঝে যে আনন্দ রয়েছে তা বলে বোঝানোর মত নয়। হয়তো সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা আমাদের জীবনকে ব্যস্ত করে ফেলেছি। আমাদের এই ব্যস্ততার মাঝে আমরা ঘুরতে যাওয়া বা আনন্দ করতে যাওয়ার সময়টি হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমরা যদি মাঝে মাঝেই নিজের মতো করে সেই সময়গুলো ফিরে পেতে চাই তাহলে আমাদের যেমন ভালো লাগবে তেমনি পরিবারের মানুষগুলোর ভালো লাগবে। আমাদের প্রিয় দাদা ও বৌদি আপনার সাথে বই মেলায় গিয়েছিলো এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে আমার। আসলে আমাদের প্রিয় দাদা ও বৌদি অনেক ভালো মানুষ। তাদের সাথে সময় কাটানো সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। আর আমাদের প্রিয় দাদা আপনাকে অনেক ভালোবাসেন এটা আমরা সকলেই জানি। কারণ আপনি তার ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি বইমেলায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাঘুরি, বই কেনা সবকিছু মিলিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর বইমেলার যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলোর মাঝে লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। তবে দাম শুনে জিভে জল আমারও শুকিয়ে গেল। আসলে এই লোভনীয় খাবার গুলো আমাদেরকে এতটাই আকৃষ্ট করে যে সে সময় দামের কথা মাথায় থাকে না। তবে আমার মনে হয় এত বেশি দামে খাবারগুলো খাওয়ার চেয়ে কম খাওয়াই অনেক ভালো। আপনারা ঠিক সেই কাজটি করেছেন। যা আমার ভালো লেগেছে। এই খাবারের রেস্টুরেন্ট গুলো নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করার জন্য খাবারের ডাবল দাম নেয়। সবাই বাধ্য হয়েই সেই খাবারগুলো খায়। কারণ লোভনীয় খাবার দেখলে কারোরই লোভ সামলানো যায় না। সবচেয়ে ভালো লেগেছে খাবারের রেস্টুরেন্টের সেই লোভনীয় ফটোগ্রাফি। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ও আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
দাদা বই মেলায় আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা আপনার লেখাগুলো পড়েই বোঝা যাচ্ছে। সত্যি কথা বলতে আমি যখন আপনার এই বইমেলা যাওয়ার গল্প পড়ছিলাম তখন আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। ছোটবেলায় যখন মেলায় যেতাম তখন সবসময় খাবারের দিকে চোখ বেশি পড়তো। মেলায় পাওয়া সেই মজাদার খাবারগুলো এখনো খুবই মনে পড়ে। বাবার সাথে বা দাদুর সাথে মেলায় যাওয়া, ঘোরাঘুরি করা, মজার মজার সব খাবার খাওয়া সবগুলোই যেন আজ অতীত হয়ে গেছে। তবে আমার যেটা মনে হয় বই মেলায় ঘুরতে গেলে যেমন নানান দেশের নানান ভাষার বই সংগ্রহ করা যায় তেমনি মজার মজার সব খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু আপনি একটি কথা ঠিকই বলেছেন দাদা বই মেলা বা বিভিন্ন মেলায় যে খাবারের স্টলগুলো হয় সেগুলোর খাবারের দাম দেখলে জিভে জল শুকিয়ে যায়। তাদের খাবার দামে অনেক বেশি হয়। কারণ একটাই সেখানে যারা যায় তারা লোভনীয় সেই খাবার গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারেনা। একটু হলেও খেয়ে আসে। এই স্টলগুলো বা রেষ্টুরেন্টগুলো তাদের খাবারের দাম একটু বেশি পরিমানে দিয়ে থাকে। ছোট-বড় সবারই খাবারের প্রতি আলাদা এক লোভ রয়েছে। তাই তারাও সেই সুযোগে ব্যবসাটা করে নেয়। তবে যাই বলুন না কেন দাদা আপনি আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনার লেখা ও ফটোগ্রাফিতে এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। আমার কিন্তু মন চাচ্ছে সেই মেলায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। হয়তো সেই সৌভাগ্য কখনও হবেনা। তবে আপনি দাদা বৌদির সাথে মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন ও অনেক আনন্দ করেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আর যেখানে আমাদের দাদা ও বৌদি থাকবে সেখানে আনন্দ হবে এটাই স্বাভাবিক। সাথে মিষ্টি টিনটিন ছিল তাহলে তো আরো বেশি সুন্দর সময় কেটেছে। শেষের দিকে আপনারা সকলে মিলে আবার সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অল্প কিছুক্ষণ গান শুনেছেন এই জিনিসটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। বইয়ের পাশাপাশি এই মেলায় আরো বিভিন্ন আনন্দঘন মুহূর্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত ও বইমেলার সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য। দাদা আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💝💝💝💝💝💝
দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বইমেলায় বেশ ঘোরাঘুরি করতে আমারও বেশ ভালো লাগে। আমি আমার জীবনে একবার শুধু একবার বই মেলাতে গিয়েছিলাম আমার খুব ভালো লাগছিল। দাদা আমি মনে করি আপনি সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন তার কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে খবার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমিতো লোভে পড়ে গেলাম। খাবার গুলো অনেক সুন্দর দাদা। আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য অনেক ভালোবাসা ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা রইল দাদা।
দাদা দারুন ঘুরেছেন বই মেলায় 😍
তবে সত্যিই মনে হচ্ছিল আপনার সাথেই ছিলাম ☺️
বই তো সবসময়ই দারুন , আর খাবার 😋 তো আরো দারুন 🤤
মাছের তৈরি কি দারুন খাবার 😋
সবগুলো দারুন।
যাক পুরো পোস্টটি অসাধারণ ছিল ♥️
শুভ কামনা রইল দাদা 💚
আফসোস আমাদের দেশে এমন আন্তর্জাতিক মানের কোন বই মেলা হয় না যেখানে বিভিন্ন দেশের স্টল থাকে। এমনকি ঢাকাতে যে মেলাটি হয় সেটাতেও যাই যাই করেও কখনো যাওয়া হয়নি। কিন্তু বই পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক এক কাপ চায়ের দাম 30 টাকা তাও আবার মেলাতে। অনেক বেশি মনে হলো আমার কাছে। আর খাবারের কথা না হয় বাদই দিলাম। দাদা বৌদির সঙ্গে ভালোই সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য
দাদা,খাবারের ছবিগুলা দেখে খুব লোভ হচ্ছে। আমার বই মেলায় যেতে ভালো লাগে। ভারতের বই মেলায় যাওয়া হয়নি,তবে আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে অনেক ছবি দেখতে পেলাম,ও কিছু জানতেও পারলাম।খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন,বই মেলায় মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।