ওয়েব সিরিজ রিভিউ: মহাভারত মার্ডার্স- অশ্বমেধ পর্ব & আদি পর্ব ( পর্ব ৯ & ১০ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে ওয়েব সিরিজ মহাভারত মার্ডার্স এর নতুন দুটি পর্ব রিভিউ দেবো। আজকের দুটি পর্বের নাম হলো "অশ্বমেধ পর্ব & আদি পর্ব"। আগের পর্বের লাস্টে দেখা গিয়েছিলো যে মন্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কার গুলি লেগেছিলো। এরপর কাহিনী কি হবে সেটা আজকের পর্বগুলোতে দেখবো। তাহলে চলুন দেখা যাক কি হয়।
☫কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☫
✔মূল কাহিনী:
প্রিয়াঙ্কার গুলি লাগার পরে তাকে মন্ত্রী নিজে হসপিটালে নিয়ে আসে। গুলিটা মূলত তার কাঁধেই লেগেছিলো, ফলে তেমন একটা কিছু হয়নি। হসপিটালে এনে গুলি বের করার পরে মোটামুটি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এরপর মন্ত্রী দুর্যোধনের পালা শেষ বলে তার নির্বাচনের কাজে বেরিয়ে যায়। শামসুর নামক লোকটা পরে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড এর উপর গুলি চালাতে থাকে কারণ তাদের মধ্যে এই নির্বাচনের বিষয়টা নিয়ে বেশ রেষারেষি চলতে থাকে ফলে পরিস্থিতি বেশি বিগড়ে যাওয়ায় খুনোখুনির পর্যায়ে চলে যায় তাদের ব্যাপারটা। শামসুর তাড়া করে পুরানো একটা জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে শামসুরের নিজের লোকই শামসুরকে মেরে দেয়। এখানে শামসুরের নিজের লোকগুলিকে আগে থেকেই টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিল ফলে এখানে নিজের গায়ে কোনো খুনের দাগ লাগলো না আবার ওরই লোক দিয়ে নিজের কাজটাও করে নিলো। এদিকে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মন্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য প্রিয়াঙ্কার বড়ো পোস্টে প্রমোশন হয়ে যায়।
প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ড জাবেদ একদিন হঠাৎ করে থানায় গিয়ে প্রিয়াঙ্কার সাথে দেখা করে এবং সহজেই সবকিছু খুলে বলতে লাগে যেমন মন্ত্রী পবিত্র চ্যাটার্জি এর সাথে আবির এর সম্পর্ক, তারপর আবির কিভাবে সেইদিন রাস্তা দিয়ে আসার সময় গুলি চালিয়ে মন্ত্রীকে ভয় দেখানো এইরকম কিছু কিছু কথা তাকে বলতে লাগে। আর হঠাৎ করে তার এইসব বলাতেও কেমন একটা সন্দেহ খুঁজে পায়। এরপর প্রিয়াঙ্কা ফরেনসিক ল্যাবে গিয়ে পুনরায় আবিরের কেস ক্লোস হয়ে যাওয়া ফাইল আর তার একটা ব্যাগ নিয়ে যায় যেটা মার্ডার্স স্পটে পায়। এরপর সেখান থেকে ভুবনতলা বলে একটা জায়গায় চলে যায় এবং সেখানে একজন লোকের কাছে সেই স্কেচ দেখায় এবং বলে লাল্টু এই লোকের নাম। আর এই লাল্টু ছোটবেলায় মন্ত্রীদের বাড়িতেই থাকতো।
আদি পর্বে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা সেই ভুবনতলা থেকে শুরু করে ইনভেস্টিগেশন শুরু করে লাল্টু বলে লোকটার সম্পর্কে। প্রথমে যেখানে গেছিলো সেখানে অনেক ইনফরমেশন সে দেয় এবং এই লাল্টু মন্ত্রীর বাড়ির থেকে যখন বেরিয়ে গেছিলো তারপরের থেকে সে গ্রামের কোথাও এক জায়গায় গিয়ে কারখানায় কাজ করতো। আর সেখানে তার এক পাতানো বোন তার জন্য রোজ সেখানে খাবার নিয়ে যেত আর দেখভাল করতো নিজের ভাইয়ের মতো। এরপর একদিন তাকেই রাতের বেলা খুন করে দেয়। লাল্টুর পাতানো বোনের একটা ছোট ছেলে ছিল আর তার নাম পাপ্পু ছিল। তার বাবা বাড়িতে রোজ মদ খেয়ে এসে অত্যাচার করতো। লাল্টু আর পাপ্পু এরা দুইজন পুজোর সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাটক করে বেড়াতো। পাপ্পুর মা চলে যাওয়ার পর তার বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ লাল্টুই তার আশ্রয় হয়ে ওঠে মামা হিসেবে। কিন্তু এখানে তাদের সাথে যারা যারা নাটক করতো তাদের মধ্যে অনেকেই মারা যায় যেমন গ্যাসের পাইপ লিক থাকায় আগুন ধরে যায় আবার সাইকেলের যেসব পাম্প থাকে সেগুলোর ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস থাকায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ফলে এখন তাদের প্রশ্ন যে এইসব খুন তো এক ছোট্ট ছেলের পক্ষে করা সম্ভব না তাহলে বিষয়টা যাচ্ছে লাল্টুর দিকে।
লাল্টু আর পাপ্পুর বিষয়ে ভুবনতলায় অনেকের সাথে অনেক বিষয়ে কথা বলে এবং তাদের সম্পর্কে অনেক ইনফরমেশন কালেক্ট করে। এরপর প্রিয়াঙ্কা পাপ্পুর আর লাল্টুর ছবি জয়কে পাঠায় আর ৩৫ বছর পরে তাদের চেহারা কেমন হতে পারে সেইটা বের করে নেয় এবং তার কাছে থাকা স্কেচ এর সাথে মিলে যায় পুরো বিষয়টা। তখন কেস আবার নতুন করে শুরু হয় আর ফরেন্সিকের ডক্টরের কাছ থেকে আগের সব কিছুর ডিটেলস নিয়ে নেমে পড়ে। এরপর প্রিয়াঙ্কা অফিসে এসে সেই স্কেচ আর ব্যাগডোগরা নামক একটি জায়গায় মন্ত্রীর সভায় ফুল হাতে করে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর স্কেচ এর সাথে মিলিয়ে দেখে একই লোক। আর এই লোকটাও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। এরপর প্রিয়াঙ্কা ব্যাগডোগরার টিকিট কাটতে বলে সেখানে যাওয়ার জন্য আর সেই সাথে বলে মহাভারত মার্ডার্স এখনো ক্লোস হয়নি। আমরা আবিরকে দুর্যোধন ভাবছিলাম কিন্তু এখানে কাহিনী অন্যকিছু অর্থাৎ দুর্যোধন অন্য কেউ।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই দুই পর্বে মোটামুটি দুর্যোধন আর লাল্টু কে হতে পারে সেটা আইডেন্টিফাইড করতে পেরেছে পুলিশ। এখানে লাল্টু, মন্ত্রী পবিত্র আর আবির এরা তিনজন ছোটবেলায় একসাথে থাকতো কিন্তু আবির একটু চালাক আর বদমায়েশ টাইপ এর ছিল। মন্ত্রী পবিত্র এর বাবা আবার আবিরের উপর বিশ্বাস করতো খুব ফলে ওর জন্য এ গালাগালি খেত সবসময়। লাল্টু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ছোট বেলা থেকেই হাঁটতো আর একদিন আবির তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে তার কপাল ফেটে রক্ত বের হয় কিন্তু এই বিষয়েও আবির বেঁচে যায়। এরপর লাল্টুর একটা রাগ জমে যায় মন্ত্রী পবিত্রের উপর কারণ সে জানা সত্বেও আবিরের দোষটা বলেনি তার বাবার সামনে। এরপর লাল্টু সেখান থেকে চলে যায় এবং তারপর থেকে তাকে আর কেউ খুঁজে পায় না। লাল্টু আর তার সেই পাতানো ভাগ্নে পাপ্পু যখন রাস্তা দিয়ে চলতো তখন ল্যাংড়া এইসব বলে খেপাতো আর সেখান থেকেই সবগুলোর উপরে রাগ জমে যায় তাদের। এখানে এই পর্যন্ত সবগুলো খুনের যে রহস্যটা ছিল সেটা মোটামুটি কে করতে পারে সেটা আইডেন্টিফাইড করতে পেরেছে এখন শুধু প্রমান সহ ধরার পালা। দেখা যাক পরের পর্বে প্রিয়াঙ্কা ব্যাগডোগরা গিয়ে কি করছে কারণ দুর্যোধন কে সেটা ধরে ফেলেছে।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৯.৭/১০
✔ট্রেইলার লিঙ্ক:
ওয়েব সিরিজ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ওয়েব সিরিজ দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি আপনার লেখা রিভিউ পড়তেও অনেক ভালো লাগে। গত পর্ব গুলোর মতই এবারের পর্বও অনেক ভালো লেগেছে আমার। প্রিয়াঙ্কা নিজের বুদ্ধিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি সবকিছু খুব শীঘ্রই সামনে আসবে। প্রিয়াঙ্কা নিশ্চয়ই নিজের চালাকি এবং সাহসিকতায় সবকিছু সামনে আনতে সক্ষম হবে। আসলে মুখোশের আড়ালে কে লুকিয়ে আছে তা বোঝা বড় মুশকিল। রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোর মাধ্যমে আমরা সব কিছুই বুঝতে পারবো। দাদা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ওয়েব সিরিজ রিভিউ উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️
প্রিয়াঙ্কা নিজে গায়ে গুলি খেয়ে মন্ত্রি কে বাচিয়ে দিল আর তার জন্য তার প্রমোশনও হয়ে গেল। আজকের কাহিনী কিছুটা ভিন্ন লেগেছে কারন নতুন তথ্য উম্মোচিত হতে যাচ্ছে । প্রিয়াঙ্কার স্বামীর কথায় প্রেক্ষিতে প্রিয়াঙ্কার সন্দেহ হয় এবং ক্লোজ হওয়া ফাইল ঘেটে নতুন তথ্য পায়। লাল্টু এবং পাপ্পু দুটো নতুন চরিত্রের আবির্ভাব কিন্তু আদতে একি লোক স্কেচ করার পর দেখা যায়।যাই হোক সত্যি জমে উঠেছে। দেখা যাক কি হয়। এই ধরনের কাহিনী গুলো আমার কাছে বেশ ভাল লাগে। কিছুটা সাসপেন্স না থাকলে মোট কথা জমে না। ধন্যবাদ দাদা। শুভেচ্ছা রইল।
দাদা আজকে আপনার ওয়েব সিরিজের পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছিলাম। আসলে গত পর্বে প্রিয়াঙ্কাকে গুলি করা হয়েছিল তারপরে কি ঘটেছিল, এই বিষয়টা জানার জন্য খুবই কৌতূহল ছিলাম, আজকের পর্ব পড়ে সেই কৌতূহল মিটিয়ে নিলাম। আজকে আপনার ওয়েব সিরিজটা পড়ে ভালো লাগছে। প্রিয়াঙ্কাকে যখন গুলি করা হয়েছিল তখন মন্ত্রী সাহেব তার নিজের গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। আসলে কপাল ভাল ছিল যে গুলিটা হাতে লেগেছিল। যাই হোক অবশেষে প্রিয়াঙ্কা চিকিৎসা নেওয়ার কারণে সুস্থ হয়ে গেল এবং তার সাহসের জন্য তাকে খুব ভালো একটা পোস্টে প্রমোশন' দেওয়া হল। এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। এবং পরের পর্বে প্রিয়াঙ্কা ব্যাগডোগরা গিয়ে কি করছে কারণ দুর্যোধনকে সেটা ধরে ফেলেছে। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম দাদা।
এর আগের পর্বে বেশ টানটান উত্তেজনা নিয়ে শেষ হয়েছিল। সেই পর্বে আবির ও প্রিয়াঙ্কা দু'জনেই গুলি খায় কিন্তু আবির মারা যায় আর প্রিয়াঙ্কা মন্ত্রিকি বাঁচাতে গুলি খায় বলে তাকে উপরের পদে প্রমোশন দেওয়া হয়। এই পর্বে আবার দেখছি প্রিয়াঙ্কার হাসব্যান্ডের কাছ থেকে কিছু কথা জানতে পেরে তার সন্দেহ হয় আর সে ভুবনতলা গ্রামে চলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা লাল্টু ও পাপ্পু নামে দু'জনে লোকের তথ্য খুঁজে পায়। ভুবনতলায় গিয়ে আবার নতুন পর্বের আর্বিভাব ঘটে। মনে হচ্ছে আমরা খুব তাড়াতাড়ি দুর্যোধন কে সেটা জানতে পারবো। এরপরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দেখি প্রিয়াঙ্কা ব্যাগডোগরা গিয়ে দুর্যোধনকে ধরতে পারে কিনা। ধন্যবাদ দাদা এত রহস্য ও উত্তেজনা মূলক মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি এই পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থিত করেছেন। প্রতিটি পর্বে আস্তে আস্তে যেন রহস্য দিকে ধাবিত হচ্ছে। আসলে এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো মাঝপথে ছেড়ে দিল আর ভাললাগেনা। পরবর্তী পর্বগুলো জানার আগ্রহ থেকেই যায়। আর আজ আপনার মাধ্যমে পরবর্তী পর্বগুলো পড়ে ভালো লাগলো। এখন তো দেখা যাচ্ছে রহস্য উদঘাটন হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ আইডেন্টিফাই করে ফেলবে কে খুন করেছে। সেটা নিশ্চয়ই পরবর্তী পর্বে আমরা জানতে পারব। তবে বেশ ভালো লেগেছে আজকের পর্ব গুলো।পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
প্রিয়াঙ্কা নিজের গায়ে গুলি নিয়েছিল এবং কাঁধে লেগেছিল বলেই প্রিয়াঙ্কা বেঁচে গিয়েছে।তার এই সাহসিকতার জন্য সে প্রমোশন পেয়েছিল।আবির দুর্যোধন হতেই পারে না কারন এত তাড়াতাড়ি দুর্যোধন সামনে আসবে না।তাছাড়া গতপর্বে দেখা গেছে গল্পের মাঝখানে আবির গুলি খেয়ে মরে যায় সেহেতু আবির দুর্যোধন নয়,অন্য কেউ।তার জন্য পরের পর্ব পড়তে হবে।আস্তে আস্তে কাহিনী পরিসমাপ্তির দিকে যাচ্ছে এবং রহস্যময় হচ্ছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।
রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে খুন ইদানিং অহরহ সমাজে গলা উঁচিয়ে চলিতে শুরু করেছে ।আপনার গল্পটা আজকের সমাজের সাথে অনেকটা মিল আছে ।দেখা যাক পরবর্তী গল্প দূর্যোধন হিসেবে কাকে আবিষ্কার করা হয় ।আমি ভালো বুঝি না ।তার পরেও রহস্যময় এই গল্পটি সামাজিক জীবনে সব সময় প্রতিফলিত হবে হয় বলে আমার আমি মনে করি।।