শীতকালে গ্রামের সকালের দৃশ্যের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

কিছুদিন বাদে আজকে আবার আপনাদের সামনে একটা নতুন অঙ্কন নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি একটা গ্রামের দৃশ্য অঙ্কন করেছি। এই দৃশ্যটা আমি শীতকালীন সময়ের উপর চিন্তাভাবনা করেই তৈরি করেছি। সাধারণত গ্রামের দিকে শীতের সকালের দিকে যেরকমটা হয় সেইরকমটা অঙ্কনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। শীতের সকালের দৃশ্যগুলো ভাবনার মাধ্যমে মনের মধ্যে গেঁথে ফেলেছিলাম আর সেই মতে তৈরি করে ফেলার চেষ্টা করলাম জাস্ট। আশা করি অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


★উপকরণ:★

আর্ট পেপার
বোর্ড
সাইন পেন
পেন্সিল
কালার পেন্সিল
রাবার

এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো----


➤প্রথম ধাপে আমি পেন দিয়ে খেজুর গাছের চিত্র অঙ্কন করে নিলাম। এরপরে একটা লোকের চিত্র অঙ্কন করলাম যেখানে লোকটি পিছনে হাড়ি বেঁধে খেজুর গাছে রস নামাতে উঠছে।

➤দ্বিতীয় ধাপে আমি খড়ের গাদার মতো দেখতে একটা শেপ তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর কয়েকটি ঘর আর একটা বট গাছের মতো দেখতে তৈরি করে নিয়েছিলাম। মেঘের মতো দেখতে একটা দৃশ্য অঙ্কন করে নিয়েছিলাম।

➤তৃতীয় ধাপে আরো একটি লোকের চিত্র অঙ্কন করলাম যে খেজুরের রস হাড়িতে করে নিয়ে কাঁধে ঝুলিয়ে বিক্রি করতে যাচ্ছে।

➤চতুর্থ ধাপে আমি খেজুর গাছের অপর পাশে নদীর মতো দেখতে একটা শেপ দিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর শীতের পোশাক পড়ে বসে থাকা একজন ব্যক্তির চিত্র অঙ্কন করলাম।

➤পঞ্চম ধাপে ওই লোকটির অপজিটে আরো একজনের চিত্র অঙ্কন করলাম এবং মাঝখানে পেন্সিল দিয়ে আগুন জ্বলছে তার চিত্র অঙ্কন করলাম। মূলত এই দুই ব্যক্তি এখানে শীতের মধ্যে আগুন জ্বেলে শরীর গরম করছে সেইরকমটা বোঝাতে চেয়েছি।

➤ষষ্ঠ ধাপে মেঘের পাশ দিয়ে সকালের সূর্য উদয় হওয়ার দৃশ্য অঙ্কন করলাম। এরপর উপরের দিকে আকাশি কালার দিয়ে দিলাম।

➤সপ্তম ধাপে বট গাছের পাতাগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম।

➤অষ্টম ধাপে বট গাছের গায়ে কালার করে নিয়েছিলাম।

➤নবম ধাপে ঘরগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং সাথে খড়ের যে গাদা মতো দেখতে অঙ্কন করেছিলাম সেটাতেও কালার করে দিয়েছিলাম।

➤দশম ধাপে মেঘের মতো দেখতে দৃশ্যটাতে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর খেজুর গাছটির গায়ে কালার করে নিয়েছিলাম।

➤একাদশ ধাপে খেজুর গাছের পাতাগুলো তৈরি করে কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের গোড়ায় ঘাসের মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম কালার পেন্সিল দিয়ে একবারে ।

➤দ্বাদশ ধাপে নদীর মতো দেখতে যে শেপটা তৈরি করেছিলাম সেখানে হালকা কালার দিয়ে জলের মতো দেখতে বোঝাতে চেয়েছি। এরপর খেজুর গাছে ওঠা ব্যক্তিকে এবং হাড়িটিকে কালার করে নিয়েছিলাম।

➤ত্রয়োদশ ধাপে নিচে দাঁড়িয়ে থাকা আরো একজন ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে কালার করে দিয়েছিলাম।

➤চতুর্দশ ধাপে যে দুইজন ব্যক্তি আগুন জ্বালিয়ে বসেছিল তাদের কালার করে নিয়েছিলাম।

➤পঞ্চদশ ধাপে রাস্তার দিকটা একটু কালারফুল করে নিয়েছিলাম যাতে পরিবেশটা আরো সুন্দর লাগে দেখতে ।

➤ষষ্ঠদশ ধাপে আগুন জ্বলছিল সেটাকে কালার করেছিলাম এবং সাথে যে লাঠিগুলোর দ্বারা আগুন জ্বালানো হয়েছিল সেগুলোতেও কালার করে দিয়েছিলাম।

আর্ট বাই, @winkles

শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

আজকের ছবিটা কিন্তু একদম সময়োপোযোগী আঁকা হয়েছে দাদা। এই দৃশ্য গুলো সাধারণত গ্রামে উপভোগ করা যায় সবচেয়ে বেশি। অনেক ছোটবেলাতে মামার বাড়িতে এরকম আগুন পোহাতাম শীতকালে। খেজুরের রস যে কবে খেয়েছি শেষ মনে করতে পারছিনা। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপনার ছবি দেখে দাদা। অনেক সুন্দর লাগছে সবকিছু।

 3 years ago 

এই দৃশ্যগুলো আগে গ্রামে আমিও বেশ উপভোগ করতাম, এখন আর সেটা হয়ে ওঠে না। গ্রামে আগে যখন শীতকালে আগুন পোহাতো তখনকার দৃশ্যটা ছিল চমৎকার, কিন্তু এখন সেগুলো কমে যাচ্ছে দিন দিন। আমারও মনে নেই কবে খেয়েছি খেজুরের রস হা হা ।

 3 years ago 

দাদা এটি আমাদের গ্রামের মতোই হয়েছে পুকুর পারে খেজুর গাছে আর তাতে গাছিরা রস বাধাতে আসে আমি মাঝে মধ্যে খুব আগ্রহ নিয়ে এটা দেখি।।

আপনার অংকন প্রফেশনাল অংকনের মতো হয়েছে দাদা খুব গুছিয়ে ধাপ গুলো উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো

 3 years ago 

গ্রামে কিন্তু এই গাছি শব্দটা বেশ প্রচলিত ছিল আগে। শীতকাল পড়তেই গ্রামের গাছিদের হিড়িক পড়ে যেত। কাটার সময় দেখতে বেশ ভালো লাগতো দৃশ্যগুলো।

 3 years ago 

জী দাদা আমাদের এখানে এখনো আভহে গাছিরা।এদের নিয়ে একটা পোস্ট লিখবনে।

সত্যিই অসাধারণ একটা গ্রামের শীতকালের দৃশ্য আট করেছেন ভাইয়া। আগুন ধরিয়ে হাত গরম করানো এবং খেজুরের গাছের রস পাড়ানো সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা চিত্র। আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম একটা সুন্দর চিত্র আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

গ্রামের পুরানো দিনের চিত্র কে মনে করলাম আর সেই মতে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। গ্রামের এইসব আগের দৃশ্যগুলো শুধু মনে পড়ে। সব থেকে দারুন দৃশ্য ছিল যখন গাছের থেকে খেজুরের রস পাড়া হতো।

 3 years ago 

বাহ আপনার গ্রামের দৃশ্যটি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ।শীতকালের গ্রামের দৃশ্য হুবহু এরকমই হয় যেটি আপনি খুবই সুন্দর করে এঁকেছেন। এত সুন্দর করে কি করে আঁকলেন আমি সেটাই চিন্তা করছি ।চোখের সামনে যেন আমি গ্রামীণ জীবনের শীতের দিন দেখতে পাচ্ছি। আপনি খুবই সুন্দর আর্ট করেন সেটি দেখে বুঝতে পারছি ।প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর করে দেখিয়েছেন যেটি আপনার পোস্ট কে আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে ।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

গ্রামের এই দৃশ্যগুলো এখন শুধু স্মৃতিবিজড়িত হয়ে রয়ে গেছে। এইরকম সময় এখন আর গ্রামের দিকে দেখা যায় না তেমন। গ্রামের সেই ফেলে আসা দিনগুলো মনের মধ্যে তৈরি করলাম আর সেইভাবে আঁকানোর চেষ্টা করলাম জাস্ট।

 3 years ago 

খেজুর গাছ দেখে খেজুরের রস খেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু আফসোস আমাদের শহরের দিকে খেজুরের রস পাওয়া যায় না বললেই চলে। আপনার দৃশ্যটি অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে দেখতে। আমার কাছে দেখে খুব ভালো লাগলো।

 3 years ago 

শহরের দিকে কিছুই পাওয়া যায় না এসব, তবে যেগুলো পাওয়া যায় এর মধ্যে সেগুলোর মধ্যে আবার ভেজাল। আগে গাছের থেকে খেজুরের রস পেড়ে খাওয়ার একটা আমেজ ছিল, এখনকার বর্তমান দিনে সেগুলো নেই।

 3 years ago 

আটটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর্ট টি দেখে অনেক কিছু বোঝা যাচ্ছে ।শীতকালে খেজুর গাছ থেকে খেজুর রস পাওয়া যায় ।এবং আগুন পোহানোর দৃশ্য টি অতি সুন্দর লাগতেছে। তেমন একটা এখন আগুন পোহানো দৃশ্য দেখা যায় না।

 3 years ago 

সহজভাবেই উপস্থাপন করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এটা ঠিক কথা বলেছেন যে গ্রামে এখন আগেরকার মতো এইসব দৃশ্য দেখা যায় না। গ্রামের মানুষও এখন সব ডিজিটাল সিস্টেম এর মধ্যে ঢুকে গেছে।

 3 years ago 

গ্রামে রূপবৈচিত্র্যে শেষ নেই। তবে আপনার অঙ্কিত চিত্রের মাধ্যমে গ্রামের শীতকালের রূপটি আপনি খুব সুন্দর করে অঙ্কন করতে পেরেছেন। তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এবং কি আপনি অনেক সুন্দর করে চিত্র টি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার শীত কালের চিত্র অংকন এর বর্ণনা দিয়েছেন। খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া সত্যিই এমনটাই হয়। আপনার এই চিত্র দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। চাইলেও আমরা ওই দিনে ফিরে যেতে পারব না। আমাদের পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 3 years ago 

হ্যা এইসব দৃশ্যগুলো গ্রামে আর দেখা যায় না। এগুলো এখন আমাদের মাঝে স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে। গ্রামে আগে যে একটা শীতকালীন আমেজ থাকতো, এখন খুবই কম দেখা যায় সেটা সবার মাঝে।

 3 years ago 

ভাইয়া আপনার গ্রামের দৃশ্যটি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। আপনার আজকের এই গ্রামের দৃশ্যের মধ্যে আপনি শীতকালকে তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর করে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার অঙ্কিত গ্রামের দৃশ্যটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

হ্যা অঙ্কনের মাধ্যমে গ্রামের শীতকালীন দিনের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এই আর কি। এখন তো সেই সময়ের মুহূর্তগুলো খুঁজে পাওয়া যায় না কারো মধ্যে। তাই সেটাকে একটু উপস্থাপন করলাম সহজভাবে।

 3 years ago 

ঠিকই বলেছেন দাদা
দৃশ্যগুলো একদম গ্রামের পুরনো এবং শীতকালের রূপকে নিদর্শন করে।

আগের মানুষ যেমন আগুন ধরে সকালের শীত নিবারণ করত এবং খেজুরের গাছ থেকে রস আহরণ করত সেই দৃশ্যগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার অংকন এর মাধ্যমে।

যেমন সুন্দর চিত্র অংকন করেছে তার থেকেও ভালো ব্যবহার করেছেন অসাধারণ রং। যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

সময় দিয়ে সুন্দর কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

 3 years ago 

আগে গ্রামের দিকে শীতকালে সবাই আগুন জ্বেলে শীত নিবারণ করতো আর গল্পগুজব করতো কিন্তু আজকের দিনে তেমন দেখা যায় না। খেজুর গাছের থেকে রস নামানোর দৃশ্যগুলো যদিও এখনো আছে কিন্তু তাও যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই আমিও পুরানো সেই স্মৃতিকে মনে করে অঙ্কন করে ফেললাম।

 3 years ago 

ঠিক বলেছেন দাদা। শীতের আমেজ এখন আর খুব একটা লক্ষ করা যায়না।
আগে শীতকালে অনেক আনন্দ এবং এনজয় করতাম শীতকাল। গ্রামে বলুন আর শহরে বলুন এই দৃশ্যগুলো এখন সত্যি সত্যি আর চোখে পড়ে না।

অংকটি সত্যিই অসাধারণ ছিল এবং অনেক অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।

শুভকামনা রইল সব সময়

 3 years ago 

দাদা, অসম্ভব সুন্দর একটি চিত্রাঙ্কন করেছেন। কালার করার পর আরো বেশী সুন্দর লাগছে। প্রতিটি ধাপ অনেক স্পষ্ট ভাবে দেখিয়েছেন। দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা।

 3 years ago 

গ্রামের পরিবেশটাকে কালার দিয়ে একটু কালারফুল করে দিলাম। ধাপগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করা আছে যাতে সবাই বুঝতে পারে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65317.17
ETH 2646.03
USDT 1.00
SBD 2.86