টিনটিন সোনার ( ভাইপো ) জন্মদিন উপলক্ষে / ২৬.০৯.২০২১|| ( Benificiary 10% @shy-fox )

আজকে খুবই একটা স্পেশাল দিন গেছে। আজ আমাদের টিনটিন সোনার জন্মদিন ছিল। আমাদের টিনটিন সোনার জন্মদিন খুব ধুমধাম করে সবসময় করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই করোনা মহামারীর কারণে এই দুই বছর আমরা সতর্কতা অবলম্বন করে বাইরের কাউকে আর ইনভাইট করিনি, নিজেরাই আনন্দ উৎসব করে টিনটিন সোনার জন্মদিন পালন করেছি।

টিনটিন সোনাকে ভালোবেসে আমি বা আমরা সবাই আরো বিভিন্ন নামে ডেকে থাকি। আজ টিনটিন সোনার জন্মদিন উপলক্ষে সকাল থেকে অনেক কেনাকাটা করলাম সবাই মিলে। প্রথমে আমরা সকালে আধো আধো ঘুম চোখে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে মটন কিনতে গেলাম আমাদের এখানে কলোনি মোড় থেকে একটু ভিতরের দিকে, এখানে একটু দূর হলেও মাংস ভালো পাওয়া যায় বলে আমরা সবসময় ওখানে গিয়ে কিনে নিয়ে আসি।

যাইহোক ওখানে ১৫ মিনিট লাইনে অপেক্ষা করে মাংস নিতে হলো, কারণ আজকে আমাদের এখানে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে মাংসের দোকানে ভীড় হয় খুব। এরপর সেখান থেকে মটন কিনে তালবান্ধায় গিয়েছিলাম দেশি মুরগি কিনতে। এই জায়গাটায় দেশি মুরগি পিওর পাওয়া যায় এবং তারা মোটামুটি জল গরম করে একেবারে লোম ফেলে কেটেকুটে দিয়ে দেয়।

এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগে সেখানকার। যাইহোক এরপর সেখান থেকে মুরগি কিনে এবং আরো কিছু সামগ্রী কিনে আমরা বাড়ির দিকে চলে আসলাম। একটু রেস্ট নিয়ে সব মাংস ধুয়ে নিলাম। ধুয়ে নেওয়ার পরে বৌদি মেরিনেট করে রেখে দিয়েছিলো । এর মাঝে হালকা পাতলা ঝড় বৃষ্টি উঠেছিল, ভাবলাম আর বাড়ি গিয়ে লাভ নেই। তাই দাদার এখানেই স্নান করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ঘন্টা দুইয়ের মতো।

এরপর সন্ধ্যার দিকে আমাদের আরো কিছু টুকিটাকি কাজ ছিল যেমন কেক নিয়ে আসা, বেলুন নিয়ে আসা এই আর কি। কেক আর বেলুন মোটামুটি একেবারেই নিয়ে এসেছিলাম দোকান থেকে এবং দুইজন মিলে বেলুন সব ফুলিয়ে বেঁধে সব জায়গায় সাজিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মোটামুটি রাত ৯ টা বাজতেই আমাদের টিনটিন সোনার জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়ে গেলো। সবাই মিলে টিনটিন সোনার সাথে খুব ইনজয় করলাম সময়টা।

এরপর টিনটিন সোনাকে আমরা সবাই জন্মদিনের কেক খাওয়ালাম। এরপর আমরা সবাই একটু করে কেক আর পায়েস খেয়ে নিলাম এবং কিছুক্ষন বসে সবাই গল্প করার পরে মোটামুটি রাত ১১ টার দিকে খাওয়াদাওয়া শুরু করলাম, এটা সাধারণত আমাদের জন্য তেমন রাত না কারণ সবসময় এইরকম টাইম এ খাওয়া দাওয়া করা হয়। যাইহোক খেতে বসে মটন আর মুরগির মাংস দিয়ে কবজি ডুবিয়ে খেলাম কিন্তু খেয়ে চিত হয়ে পড়েছিলাম। ১ ঘন্টা ধরে শুয়ে গড়িয়ে কিছুটা হজম মতো করে দাদার ওখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম রাত পনি ১ টার দিকে।

রাস্তা দিয়ে আসার সময় একটা মজার ঘটনা বলি, পুরো রোড ধরে বাড়ির কিনারা অব্দি ঠিকঠাকই এসেছিলাম কিন্তু আমাদের পাড়ায় কিছু ডগ আর্মি থাকে যারা সারা রাত রাস্তা পাহারা দেয়😀। মোটামুটি তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বোর্ডার পার করা অর্থাৎ আমার বাড়ি অব্দি পৌঁছাতে গলা শুকিয়ে যায়। দেখলেই চিল্লিয়ে ওঠে আর গায়ের দিকে ছুটে আসে। যাইহোক এরপর মোটামুটি ডগ আর্মিগুলোকে কাটিয়ে বাড়ি অব্দি পৌঁছে গেছিলাম।

আমাদের টিনটিন সোনার জন্মদিন এখানেই ইন্ড হয়ে গেলো। সামনের বছর আবার হবে।