টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - রিএন্ট্রি ( পর্ব ২ -সিজন ১)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজের সিজন ১ এর দ্বিতীয় পর্ব "রিএন্ট্রি" রিভিউ দেব। গত পর্বে লাস্ট এ দেখা গিয়েছিলো যে প্লেনে যারা ১৯১ জন যাত্রী ছিল তাদের মাঝে মধ্যে একটা মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিলো এবং রাতে সেই প্লেনটির পাশে যায় সবাই আর হঠাৎ করে এক সাইডে ব্লাস্ট হতে দেখা যায়। আজকের রিএন্ট্রি পর্বে দেখা যাক কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
রিএন্ট্রি
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( ২য় পর্ব -সিজন ১ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


❦মূল কাহিনী:❦


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

আগের পর্বের লাস্টে যে দেখেছিলো প্লেনের একটা সাইড ব্লাস্ট হয়েছে কিন্তু সেটা না, পুরো বডিই জ্বলে খার হয়ে গেছে প্লেনটির। সেখানে দমকল বাহিনী চলে আসে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে বেশ খানিক্ষন ধরে। তাছাড়া সেখানে FBI এজেন্টরাও আছে বিষয়টা খুঁতিয়ে দেখতে। সেখানে তারা ইনভেস্টিগেশন করে আর সেই ৮২৮ নম্বর প্লেনের ১৯১ জনের মধ্যে যে ২০ জন ওখানে ঘটনাস্থলে ছিল তাদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে কিছু বিষয় মানে প্লেনের বিষয়টা। মেলিসা আর জোশও সেখানে ছিল আর তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কিন্তু তারা না করে দেয়। এরপর সেখান থেকে তারা চলে আসে। জোশ বাড়ি আসার পরে তার স্ত্রী এথেনা আর তার ছেলে জ্যাককে নিয়ে ডক্টরের সাথে দেখা করতে যায় এবং ডাক্তার জ্যাককে নিয়ে কিছু টেস্ট করাতে যায় এবং জোশ সেখান থেকে প্লেনে ভ্রমণ করা অন্য একজনের সাথে দেখা করতে যায় যে গিটার এ একটা অদ্ভুত ভায়োলেন্স করতে লাগে আর সেইটা শোনার পরে জোশ এরও একটু অস্বস্তিবোধ হতে লাগে। জোশ তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে প্রতিদিনই যেন আমার মাইন্ড চেঞ্জ হচ্ছে , ভীষণ সমস্যার মধ্যে আছি বলে হেল্প করতে বলে। এদিকে মেলিসা তার অফিসে যাওয়ার পরে ভিক্টোরিয়া নামে এক মহিলাকে দেখতে পায় যে মেলিসা এর সাথে দেখা করতে আসে কিন্তু মেলিসা তাকে দেখে কেমন যেন আনইজি ফিল করে আর তার সাথে না দেখা করার ভান করে সেখান থেকে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

গিটার বাজানো সেই লোকটিকে যখন জোশ জিজ্ঞাসা করেছিল যে কিভাবে হেল্প করতে পারি তখন লোকটি বলেছিলো যে আমার ছেলে জেলে আছে ফলে তাকে ছাড়াতে চাই। লোকটি যখন নিউইয়র্ক থেকে জ্যামাইকা শহরে গিয়েছিলো তখন কোনো একটা অফিস ঘটিত ঘটনায় তাকে পুলিশ ধরে আনে । এরপর সে ওই কাহিনীটা আরেকবার বলে এই ঘটনায় ৫বছর হয়ে গেছে যে আমি আমার ছেলেটিকে দেখতে পাইনি। এরপর জোশ আর ওই লোকটা জেলে যায় তার ছেলের সাথে দেখা করতে কিন্তু সে তার ছেলেকে দেখে অনেক কষ্ট পায় কারণ তার মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছিলো, পুলিশ এর লাঠি চার্জে এই অবস্থা হয় । এরপর তার ছেলেও তাকে দেখে অবাক হয় কারণ সেও ভেবেছিলো যে তার বাবা মারা গেছে। এরপর টেলিফোন এর মাধ্যমে দুইজনে কিছুক্ষন কথপোকথন করতে লাগে আর তাকে ছাড়ানোর জন্য প্রানপন লড়াই করবে বলে চলে যায়। এরপর মেলিসা অফিসে রামিরেজ এর সাথে বলতে লাগে ওই ভিক্টোরিয়া নামক মেয়েটির ব্যাপারে মানে সেদিন কথা না বলে কেন এভোইড করে চলে গেছিলো আর এতে রামিরেজ এর মনে হয়েছিল রাগান্বিত হয়ে চলে গেছিলো।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

মেলিসা অফিস থেকে এরপরে বাড়ি চলে আসে আর সবাই একসাথে আনন্দ করতে লাগে। মেলিসা থাকতো মূলত জোশদের বাড়িতে। জোশ এর স্ত্রী এথেনা লাস্ট ৫ বছরের মধ্যে অন্য কারো উপরে ডিপেন্ডেড হয়ে পড়ে আর তার সাথে ধীরে ধীরে রিলেশন এ চলে যায় আর এইটা তার বড়ো মেয়ে জানতো। এখন একদিন কথা বলার সময় মেলিসা দেখে ফেলে আর তখন তারও খারাপ লাগে যে নিজের হাসব্যান্ড থাকতে অন্য আরেকজনের সাথে রিলেশনে কিভাবে যেতে পারো। এথেনা মূলত ওই ৫ বছরে কোনো উপায় না পেয়ে এই সমস্যার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে আর সেও জানতো না যে জোশ আর ফিরে আসবে ফলে এই সমস্যাটা এখন খাড়া হয়ে গেছে। এথেনা এখন এই বিষয়গুলো থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে সেটা বুঝতে পারছে না কারণ একদিকে জোশ আরেকদিকে ওই লোকটা যার সাথে রিলেশন। যাইহোক এরপর দেখা যায় জোশ তার ছেলে জ্যাককে নিয়ে আবার ডক্টরের সাথে দেখা করে আর তাকে সেই ডক্টরের কাছে রেখে ওই সেই আদ্রিয়ান নামক লোকটির সাথে জেলে যায় তার ছেলের সাথে কথা বলতে কিন্তু লোকটি এমন একটা কথা বলে যে তার ছেলে বেশি লাউড করে ফেলে আর পুলিশ আর কথা বলতে দেয় না টেনে নিয়ে চলে যায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ আর তার বড়ো মেয়ে একটা মল মতো জায়গায় যায় কিছু আনার জন্য। সেখানে যেতে যেতে জোশ এর আবারো ব্রেনে একটু সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ যখন কোনো সাউন্ড ঘটিত কোনো প্রব্লেম হয়ে পড়ে। এরপর সে তার মেয়েকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে দেখতে যায় কথার থেকে সাউন্ড আসছে। দেখতে দেখতে একটা কর্নারে উইল নামক একটা লোককে দেখতে পায় আর সেই এইটা করছিলো। এরপরে জোশ তাকে একটু মারধর করে আর সেখানে পুলিশ ডেকে আনে সাথে মেলিসাকেও। এরপর লোকটাকে ধরিয়ে দিয়ে তারা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। জিনিসগুলো ছিল খেলনা যেটা জ্যাকের জন্য নিয়েছিল। এরপর তার স্ত্রী এথেনা এর রিলেশন এর ব্যাপারে জোশকে জানায় আর জোশ কিছু মনে করিনি বরং পুনরায় তারা দুইজন আবার আগের মতো নরমাল জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করে। মেলিসা একদিন ভিক্টোরিয়া নামে সেই মহিলার সাথে দেখা করতে যায় আর আগেরদিনের ওই ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চায়।


❦ব্যক্তিগত মতামত:❦

এই পর্বে আদ্রিয়ান লোকটার বিষয়টা বেশি ফুটে ওঠে কারণ তার ছেলের ওই জেলার কাহিনীটা ছিল দুঃখজনক যেটা অনেক স্ট্রাগল করে শেষপর্যন্ত ছাড়িয়ে নেয়। এটা মূলত ওই ৫ বছরের সময়ে অফিসে কাজ করার সময় কোনো ফেক বিষয় ঘটিত সমস্যার জন্য তার নামে কেস হয়ে যায় ফলে বিগত ৩ বছর কারো কোনো দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ার কারণে জেলের মধ্যেই থাকতে হয়। শেষে তার বাবা আর জোশের সাহায্যে বের করতে পারে। আর এদিকে মেলিসা প্লেন থেকে নামার পরে তার বাবার কাছে জানতে পেরেছিলো যে তার মা আর বেঁচে নেই। পরে তার বাবা ভিক্টোরিয়া নামের মহিলাটিকে বিয়ে করেছিল যার জন্য মেলিসা নিজের বাড়িতে না গিয়ে জোশদের বাড়িতে থাকতো। পরে একদিন মেলিসা যখন তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখছিলো তখন সেখানে বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন বিষয়ে উইশ করার পোস্ট পড়ে ছিল যেটা দেখে সে আরো আবেগী হয়ে পড়ে আর কেঁদেও ফেলে , আর এইটা মূলত করেছিল ভিক্টোরিয়া। তাই এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে ওইদিন আর দুইজনই সব বিষয়গুলো বুঝতে পেরে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলে। সাধারণত প্লেনে থাকার সময় কেউ যোগাযোগ করতে পারিনি তাদের সাথে একটা কারণে সেটা হলো নেটওয়ার্ক এর কোনো সার্ভিসই তাদের ফোনে ছিল না ফলে উভয়পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ ছিল না। তারা মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করতে গেলেও নেটওয়ার্ক এর জন্য করতে পারিনি আর তারা নিজেও জানতো না কত বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এরপর আবার জোশ আর তার স্ত্রী এথেনার বিষয়টাও ক্লিয়ার হয়ে যায় অর্থাৎ এখানে সবার জীবনে যে একটা এলোমেলো ভাব চলে এসেছিলো সেটা ধীরে ধীরে নরমাল লাইফে আসছে।


❦ব্যক্তিগত রেটিং:❦
৭.৩/১০


❦ট্রেইলার লিঙ্ক:❦


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

হলিউড বলে কথা।কিছুই আগে থেকে আন্দাজ করা যায় না না দেখে।কাহিনীর জটিলতা ও রহস্য বেড়ে যাচ্ছে।প্লেনের বডি জ্বলে ছারখার হয়ে যাওয়ার পর ও কিভাবে এতগুলো মানুষ বেঁচে ছিল এটাই আশ্চর্যজনক আমার কাছে।তবে কথায় আছে-বিপদ যখন আসে চারিদিক দিয়েই আসে কারন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য তারা যোগাযোগ করতে পারে নি।5 বছরে পৃথিবীর মানুষ পরিবর্তন হয়ে গেছে বদল ঘটেছে অনেককিছু।কাহিনীটি খুবই সুন্দর, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা,ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

গত পর্বের মতো এবারের পর্বের টিভি সিরিজ রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একটি দুর্ঘটনা সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। প্রত্যেকের জীবনে ভিন্নতা এনে দিয়েছে। পাঁচ বছরে অনেক কিছুই বদলে গেছে। কিন্তু তারা এই পাঁচ বছরে নিজেকে বদলাতে পারেনি। হয়তো সেই সময়ের গণ্ডির মাঝেই এখনো আটকে আছে তারা। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা হচ্ছে। হয়তো সময় বদলে গেছে কিন্তু তারা মানসিকভাবে নিজেকে বদলাতে পারছে না। কারণ তারা এখনো বুঝতে পারছে না তারা কতটা সময় অতিবাহিত করেছে। এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু আমার কাছে দারুণ লেগেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

আমি সাধারণত ইংলিশ এই মুভি গুলো দেখি না। তবে তামিল ছবি প্রায় দেখি। কিংবা পুরাতন ভারতীয় বাংলা। উত্তম কুমার সাগরিকা সেন আমার সেরা জুটি।

 2 years ago 

এমন একটি টিভি সিরিজ রিভিউ রিভিউ করা বড়ই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিশেষ করে মানুষের নামগুলো ইংরেজি হওয়ায় ঘটনাটি স্মরণ রাখা একটু জটিল মনে হচ্ছে আমার কাছে। আমার কাছে কিছুটা ট্রাজেডিভ সম্পন্ন মনে হয়েছে এইজন্য যে পাঁচটি বছর তারা আলাদা আলাদা ছিল পাঁচটি বছর পরে যখন একত্রিত হওয়ার প্রয়াস জেগেছে ঠিক তখনই তাদের মধ্যে অন্যরকম একটি সমস্যা সৃষ্টি হতে গিয়েছে।মেলিসার বাবার দ্বিতীয় বিবাহটা আমার কাছে খারাপ মনে হয়নি কারণ তিনি তো নিশ্চিত ছিলেন তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। যাই হোক আপনার এত সুন্দর রিভিউ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে এত বড় ঘটনা এত সুন্দর শর্ট সাইজে রিভিউ করে দেখাতে পেরেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগলো তাই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago (edited)

ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজের সিজন ১ এর দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এই টিভি সিরিজটি আমি এর আগে কখনো দেখিনি তবে আপনার রিভিউ টি পড়ে আমার কাছে গল্পটি ভীষণ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। পাঁচ বছরের সময়ের ব্যবধানে কত কিছুই না ঘটে গেল সবার জীবনে। খুবই অসাধারণ একটি গল্প নিয়ে তৈরি এই সিরিজটি। তবে এমন পর্ব আকারের সিরিজ গুলোর রিভিউ দেওয়া আমার কাছে খুবই কষ্টকর মনে হয়। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে এই টিভি সিরিজটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago (edited)

দাদা আপনি আমাদের মাঝে নিত্যনতুন অনেক মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন। যেসব মুভিগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আজ যে টিভি সিরিজটি আপনি আবার নতুন করে নিয়ে হাজির হয়েছেন এর দ্বিতীয় পর্বে যা বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা আসলেই অদ্ভুত। এখানে পাঁচ বছরের সময় অফিসে কাজ করার সময় কোন ফ্যাক্টরিতে একটা সমস্যার কারণে যে কেস হয়েছে তারা তিন বছর কারো কোন সাক্ষাৎ দেখা না হওয়ার কারণে জেলের মধ্যে থাকতে হয়েছে ব্যাপারটি আসলেই অদ্ভুত লেগেছে আমার। পরবর্তী পর্বে আসল রহস্য দেখা যাবে।

 2 years ago 

ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজের সিজন ১ এর দ্বিতীয় পর্বের রিভিউ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দাদা। পাঁচ বছর অনেক সময়। তাই বেশির ভাগের ফ্যামিলি তাদের ভুলে গিয়ে নতুন কারো সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। বিপদ তখনই ঘটেছে যখন পাঁচ বছর পর আবার সবাই ফিরে এসেছে। তাছাড়া ধীরে ধীরে আবার সবাই স্বাভাবিক হচ্ছে । এখন দেখার বিষয় যে সবার মাথায় যে একটা সমস্যা হচ্ছে তার কি কারণ। তাছাড়া প্লেনটি নেটওয়ার্ক এর কারণে যোগাযোগ করতে পারেনি তার জন্যই মূলত আসল সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এই পাঁচ বছর প্লেনটি কোথায় ছিল তার জট গুলো খোলা বাকি রয়েছে। খুব ভালো লাগছে রিভিউটি পড়তে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

সর্বপ্রথম কথা হলো আপনি এই বিষয়টিকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আমাদের মাঝে।অনেকেই হয়ত এইরকম রিভিউগুলো গুছিয়ে লিখতে পারে না বা সম্পূর্ণভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে না।কিন্তু আপনার করা সবগুলো রিভিউ পোস্ট পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছিল,কারণ পড়তে পড়তেই মনে হচ্ছে যেন দেখতে পাচ্ছি।যাইহোক আজকের এই ম্যানিফেস্ট সিরিজের ২য় পর্ব পড়ে একটি বিষয় খুবই খারাপ লাগলো, ৫ বছর সময়ের ব্যবধানে কতকিছুই ঘটে গেল সবার জীবনে।কারো জীবনে নতুন সঙ্গী চলে এলো। ছেলে জেলে থেকে করুণ পরিস্থিতির স্বীকার হলো। পুরোটা পড়ে বেশ ভালোই লাগলো দাদা।

 2 years ago 

ম্যানিফেস্ট - রিএন্ট্রি সিজন ওয়ানের দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে আমার এতটাই ভাল লেগেছে মনে হচ্ছিল সামনে থেকে দেখছি। আমি নিজেও মনে হচ্ছে গোলক ধাঁধায় পড়ে গেলাম। শুধু মনে হচ্ছে এই পাঁচ বছর ছিল কোথায় সেটা কি কোন টাইম ট্রাকে আটকে গিয়েছিল। নাকি অন্য কিছু এরকম নানা প্রশ্ন মনে উকি দিচ্ছিল। যাইহোক শেষ পর্যন্ত এটা যেন ভালো লেগেছে তাদের এলোমেলো জীবন গুলো নরমাল হতে শুরু করেছে। তবে ফেসবুক প্রোফাইল চেক করে পাস বছরে উইশ করা পোস্ট গুলো দেখতে পেয়ে খুব ভালো হয়েছে। আমার কাছেও এই বিষয়টা পড়তে খুব ভালো লেগেছে। এতটুকু অংশ পড়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে সামনে আরও রোমাঞ্চকর কিছু অপেক্ষা করছে। দাদা রিভিউটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

দাদা আমি কষ্ট করে ধৈর্য নিয়ে পড়লাম কত বড় কাহিনী।আমি বেশ অলস, আমি এক মুভি ৩/৪ লাগিয়ে দেখি।যাই হোক বেশ ইন্টারেস্টিং মুভি।৫ বছরে আসলে অনেক করে কথা কিছু বদলে যায়।নেটওয়ার্কের কারনে প্লেনে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।৫ বছর কোন এক ঘটনার কারনে জেলে নিয়ে যায়।সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66984.19
ETH 2613.30
USDT 1.00
SBD 2.67