ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নকল হিরে-নিভৃতে এবং ফিরে দেখা ( পর্ব ৩ & ৪)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সামনে আবারো ওয়েব সিরিজ রিভিউ তে ফিরে আসলাম। আজকে "নকল হিরে" সিরিজটির তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। আজকের পর্ব দুটির নাম হলো নিভৃতে এবং ফিরে দেখা। আগের পর্বে শেষের দিকে দেখা গিয়েছিলো ফ্যাক্টরিতে একজন কর্মচারীর হঠাৎ এক্সিডেন্ট হয়েছিল এবং পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলো। তবে রহস্য উদঘাটন তেমন কোনোকিছুই বোঝা যায়নি ওই পর্বে, আজকে দেখা যাক এই দুই পর্বে কি হয়।
এখানে দেখা যায় তুহিনা পরেরদিন একদম কাগজে-কলমে পাকাপোক্ত গোয়েন্দা হয়ে থানায় যায় দীপান্বিতার সাথে দেখা করতে এবং সেখানে সে তার উকিলকেও সাথে নিয়ে যায়। মূলত সেখানে দীপান্বিতার সাথে তার স্বামীর এক্সাক্টলি কি সমস্যা হয়েছিল এইগুলো জানতে গিয়েছিলো কারণ তার বাবা একরকম বলছে আবার মেয়ে আরেকরকম বলছে। দীপান্বিতার বক্তব্য তার স্বামী পিস্তল নিয়ে ঘুরতো আর প্রতি রাতে নেশা করে এসে খারাপ ব্যবহার করতো কিন্তু তুহিনা বলে তার বডির পাশে একমাত্র হীরের আংটি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। আর এই কথা বলতেই দীপান্বিতার মাথা গরম হয়ে যায় আর খুবই বাজে ব্যবহার করে চলে যায় কথা না বলে। এরপর তুহিনা আর তার বন্ধু এই কেসের ইনচার্জ পুলিশ অফিসারটির কাছে যায় এবং ক্রাইম স্পটের থেকে পাওয়া কিছু ইনফরমেশন জানার জন্য কিন্তু পুলিশ অফিসারটিও তেমন তেদড় মার্কা কিছুইতেই বলতে চায় না বরং আরো দেমাগ নিয়ে কথা বলে তাদের সাথে, এরপর তারা সেখান থেকে চলে যায়।
তুহিনা আর তার পুলিশ বন্ধুটা থানার থেকে বাড়ি চলে আসার পরে তারা সবাই বাড়িতে বসেই এই বিষয়গুলো আলোচনা করছিলো যে এরপরে কিভাবে কি করা যায়। প্রতাপ এর কাছ থেকে যে হীরের আংটি পাওয়া গিয়েছিলো সেটা ও নিজে কিনেছিলো না ভাড়া করা সেটাও একটা সন্দেহের তালিকায় আসে। এরপর তুহিনা প্রতাপের একজন পরিচিতের সাথে দেখা করতে যায় এবং সেখানে তার কাছে প্রতাপের সম্পর্কে জানতে চায় যে সে এলকোহল খায় কিনা বা অন্য কোনো বাজে স্বভাব আছে কিনা, তো সে কনফিডেঞ্চ এর সাথে বলে যে না ওসব কিছুই খায় না বরং আর স্ত্রীর সমস্যা ছিল বেশি যার কারণে এইসব সমস্যা হয়। এরপর তুহিনা তার স্বামী ইন্দ্রাশিস আর তার পুলিশ বন্ধুকে বলে যে কোনো বার এ গিয়ে খোঁজ নিতে যে প্রতাপ সেখানে গিয়ে এলকোহল খেত কিনা। তারপর সেখানে বললো হ্যা এখানে আসতো আকাশ বলে একজনের সাথে। আর সেই লোকটা ওখানে ছিল তাদের দেখে পালাতে লাগলে তারা ধরে ফেলে।
লোকটাকে ধরার পরে তারা বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার কাছ থেকে ইনফরমেশন নিতে চায়। তারপর সে তাদের সবকিছু খুলে বলতে লাগে। প্রতাপের চেনাপরিচিত ছিল এই লোকটা। আর এই লোকটাকে দীপান্বিতার পিছনে ফ্লো করার জন্য রেখেছিলো যে সবসময় বাইরে কোথায় যায়, এটা একটা সন্দেহের উপরে। এরপর দীপান্বিতা একটা বস্তির ভিতরে একজনের সাথে দেখা করতে যায় আর এই আকাশ লোকটা ছবি তুলে নেয় আর প্রতাপকে জানায়। প্রতাপ এসব দেখে ভুল বুঝে নেশা করে বাড়ি এসে রাগারাগি করতে লাগে আর এই নিয়ে মূল সমস্যাটা বাধে। তবে দীপান্বিতার আগে আরেকটা বিয়ে হয়েছিল এবং যার সাথে দেখা করতে যেত ৫ মিনিটের জন্য সে ছিল তার এক্স হাসব্যান্ড। এখন এই বিষয়টা তাদের সামনে বড়ো ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এদিকে তুহিনা আর দীপান্বিতার উকিল কে নিয়ে থানায় সেই অফিসারের সাথে পুনরায় দেখা করে এবং তখন সবকিছু আবার ইনফরমেশন দিয়ে দেয়।
তুহিনা পুনরায় দীপান্বিতার বাড়িতে তার বাবার সাথে কথা বলতে যায় কারণ পুরো বিষয়টা সে লুকিয়েছে, কিছু কিছু ইনফরমেশন তাকে দেয়নি। ফলে পুনরায় তাকে সব ইনফরমেশনগুলো দিতে বলে মানে প্রথম থেকে যেসব ঘটনা ঘটেছে। মূলত দীপান্বিতার স্কুল লাইফে পড়ার সময় একজনের সাথে সম্পর্ক ছিল আর তার বাবা জেনে যাওয়ায় সে একদিন বাড়ির থেকে পালিয়ে গিয়ে তার সাথে বিয়ে করে। তার বাবা পরে জানতে পারলে পুলিশ ডেকে নিয়ে লোকটাকে ধরিয়ে দেয় আর তারপর তাকে বাড়িতে এনে পরে কয়েকবছর বাদে প্রতাপের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। আর সেখান থেকে তার বাবার উপরেও একটা রাগ আছে। যাইহোক এরপর তুহিনা আকাশের ইনফরমেশন অনুযায়ী সেই বস্তিতে খোঁজ নিতে যায় এবং ঘরে তালা দেখে চলে আসার সময় তাকে ফ্লো করার জন্য যে গাড়িটা ছিল সেইটা দেখতে পায়।
এই দুই পর্বে একটা বিষয় দেখা গেলো যে কেউ কোনো ইনফরমেশন ঠিক দিচ্ছে না অর্থাৎ এখানে একই বিষয় নিয়ে অনেকেই আলাদা আলাদা কথা বলছে ফলে বিষয়টা আরো জটিল হয়ে উঠেছে। এখানে একা প্রতাপকে সবাই খারাপ বলছিলো কিন্তু এখানে দীপান্বিতাও অপরাধী আছে কারণ সে ওই লোকটার সাথে গোপনে গোপনে দেখা করতে যেত। এখানে যে হীরের আংটি নিয়ে কথা উঠেছিল সেটা পুলিশ ডাবল চেক করার পরে দেখে যে নকল ছিল ফলে এই হীরের বিষয়টা শেষ। এখানে কেসগুলো এখনো পুরো ঘোলা আছে, রহস্যের জট খুলবো খুলবো ভাব কিন্তু খুলছে না, কোথাও না কোথাও আটকে যাচ্ছে বিষয়গুলো। তবে কেস এখনো অন্ধকারের মধ্যে থাকলেও বিষয়গুলো আস্তে আস্তে সামনে আসছে আর প্রায় প্রায় জট খোলার মুখে এসেছে। আশা করা যায় পরের পর্বে আরো বিষয়গুলো সামনে আসবে, বিষয়টা জমতে শুরু করেছে।
❦ব্যক্তিগত রেটিং:❦
৮.৭/১০
❦ট্রেইলার লিঙ্ক:❦
দাদা আপনার শেয়ার করা ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। গত পর্বের মতো এবারের পর্ব দুটিতেও বেশ রহস্যের খেলা রয়েছে। বারবার মনে হচ্ছে রহস্যের জট এই বুঝি খুলে যাচ্ছে। তবে অবশেষে সেই জট পুরোপুরিভাবে খুলছেনা। রাজনন্দিনী বা প্রতাপ কে আসলে আসল দোষী তা সনাক্ত করা খুবই মুস্কিল। তবে যাই হোক আশা করছি পরবর্তী পর্বে পুরো বিষয়টি আরও বেশি প্রকাশ্যে আসবে। দারুণভাবে এই ওয়েব সিরিজ রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য। ❤️❤️
[দাদা ,আগের পর্বে আমরা জানি রাজনন্দিনীকেধরে নিয়ে যায় পুলিশ কিন্তু এই পর্বে দীপান্বিতা কোথা থেকে আসলো আমি তো বুঝতেই পারছি না!]
দাদা আমার মনে হয় আপনার নামের ক্ষেত্রে একটু মিসটেক হয়েছে।কারণ আগের পর্বে আমরা জানি রাজনন্দিনীর স্বামী প্রতাপ ছিলেন, এই পর্বে দেখছি দীপান্বিতার স্বামী প্রতাপ।নাম খুবই রহস্যের সৃষ্টি করেছে আমার মনে, জানি না অন্যদের কি হচ্ছে।
গত পর্বে আমরা দেখি রাজনন্দিনীর স্বামীর সঙ্গে কি সমস্যা হয়েছিল সে কিছুতেই তা থানায় বলছিল না কিন্তু এখানে দীপান্বিতার সাথে তার স্বামীর এক্সাক্টলি কি সমস্যা হয়েছিল এটা দেখেই আমার মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে দাদা।তবে একটা বিষয় স্পষ্ট যে যেই হোক না কেন তার এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল এবং সে তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে মাঝে মাঝেই দেখা করতে যেত।আস্তে আস্তে রহস্যের উন্মোচন হচ্ছে, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
রাজনন্দিনী আর দীপান্বিতা একই ব্যক্তি।
ও আচ্ছা, বুঝলাম দাদা।
দাদা আজকে আপনি নকল হিরে ওয়েব সিরিজের তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। এর আগের পর্বগুলোতে রহস্য উদঘাটন বোঝা যাচ্ছিল না। এ পর্ব পড়ে একটা বিষয় খারাপ লাগছে, কেউ সঠিক ইনফরমেশন দিচ্ছেন। আর একটি বিষয় নিয়ে আলাদা আলাদা মতামত যার কারণে বিষয়গুলো আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আসলেই জটিল হবে।সঠিক তথ্য না দিলে এবং তথ্যের মিল পাওয়া না গেলে বিষয়ে আরো জটিল হয়ে যায়। যার কারণে সবই ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে দেখা যাক আগামী পর্বে কতটা কিলিয়ার হয়। সেই পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আজকের দুই পর্ব তা আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে দিচ্ছে। সিরিজের নাম "নকল হিরে"। এখানে এই নকল হিরে কে নিয়ে কোন ঘটনা ঘটছে কি না, নাকি কোন ব্যক্তি বিশেষকে নকল হিসেবে উপস্থাপন করবেন পরিচালক রোহান ঘোষ এবং অরিত্র সেন, তা আসলে আজকের দুই পর্বেও তেমন আচ করা যাচ্ছে না। দিন শেষে প্রতাপ খারাপ নাকি রাজনন্দিনী। নাকি তৃতীয় কোন বিষয় বা ব্যক্তি জড়িত। এসব কিছুর সন্ধান হয়তো আমরা পাবো আপনার রিভিউ করা এ সিরিজ থেকে।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
আগের পর্বটি পড়ে মনে হয়েছিল যে এই হীরা নিয়ে কোন কাহিনী আছে । কিন্তু এই পর্বে দেখা যাচ্ছে যে এটি নকল হীরা। এখন আবার দীপান্বিতার প্রথম বিয়ের কথা বের হয়ে আসলো। দীপান্বিতার বাবাও এখানে অনেক কিছু গোপন করেছে। আবার দীপান্বিত সেরকম ভাবে সহযোগিতা করছে না। এখন দেখার বিষয় এত প্রতিবন্ধকতার পরেও তুহিনা আসল খুনিকে বের করতে সফল হয় কিনা।
পুরো সিরিজটি রহস্যে ঘেরা মনে হচ্ছে । তাছাড়া দাদা আপনি খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করছেন । মনে হচ্ছে যে নিজেই সিরিজটি দেখছি। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই ওয়েব সিরিজ গুলো দারুন রহস্যজনক হয়। আমি মাঝে মাঝে ট্রেইলার গুলো দেখি। আজকের কাহিনী পড়ে যেটুকো বোঝা গেল মূলত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দন্দ্ব তৈরী হয় কেন সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছে এই ওয়েব সিরিজে। স্বামী খারাপ কিন্তু স্ত্রীও কম নয়। তবে এই টুকু বিষয় নয় আমার মনে হয় এর ভিতর আরো জটিল অংক রয়েছে। সেটা আগামী পর্ব গুলোতে পরিস্কার হয়ে যাবে।আপনার দেয়া ওয়েব সিরিজ গুলো পড়ে ভাল লাগে কারন দেখতে না পারলেও পড়ে মোটামুটি আন্দাজ করা যায়। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ।
এ ধরনের নাটকগুলোর আগামাথা আমি কিছুই বুঝতে পারিনা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে দেখতে হয় সব ছোটখাটো বিষয় গুলো এখানে উঠে আসে ।দীপান্বিতা এক্স হাজবেন্ড এর সাথে ৫ মিনিটের জন্য দেখা করেছিল এটা বড় একটা বিষয় হতে পারে ।আবার দেখা যায় যে এ ধরনের গল্পের ক্ষেত্রে অনেক সময় যে লোকটি একেবারে ইনোসেন্ট সেজে বসে আছে সেই আসল খুনি বের হয় ।আমার কেন জানি না বারবার শুধু দীপান্বিতার বাবার কথাই মনে হচ্ছে খুনের সাথে তার কোন রহস্য আছে ।দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয় পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নকল হীরে নিয়ে এখন
চলছে টানাটানি,,
কেসগুলো সব সব রহস্যে ভরা
যেন ঘোলা পানি।
রহস্যে ঘেরা জট গুলো
খুলবে একদিন জানি,,
সত্যটা সামনে আসবে
এটাও কিন্তু মানি।
♥♥
ভাইয়া প্রথম পর্বের মত এই পর্ব গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে কে যে খুনি এখনও সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পুরো কাহিনীটার মধ্যে অনেক রহস্য রয়েছে। তবে হীরের আংটিটা যে নকল সে বিষয়টা পরিস্কার হয়ে গেছে। দেখা যাক পরের পর্বগুলোতে কি হয় তুহিনা কি আসল খুনিকে বের করতে পারে কিনা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আগের পর্ব গুলো দেখে পরের পর্বগুলো দেখার আগ্রহ ছিল বেশ। এখান আপনার মাধ্যমে এর পরের পর্বগুলো জানতে পারলাম। ওয়েব সিরিজ গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ এগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং রহস্যময় হয়। এই দুই পর্বে মনে হচ্ছে রহস্যের ভাঁর আরো বেড়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কোন দিকের পানি কোন দিকে গিয়ে গড়ায় তার কোন ইয়ত্তা নেই। এর পরের পর্ব গুলোর অপেক্ষায় রইলাম দাদা আমার কিন্তু এখনই সবগুলো একসাথে দেখে ফেলতে ইচ্ছে করছে।