লক্ষ্মী মায়ের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা আর্ট এর পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকে এই আর্ট এর পোস্টটা দুপুরের দিকে খেয়ে উঠে করেছি। গতকাল রাত ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত পূজা দেখে শরীর ভীষণ ক্লান্ত লাগছিলো, ফলে সকালে আর উঠতে পারিনি। তাই দুপুরে উঠে আর্ট এর কাজে হাত লাগলাম। হঠাৎ করে কি আঁকবো বিষয়টা মাথায় আনা যায় না, তাই কি আঁকবো সেটাও ভেবে পাচ্ছিলাম না, যেহেতু কিছুদিন আগে লক্ষ্মী পূজা হয়ে গেছিলো তাই ভাবলাম লক্ষ্মী মায়ের ছবি অঙ্কন করি। তাই ভাবনার পরে আর কি চিন্তা, বসে গেলাম জিনিসপত্র নিয়ে। আমরা সবাই জানি মা লক্ষ্মী হলো ধনসম্পদের দেবী। মা লক্ষ্মীর পূজাটা সাধারণত প্রতিবছর কোজাগরী পূর্ণিমার দিনে করে থাকে আর এটিকে বিশেষ পূজা বলেও গণ্য করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও অনেকে প্রায় প্রতি বৃহস্পতিবার নিজেদের বাড়িতে লক্ষ্মী পূজা করে থাকেন। যাইহোক আজকের এই অঙ্কনটি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
დউপকরণ:დ
❦এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
➤প্রথম ধাপে লক্ষ্মী মায়ের সুন্দর একটা মুখমন্ডল অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এরপর গলার দিকে অঙ্কন করে কাঁধ বরাবর টেনে দিয়েছিলাম এবং গলায় অলংকারের মতো ডিসাইন করে দিয়েছিলাম। মাথায় একটি মুকুট অঙ্কন করে দুই পাশে চুলের একটা শেপ তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে কাঁধের থেকে টেনে নিয়ে সামনের একটি হাত এবং অন্য পাশে পিছনের একটি হাত অঙ্কন করে পদ্ম ফুল এঁকে দিয়েছিলাম। এরপর কোমর পর্যন্ত সম্পূর্ণ বডি অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং শাড়ির একটা ডিসাইন অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। বড়ো বড়ো কিছু অলংকার এঁকে দিয়েছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে এক পাশে আরেকটি হাত অঙ্কন করে একটি পদ্ম ফুল এঁকে দিয়েছিলাম এবং অন্য পাশে আরেকটি হাতে অঙ্কন করে একটি লক্ষ্মীর ঘট এঁকে দিয়েছি যেটা সেই হাতে ধরে রেখেছে। এরপর কোমরের থেকে টেনে দুই পায়ের দিকটা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং বড়ো একটা পদ্ম ফুল এঁকে দিয়েছিলাম যেটাতে মা লক্ষ্মী আসনরূপে বসে আছে।
➤চতুর্থ ধাপে পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করা সমস্ত বিষয়ের উপরে পেনের গাঢ় কালী দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে মুকুটের দিকটা কালার করে দিয়েছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে লক্ষ্মী মায়ের পিছনের দিকে লম্বা যে চুলের শেপ দিয়ে রেখেছিলাম সেটাতে পুরোপুরি কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর মুখমন্ডলের দিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে পোশাকের দিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে বড়ো পদ্ম ফুলের আসনটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤নবম ধাপে হাতের দিকে, লক্ষ্মী ঘট, পদ্ম ফুল এবং অলংকারের দিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে মা লক্ষ্মীর সামনে আল্পনা মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং সেটা একজন আঁকাচ্ছে সেটার একটা হাত অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
লক্ষ্মী মায়ের চিত্র অংকন খুবি সুন্দর হয়েছে। আপনার সকল চিত্র অংকন খুবি সুন্দর হয় দাদা।আপনি একদম অরিজিনাল চিত্র অংকন করেন।।গতকাল রাত ৯টা থেকে ৩ পযন্ত আপনি পূর্জাতে ছিলেন। তারপর দুপুরে দিকে চিত্র অংকন নিয়ে বসলেন, আসলে দাদা আপনার চিত্র অংকন দেখলেই খুবি ভালো লাগছে , আজকের চিত্র অংকনটি খুবি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার খুবি ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে এই চিত্রটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আর্ট করতে গেলে আমারও অনেক সময় বেশ চিন্তা করতে হয়। কি আর্ট করতে যাচ্ছি এবং কি আর্ট করব ভাবতে ভাবতেই বেশ সময় লেগে যায়। তবে দাদা আপনি এত সুন্দর ভাবে আর্ট করেন দেখে সত্যি তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। আসলে এত নিখুঁতভাবে কখনো আর্ট করিনি। তবে আপনার আর্ট গুলো দেখে দেখে মন চায় আর্ট করতে। লক্ষ্মী মায়ের চিত্রাঙ্কন সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। সামনের অংশের পদ্মফুল গুলো দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। পদ্ম ফুলের পাপড়ি গুলো দারুন এঁকেছেন দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
দাদা আর্ট করতে বসে চিন্তা করতেছেন কি আকঁবেন হা হা হা ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। আর গত কাল রাতে পুজা দেখে এসে আজকে লক্ষ্মী মায়ের চিত্রাঙ্কন করে ফেললেন। আপনার স্মৃতি শক্তির প্রশংসা করতে হয়। তার পর পদ্ম ফুলের উপরে চিত্রঙ্কনটা করেছেন। চিত্রটার মাঝে পদ্ম ফুল সহ পত্যেকটা পার্টের কালার খুব সুন্দরভাবেই ম্যাচিং হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
কি বলেন দাদা রাত ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত এত সময়। তাহলে তো ক্লান্ত থাকারই কথা। আপনি তো সকাল সকাল ওঠার মানুষ। এত দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছেন বেশি ক্লান্ত ছিল মনে হয় শরীর। আপনার আর্টগুলো বরাবরই আমার কাছে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনার আর্টের মেইন আকর্ষণ আমার কাছে লাগে যে আপনার কালার করা। প্রথমে বর্ডার লাইন করে নেওয়ার কারণে কালার গুলো অনেক বেশি নিখুঁত হয়। আজকের আর্টটিও ঠিক সেরকমই হয়েছে। বিশেষ করে মাথার মুকুট এবং বড় পদ্ম ফুলের আসনটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। পদ্ম ফুলের আসনটি একেবারে সত্যিকারের পদ্ম ফুলের মত লাগছে। যেমন আঁকা হয়েছে তেমনি কালার। খুব চমৎকার হয়েছে পুরো অঙ্কনটি।
লক্ষীপ্রতীমার চিত্রাংকনটি বেশ সুন্দর হয়েছে দাদ। আর প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
যেভাবে পুজোতে আনন্দ করছেন তাতে তো শরীর ক্লান্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মজাটাই আসল। আর মা লক্ষ্মীকে তো খুব মিষ্টি করে একেছেন ভক্তি সহকারে। আপনার চিন্তা টা সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আর সবচে বেশি ভালো লাগলো মায়ের চুল গুলো। মা লক্ষ্মীকে এমন কেশ ছাড়া একদমই মানাতো না। তার সাথে শাড়ীর রং টাও মিষ্টি হয়েছে। ভালো লাগলো খুব ছবিটা।
মা কৃপা করুক আমাদের উপর এটাই প্রার্থনা করি ❤️🙏
দাদা এতো রাত অবধি পূজো দেখে বেশ ক্লান্ত ছিলেন বোঝাই যাচ্ছে। তবে দুপুরের দিকে চমৎকার হাতের কারিশমা দেখিয়ে দিলেন। সত্যি বলতে আপনার অংকনগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। সবথেকে বড় বিষয় আপনি চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত আর নিখুঁত শিল্পকর্ম উপহার দিতে পারেন। আমার তো ভাবতে ভাবতেই এক বেলা শেষ হয়ে যায়।
তবে ছবিটিতে কিন্তু লক্ষ্মী মাকে কিন্তু ভারী সুন্দর লাগছে। বেশ গুছিয়ে এঁকেছেন মানতেই হবে।
দোয়া রইল দাদা পুরো পরিবারের জন্য 🥀
দাদা,এত রাত জেগে আপনি পূজা দেখেও ক্লান্ত শরীরে পরদিন লক্ষ্মী মায়ের ছবি এঁকে ফেললেন।ছবিটি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে, বিশেষ করে আপনার করা ছবির কালার কম্বিনেশনের তুলনা হয় না।তাছাড়া দুপুরে ঘুম থেকে উঠেছেন মানে অনেকটাই বেলা করে।অনেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার ব্রত করেন লক্ষ্মী মায়ের ঠিক বলেছেন।মায়ের বসার আসন পদ্মফুল আর মাথার মুকুট এতটাই আকর্ষণীয় হয়েছে যে সত্যিকারের বলে মনে হচ্ছে।নীচে দেওয়া আল্পনাটি ও সুন্দর দেখতে লাগছে।ভালো লাগলো ছবিটি,ধন্যবাদ দাদা।