আনন্দঘনময় সময় কাটানোর মুহূর্তে ফোনে ধারণকৃত কিছু আলোকচিত্র
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু আলোকচিত্র ভাগ করে নেবো। এই আলোকচিত্রগুলো অনেকদিন আগেরই তোলা, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে। এখানে এই ছবিগুলো আমার পরিবারের সাথে কাটানো কিছু আনন্দঘন মুহূর্তের সময়ে তুলেছিলাম। এই সব ছবিগুলো মূলত একটা গঙ্গার কাছের থেকে তুলেছিলাম। আমরা পরিবারের সবাই মিলে বিকালে এই জায়গাটিতে মাঝে মধ্যে ঘুরতে যাই। এই জায়গাটি আরো একটা নামে প্রসিদ্ধ সেটি হলো **গান্ধী ঘাট**। এখানে গার্ডেন মতো করা আছে আবার তার পাশে পার্ক মতো স্থানও আছে যেটি গঙ্গার পাশ দিয়েই তৈরি করা। তবে করোনার কারণে প্রায় এই দুই বছর বন্ধ অবস্থায় আছে পার্ক এর স্থানটি। এই পার্কটিতে বলতে গেলে অন্য কোনো উপায়ে ঢোকার উপায় নেই, কারণ গেটে তালা মেরে রেখেছে। তবে সেখানে সিকিউরিটি গার্ডের কাছে শোনা গেলো যে এটা এই মুহূর্তে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অফ আছে, নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভিতরে কাউকে ঢোকার অনুমতি নেই। এর ভিতরের জায়গাটা অসাধারণ দেখতে, আসলে গঙ্গার ধারে এইরকম জায়গা থাকলে সেখানে কার না যেতে মন চায়। সেখানে আবার একটা পিরামিড আকৃতির দেখতে মন্দির মতোও আছে, যেখানে নরমাল সময়ে গঙ্গার জলে স্নান করে পূজা দিতো। আমরা মাঝে মাঝে যাই একটা কারণে যে কখন খোলে আর ঢুকে ভিতরের পরিবেশটা উপভোগ করবো। এখানে অনেক বড়ো একটা ঘাট মতো স্থান আছে আর এখান থেকে গঙ্গার সৌন্দর্যগুলোও দারুভাবে উপভোগ করা যায়। জেলেরা বিকালের দিকে মাঝে মাঝে নৌকায় করে এসে জাল পেতে চলে যায় মাছ ধরার জন্য, এই দৃশ্যগুলোও দারুন লাগে দেখতে। সব মিলিয়ে বিকালে খুব ভালো একটা সময় কাটানো যায় এখানে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
➤এই ফুলটি একটি উদ্ভিদের গায়ে লতাপাতার মতো পেঁচিয়ে বেড়ে উঠেছিল। এই ফুলের উদ্ভিদটি মূলত অ্যান্টিগনন নামক প্রজাতির অন্তর্গত একটি লতাপাতাযুক্ত উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটির সাধারণ নাম হিসেবে অনেকে আঙ্গুরলতা উদ্ভিদ বলেও জেনে থাকে। এইগুলো মূলত গুল্ম জাতীয় হয়ে থাকে। আর এই লতাপাতাযুক্ত ফুলের উদ্ভিদটি বহুবর্ষজীবী হয়ে থাকে। এদের বিভিন্ন প্রজাতি থাকে এবং প্রজাতির থেকে ভাগ হয়ে গিয়ে বিভিন্ন রকম গঠনের দেখতে হয়। শুধু তাই নয়, এদের ফুলগুলোও বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে। এই গোলাপি কালারের পাশাপাশি সাদা, লাল ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কালারের দেখতে হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা ব্যাসিক হিসেবে জানি লতাপাতা উদ্ভিদগুলো দ্রুত বেড়ে যায়, এটার ক্ষেত্রেও ঠিক ব্যাপারটা তাই। এরা খুবই দ্রুত বর্ধনশীল অবস্থায় বেড়ে ওঠে। এই লতাপাতাযুক্ত উদ্ভিদটির পাতা একটু বড়ো সাইজের হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রে এদের আকৃতি ত্রিকোণের মতো হয়। পাতা খুব স্বল্প থাকে কিন্তু ফুলগুলো খুব ছোট ছোট আর ঘন আকারে বেড়ে থাকে। এই ফুলের গঠন আর কালারটা বেশ আকর্ষণীয় লাগে।
Photo by @winkles
➤এটি মেলিয়ান্থাস নামক প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদটিতে সময় অনুযায়ী ফুল ধরে থাকে একধরণের। আর এই ফুলগুলো দেখতে বেশ বড়ো বড়ো হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো এশিয়ার বাইরের অনেক জায়গায় অনেক কাজে ব্যবহৃত করে থাকে। এই প্রজাতির উদ্ভিদগুলো মূলত আমাদের এশিয়াতে দেখা যায় না, এগুলো এখানে সংগ্রহ করে লাগিয়েছে। এই উদ্ভিদগুলো এখানে কিছু লতাপাতায় ভরে গেছে, না হলে দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদগুলো খাড়াভাবে বেড়ে ওঠে। আর এদের পাতার সাইটগুলো করাতের মতো দেখতে হয়ে থাকে। উদ্ভিদটি চিরসবুজ এবং এদের কান্ডগুলো দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
➤এই ফুলের উদ্ভিদগুলোও একধরণের কিছুটা লতাপাতার মতো হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদের ফুলগুলো যখন পূর্ণাঙ্গে প্রস্ফুটিত হয় তখন দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। এই ফুলের উদ্ভিদটি সাধারণত ক্রোটালারিয়া প্রজাতির একটি উদ্ভিদ। এইগুলোও গুল্ম ধরণের দেখতে হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো অসাধারণ আকৃতির সমন্বয়ে বেড়ে ওঠে, আর দেখতেও দারুন আকর্ষণীয় হয়ে থাকে । তবে এই ফুলের কিছু কিছু কালার আছে যেগুলো এক কোথায় বলতে গেলে মন কেড়ে নেয়। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো মোটামুটি সবজায়গায় দেখা যায় আমাদের এশিয়ার মধ্যে। এছাড়া এশিয়ার বাইরেও এই ফুলের ব্যাপক প্রচলন। অনেক জায়গায় এই ফুলের চাষও করে থাকে। আমাদের এদিকে মূলত এই ফুলের কালারের মধ্যে ভায়োলেট কালারটা বেশি দেখা যায়, কিন্তু এই ফুলের প্রজাতি ভেদে সাদা, গোলাপি, লাল, বেগুনি ইত্যাদি বহু কালার আছে। এই ফুলের পরাগধানী থেকে পিঁপড়া, মৌমাছি এরা মধু সংগ্রহ করে পরাগায়ন ঘটিয়ে থাকে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
➤এই ফুলটি আমাদের দেশীয় কোনো প্রজাতির ফুল না। এগুলো সব বহিরাগত প্রজাতি বলতে গেলে। এই ফুলগুলো লেমোনিয়া প্রজাতির অন্তর্গত একধরণের ফুল। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো খুব বিরল প্রজাতির দেখতে হয়ে থাকে। আর এইসব ফুলের উদ্ভিদ সচরাচর সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় না। এই ফুলগুলোর কালার খুব গাঢ় আর উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। ফুলের পাপড়িগুলো হাত দিয়ে ধরলে দেখা যাবে খুব নরম আর মোলায়েম। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো গুল্ম ধরণের। ব্যাসিকালি সব ফুলের উদ্ভিদগুলো গুল্ম ধরণেরই হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো দেখতে বেশ আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। আমার কাছে বেশ দৃষ্টিনন্দন মনে হয়েছিল ফুলগুলোকে। যেমন কালার তেমন তার গঠন। আর এই ফুলের উদ্ভিদগুলো একটু ঝোপঝাড়ের মতো হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো আবার প্রজাপতির দ্বারা বিশেষভাবে আকর্ষিত হয়ে থাকে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
➤এইগুলো হলো একধরণের বিশ্রাম করার জন্য ছাওনি মতো করা। এখানে উদ্যানের ভিতরে প্রচুর লোকজন বিভিন্ন ধরণের রক্ষনাবেক্ষনের কাজে নিযুক্ত আছে। ফলে তাদের জন্য এই ব্যবস্থাগুলো করা। তাছাড়া পর্যটকরাও এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যেতেও পারে। এখানে তার জন্য কিছু কিছু ছাওনি তে বেঞ্চের ব্যবস্থাও করা ছিল, কিন্তু এই মুহূর্তে কোনো কারণে হয়তো ভেঙে ফেলেছে। কাজে নিযুক্ত লোকজনেরা বিভিন্ন কাজ যেমন এখানে তারা আশেপাশে প্রচুর ঝোপঝাড়, আগাছা, ঘাস ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখে যাতে পর্যটকরা এসে তাদের মনের মতো আনন্দ খুঁজে পায়। এখানে এই লোকগুলো কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছাওনির নিচে বসে গল্পগুজব করছে আর সাথে বিশ্রাম নিচ্ছে ।
All photos what3words location: https://w3w.co/capillary.cakewalk.sober
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গান্ধী ঘাট |
তারিখ | ২২.১১.২০২১ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। প্রত্যেকটা ফুল অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। এত সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ফোটোগ্রাফিগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর জায়গা ।কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে প্রথম ছবির ফুলটি আমি দেখে ভাবলাম কাগজ ফুল তারপর পড়ে দেখলাম না আঙুরলতা।দারুণ নাম।তৃতীয় ছবিটা দেখে কলা শিম ফুল বলে মনে হচ্ছে।খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলি তার সঙ্গে বর্ণনাটি ও।ধন্যবাদ দাদা।
প্রতিটা ফুল উদ্ভিদ আমার অজানা ছিল আমি গ্রামের বাসায় অনেক ধরনের উদ্ভিদ ফুলের সাথে পরিচিত তবে এই গুলো কখুনো দেখছিলাম না। লেমোনিয়া টা পরিচিত লাগলো খেয়াল হচ্ছে না।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।💖
এই উদ্ভিদগুলোও আমাদের আশেপাশে লতাপাতার মতো থাকে কিন্তু আমরা গুরুত্ব দেই না এই আর কি। লেমোনিয়া প্রজাতির ফুলটা কিছু কিছু জায়গায় আছে। তবে এর মতো দেখতে কিছু ফুল আছে কিন্তু সেগুলো এই লেমোনিয়া না।
দাদা প্রতিটি ফুল খুবই সুন্দর দেখতে আর আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার।দাদা আপনার জন্য সুভ কামনা রইল।
আপনি বিষয়গুলো পড়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
দাদা আপনি খুব সুন্দর একটি জায়গা ফটোগ্রাফি এবং এত সুন্দর ফুলগুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করেছেন। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আপনি যখন ফটোগ্রাফি পোস্ট করে সেই ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত তথ্য গুলো আমাকে মুগ্ধ করে। যে ফুলগুলো সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যা সাধারণত গতানুগতিক পোস্টে পাওয়া যায় না। গান্ধী ঘাট সম্পর্কেও আপনি আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো সে জায়গার অবস্থান গুলো তুলে ধরেছেন। এই পরিবেশ সুন্দর একটি সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য।
হ্যা আমি একটু এইগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত যা জানি তাই তুলে ধরার চেষ্টা করি। লিখতেও আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এইসব বিষয়ে। আপনি পোস্টটিতে বিস্তারিত বিষয়গুলো সম্পূর্ণ পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
এই ক্যাপশনের ফুলটি চিনতে পারিনি।মনে হচ্ছে নতুন দেখলাম নাকি ভুলে গেলাম তা ই ঠিক খেয়াল করতে পারছিনা।
লেমোনিয়া আমাদের কোনো দেশীয় প্রজাতি না। এইজন্য আমাদের এখানে কম মাত্রায় দেখা যায়। তবে এর মতো দেখতে ফুল আছে কিন্তু সেগুলো এই লেমোনিয়া না, পার্থক্য আছে।
আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন এবং সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি বর্ণনাগুলো পড়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
দাদা সব গুলো ফটোই অমায়িক ভাবে তুলে শেয়ার করেছেন ।দেখে খুব ভালো লাগলো ।নতুন নতুন ফুলের নামও জানলাম।ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্টের মাধ্যমে কিছু জানতে পেরেছেন এটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের।
দাদা দাদা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মোবাইলে ধারণ করেছেন, যে কোনো ধরণের ফুল দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে ,তবে দাদা আংগুর লতা যেটা বললেন , এটা কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে, কারণ এটা ঘর বা বারান্দায় লাগানো হলে পুরো জায়গা দখল করে বসে , দেখতে অসাধারণ লাগে।
হ্যা এই আঙুরলতা গুলো আসলে দ্রুত বাড়তে পারে যেকোনো পরিবেশে। লতাপাতার মতো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ফুলের কালারগুলো বেশি আকর্ষণীয় লাগে, বেশ সৌন্দর্যমন্ডিত।
দাদা আপনার এই ধরনের পোস্ট গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আর শিখিও অনেক কিছু। পথে চলাফেরার সময় এমন অনেক গাছ দেখি যাদের নাম পরিচয় কিছুই জানি না। আজ সত্যি ভালো লাগছে নতুন কিছু জেনে। আর গান্ধী ঘাটের নাম আমিও শুনেছিলাম। যাওয়া হয় নি কখনো। কখনো সৌভাগ্য হলে অবশ্যই একবার যাব। অনেক ভালো থাকবেন দাদা 🙏🙏।
আমাদের আশেপাশে চারিদিকে এইসব লতাপাতার মতো হয়ে থাকে কিন্তু আমরা শুধু চোখে দেখি আর সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করি। আমার বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু জানা আছে তাই লিখে ফেললাম বিষয়গুলো নিয়ে ছোট করে। হ্যা আর সময় সুযোগ হলে ঘুরে যেও জায়গাটি থেকে।