জবা ফুলের আলোকচিত্র

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা ফুলের বিষয়ে কিছু আলোচনা করবো। প্রায় অনেকদিন বাদে আজকে আপনাদের সাথে ফোটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করছি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক বিষয়টির মূল আলোচনায়।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এটি একধরণের একটি ফুল। এই ফুলটি বিভিন্ন প্রজাতির দেখতে হয়ে থাকে। এই ফুলগুলোকে সাধারণ নামে আমরা সবাই জানি। এই ফুলকে জবা ফুল বলে থাকে। এই ফুল আমাদের এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হয়ে থাকে। এছাড়া প্রত্যেকের বাড়িতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সৌন্দর্যতার জন্য লাগানো হয়ে থাকে, আমাদের বাড়িতেও এই ফুলের দুটি প্রজাতি লাগানো আছে । এই জবা ফুলগুলোর আরো বিভিন্ন নাম আছে যার মধ্যে আমার জানা মতে দুটি প্রধান নাম হিসেবে আছে হিবিস্কাস স্টরকি সিম এবং অন্যটি হলো হিবিস্কাস কুপেরি নিলাম।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

হিবিস্কাসের মধ্যে প্রচলিত এইরকম বহু নাম থাকে, আমাদের ভারতে জবা ফুলকে বহু জায়গায় শুধু হিবিস্কাস বলে জেনে থাকে বা মুখে মুখে প্রচলিত। এই জবা ফুলগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গাঢ় লাল হয়ে থাকে বলে একে রক্তজবাও বলা হয়ে থাকে। এই জবা ফুলের অর্থাৎ হিবিস্কাসের যত প্রজাতি আছে তার মধ্যে লাল জবা ফুলটিই আমাদের এদিকে বেশি হয়ে থাকে এবং সৌন্দর্যতার প্রতীক হিসেবে জানা গিয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির জবা ফুলের কালারের ভিন্নতার উপরেও তার সৌন্দর্যতা নির্ভর করে।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

জবা ফুলের কালারের মধ্যে লাল ছাড়া সাদা, হলুদ ইত্যাদি বহু আছে। চায়না রোজ নামক একটি প্রজাতি আছে যেটির কালারও যথেষ্ট আকর্ষণীয় এবং সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে থাকে। জলবায়ুর তারতম্য অনুযায়ী এই জবা ফুলগুলো বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন সময়ে ব্যাপকভাবে চারিদিকে হয়ে থাকে কারণ ওই সময়টায় জলবায়ুর দরুন পরিবেশের সাথে জবা ফুলের উদ্ভিদগুলো বেশ খাপখাইয়ে হয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের ভারতে উপক্রান্তীয় অঞ্চলের দিকে ভীষণভাবে এই ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। আর জবা ফুল ব্যাপক লাভজনক হয়ে থাকে, কারণ এই ফুলের চাহিদা সবজায়গাতেই প্রচুর।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

জবা ফুলের কালার তার শোভাময় সৌন্দর্যকে চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশকে মনোমুগ্ধকর করে তোলে। জবা ফুলের উদ্ভিদ আকারে ছোট হয়ে থাকে কিন্তু ভীষণ ঝোপঝাড়ের ন্যায় বেড়ে ওঠে। তবে উদ্ভিদটির পাতাগুলো চিরসবুজ হওয়ার সাথে সাথে দেখতে চকচকে, কিছুটা হালকা শক্ত মতো দেখতে লাগে। জবা ফুলের বৃতিগুলো বেশ সুন্দর লাগে যখন কুঁড়িগুলো ফোটার আগে উঁকি( মজার ছলে বললাম ) মারতে লাগে অর্থাৎ যখন বৃতির সেপাল মতো অংশ থেকে কুঁড়িটি ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হওয়ার জন্য তৈরি হয়।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

কুঁড়ি থেকে প্রস্ফুটিত হওয়ার পর ফুলগুলো পাঁচটি পাঁপড়িতে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কালারযুক্ত একটা পরিপূর্ণ ফুলের গঠন তৈরি হয় আর মাঝখান দিয়ে নলাকার মতো দেখতে পরাগধানীর একটা অংশ উৎপন্ন হয়। এই নলাকার অংশের মাথার দিকে মূলত যে হলুদ হলুদ অংশ দেখা যায় এইগুলো হলো ডিম্বাণু। এই জবা ফুলে পুরুষ অংশ যেমন থাকে আবার স্ত্রী অংশও থাকে। প্রজাপতি সহ আরো কিছু ফ্লাইং পোকামাকড়গুলো এই ফুলের পরাগরেণু থেকে মধু সংগ্রহ করে ফুলের পরাগায়নে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


All Photos what3words location: https://w3w.co/rise.rigs.slurping

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিন্যাচার ফোটোগ্রাফি
টাইপফুল
লোকেশনকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৫.০৭.২০২১


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 
  • দাদা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে জবা ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আসলে জবা ফুল আমার খুবই পছন্দের একটি ফুর। এই জবা ফুল এর ফটোগ্রাফি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, জবা ফুলের সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
 2 years ago 

জবা ফুল খুবই ভালো লাগে , ছোট থেকেই দেখে আসছি এই ফুল। তবে এখন দেখলে ও দূর থেকে , হাতের কাছে পাইনা তেমন। তবে দাদা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

দাদা জবা ফুল নিয়ে অনেক কিছুই আপনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।পুরো পোস্টটি পড়লাম খুব ভালো লাগল পড়ে। চায়না রোজ প্রজাতির কথা আমি ঠিক জানতাম না আপনার পোস্টটি পড়ে সেটি জানতে পারলাম।অনেক কিছু জানার আছে এই পোস্টটিতে। তার সাথে ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি জবা ফুলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 
হিবিস্কাসের যত প্রজাতি আছে তার মধ্যে লাল জবা সুন্দর, আসলেই রক্ত জবাই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার ও ছাদে লাল জবা গাছ আসে।যখন ফুল ফোটে তখন অনেক সুন্দর লাগে,কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো সকালে ফোটলে সন্ধ্যায় ঝরে যায়।
 2 years ago 

হরেক রকম জবা ফুলে
ভরিয়ে গেল মন
রক্ত জবা নানা কাজে হয়
যে প্রয়োজন

জেনে রেখো দাদা তুমি
এপার বাংলার কথা
টিপ না দিলে বেড়ে যাবে
মদের ও ব্যাকুলতা

এপার বাংলা ওপার বাংলা
দুই বাংলা মিলে
কী আর এমন ক্ষতি হয়
এতোটুকু টিপ দিলে,,,,,

মনে করো না কিছু দাদা
করলাম একটু ফানি
মাথার উপর আছো তুমি
এই কথাটা ও মানি
♥♥

 2 years ago 

আপনি বরাবরই খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন। আজকে আপনি জবা ফুলের আলোকচিত্র আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি প্রথম বলব আপনার জবা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব দারুণ ছিল এবং কি জবাফুল বিভিন্ন প্রজাতির হয় সেটা আমরা জানি। কিন্তু আপনি এই জবা ফুলকে নিয়ে খুব সুন্দর করে আপনার আলোচনা করেছেন এবং গুছিয়ে আমাদেরকে লিখেছেন ।আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি পোষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 2 years ago 

জলবায়ুর তারতম্য অনুযায়ী এই জবা ফুলগুলো বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন সময়ে ব্যাপকভাবে চারিদিকে হয়ে থাকে ।

দাদা,এটি আমিও খেয়াল করেছি।আমার বাড়িতে একটি রক্ত জবা ফুল গাছ রয়েছে।সেটি গ্রীষ্মকালে খুব ফুল ধরত কিন্তু এখন শীতের সময় খুবই কম ফুল ধরছে আর সাইজে বেশ ছোট হচ্ছে।দাদা জবা ফুলের অনেক ভেষজ গুন রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।জবা ফুলের চা খুবই উপকারী, কিছুটা ক্রানবেরি জুসের মতো খেতে লাগে ।এটির উপকারীতা ও চা বানানো নিয়ে আমি একটি পোষ্ট ও করেছিলাম।আপনার জবা ফুলের পোষ্ট দেখে মনে পড়লো,জবা ফুল আমার খুবই পছন্দের।আপনার পোষ্ট পড়ে ও অনেক কিছু জানতে পারলাম। জবা ফুলের প্রধান নাম জানতে পারলাম, ভালো লাগলো।ধন্যবাদ দাদা,শুভকামনা রইলো।

 2 years ago 

ওয়াও ভাইয়া সত্যিই অসাধারণ চমৎকার হয়েছে আপনার জবাফুলের ফটোগ্রাফি। আমার কাছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর লেগেছে। আর আপনি খুব সুন্দর করে জবা ফুলের বর্ণনা দিয়েছেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে সত্যি ভাইয়া অসাধারন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

কুঁড়ি থেকে প্রস্ফুটিত হওয়ার পর ফুলগুলো পাঁচটি পাঁপড়িতে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কালারযুক্ত একটা পরিপূর্ণ ফুলের গঠন তৈরি হয় আর মাঝখান দিয়ে নলাকার মতো দেখতে পরাগধানীর একটা অংশ উৎপন্ন হয়।

  • খুবই চমৎকার দাদা । প্রথমত জবা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে এবং দ্বিতীয়তো আপনি পোস্টটি আমাদের মাঝে খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। পোস্ট টি পড়ে ইনফরমেশনগুলো পাওয়ার পরে আমার আপনার পোস্টের প্রতি ভালোবাসা যেন আরো বেড়ে গেল ।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
 2 years ago 

জবা ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ছোট বেলায় আমাদের বাড়ির পাশেই এই জবা ফুল গাছ ছিল। আর প্রতি দেখতাম যে অনেকগুলো ফুল ফুটে আছে এ দৃশ্য গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগতো। এছাড়াও আপনার আজকের পোস্ট থেকে সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর লাগছে। আসলে ফুল দেখলে এমনিতেই মন অনেক ভাল হয়ে যায়। তো আপনারো ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালই লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর জবা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ফুল সম্পর্কে আমাদের কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 56587.45
ETH 2991.05
USDT 1.00
SBD 2.15