একটা হাতির কলা গাছ থেকে কলা খাওয়ার দৃশ্যের চিত্র অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
কিছুদিন বাদে আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটা অঙ্কন নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি একটু ন্যাচারাল কিছু অঙ্কন করার চেষ্টা করেছি। আজকে আমি একটা হাতির কলা খাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন করেছি। এখানে বিষয়টা আমি যেভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছি সেটা হলো একটা কলা গাছে ধরে থাকা কলার কাঁধি থেকে হাতিটি তার শুঁড়ের সাহায্যে কলা নিয়ে নিয়ে খাচ্ছে। এখানে অঙ্কনের পুরো বিষয়টা ন্যাচারাল ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের এই অঙ্কনটি আপনাদের ভালো লাগবে।
☫উপকরণ:☫
☛এখন অঙ্কনটির ধাপগুলো নিচে তুলে ধরবো--
➤প্রথম ধাপে একটা কলা গাছ অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং পরে পাতাগুলো অঙ্কন করে নিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে কলার কাঁধি আর মোচা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এরপর হাতিটির মাথা, চোখ, কান, মুখ, দাঁত এবং শুঁড় অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এখানে যে শুঁড়টি অঙ্কন করেছিলাম সেটি মূলত কলার কাঁধির থেকে টেনে এনেছিলাম। পিঠের দিকে সামান্য একটু পেন্সিল টেনে রেখেছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে হাতিটির বাকি অংশ অঙ্কন করে একটা সম্পূর্ণ হাতি অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। হাতিটির পিছন দিকে একটা বড়ো গাছের মতো দেখতে অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং গাছের পাতা মতো বুঝানোর জন্য একটা শেপ তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর তার চারিপাশ দিয়ে ঝাউ গাছের মতো দেখতে হালকা পাতলা পেন্সিলের কালী দিয়ে শেপ তৈরি করে রেখেছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে পেন্সিল দিয়ে একটু গাঢ় করে অঙ্কনের সব বিষয়গুলোকে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে আকাশি কালার করে নিয়েছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে হাতিটির পিছন দিকে গাছের সেই পাতার মতো দেখতে অংশটাতে সবুজ কালার করে দিয়েছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে গাছের গায়ে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে সম্পূর্ণ কলা গাছটিকে এবং কলা সহ কালার করে নিয়েছিলাম।
➤নবম ধাপে হাতির সম্পূর্ণ শরীর কালার করে দিয়েছিলাম। এরপর চারিপাশ দিয়ে যে ঝাউ এর মতো দেখতে অঙ্কন করেছিলাম সেখানে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে হাতির দাঁড়িয়ে থাকা ভূমির চারিদিকে ঘাসের মতো বোঝাতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤একাদশ ধাপে অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপে আরো দুটি গাছ অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং কিছু পাখির উড়ে যাওয়ার দৃশ্য অঙ্কন করে নিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
হাতির গাছ থেকে কলা খাওয়ার দৃশ্য অংকনটি অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগতেছে। আপনার অংকিত চিত্রটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। কালার কম্বিনেশনটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
হ্যা কালারটা সবগুলোতে ঠিকঠাক ম্যাচিং করতে পেরেছিলাম যার জন্য বিষয়টা আরো ভালো ফুটে উঠেছে। ধন্যবাদ।
অসাধারণ হয়েছে দাদা চিএটা। সবচেয়ে বড় কথা আপনার চিএের থিমটা দারুণ ছিল। এবং বিষয়টি একেবারেই প্রাকৃতিক। কলাগাছ থেকে হাতি কলা খাচ্ছে দেখতে বেশ ভালো লাগছে। চিএটার উপস্থাপনা টাও অনেক ভালো হয়েছে।
বিষয়টিকে একটু প্রাকৃতিক সান্নিধ্যের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া অনেক সুন্দর কলাগাছ ও হাতির দৃশ্য তুলে ধরেছেন আপনি। তাও আবার দেখা যাচ্ছে হাতিটি কলাগাছ থেকে কলা খাওয়ার ভাব ভঙ্গি। সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা অংকন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা কলা গাছ থেকে হাতিটি কিভাবে কলা খাচ্ছে সেই দৃশ্যটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এখানে। আপনার অঙ্কনটি ভালো লেগেছে এবং সেইটা দেখে আমি খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
ও দাদা জাষ্ট অসাধারণ একটি আর্ট করেছেন। একটা হাতির কলা গাছ থেকে কলা খাওয়ার দৃশ্যের চিত্র অঙ্কন টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কি দারুন আর্ট করেন আপনি। আমি একদিন হাতি আর্ট করতে যেয়ে পারি নাই। আর আপনি তো অনেক চমৎকার ভাবে হাতির ছবি আর্ট করেছেন। সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
হাতির আর্ট একদম সহজ, তবে অঙ্কনের সময় একদম শান্ত মনে আস্তে আস্তে করতে হবে। না হলে মনের মতো ফুটে উঠবে না। আমি এইগুলো একটু সময় নিয়ে করে থাকি। আপনিও সময় নিয়ে আঁকবেন দেখবেন আপনারও হয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভালো মন্তব্যের জন্য।
হাতির কলা খাওয়ার দৃশ্যের অসাধারণ চিত্র অঙ্কন করেছেন আপনি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।সত্যি প্রসংশার দাবিদার। শুভকামনা রইল দাদা।
আপনার কাছে এই যে খুব ভালো লেগেছে, আর এইটা দেখে আমিও খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
হাতি কলা খাচ্ছে তার দারুণ একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন আপনি। ছবিতে কলা পেকে হলুদ হয়ে গেছে যার কারণে হাতি আকৃষ্ট হয়ে খেতে চলে আসছে। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হ্যা কলাগুলোকে পাকিয়ে দিয়েছিলাম আর সেই কলা হাতিটির শুঁড়ের সাহায্যে নামিয়ে খাওয়ার দৃশ্যটা তুলে ধরেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ওয়াও চমৎকার চিত্রপ্রদর্শনী দেখতে পেলাম। অনেক সূক্ষভাবে চিত্রটি অংকন করতে হয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। হাতি আজ সব কলা খেয়ে সাবার করে দিবে।এক কথায় অসাধারণ হয়েছে দাদা।😍😍
হ্যা অঙ্কনটি করতে একটু সময় লেগেছিলো। এই কলার কাঁধিটা তো এইজন্য হাতিটির জন্য রেখে দিয়েছি যাতে একাই সাবাড় করে দিতে পারে 😄. ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপনার চিত্রাংকন টি দারুন সুন্দর হয়েছে ।হাতি কলা গাছ থেকে কলা ছিঁড়ে খাচ্ছে দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে ।খুব সুন্দর ভাবে আপনি চিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন ।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন যা দেখে খুব সহজেই আপনার অঙ্কন পদ্ধতি বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এই কলা ছিড়ে খাওয়ার দৃশ্যটা প্রকৃতির মাঝে ফুটিয়ে তুলেছিলাম আর এই বিষয়টা এখানে আকর্ষণীয়তা রূপ নিয়েছে । আর হ্যা আমি এখানে প্রতিটা ধাপগুলো ভালোভাবে এবং সাথে উপস্থাপনাটাও সহজ ভাবে করে দিয়েছি যেটা দেখে সহজেই যেকোনো কেউ বুঝে উঠতে পারবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুবই চমৎকার হয়েছে দাদা আপনার দৃশ্যটি। মনে হচ্ছে হাতিটি সত্যি সত্যি কলা খেতে যাচ্ছে এমন রিয়েল লাগছে ।হাতির পিছনের গাছটি মনে হচ্ছে হাওয়ায় দুলছে এত ভালো লাগছে দেখতে। রঙ গুলো দারুন ফুটেছে ।রংপুর এর আগেও দৃশ্যটি খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি দৃশ্য আমাদের সামনে পরিবেশন করার জন্য।
এখানে বিষয়গুলোকে অঙ্কন করার সময় বাস্তবতার কিছু বিষয়কে অবলম্বন করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। আর সব থেকে বড়ো বিষয় হলো এখানে আমি যেকোনো অঙ্কনের বিষয়ে কালারটা সেইরকমই দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর অঙ্কনটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার আর্ট গুলো এতো সুন্দর হয় যে কি আর বলবো। জাস্ট অসাধারণ হয়। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনি একদম এক রকম করে রঙ করেন যা দেখতেই ভালো লাগে।
হাতির পিছনের গাছটিকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে ভাইয়া দেখে।
এই যে আপনার কাছে সবসময় ভালো লাগে আর এই বিষয়গুলো দেখে আমারও অনেক ভালো লাগে। আর হ্যা আমি আসলে যার যে কালারটা বাস্তবের সাথে ম্যাচ করে সেই কালারটিই দিয়ে দেই যাতে বিষয়টা আরো সুন্দরময় হয়ে ওঠে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।