গতকাল সারাটাদিন আমার যেভাবে কাটলো /১৬.০৭.২০২১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। গতকাল সকাল থেকে বিকাল অব্দি আমার সময়গুলো কিভাবে কাটলো সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।

গতকাল আমার ইউনিভার্সিটি তে কিছু কাজের জন্য কলকাতায় যাওয়ার ছিল। সেখানে আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে যাবো বলে ফোনে দুইজন তার আগেরদিন যোগাযোগ করে ফাইনাল করে নিয়েছিলাম। সেই মোতাবেক আমি সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে বসেছিলাম। আমার যেহেতু প্রতিদিন সকালে উঠতে উঠতে ১১ টা বেজে যায়, ফলে আজকে সকাল ৯ টার দিকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে বলতে গেলে। যেহেতু ভোর ৫টার দিকে শুয়েছি ফলে ৯ টার সময় ওঠা কষ্টদায়ক হয়ে যায় একপ্রকার। তবুও ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলাম ৮:৩০ টার দিকে।

যাইহোক আমি ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষন বসে থেকে ভাত খেয়ে রেডি হয়ে আমার বন্ধুর আসার জন্য অপেক্ষা করলাম। সে আসার পর দুইজন হাটতে হাটতে রোডের দিকে গেলাম। যেহেতু আমাদের এদিক থেকে কলকাতায় যেতে গেলে ট্রেনে সুবিধা হয় কিন্তু লোকডাউন থাকায় ট্রেন সময়মতো চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে ট্যাক্সি ধরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম আমরা।

আমরা রোডের উপরে যেয়ে দেখি কোনো ট্যাক্সি আশেপাশে নেই। তখন কি আর করার, ফোনের অ্যাপ থেকে ওলা বুক করার জন্য জায়গার নাম সার্চ দিলাম। দেওয়ার পরে রেট দেখে মাথায় হাত উঠে গেলো একপ্রকার, কারণ যেখানে ৪০০ টাকার মধ্যে কলকাতায় বহুবার গিয়েছি ওলা করে সেখানে ১০০০ টাকা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে যায়। তারপর অন্য একটি উবের সার্চ করে দেখলাম সেটাতে রেট কম আছে এবং বুকিংও করলাম। ওলা এবং উবের এই দুটিও একপ্রকার ট্যাক্সির মতো, কিন্তু এগুলো অ্যাপ এর মাধ্যমে চলে।

বুকিং করার পরে একটা সমস্যাতেও পড়ে গেলাম, ড্রাইভার জায়গা চিনতে পারছে না, সে একটা গলির ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছে ৩০ মিনিট ধরে। ফোন করলেও ফোন ধরে কথা বলে না, এদিকে আমাদের দেরিও হয়ে যাচ্ছে। শেষে মেজাজ টা একটু গরম হয়ে গেলো, কারণ ফোন করছি কোথাও বলছে না ড্রাইভার, এদিকে চিনতেও পারছেনা ফলে বুকিং ক্যানসেল করে দিয়ে আবারও ওলা বুকিং করলাম। ভাবলাম আর উপায় নেই, রেট যাই হোক এইবার ওলা বুকিং করতেই হবে। তবে এইবার রেট একটু কম ছিল, এদের রেট একপ্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো সেকেন্ডে সেকেন্ডে চেঞ্জ হয়। যাইহোক বুকিং করলাম এবং ১০ মিনিটের মধ্যে চলেও আসলো। তারপর আমরা অবশেষে কলকাতায় পৌঁছালাম রাস্তার অনেক জ্যাম-জটলা কাটিয়ে।

তবে কোলকাতাতে পৌঁছিয়ে আমি হতবাক হয়ে গেলাম একপ্রকার, কলকাতায় যেখানে করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ বেশি সেখানে সবাই বিনা মাস্ক এ চলাচল করছে এবং কোনোরকম নিয়মবিধি পালন করছে না। তারপর ইউনিভার্সিটির ভিতরে প্রবেশ করলাম যখন তখন ছেলেমেয়েদের চলাফেরা দেখেও মনে হয় ভাইরাস আর নেই, সবাই গায়ে গায়ে ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে , আবার অনেকে হাত ধরে হাটাহাটি করছে। সবমিলিয়ে একপ্রকার মানুষের চলাফেরা খুবই বাজে অবস্থা। তবে এইরকম চলাফেরা করলে তৃতীয় ঢেউ খুব তাড়াতাড়ি ঢুকবে এবং সেটা সময়ের আগে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

যাইহোক আমাদের কাজ মোটামুটি ঘন্টাখানিকের মধ্যে মিটে গেলে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে রাস্তার দিকে আসলাম। তারপর বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার জন্য আবার গাড়ি বুকিং করলাম। গাড়ি আসলে আমরা দুইজন গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। আসতে আসতে প্রায় বিকাল হয়ে গেছিলো।

আমাদের মধ্যমগ্রাম-বারাসাত এর মধ্যে ঢুকতেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। যদিও আজকে সকাল থেকে ভীষণ গরম পড়ছিলো। বৃষ্টি হওয়াটা দরকার ছিলো। সেই যে বৃষ্টি শুরু হলো আর থামার নাম নেই, আমি গাড়ি থেকে নেমে দেখি তখনও হালকাপাতলা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ৫ মিনিট ধরে ভিজতে ভিজতে বাড়িতে এসে স্নান করে নিলাম এবং খেয়েদেয়ে ঠান্ডা আবহাওয়া ঘুমিয়ে পড়লাম।

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনপশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা
তারিখ১৬.০৭.২০২১

Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power

100 SP250 SP500 SP1000 SP2000 SP
Sort:  
 3 years ago 

অনেক সুন্দর পোস্ট ভাইয়া

 3 years ago 

ধন্যবাদ।

 3 years ago 

💖

 3 years ago 

চমৎকার ব্লগ ভাই, আপনি ড্রয়িং এর সাথে সাথে চমৎকার ব্লগও লিখতে পারেন বুঝতে পারলাম।
হ্যা, ভাই এটা খুবই বড় ধরনের সমস্যা, আমাদের এখানেও একই রকম অবস্থা, কেউ মাস্ক পড়তে চায় না!

 3 years ago 

মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।

 3 years ago 

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 63138.55
ETH 2579.36
USDT 1.00
SBD 2.80