ক্যালিয়ান্ড্রা ফুলের আলোকচিত্র

আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ফুলের কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, বিভিন্ন ধরণের ফুল আর উদ্ভিদ যেনো মনকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে তোলে। আমি আজকে এই ফুলটি সম্পর্কে কিছু সাধারণ জানকারী নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক বিষয়টা।

এটি একধরণের ফুল জাতীয় উদ্ভিদ। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। আমাদের এশিয়া এবং তার বাইরেও এই ফুল জাতীয় উদ্ভিদটির একাধিক প্রজাতি রয়েছে। এই ফুলগুলোকে বলা হয়ে থাকে ক্যালিয়ান্ড্রা। তবে এই ক্যালিয়ান্ড্রা নামটা মূলত লোকাল নাম হিসেবে অনেক জায়গায় পরিচিত। আমার জানা মতে এই ক্যালিয়ান্ড্রা প্রজাতির ফুলটির একটা বিজ্ঞানসম্মত নাম আছে সেটি হলো ক্যালিয়ান্ড্রা বেলা বেন্থ ।

মূলত এই ফুলগুলোর সব প্রজাতিই ক্যালিয়ান্ড্রা প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই ক্যালিয়ান্ড্রা প্রজাতির ফুলটি আমাদের এদিকে প্রায় দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের অনেকের বাড়িতেও এই ফুলের উদ্ভিদ থাকে আবার বিভিন্ন উদ্যান বা পার্কেও এই উদ্ভিদগুলো হয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ফুলগুলোর একটা আকর্ষণীয়তা আছে এবং সবজায়গায় বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে । এই ফুলগুলো বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন করে লাগিয়ে থাকে।

এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে আলাদা আলাদা প্রজাতির উদ্ভিদ নির্বাচন করে লাগানো হয়ে থাকে। তবে আমাদের এশিয়ার দিকে বেশিরভাগ স্থানে ক্যালিয়ান্ড্রা বেলা বেন্থ নামক প্রজাতির ফুলের উদ্ভিদটি বেশি দেখা যায় এবং এইগুলো আমাদের এখানকার জলবায়ুর সাথে বেশ খাপখাইয়ে বেড়ে উঠতে পারে দ্রুত। তবে বাদ বাকি যেসব প্রজাতি আছে সেগুলো অন্যান্য দেশেতে বিভিন্ন কালারফুল ফুলের উদ্ভিদ হিসেবে খ্যাত।

আমাদের এখানে ব্যাসিকালি গোলাপি আর লাল টাই বেশি দেখা যায়। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে হয়ে থাকে। এই ফুলের কালারটাই মূলত সৌন্দর্যতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ফুলের কালারগুলো বেশ ঔজ্বল্য। এই ফুলের উদ্ভিদের পাতাগুলো কিছুটা লতাপাতার মতো লাগে দেখতে, একটি পাতা থেকে আরেকটি দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত। পাতাগুলো ঘন, ছোট ছোট আর কাণ্ডে পর্যায়ক্রমিক ভাবে সাজানো থাকে পর পর ।

এদের পাতাগুলো কাণ্ডে এতো ঘন অবস্থায় বেড়ে থাকে যে ফুলের উদ্ভিদটিকে একটি ঝোপঝাড়ের মতো দেখতে লাগে। এই ক্যালিয়ান্ড্রা ফুলের উদ্ভিদটি একটি চিরসবুজ উদ্ভিদ এবং বহুবর্ষজীবী। আমাদের এদিকে এই ফুলের উদ্ভিদগুলো বেশ বড়ো বড়ো হয়ে থাকে তবে প্রজাতি ভেদে কিন্তু ছোটও হয়ে থাকে অনেক জায়গায়। আগেই বলেছি এই ফুলের কালারগুলো বেশ আকর্ষণীয়, ফলে এই ফুলগুলো স্থানগুলোতে ব্যাপকভাবে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে থাকে।

এই ফুলগুলো উদ্ভিদে প্রায় সবসময় প্রস্ফুটিত হতে দেখা যায় তবে এগুলো বছরের একটা নির্দিষ্ট ঋতুতে গিয়ে আবার প্রচুর পরিমানে প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো প্রস্ফুটিত হওয়ার পরে দেখতে অসাধারণ লাগে, ফুলের পাপড়িগুলো খুব সরু সরু আর অসংখ্য হয়ে থাকে। তবে এই ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার পরে বেশিক্ষন আর সতেজ থাকে না, পাপড়িগুলো আস্তে আস্তে শুকিয়ে আসে। এই ফুলগুলো যখন বৃতি থেকে কুঁড়ি হিসেবে বের হয় তখনও দেখতে একটা বেশ আকর্ষণীয়তা কাজ করে।