সরস্বতী পুজো ২০২৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজ তিনদিন হলো সরস্বতী পুজো হয়ে গেলো। সরস্বতী পুজো এই বছর একটু দেরি করেই হয়েছে, অন্যান্য বছর একটু আগেই হতো । তবে দেরি করে হলেও গত ২৬ তারিখ একটা ভালো দিনও ছিল। গত ২৬ তারিখ একদিকে প্রজাতন্ত্র দিবস ছিল আবার সেই দিনেই একই সাথে সরস্বতী মায়ের পুজোটাও হলো। প্রজাতন্ত্র দিবসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন ভারতবাসীর পক্ষে। তবে আজকাল তেমন বেশি একটা মানুষজনের মধ্যে এইসব ভক্তি শ্রদ্ধা দেখা যায় না, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সকালে দেখলাম শুধু পতাকাটা উত্তলন করছে কোথাও আর তার সাথে গান হচ্ছে অন্য ধরণের, তাই গান শুনে মনে হবে না যে আজকে প্রজাতন্ত্র দিবসও পালন হচ্ছে । কোথায় কি গান বাজাতে হয় সেটাই যেন মানুষজন আজকাল ভুলে যাচ্ছে।

Photo by @winkles

তবে সব স্থানের কথা বলবো না, কিছু কিছু স্থানে আবার এইসব বিষয়ে খুব ভক্তি শ্রদ্ধা দিয়ে পালন করে। যাইহোক সরস্বতী পুজোতে এইবার তেমন একটা কোথাও বের হইনি, দাদাদের বাড়িতে গিয়ে অঞ্জলি দিয়ে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। তাছাড়া এই বছর আমাদের টিনটিন সোনার হাতেখড়ি ছিল, সেইসব অনুষ্ঠান সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করে পুজো শেষ করা হয়েছিল। আমাদের বাড়িতেও সরস্বতী পুজো হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কিছু সমস্যা থাকার কারণে শেষমেশ আর করা হয়নি। আর তাছাড়া সরস্বতী পুজোতে বিগত দুই বছর করোনার জেরে সেইভাবে কেউ বাইরে বেরিয়ে কারো বাড়িতে যেতে পারেনি, সবাই কোনোমতে ঘরোয়াভাবে করেছিল। তবে সবথেকে সরস্বতী পুজোতে আনন্দটা হয় স্কুলে বা কলেজের পুজোতে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

স্কুলে পড়াকালীন খুব মজা হতো। স্কুলে আগে আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিমা নিয়ে আসতাম এবং সেগুলো আবার নিজেরা সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতাম পুরোহিত মশাই আসার আগে। তবে সকাল থেকে সবাই না খেয়ে থাকতাম স্কুলে অঞ্জলি দেব এই ভেবে আর ঠিক পুরোহিত মশাই সবার লাস্টে আসতো স্কুলের পুজোতে। গ্রামের পুজোতে একটা আনন্দ হতো কি যে স্কুলে অঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেলে পরে সবাই যেখানে পুজো হতো সব জায়গায় পুজোর প্রসাদ বা খিচুড়ি খেতে চলে যেতাম। এখন আর কোথাও যাওয়া হয়না, ফলে সেই আনন্দটা বন্ধুরা মিলে করা হয় না।

Photo by @winkles

সরস্বতী পুজোতে কিন্তু তেমন কোনো অনুষ্ঠান বা বড়ো করে কিছু করা হয় না, শুধু পুজোর দিন অঞ্জলি দিয়ে আর যাদের হাতেখড়ির ব্যাপার থাকে এইটা করেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু পুজোর পরেরদিন সন্ধ্যায় হাটতে বেরিয়ে দেখলাম এইবার বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হচ্ছে। আমাদের এদিকে এখনো গান, নাচের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। অনেক জায়গায় অনেক বড়ো বড়ো প্রতিমা তৈরি করেছে আর সাথে প্যান্ডেল মতোও করেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো রাত ১২ টা পর্যন্ত করে তাই গতকাল ভেবেছিলাম রাতের দিকে খেয়েদেয়ে একটু দেখে আসবো, কিন্তু শরীরটা হঠাৎ করে একটু খারাপ লাগার ফলে আর বের হইনি। তবে এখনো এক-দুইদিন হবে, শরীর ভালো লাগলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

All photos location: https://w3w.co/yell.storybook.wishing

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনবারাসাত
তারিখ২৬ জানুয়ারি ২০২৩


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

পূজা উপলক্ষে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে এই পূজার মন্ডপের ডেকোরেশন খুবই সুন্দর হয়েছে। অসাধারণ ভাবে তারা ডেকোরেশন করেছে। আমাদের এলাকাতেও অনেক আনন্দময় মুহূর্ত সবাই উপভোগ করছে। সারাদিন যেন গান-বাজনায় মেতে উঠেছে। সেই দৃশ্যগুলো দেখি, আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে বর্ণনা করলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 2 years ago 

ওয়েদার চেঞ্জ হওয়াতে এত শরীর খারাপ লাগা চারিদিকে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। সরস্বতী পূজো হয়ে গেল তিনদিন আগে। আর সেদিন প্রজাতন্ত্র দিবসও ছিল। আসলে আজকাল অনেকেই অনুষ্ঠান অনুযায়ী গান শুনবে তেমনটা শোনে না। যার যেমন তেমনটাই চলছে।আর এটা ঠিক করোনার জন্য পূজো সবাই এ দুবছর ঘরোয়াভাবে নিজ নিজ ভাবে করেছে। এবার আপনি টিনটিন বাবুর হাতেখড়ি তে সেখানে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এমনটাই আশাকরি দাদা। অনেক ভাল লাগলো দাদা। অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 2 years ago 

প্রজাতন্ত্র দিবস ও সরস্বতী পুজো একই দিনে হওয়াতে ভালোই হয়েছে। তবে আজকাল কোথায় কোন গান বাজানো উচিত সেগুলো অনেকেই বোঝেনা। আসলে ভিন্ন সংস্কৃতির নামে তারা নিজের ঐতিহ্যকেই ভুলে যাচ্ছে। যাইহোক দাদা সরস্বতী পুজো মানেই বাঙ্গালীদের আনন্দ। স্কুল কলেজগুলোতে সরস্বতী পুজোর প্রোগ্রাম আগে অনেক দেখতাম। এ বছর যেহেতু সরস্বতী পূজোয় আমাদের সকলের আদরের এবং প্রিয় টিনটিন বাবুর হাতেখড়ি হয়েছে তাই আমরা সকলে আশীর্বাদ করি টিনটিন যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারে এবং নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যেতে পারে। যাইহোক আপনি যেহেতু পূজোর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখেননি আশা করছি শরীর ভালো লাগলে দেখতে যাবেন। তবে এই ঠান্ডায় রাত জেগে অনুষ্ঠান দেখলে শরীর আবারও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সাবধানে থাকবেন দাদা। এই সময় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

 2 years ago 

আসলেই দাদা মানুষজন এখন কথায় কি গান বাজানোর দরকার সেটা ভুলেই যায় ৷ যাই হোক একদিকে প্রজাতন্ত্র দিবস অন্য দিকে সরস্বতী মায়ের পূজা বেশ ভালোই হয়েছে ৷ দাদার বাড়িতে গিয়ে সরস্বতী পুজো করেছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ তবে ঠিক বলেছেন স্কুলে কিংবা কলেজের সরস্বতী পূজা করার মজাই আলাদা ৷ সকাল সকাল না খেয়ে সব কিছু গুছিয়ে পুরোহিত মশাই জন্য অপেক্ষা করা , বেশ মজার মুহূর্ত ছিলো ৷

 2 years ago 

দাদা আপনাদের প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্যপারে আমার তেমন কোন জ্ঞান নেই। তবে সরস্বতী পুজোর কথা অনেক শুনেছি দেখেছি। ২৬ তারিখ তাহলে আপনারা এক সাথে দুইটি অনুষ্ঠান পালন করলেন। স্কুল লাইফ আর কলেজ লাইফ সবাই মজা করে। বিশেষ করে দিবস গুলোতে এত মজা করা হয় যে সারা জীবন মনে থাকে। যেমন এখনো আপনাদের সরস্বতী পুজোর স্মৃতি মনে পড়ে। এমন ভাবে সবার লাইফেই অনেক স্মৃতি রয়েছে। যায়হোক মোটামুটি সরস্বতী পুজো নিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট পড়ে ফেললাম। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

কোথায় কি গান বাজাতে হয় সেটাই যেন মানুষজন আজকাল ভুলে যাচ্ছে।

একদম ঠিক বলেছেন দাদা আমাদের এদিকেও একই রকম অবস্থা দেখা যায়। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের দিনে যখন রাস্তায় হিন্দি গান চলে তখন খুবই খারাপ লাগে যে আজকের দিন অন্তত বাংলা গান চলতেই পারতো। তাছাড়া আমাদের এদিকে সরস্বতী পূজার সময় বেশিরভাগই স্কুল বন্ধ থাকে। কিন্তু ইউনিভার্সিটির হলগুলোতে বেশ বড় করে পূজার আয়োজন করে। কোন এক সমস্যার কারণে আপনাদের বাড়িতে পূজা না হলেও দাদার বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালই পূজার আনন্দ করে এসেছেন। বিশেষ করে টিনটিনের হাতে খরি উপলক্ষে। শরীর খারাপের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেতে পারলেন না তা না হলে আরো কিছু ভিডিও অথবা সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পারতাম। আশা করি এখন সুস্থ আছেন।

 2 years ago 

স্কুলে থাকাকালীন সময়ে এই সরস্বতী পুজোর মজাই ছিল অন্যরকম। প্রতিমা কিনে নিয়ে আসা থেকে শুরু করে পুজোর পরের দিন পর্যন্ত অনেক আনন্দ করতাম স্কুলে এই সরস্বতী পুজোয়। সময়ের সাথে সাথেই ব্যাপার গুলো অনেকটাই হারিয়ে গেছে। এই বছরের সরস্বতী পুজো আমার তো খুব বাজে ভাবে গেছে। বাড়িতে বসে কাটাতে হয়েছে অসুস্থতার কারণে। আপনার শরীরটাও একটু খারাপ যা বুজলাম। যাই হোক রেস্ট নেবেন প্রার্থনা রইলো তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।

 2 years ago 

দাদা এখন অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, শ্রদ্ধা ভক্তি এগুলো মানুষ আজকাল ভুলতে বসেছে। যাক তবুও কিছু মানুষ সবকিছু মেনে চলেছেন এটাই বড় বিষয়। আমাদের ছোট বেলার অনেক কিছু এখন আর মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এই দেখুন আপনার ছোটবেলার পুজো কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো এখন আর আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। দিনগুলো সত্যিই হারিয়ে গেছে 😕
যাক আপনার পুজোর এই পোস্টটি ভালো লাগলো দাদা।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

দুঃখের বিষয়, এই বছর সরস্বতী পূজা দেখা হয়নি।তবে আপনার মাধ্যমে সরস্বতী মায়ের দর্শন করলাম।খুবই ভালো লাগছে সকাল সকাল।অনেক সুন্দর মায়ের প্রত্যেকটি মূর্তি।সত্যিই মানুষের মধ্যে ভক্তি ,শ্রদ্ধা কম দেখা যায়।আপনি দাদাদের বাড়ি অঞ্জলি দিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।আশা করি টিনটিন বাবুর হাতেখড়ি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58363.73
ETH 2484.43
USDT 1.00
SBD 2.39