আলু, বেগুন দিয়ে কালবোস মাছের সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি কালবোস মাছের রেসিপি তৈরি করেছি। এই মাছগুলো খুবই টেস্টফুল মাছ। এই মাছগুলো অনেকটাই রুই মাছের মতো দেখতে লাগে ফলে চিনতেও অনেকসময় ভুল হয়, আমিও মাঝে মাঝে চিনতে ভুল করি। আর এই মাছগুলো বেশি পাওয়াও যায় না এখন। এই মাছ আগে খাল বিলেও পাওয়া যেত খুব কিন্তু এখন হারিয়ে যাচ্ছে এইসব মাছের প্রজাতি, এখন এই মাছগুলো প্রজননের মাধ্যমে চাষ করে থাকে তাছাড়া আর কোথাও তেমন পাওয়া যায় না। এই কালবোস মাছ অনেকটা বড়ো হয় কিন্তু বেশি বড়ো মাছ আবার তেমন ভালো লাগে না। এই কালবোস মাছগুলোও এখনও বেশি একটা বড়ো হয়ে পারিনি, হালকা বড়ো হতেই তুলে বিক্রি করে দেয়। তবে অল্প বয়স্ক মাছগুলোর টেস্ট আবার বেশি লাগে। বেগুন আর আলু দিয়ে আঁটো আঁটো করে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিলো। এখন এই রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
➤কালবোস মাছ দুটিকে কেটে নেওয়ার পরে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুনটিকে কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
➤আলুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলোকে কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে বীজগুলো ফেলে দিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কুচি করে নিয়েছিলাম।
➤কেটে রাখা কালবোস মাছের পিচগুলোতে ২ চামচ লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম হাত দিয়ে।
➤মাছের পিচগুলো কড়া করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুনের কেটে রাখা পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলুর পিচগুলো লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ কুচি ধুয়ে নেওয়ার পরে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে সরিষার তেল দেওয়ার পরে জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম পরিমাণমতো। এরপর ভাজা বেগুনের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤বেগুনের পিচগুলো দেওয়ার পরে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কা আর স্বাদ মতো লবন, হলুদ, লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤ভাজা উপাদানগুলোর সাথে সব মশলা ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ কুচি দেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারি কিছুক্ষন ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে আসার জন্য।
➤সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা কালবোস মাছের পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য দেরি করেছিলাম।
➤তরকারির ঝোলটা একদম কমিয়ে নিয়েছিলাম, এই মাছটা আলু আর বেগুন দিয়ে করলে কম ঝোলে বেশি সুস্বাদু লাগে। তরকারি একটু আঁটো আঁটো মতো না হলে ভালো লাগে না, বেগুনের তরকারি যত কম ঝোলে খাওয়া যায় তত ভালো লাগে। যাইহোক তরকারিটা হয়ে গেলে আমি তরকারিতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
কালবোস মাছ খেতে আমি অনেক পছন্দ করি আমাদের এলাকায় অনেক আগে কালবোস মাছ পাওয়া যেত তবে এখন আর তেমন একটা পাওয়া যায় না। দাদা আপনার উপস্থাপন করা আলু বেগুন এবং কালবোস মাছের রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু রেসিপি। রেসিপিটা দেখে আমি অনেক আনন্দিত। আসলে এই ধরনের মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে এবং এই ধরনের মাছগুলো তে অনেক প্রোটিন থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী সব মিলিয়ে অনেক পুষ্টিকর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার স্বরূপ সবার মাঝে শেয়ার করেছেন , অনেক শ্রদ্ধা রইল দাদা আপনার জন্য। 🙏
বেগুন আলু আমার খুবই প্রিয় সবজি। যেকোন মাছের সাথে বেগুন আলু রান্না করলে খেতে দারুন লাগে। এছাড়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কালবোস মাছ দিয়ে বেগুন আলুর এই মজার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমার অঞ্চলে সাধারণত এই মাছটিকে কালবাউশ বলা হয়। যাইহোক অঞ্চল ভেদে হয়তো নামের পার্থক্য রয়েছে। অনেক আগে দেখেছি আমার দাদা বাজার থেকে এই মাছ কিনে আনতেন। তবে বর্তমানে এই মাছগুলো খুব একটা পাওয়া যায় না। যাই হোক দাদা আপনি অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এবং আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ❤️❤️❤️
খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আলু,বেগুনের এই রেসিপি আমার কাছে ভালো লাগে। মাছ দিয়ে রান্না করা হলে খেতে সুস্বাদু হয়. আপনার রান্নার পদ্ধতি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দাদা। আর খেতে খুব মজা হবে সেটা কিন্তু বুঝতেই পারছি অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাই আপনার আজকের রেসেপি টি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ৷আলু বেগুন ও কালবোস মাছ একসাথে দারুন রেসিপি ভাই তৈরি করেছেন ৷যদিও কালবোস মাছের নাম এই প্রথম শুনলাম ৷সবমিলে ভালো লাগলো আপনার করা রেসেপিটি ৷
আলু বেগুন দিয়ে কালবোস মাছের রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে আসছে ভাইয়া। রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল আর এই কালবোস মাছ আমাদের গ্রাম অঞ্চলে কালবাউশ মাছ নামে পরিচিত। কালবোস মাছ ভাজার প্রসেস অসাধারণ ছিল।রেসিপিটা বেশ মজাদার হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে কালবাউশ মাছে ঝোল দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে, আলু বেগুন দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করলে খেতে অনেক মজা লাগে। দাদা আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপে ধাপে রেসিপি টি বুঝিয়ে দিয়েছেন যা দেখে যে কেউ সহজেই রান্না করতে পারবে। অনেক লোভনীয় হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর এই রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
কালবোস মাছ খেতে আসলেই অনেক মজা। আমি অবশ্য অনেক বড় সাইজের খেয়েছি। ছোটগুলো খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথম জানলাম যে বড় গুলোর থেকে ছোট গুলোই মজা বেশি। এরপরে ছোটগুলো একবার খেয়ে দেখতে হবে। তাছাড়া দাদা আপনি আলু বেগুন দিয়ে যেভাবে রান্না করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আজকে অবশ্য দাদা আলু চটকে ঝোলের সঙ্গে মেশাননি। আপনার আলু চটকে ঝোলের সঙ্গে মেশানোটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এর ফলে মনে হয় স্বাদ আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়।
আলু এবং বেগুন দিয়ে কাল-বোশ মাছের দারুন রেসিপি করেছেন দাদা। এই ধরনের মাছ অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। যেটা আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি করলেন। এই ধরনের সবজি দিয়ে রেসিপি করলে অনেক সুস্বাদু হয় খেতে ভালো লাগলো।
অসাধারণ একটি মাছের রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা মাশাল্লাহ অনেক ভাল ছিল। খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কালবোস মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা অসাধারণ একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখতে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। আশা করি খেতেও অনেক মজার হয়েছে ৷ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনাও করেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কালবোস মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ৷