টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ফাষ্টেন ইওর সিটবেলটস ( পর্ব ১-সিজন ২ )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে ম্যানিফেস্ট টিভি সিরিজটির আরেকটি নতুন পর্ব রিভিউ দেব। এই ম্যানিফেস্ট সিরিজের প্রথম সিজন ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে আর এখন দ্বিতীয় সিজন শুরু হবে। আজকের দ্বিতীয় সিজনের প্রথম পর্বের নাম হলো "ফাষ্টেন ইওর সিটবেলটস"। প্রথম সিজনের শেষেরটায় তো দেখেছিলাম জেক আর রামিরেজ এর ধস্তাধস্তির মাধ্যমে গুলি চলে যায় কিন্তু মেলিসার গায়ে লেগেছিলো কিনা দেখা যায়নি, আজকে দেখা যাক কি হয় এই সিজনের প্রথম কাহিনীতে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


❂কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ তথ্য:❂

সিরিজটির নাম
ম্যানিফেস্ট
প্লাটফর্ম
নেটফ্লিক্স
সিজন
পর্ব
ফাষ্টেন ইওর সিটবেলটস
পরিচালকের নাম
জেফ রেক
অভিনয়
মেলিসা রক্সবার্গ, জোশ ডালাস, জে.আর. রামিরেজ, লুনা ব্লেইস, পারভীন কৌর ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৩০ জুলাই ২০১৯ ( ইউনাইটেড কিংডম )
সময়
৪২ মিনিট ( ১ম পর্ব -সিজন ২ )
ভাষা
ইংরেজি
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইউনাইটেড স্টেট


✔মূল কাহিনী:


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জেক আর রামিরেজ এর লড়াইয়ের মাধ্যমে যে গুলিটা হঠাৎ চলেছিল সেটা আসলে মেলিসা দরজা খোলার সাথে সাথে তার পেটে গিয়ে লাগে। এরপর রামিরেজ এম্বুলেঞ্চ ডাকে কিন্তু মেলিসা তখন প্লেনের মধ্যের ঘটনাগুলো মনে করতে লাগে আর প্লেনের মধ্যে জ্যাক কিছু একটা বলেছিলো বিপদের সময় সেইটা মনে করার চেষ্টা করে। আর জেককে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বলে মেলিসা কারণ NYPD তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জেক চলে যাওয়ার পরে এম্বুলেঞ্চ আসলে মেলিসাকে অক্সিজেন দিয়ে নিয়ে যায় হসপিটালে কিন্তু তার ওইসব চিন্তার কারণে ব্লাড প্রেসার হাই হয়ে যেতে লাগে। সেখানে জোশ সহ তার পুরো পরিবার চলে আসে। পরে পারভীন এসে বলে মেলিসার সার্জারি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে আর ভয়ের কোনো কারণ নেই, এখন আস্তে আস্তে রিকোভারি হয়ে যাবে। জোশ আর রামিরেজ মেলিসাকে দেখতে যেতে চায় সার্জারির পরে কিন্তু পারভীন রামিরেজকে মানা করে দেয়, কারণ মেলিসা রামিরেজকে দেখতে চায় না। যাইহোক জোশ একাই দেখতে যায় আর জ্যাক কি বলেছিলো সেই বিষয়টাও জোশ এর সাথে বলতে লাগে, মনে হয় সম্ভবত কোনো গুরুত্ত্বপূর্ণ কথা যার কারণে মেলিসা অনেকটা বেশি উৎসুক সেই কথাটা জানার জন্য। এরপর জ্যাক সেখানে আসে আর সম্ভবত সে 'সেভ হিম' জাতীয় কিছু একটা বলে। মেলিসার চিকিৎসা হওয়ার দুই মাস পরে জোশ একজনের বাড়ির কাছে যায় এবং সেখানে কিছু স্থান বা জিনিসের ছবি তুলতে লাগে তখন একটা লোক বন্দুক হাতে বেরিয়ে আসে আর জোশ তার পরিচয় দেয় এবং তার সাথে কথা বলতে চায়।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

জোশ ওই লোকটার সাথে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে এবং সে কোনো ভয়েস বা কোনোরকম অস্বস্তি বোধ করছে কিনা এটাও জানার চেষ্টা করে কারণ যেহেতু ওই লোকটাও ফ্লাইট ৮২৮ এ ভ্রমণ করেছিল তাদের সাথে। জোশ এইসব বিষয়ে লোকটার সাথে কথা বলার পরে সেখান থেকে হসপিটালে পারভীনের সাথে কথা বলতে যায় আর সাথে করে এথেনাকেও নিয়ে যায় কারণ সে প্রেগনেন্ট কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য। পারভীন সব কিছু চেক করার পর প্রেগনেন্ট হয়েছে এই বিষয়টা কন্ফার্ম করে দেয়। এরপর তারা বাড়িতে চলে মানে তারা তাদের বাড়িতে চলে যায় আর এই খবরটা শুনে সবাই অনেক খুশি হয়। এদিকে মেলিসাও নিজেকে সুস্থ করে তোলার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে, এখনো মেলিসা ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারছে না। মেলিসা একটু সুস্থ হওয়ার পরে সে তার কর্মস্থলে যায় এবং সেখানে NYPD এর হেড যিনি তার সাথে কথা বলতে যায় জেক এর ব্যাপারে। NYPD যেককে খুঁজছে আর রামিরেজও তাকে হাতে পেলে না মেরে পারে না কারণ রাগ আর ক্ষোভ জমে রয়েছে। যাইহোক সেই অফিসারটি কারণ জানতে চাইলে বলে যে এটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল, ভুলবশত গুলিটা আমার উপর চলে গেছে। এরপর অফিসারটি বলে জেক তোমার নতুন বয়ফ্রেন্ড বলে বাঁচাতে চাচ্ছ, কিন্তু মেলিসা বলে দেয় জেক ওর শুধু ফ্রেন্ড। সেখানে রামিরেজ আসে আর মেলিসার সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু সেইদিনের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝির সমস্যা হওয়ার কারণে কথা বলতে চায় না।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

মেলিসা তার অফিসে ভাসিক নামক একজনের নাম দেখে কেমন যেন একটা হতাশ মতো হয়ে যায় কারণ জোশ এর বোর্ডে যেসব প্যাসেঞ্জারের নাম আর ছবি লাগানো ছিল তাদের মধ্যে এই ভাসিক লোকটারও নাম ছিল। পরে মেলিসা বাড়িতে এসে জোশকে বললে এই লোকটার বিষয়ে একটু খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয়। সেখানে সারিকা নামক একজনের নাম খুঁজে পায় যে এই ফ্লাইট এর যাত্রী ছিল এবং সেখানে ঠিকানা নিয়ে চলে যায় কথা বলতে আর সেখানে তখন বাইরের কিছু গাড়ি দেখতে পায় যেটা দেখে জোশ ছবি তুলে নেয়। এদিকে জ্যাক জেককে খুঁজতে জেকের বাড়িতে চলে যায় এবং কলিং বেল বাজাতেই জেকের মা এসে হাজির হয় আর জেকের খবর জানতে চাইলে তার মা বলতে চায় না প্রথমে কিন্তু জ্যাকের হাতে একটা ড্রয়িং আঁকা ছিল জেকের আর তাতে জ্যাক দেখিয়েছিলো যে জেক কোথায় আছে। এরপর জ্যাক জেকের কাছে যায় এবং কিছু বিষয়ে আলাপচারিতা করে। এরপর জেক বাড়ির থেকে বেরিয়ে পড়ে এবং রোড দিয়ে যেতে যেতে মেলিসার সাথে দেখা হয়। মেলিসা দেখে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে কারণ পুলিশ তাকে খুঁজছে। মেলিসার বলার পরেও জেক সেখান থেকে যেতে চায় না।


স্ক্রিনশর্ট: NETFLIX

মেলিসা জেককে বারবার সেখান থেকে চলে যেতে বলা সত্বেও যায়নি একটা কারণে কারণ সে নিজেকে ধরা দিয়েছিলো পুলিশের কাছে আর নিজেই পুলিশকে ফোন করে ডেকে নিয়ে এসেছিলো। যাইহোক এরপর পুলিশ সেখানে চলে আসে আর তাকে ধরে নিয়ে চলে যায়। এরপর মেলিসা আর জোশ রোড দিয়ে গাড়িতে করে যেতে যেতে আঞ্চন নামক একটা লোক আর তার স্ত্রীকে দেখে গাড়িতে ড্রাইভ হাতে একটি খাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর সেখান থেকে খাদে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কারণ তাদের লাইফেও কিছু ঘটনা ঘটছে একভাবে যেটাতে তাদের অসহ্য ধরে গেছে এই কথাগুলো তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে। আর এই আঞ্চন নামক লোকটা আর জোশ প্লেনের ভিতরে একসাথেই গল্পগুজব করতে করতে এসেছে। আর এখন এই পরিস্থিতিতে দেখে জোশ তাকে হেল্প করার জন্য পাশে যেতে চাইলে না করে দেয় আর নিজেদের শেষ করে দেওয়ার চিন্তা করে কিন্তু জোশ তাকে বোঝায় যে আমাদের সবারই সাথে এমন ঘটনা ঘটছে তাই এইধরণের স্টেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এরপর মেলিসা সেখানে খাদের পাশে দেখে একটা গাড়ি পড়ে আছে আর তাতে শিশুর কান্নার আওয়াজ আসছে, এইটা দেখে মেলিসা তার অফিসারদের ফোন করে ডাকে আর তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে, পুরো একটা পরিবার ছিল সেই গাড়িতে। এরপর জোশকে দেখা যায় সে যখন রাতের বেলা কিছু ময়লার ডিব্বা একটা ডাস্টবিনে ফেলতে যায় তখন সেই গাড়িটাকে দেখতে পায় যে গাড়ির ছবি জোশ ফটো তুলেছিল। এরপর জোশ দৌড়িয়ে গাড়ির কাছে যায় আর চিল্লাতে লাগে কে কে করে, কিন্তু তখন কিছু লোকজন এসে তার মুখে কাপড় বেঁধে গাড়িতে করে নিয়ে যায়।


✔ব্যক্তিগত মতামত:

এখানে এই পর্বের কাহিনীতে বোঝা গেলো যে গুলিটা মেলিসার গায়ে লেগেছিলো কিনা। কিন্তু এটা তার গায়ে লেগেছিলো ভুলবশত যেটাকে একপ্রকার এক্সিডেন্ট বলা যায়, কারণ কখনো কিছু কিছু বিষয় এমনভাবে ঘটে যায় যেটা ইচ্ছাকৃত হয় না, ভুলবশত এক্সিডেন্টলি হঠাৎ ঘটে যায়। কিন্তু এই ভুলবশত বা এক্সিডেন্টটাকে অনেকে একটা ইস্যু বানায় আর সেটাকে নিয়ে দোষারোপ করে কিন্তু বুঝতে চায় না। তবে এখানে রামিরেজ তাকে ভুল বুঝেছিলো অন্য কারণে আর সেই কারণে সহ্যও করতে পারতো না, রামিরেজ যেহেতু মেলিসাকে অনেক ভালোবাসতো তাই তার পাশে বা তার বাড়িতে জেককে সহ্য করতে পারতো না আর এইটা নিয়েই একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে আর একটা বড়ো ইস্যু তৈরি হয়ে যায়। পুলিশও সেই সূত্র ধরে জেককে খুঁজে বেড়াচ্ছে আর জেক শেষ পর্যন্ত নিজেকে ওইভাবে পালিয়ে পালিয়ে থাকতে পছন্দ না করে নিজেই পুলিশকে ডেকে এনে ধরা দেয়। ফলে জেক নির্দোষ হওয়া সত্বেও জেলের ভিতরে গেলো। আসলে কিছু কিছু সময় মানুষের জীবনে এমন পরিস্থিতি চলে আসে যে কোনোরকম দোষ না করা সত্বেও সে দোষী হয়ে যায়, এটা আবার কারো কথা শুনেও হতে পারে আবার নিজের ভাবনায় উৎপন্ন হওয়ার থেকেও হতে পারে। যাইহোক আর এদিকে সেই যে বলেছিলাম ড্যারিল মারা গিয়েছে কিনা সেটার আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, আসলে ড্যারিল মারা যায়নি। জোশকে যারা ধরে নিয়ে গেছিলো তারা ড্যারিল এর লোকজন ছিল আর ড্যারিলকে দেখে জোশও অনেক খুশি হয়।


✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৮.৮/১০


✔সিজন ২ ট্রেইলার লিঙ্ক:


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

সিজন -২ এর প্রথম পর্বটা বেশ দারুন।
গত সিজনের শেষ দৃশ্যে মেলিসার দিকে গুলি এসেছে জেনেছিলাম, আর এই পর্বে নিশ্চিত হলাম গুলিটা তার পেটে লেগেছে। এদিকে এটা নেহাত দূর্ঘটনা হলেও জেকের দিকে দোষারোপ আসে। বেশ কিছুদিন পালিয়ে থেকে অবশেষে পুলিশের হাতে জেক ধরা দেয়। আরো একটা তথ্য জানলাম ডেরিল মারা যায়নি।

সবমিলিয়ে ভালোই লাগলো পর্বটা।

দাদা দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

যাক মেলিসার গুলি লাগলেও শেষে বেঁচে গেছে। গুলি লাগার কথা শুনে তো প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম নে মেলিসা মারা গেল নাকি। এর মধ্যে রামিরেজ এর সাথেও মেলিসার ভুল বোঝাবুঝি হলো। আজকে আবার ভাসিক নামে নতুন একজনকে পাওয়া গেলো ওই ফ্লাইটের। জ্যাকের ড্রইং এর মাধ্যমে জেককে খুঁজে পেল। তাছাড়া জেক নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিলো। এদিকে নতুন আরেক দম্পতিকেও দেখা যাচ্ছে যারা ওই ফ্লাইটে ছিলো এবং তাদের সাথেও আজব আজব ব্যাপার ঘটছিলো জন্য আত্মহত্যা করতে চাচ্ছিলো। অবশেষে ডেরিল এর খোঁজ পাওয়া গেলো। প্রতিদিন ভাবছিলাম ডেরিল এর বিষয়ে কিছু দেখাবে। আজকে শেষ মেশ দেখালো। জোশ এর মত আমারো খুশি লাগছে ডেরিল বেঁচে আছে দেখে।

 2 years ago 

আজকের পর্ব থেকে মোটামুটি এটা ধারনা পাওয়া গেল যে, কারো ভাগ্যে যদি বিপদ থাকে,তাহলে সেটা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ আটকানোর মত ক্ষমতা রাখে না। কত মানুষ দুষ না করেও বছরের পর বছর জেল হাজতে আছে। আবার কেউ অপরাধ করেও বিন্দাস ঘুরতেছে। এখানে জেক এর কপাল খারাপ। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

দাদা আজকের পর্বটি আপনি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। আজকের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আজকের পর্বটির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম মেলিসার গায়ে গুলিটা লেগেছে কিন্তু এই গুলি ভুলবশত তার গায়ে লেগেছে। আসলে আমার অনেক সময় অনেক ঘটনা ঘটে যায় যেটা ভুলবশত হয়ে যায়। আর এই ভুলবশত হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক বড় বিপদের মুখে পড়তে হয়।অনেকেই আবার এই ভুলবশত বিষয়গুলো বুঝতে চায় না, এটা একটা অ্যাক্সিডেন্ট হিসাবে মেনে না নিয়ে দোষারোপ করে। আর এই দোষারোপের কারণে অনেক নিরীহ মানুষ বছরের পর বছর সাজা পেতে হয়। আজকের পর্বটি পড়ে ভালই লাগলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষা রইলাম।

 2 years ago 

NYPD দাদা এটা মানে কি?
আমি তো প্রথমে ভাবছিলাম মেলিসা মারা গেছে।যাইহোক শেষমেশ বেঁচে আছে জেনে ভালো লাগলো।
এই পর্বে আবার নতুন কিছু জানতে পারলাম।
আর আঞ্চন ও তার স্ত্রী কেন খাদে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে?কিছুই বুঝতে পারছি না সবকিছু রহস্য মনে হচ্ছে।আবার রামিরেজ মেলিসাকে ভালোবাসে নতুন জানলাম।ড্যারিল মারা যায়নি এবং জোশকে ধরে নিয়ে গেছিলো জেনে ভালো লাগলো।ভালো লাগছে কাহিনিগুলি পড়ে, ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

NYPD দাদা এটা মানে কি?

এটার পুরো নাম হচ্ছে 'নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট'।

আর আঞ্চন ও তার স্ত্রী কেন খাদে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে?

ওই যে বললাম তারাও ওই প্লেনের যাত্রী হওয়ার কারণে তাদের মধ্যেও অনেক কিছু পরিবর্তন এসেছে। আর মাঝে মাঝে তারাও বিভিন্ন শব্দ শুনতে পাচ্ছে আর বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

 2 years ago 

হুম, বুঝলাম দাদা।

 2 years ago 

দাদা আপনার শেয়ার করা টিভি সিরিজের এবারের পর্বটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম মেলিসার কোন বিপদ হয়েছে। এবার জানতে পারলাম তার শরীরে গুলি লেগেছিল। তবে তার গুলি লাগার ঘটনাটি এক্সিডেন্ট হিসেবে চালানো হয়েছে। এটা সত্যি কোন এক্সিডেন্ট নাকি ইচ্ছাকৃত খুন এটা অন্য কেউ খোঁজার চেষ্টা করছে না। পরবর্তী পর্বে জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

 2 years ago 

গত পর্বে মেলিসার গুলি লেগেছিল শুনে মনে করেছিলাম সে মারা গিয়েছে কিন্তু না এই পর্বে বুঝতে পারলাম মেলিসা জীবিত আছে। রামিরেজ নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করেছিল তাই সে জ্যাককে পুলিশের কাছে দোষী প্রমাণ করে ধরিয়ে দিল। এসব কারণেই মেলিসা তার সাথে কথা বলতে চায় না। কিন্তু দাদা মেলিসা জ্যাককে কেন বললো NYPD বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই NYPD এর মানে কি। এই পর্বে আরও অনেক নতুন নতুন লোকের কথা জানতে পারলাম। জেক নির্দোষ হয়েও পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে শুনে খারাপ লাগলো। মেলিসা বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনে খাদের পাশে থেকে পুরো একটা পরিবারকে উদ্ধার করে। জোশ যে গাড়ির ছবি তুলেছি রাতে তা দেখে চিল্লাতে গেলে কিছু লোক তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই লোকগুলো কারা। এই পর্ব পড়েও ভালো লাগলো আবার কিছু রহস্যও থেকে গেল।

 2 years ago 

টিভি সিরিজ : ম্যানিফেস্ট - ফাষ্টেন ইওর সিটবেলটস এর রিভিউটি পরে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। যদিও এ ধরনের টিভি সিরিজ আমি একেবারেই দেখি না। অবশ্য দেখার সময় ও পায় না। তবে দাদা আপনার রিভিউটি পরে একরকম টিভি সিরিজ টি আমার দেখাই হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত জ্যাক পুলিশের হাতে ধরা দেয়। দারুন একটি টিভি সিরিজের রিভিউ শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

টিভি সিরিজ রিভিউ: ম্যানিফেস্ট - ফাষ্টেন ইওর সিটবেলটস ( পর্ব ১-সিজন ২ ) সম্পর্কে আজ জানতে পেরেছি। এই পর্ব থেকেই বুঝতে পারলাম আসলেই অনেক সময় আমাদের জীবনেও দেখে থাকি যে আমরা দোষ না করেও অনেক ক্ষেত্রে দোষী হয়ে যাই। এটা যেন বাস্তব জীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। রামিরেজ যেহেতু মিলিসাকে ভালোবাসতো তাই সে জ্যাককে তার বাড়িতে সহ্য করতে পারত না এটাই স্বাভাবিক ।যে যাকে ভালোবাসে তার পাশে অন্য কাউকে সহ্য করা কঠিন হয়ে যায়। ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটি নতুন করে শুরু করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59404.52
ETH 2610.92
USDT 1.00
SBD 2.41