ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম সম্পর্কে কিছু তথ্য
IMAGE SOURCE
আজকে ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম ব্যাধি সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
প্রথমে জানা যাক ক্লানফেল্টার সিনড্রোম কি? এটি মূলত মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম এর অস্বাভাবিকতা। আর এই সিনড্রোম এর উৎপত্তির প্রধান কারণ হলো ননডিসজাংশন এর ঘটনা। যখন মিয়োসিস কোষ বিভাজন হয় তখন এই ননডিসজাংশন এর ঘটনাটি ঘটে থাকে।
এই সিনড্রোম এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্রোমোজোম থাকে ৪৭ টি এবং তাদের সেক্স ক্রোমোজোম থাকে XXY. আর এই ক্রোমোজোমটিকে যদি ক্যারিওটাইপ হিসেবে দেখা হয় তাহলে এটি হয়ে থাকে ৪৭,XXY.
তবে এই ক্রোমোজোম সংখ্যাটি ক্লাইনফেল্টার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০-৭৫% দেখা যায়। এছাড়া এই সিনড্রোম আক্রান্ত কিছু ব্যক্তি থাকে যাদের ক্যারিওটাইপ খুব জটিল হয়ে থাকে এবং এদের ক্রোমোজোম গুলো ৪৮,৪৯ ইত্যাদি এর উপরে হয়ে থাকে। সেক্স ক্রোমোজোমও অনেকগুলো X এবং Y হয়ে থাকে।
আমাদের মানব গোষ্ঠীতে এই সিনড্রোম এ আক্রান্তের হার খুব কম হয়ে থাকে প্রায় ৪০০-৫০০ পুরুষের মধ্যে ১ জনের হতে দেখা যায়।
IMAGE SOURCE
এখন এই ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম এর কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য এর সাথে পরিচিত হওয়া যাক -
- এদের শুক্রাশয় ক্ষুদ্র হয়ে থাকে।
- এদের দেহে লোম কম বৃদ্ধি পায়।
- এদের দেহের গঠন কিছুটা স্ত্রীদের মতো হয়ে থাকে।
- এদের দাঁড়ি-গোঁফ কম ওঠে।
- বুদ্ধি অনেক কম।
- এরা যখন হাঁটে তখন এদের হাঁটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি অনুভব হয়ে থাকে।
ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম সম্পর্কে এই ছিল কিছু সাধারণ জানকারী। পরবর্তীতে আবার কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
আমি আপনার বিগত সময়ের সিমড্রোম রিলেটেড পোস্ট পড়েছিলাম এবং এবারেরটাও পড়লাম। ভাল লিখেছেন এবং ভালো তথ্য দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
খুব ভাল এবং ভাল তথ্য আমার বন্ধু ,, ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ..
আপনাকেও ধন্যবাদ।