ব্ল্যাঙ্কেট ফুলের উদ্ভিদের আলোকচিত্র ( Benificiary 10% @shy-fox )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
What3words Location: https://w3w.co/centrally.having.petted
এটি একটি ফুল। এই ফুলগুলো বিভিন্ন প্রজাতির দেখতে হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে। তবে আমাদের এশিয়ার দিকে এই ফুলের উদ্ভিদগুলো খুবই কম পরিমানে দেখা যায়। এই ফুলের উদ্ভিদগুলো আমাদের এদিকে সাধারণত বাইরের থেকে সংগ্রহ করে লাগানো হয়ে থাকে।
এই ফুলগুলোকে সাধারণত ব্ল্যাঙ্কেট ফুল বলে জানা গিয়ে থাকে এবং এটি সাধারণ লোকাল ভাষায় পরিচিত সব জায়গায় এবং আমাদের এদিকেও । তবে এই ফুলের আরো একটি নাম আছে প্রজাতিভেদে সেটি হলো গাইলারদিয়া। গাইলারদিয়া নামে কিন্তু আবার এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতির নাম আছে যেমন আমার জানা মতে দুটি হচ্ছে গাইলারদিয়া কোমোসা এবং গাইলারদিয়া এরিস্টাটা ইত্যাদি এইরকম আরো বহু নাম থাকে এদের।
আর এইসব প্রজাতি আমাদের এদিকে দেখা যায় না, এগুলো এশিয়ার বাইরের বিভিন্ন প্রান্তে হয়ে থাকে। এগুলোর জাস্ট কিছু প্রজাতি আমাদের এদিকের উদ্যান, পার্ক ইত্যাদি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সৌন্দর্যতার প্রতীক হিসেবে লাগানো হয়ে থাকে। আমি গত মাসের দিকে এই ফুলগুলো একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে সংগ্রহ করেছিলাম, মূলত বোটানিক্যাল গার্ডেনে এইধরণের বিভিন্ন জাতের সংগ্রহ করা থাকে।
এইরকম প্রজাতির আরো বিভিন্ন ফুল সেখানে আছে। এই গাইলারদিয়া প্রজাতির ফুল কিন্তু এক রকমের দেখতে না হয়ে গঠনভেদে আরো বিভিন্ন ধাঁচের দেখতে হয় যেমন এই ফুলগুলোর পাপড়ি গোটানো মতো অর্থাৎ গোলানো মতো কিন্তু এইরকম না হয়ে আবার পাপড়িগুলো খেলানো বা মুক্ত টাইপ এর দেখতেও হয়ে থাকে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
What3words Location: https://w3w.co/centrally.having.petted
এই ফুলের প্রজাতিগুলো মূলত সূর্যমুখী জাতীয় ফুলের পরিবারের থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে জানা যায়। আর এই ফুলগুলোর চেহারা দেখেও সেইরকম একটা ধারণা নেওয়াও যায় কারণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এর ভিতরের গোলাকার ধাঁচ এর মতো অংশ কিছুটা সূর্যমুখী ফুলের মতো লাগে।
এই ফুলগুলোর কালার বিশেষ করে পাপড়ির দুই ধরণের কালার ফুলটিকে সৌন্দর্য্যে ভরিয়ে তুলেছে একপ্রকার। এই ফুলের পাপড়িগুলো অর্ধেক লাল এবং অর্ধেক হলুদ এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এই ফুলগুলো একটা বেশ সৌন্দর্য্যতার প্রতীক হিসেবে বেড়ে ওঠে এবং তার আশেপাশের পরিবেশটাকেও সৌন্দর্য্যে ভরিয়ে দেয়।
এই ফুলগুলো থেকে একধরণের হালকা সুগন্ধও বের হয়ে থাকে, তবে সেটা কাছের থেকে ঘ্রান নিলে পাওয়া যাবে। এই ফুলের কান্ডগুলো মোটামুটি বেশ লম্বা মতো হয়ে থাকে এবং নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। এই ফুলের উদ্ভিদের কান্ড মূলত খাড়া ভাবেই থাকে কিন্তু অনেক সময় ফুলের ভারে নেতিয়েও পড়তে পারে।
এগুলো জাস্ট একপ্রকার রাইজোম ধরণের হয় আর কি। এই ফুলের উদ্ভিদ সাধারণত বার্ষিক উদ্ভিদ হিসেবে জন্মে থাকে। আবার এদের কাণ্ডের যে শাখাপ্রশাখাগুলো থাকে সেগুলো মোটামুটি উচ্চতা সম্পন্ন হয় এবং এদের পাতাগুলো বেশ পর্যায়ক্রমে থাকে, আর সেগুলো সবুজতা হওয়ায় আরো বেশি ভালো লাগে দেখতে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ন্যাচার ফোটোগ্রাফি |
টাইপ | ফুল |
লোকেশন | বোটানিক্যাল গার্ডেন |
তারিখ | ১০.০৮.২০২১ |
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
||Community Page||
||amarbanglablog Discord Link||heroism Discord Link||
গাইলারদিয়া ফুলটি দেখতে অনেক সুন্দর। আমি ফুলটি এই প্রথম দেখলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে নতুন প্রজাতির ফুলটি দেখতে পেয়ে। ভাই আপনি অনেক ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর। এক অজানা ফুলের কথা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এই ফুলগুলো আসলে আমাদের এশিয়ায় সব জায়গাতে দেখা যায় না তেমন, এইজন্য অনেকের কাছে অপরিচিত। যাইহোক আপনার ভালো মন্তব্য দেখে আমারও অনেক ভালো লাগলো।
পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে ভাই।আমার কাছে এই ফুলটি অপরিচিত ছিল।আপনার পোস্টের ।মাধ্যমে আমি এই ফুলটি সম্পর্কে অনেকটা পরিচিত লাভ করলাম।ফটোগ্রাফি এবং উপস্থাপনা দুটোই ১০/১০। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
বরাবরই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আগেই ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। আমার এই পোস্ট থেকে আপনি কিছু জানতে পেরেছেন সেটাই আমার কাছে অনেক পাওয়া।
ব্ল্যাঙ্কেট ফুল নামটি যেমন প্রথমবার শুনলাম ঠিক একইভাবে দেখলামও প্রথমবার। তবে হ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের সাথে এই ফুলের জাতগত একটি সম্পর্ক আছে। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে।
এই ফুলের এই নাম ছাড়াও আরো লোকাল নাম আছে তবে সেগুলো এক এক জায়গায় এক একরকম ভাবে জানে। হ্যাঁ, এগুলো সূর্যমুখী ফুলের পরিবারের মধ্যে পড়ে। যাইহোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দাদা জানানোর জন্য।।
ভাইয়া আমি এই ফুলটি আজ ই প্রথম দেখলাম।এর আগে কখনো দেখিনি তা নাহয় ঠিকাছে তবে কোনোদিন নাম ও শুনিনি এই ফুলটির।
আশ্চর্য লাগলো একটু আমার কাছে কারণ এতো অপরূপ ফুলের নামটাও জানলাম না এতোদিনে।
তবে ভাইয়া আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।এই ফুলের একদম মধ্যখানে কি এমন পাপড়ি থাকেনা?নাকি এমনেই ঝরে গেছে নাকি ফুলটাই এমন?
সবাই কি আর সবকিছু জানে। আপনি যেটা জানেন আমি সেটা হয়তো জানিনা, আবার আমি যেটা জানি সেটা হয়তো আপনি জানেন না। তেমনি আজকে আপনি এই ফুলটিকে জেনে গেলেন। আসলে এই ফুল আমাদের এশিয়ার দিকে সবজায়গায় তেমন থাকে না তো। বাইরের থেকে সংগ্রহ করে কিছু কিছু জায়গায়।
মাঝখানটা ঐরকমই থাকে এই ফুলের, কেবল সাইট দিয়ে পাপড়িগুলো এইভাবে সাজিয়ে ওঠে। এই ফুলগুলো বৃতির থেকে বরাবর ভাবে এইরকম হয়ে ওঠে।
খুব সুন্দর ফুলটি।ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে বুঝানোর জন্য।
এই ফুলটি সম্পর্কে আমি এই প্রথম জানতে পারলাম। ফুলটি দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর । হলুদ আর লালের কম্বিনেশন দেখতে খুব ভালো লাগে। এ ফুলটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। এই ফুলটি সত্যিই সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে কিছুটা মিল রয়েছে । তাহলে আপনি ঠিকই বলেছেন এটি সূর্যমুখী ফুলেরই প্রজাতি হবে ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।।
হ্যাঁ, এই ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়ে থাকে। বিশেষ করে এই লাল হলুদের সমন্বয়ের জন্য। আর হ্যাঁ এগুলো সূর্যমুখী ফুলের পরিবারের থেকে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
খুব সুন্দর হয়েছে। ছবি গুলি মনের মাধুরী মিশিয়ে ক্যামেরা বন্দি করেছেন ।অনেক ভালো লেগেছে ।অনেক অনেক শুভ কামনা।
ধন্যবাদ।
বাহ আপনি খুব সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি ভাগ করেছেন এবং আপনার ছবিগুলি এত নিখুঁত।
এবং আমি এই ফুলটি কখনও দেখিনি, এই প্রথম এই ফুলটি আমি আপনার পোস্টে দেখেছি।
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
আমি নতুন একটা ফুলের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় অনেক আনন্দিত। ধন্যবাদ আপনার মতামত ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
এই ফুলগুলো খুব সুন্দর দেখতে।তবে ফুলের ভিতরটা কদম ফুলের মতো লাগে কিছুটা আমার কাছে।অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ, এই ফুলগুলো খুব সুন্দর দেখতে হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো তার সৌন্দর্য্যতার জন্য আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ বিষয়গুলো পড়ার জন্য।
এই ফুলগুলো আমি আগে কখনো দেখেছি কিনা মনে পড়ছে না। তবে আপনি ফুল গুলোর অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ও এই ফুল সম্পর্কে চমৎকার কিছু তত্ব দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হয়তো দেখতে পারেন আবার নাও পারেন। কারণ এই ফুলগুলো আমাদের এদিকে দেখতে পাওয়া যায় না, একপ্রকার খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। যাইহোক ফুলের বিষয়গুলো পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
প্রথমে দেখে সূর্যমুখী ফুল ভেবেছিলাম, তারপর যখন লক্ষ্য করলাম একটু ভিন্ন দেখতে। এই ব্ল্যানকেট ফুল সুদূর উত্তর আমেরিকা থেকে আগত একটি প্রজাতি। বছরে সম্ভবত একবারই হয়।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন এটা আসলেই উত্তর আমেরিকা থেকে কিন্তু এটি শুধু আমেরিকা না, বাইরের আরো বিভিন্ন দেশে যেমন মক্সিকো ওদিকেও হয়।