প্রকৃতির নির্জনতার মাঝে মন বারে বারে ছুটে চলে যেতে চায় ( Benificiary 10% @shy-fox )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ, স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
What3words Location: https://w3w.co/marsh.landowner.manual
এই ছবিগুলো দুইদিন আগে তোলা হয়েছিল। মূলত গত মঙ্গলবার বিকালে আমি আর আমার বন্ধু একটি গ্রামের দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে আমরা সময় পেলে যেরকম যেতাম সেইরকমই আমরা ঐদিন সময় করে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম। ঐদিন আমরা আহিরা নামক একটি গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। এই গ্রামটি আমাদের বাড়ির থেকে অর্থাৎ শহরের রাস্তা ধরে প্রায় অনেকটা দূরে অবস্থিত।
ফলে আমরা দুপুরের মাঝামাঝি বেরিয়েছিলাম। আমার বন্ধুর বাড়ির থেকে আমার বাড়ির পথ ঐরকম মোটামুটি ৩০ মিনিটের, ফলে আমি বেরিয়েছিলাম আরো আগে অর্থাৎ দুপুর ২ টার দিকে। যাইহোক আমি ঐসময় তার বাড়ির সামনে গিয়ে ফোন করলে সে নেমে আসে এবং আমরা স্কুটি করে বেরিয়ে পড়ি। তবে আমরা গ্রামের ভিতরে যাওয়ার আগে আরো একটি জায়গায় গিয়েছিলাম একটি কাজে।
আমরা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এয়ারপোর্ট এর লাইনে গিয়েছিলাম এবং সেখানে কাজ ছিল মাত্র ১৫ মিনিটের। এরপর সেখান থেকে কাজ মিটিয়ে আমরা সোজা গ্রামের দিকে রওনা হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা সেখান থেকে শর্টকাট রাস্তা ধরে চলে এসেছিলাম, ফলে তাড়াতাড়ি গ্রামের ভিতরে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এই আহিরা গ্রামটি একপ্রকার ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি অবস্থিত।
যাইহোক গ্রামে ঢোকার পরে আমরা দুইজন ফাঁকা খোলা পরিবেশে রাস্তার পাশে স্কুটি থামিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। সেখানে আশেপাশের পরিবেশটা ছিল অসাধারণ, চারিপাশে সবুজ সবুজ সবজিতে ভরা ক্ষেত আর মাথার উপরে নীল আকাশের হাতছানি। সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম পরিবেশ ছিল ঐদিনের বিকালটা। তবে যেহেতু এটা বর্ষাকাল সেহেতু শুধু নীল আকাশের হাতছানি ছিল না, সেই সাথে আকাশের অন্য দিকে হালকা মেঘাছন্নও ছিল। কখনো মুহূর্তের মধ্যে মেঘ পরিষ্কার হয়ে নীল মেঘ হাতছানি দিচ্ছে আবার কখনো মুহূর্তের মধ্যে কালো মেঘের হাতছানি পাওয়া যাচ্ছে।
What3words Location: https://w3w.co/marsh.landowner.manual
যাইহোক এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে দুইজন কিছুক্ষন গল্প করতে লাগলাম এবং সুন্দর পরিবেশের নির্জনতাকে অনুভব করতে লাগলাম। এখানে রাস্তার উভয় পাশে সবুজে ভরা ক্ষেত। আমি এখান থেকে কখনো সবজি কিনিনি এখনো তবে আমার বন্ধু মাঝে মাঝে এখান থেকে কিনে নিয়ে যায়। আমিও সাথে থাকতে অনেকবার কিনেছে এবং খুব কম দামে দিয়েছিলো।
বেশ কিছুদিন আগে ফুলকপি কিনেছিলো বড়ো বড়ো এবং সেগুলোর পার পিচ এ দাম নিয়েছিল ৫ টাকা করে, যার বাজার মূল্য এখন ১২-১৫ টাকা। ফলে এদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যাওয়া অনেক লাভজনক। এখন মাঠে এই মুহূর্তে কুমড়ো, ভেন্ডি আর ঝিঙে এইসব এ ভরা। অনেক সবজি ইতোমধ্যে উঠে গেছে মাঠের থেকে, এখন আবার পুনরায় নতুন নতুন কিছু আইটেম লাগানোর অপেক্ষায় আছে তারা।
এখন বর্ষার মৌসুমে তারা মাটি চাষাবাদ করে অলরেডি বীজ বপন করে ফেলেছে কিছু কিছু জায়গায় যেটা দেখতে পেয়েছিলাম। যাইহোক আমরা দুইজন বেশ অনেক্ষন সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, কারণ প্রকৃতির ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকার পরে গরমে আর যেতে মন চাইছিলো না।
এরপর সন্ধ্যা মতো নেমে আসলে আমরা আবার স্কুটি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম, তবে আমরা একটু অন্যদিকে থেকে ঘুরে গিয়েছিলাম যেটা আমরা বরাবরই করে থাকি। আমরা যেতে যেতে গ্রামের এক জায়গায় চপ ভাজতে দেখলাম এবং আমাদের একটু খাওয়ার মন করলো, তাই কিছু চপ কিনে দুইজন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে খেয়ে নিলাম। তারপর আবার আস্তে আস্তে সোজা বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ন্যাচার ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | আহিরা |
তারিখ | ২৮.০৯.২০২১ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি এবং আমার বন্ধু লিখন আপনাদের মতোই মাঝে মাঝেই ঘুরতে বের হয়। এবং আমরাও গ্রামের দিকেই বেশি যায়। এবং আকাশের ছবিগুলো দূর্দান্ত হয়েছে দাদা। এবং মাঠের ছবিগুলো অসাধারণ। যতদূর চোখ যায় শুধু যেন মাঠ আর মাঠ।।
হ্যা, রাস্তার উভয় পাশে শুধু মাঠ আর মাঠ। এখানে পুরো মাঠ জুড়ে সবসময় সবজি অর্থাৎ যখন যে সময়ে যে ফসল সেইটা ধাপে ধাপে চলতে থাকে। বেশ ভালো একটা জায়গা এবং পরিবেশ। ধন্যবাদ।
😮
বাহ সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন তো দাদা। ঘোরা ঘুরির ফাঁকে দারুন কিছু মুহূর্ত ফ্রেমে বন্দী করেছেন। সবটা পড়ে ভালো লাগলো দাদা। এভাবেই আমাদের সাথে সুন্দর সুন্দর দিনের গল্প নিয়ে হাজির হবেন। ভালো থাকবেন দাদা।
যাক, সবগুলো পড়ে আনন্দ উপভোগ করলেন। আর এই বিষয়টা ভালো লাগলো আমারও খুব। ধন্যবাদ।
প্রিয় দাদা,
প্রকৃতি আমাদের প্রাণের স্পন্দন। পৃথিবীতে যদি সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতি না দিতো হয়তো আমরা সৃষ্টির এক বড় নিদর্শন থেকে চিরতরে অন্ধ শূন্য হয়ে যেতাম।
প্রকৃতির রূপ সত্যিই অতীব দৃষ্টিনন্দন যেটি আমাদের হৃদয়কে বারবার শিহরিত করে। এবং মুগ্ধ করে আমাদের মনকে
হ্যা, এটা আপনি একদম বাস্তব কথা তুলে ধরেছেন। আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্যতার কারণে পৃথিবীতে এখনো অব্দি প্রাণ ভরে আমরা নিঃস্বাশ নিতে পারছি। কিন্তু আমাদের অনেকের কারণে প্রকৃতি আজ তার সবকিছু হারাতে বসেছে, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
শুভ সকাল।
তবে আমাদের এই প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হলে আমাদের অবশ্যই একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই প্রকৃতিকেই সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভবতবেই প্রকৃতিকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে দাদা। ঘোরাফেরা করার জন্য একটা জিনিস বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে একটা বাইক। বাইক থাকলে ঘোরাফেরা করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। আশা আছে একসময় আপনার মত একটা বাইক কিনবো। বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন দুই বন্ধু মিলে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা, এটা ঠিক যে বাইক হলে ঘোরাঘুরি করে একটা আনন্দ আছে। সহজে তাড়াতাড়ি অনেক জায়গা থেকে ঘুরে আসা যায় আর বেশ আনন্দও হয় । সামনের মাসে একটা কিনে ফেলুন তাহলে। ধন্যবাদ।
হা হা হা। দাদা যেভাবে বললেন তাতে মনে হচ্ছে বাইক কেনা খুব সহজ। আমাদের দেশে বাইকের দাম অনেক। আপনারা কতো সুন্দর বাইক কম দামে কিনতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেশে একটা বাইক কেনা অনেক ঝামেলা। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন ভাইয়া। প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে বা বসে বসে গল্প বা আড্ডা দেওয়ার মজাটাই আলাদা। আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা প্রতিদিনই এই অনুভূতিটা পেয়ে থাকি। আপনার তুলে ধরা ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। সেই সাথে আপনার লেখাগুলো অনেক ভালো হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এর মতো আনন্দ আর মজা নেই , প্রকৃতির মাঝে বসে আর নির্মল ঠান্ডা ঠান্ডা হাওয়ায় বসে গল্প করার মধ্যে খুব মজা পাওয়া যায়। আপনারা গ্রামের দিকে সেটা প্রতিদিনই উপভোগ করতে পারেন কিন্তু আমাদের মাঝে মাঝে সেই সৌন্দর্য্ উপভোগ করার সুযোগ মেলে।
যতদূর মনে পরে আহিরা গ্রামটার পাশেই কিংস্টনের ল কলেজ আছে। বারের পরীক্ষা ওখানেই পড়েছিল। বেশ নিরিবিলি জায়গা, তবে একটু ভেতরে। এই রাস্তা ধরেই গিয়েছিলাম। রাস্তার মাঝে খানা খন্দ প্রচুর ছিলো। এখন কি সেগুলো ঠিক হয়েছে?
স্কুটার নিয়ে ঘোরার মজাই আলাদা। আমার তো দারুন লাগে 🤗।
হ্যা ঠিক ধরেছো, জায়গাটা ঐরকম জায়গায় অবস্থিত। ভিতরে এই কলেজটা। আর হ্যা ভিতরের রাস্তার দিকে অর্থাৎ কলেজের লাইনে যেতে গেলে আশেপাশে খানা মতো আছে। না আর ঠিক হয়নি, ঐভাবেই আছে। যখন জল শুকিয়ে যায় তখন ঐরকম থাকে।
ভাইয়া আপনি বন্ধুর সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন প্রকৃতির মাঝে দাঁড়িয়ে থেকে চারিপাশে সবুজ সবুজ সবজিতে ভরা ক্ষেত আর মাথার উপরে নীল আকাশের হাতছানি। সব মিলিয়ে ভালো সময় উপভোগ করেছে ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভকামনা রইলো
হ্যা, প্রকৃতির এইসব সৌন্দর্যতার মাঝে বিকালের সময়টা দারুন কেটেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ফোটোগ্রাফিগুলি অসাধারণ দাদা।প্রকৃতি দেখতে দেখতে কিছু খাওয়ার মজাটাই আলাদা।আপনি খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ তোমাকে।
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে,ভাই আমার পছন্দ।অনেক ভালো।ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছো মনকে সতেজ ও শান্ত করতে বার বার ছুটে যেতে ইচ্ছা করে প্রকৃতির কাছে। দারুন হয়েছে ফটোগ্রাফিগুলি। শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ।