চা বাগানে চা পাতা তোলার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা নতুন অঙ্কন নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটু ভিন্ন ধরণের অঙ্কন করার চেষ্টা করেছি। আজকে আমি একটি চা বাগানের দৃশ্য অঙ্কন করার চেষ্টা করলাম। আজকে আমি ভাবলাম যে ন্যাচারাল কিছু একটা অঙ্কন করি যেটা প্রকৃতির সাথেও যায়। তো ভাবতে ভাবতে আমার মনে চা বাগানের দৃশ্যের বিষয়টা আসলো এবং আমি সেই হিসেবে বিষয়টা কিভাবে শুরু করা যায় ভেবে নিয়ে শুরু করে দিলাম। এখানে আমি মূল যে বিষয়টা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি সেটা হলো দুটি মহিলা চা বাগানের থেকে চা পাতা তুলছে সেই দৃশ্যটা তুলে ধরেছি। আশা করি অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
![]() |
---|
✠উপকরণ✠
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
![]() |
---|
➤প্রথম ধাপে একটি মহিলার ছবি সম্পূর্ণভাবে অঙ্কন করে নিলাম এবং পরে পিঠের দিকে বড়ো দিকে একটি থলি মতো অঙ্কন করে দিয়েছি যেখানে চা পাতাগুলো তুলে রাখবে আর কি।
![]() |
---|
➤দ্বিতীয় ধাপে একইভাবে আরো একটি মহিলার ছবি সম্পূর্ণভাবে অঙ্কন করে নিয়ে তার পিঠে থলি অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করা মহিলা দুইজনকে পেন এর কালী দিয়ে আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর তাদের হাতের সামনে দিয়ে পেনের কালী দিয়ে প্রথমে চা পাতার মতো একটা সিম্পিল শেপ টেনে নিয়ে গেলাম অর্থাৎ চা পাতা তুলছে এমনটা বোঝাতে চেয়েছি। এরপর পেনের কালী দিয়ে তাদের পিছন দিকে কিছু গাছ অঙ্কন করে দিয়ে চা বাগানের আরো কিছু দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। মেঘের কিছু দৃশ্যও অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤চতুর্থ ধাপে অঙ্কন করা দুটি গাছে সম্পূর্ণ কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আকাশের মতো কালার দিয়ে দিয়েছিলাম আর সাদা অংশটা রেখে দিয়েছিলাম কারণ এখানে সাদা সাদা মেঘের মতো হয়েছে এমনটা ফোটাতে চেয়েছি দৃশ্যটিতে।
![]() |
---|
➤পঞ্চম ধাপে বাকি আরো তিনটি অঙ্কন করা গাছে সম্পূর্ণভাবে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সবুজ কালার দিয়ে বাগানের চারিপাশের দৃশ্যটাকে সবুজতায় ভরিয়ে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤ষষ্ঠ ধাপে মহিলা দুটির পোশাক আর থলি দুটিতে কালার করে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤সপ্তম ধাপে তাদের হাতের সামনে চা গাছের পাতাগুলো অঙ্কন করে একেবারে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
➤অষ্টম ধাপে মহিলা দুটির মুখমন্ডল এবং হাতের দিকে কালার দিয়ে অঙ্কন সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
প্রত্যেক বৃহস্পতিবার আপনার আর্ট পোস্ট দেখতে অনেক ভালো লাগে। একটা আকর্ষন কাজ করে আপনার আর্ট সম্পর্কে ভেবে। আপনি আজকে বাগান থেকে চা সংগ্রহ করার দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। আপনার অঙ্কিত চিত্রটি দেখেই আমাদের দেশের চায়ের শহর সিলেট মৌলভীবাজার এর কথা মনে পড়ে গেলো। আমাদের দেশে সব চেয়ে বেশি চাপ পাওয়া যায় সিলেট।
আপনার চিত্রটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি দাদা। প্রকৃতির সৌন্দর্য যেনো আপনার আর্টের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। আর হ্যা, চায়ের বাগানে বেশির ভাগই উপজাতিরা কাজ করে এদের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বেশি। আপনার আর্টগুলো মিনিংফুল হয় এজন্য আরো বেশি ভালো লাগে। আর্টের ধাপগুলো দেখে খুব সহজ মনে হলো। যারা নতুন আর্ট করতে চায় তাদের জন্য আপনার পোস্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
দাদা, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ চায়ের বাগানের দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী পোস্টর অপেক্ষায় রইলাম। ভালোবাসা অবিরাম দাদা। ❣️❣️❣️
দাদা,আপনার অঙ্কন অতুলনীয়।এই সম্পর্কে তেমন কিছুই বলার নেই।আমার খুব ভালো লাগে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলি।চা বাগানের দৃশ্য আপনি খুব সুন্দর ও নিখুঁতভাবে মনের মাধুরী দিয়ে অঙ্কনটি ফুটিয়ে তুলেছেন।সত্যিই অনবদ্য, আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।তাছাড়া মহিলাদের মাথায় ঝুরি বাঁধানো এই বিষয়টি আমাকে অবাক করে আর মাঝে মাঝে ঝুড়ির মধ্যে এদের বাচ্চা রাখতে ও দেখা যায়।ধন্যবাদ দাদা।
সত্যি ভাইয়া আপনার আর্টের মাধ্যমে মনে হচ্ছে চা বাগানে চলে গিয়েছে। খুব সুন্দর করে আপনি দুটো মহিলার চা পাতা তোলার দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। সিলেট চা বাগানে যখন গিয়েছি তখন এমনটাই দেখেছে মহিলারা খুব সুন্দর করে চা পাতা তুলে ঝুড়িতে রাখছে। আপনি সত্যি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন আপনার আর্ট এর মাধ্যমে। চা বাগান দেখতে খুবই সুন্দর আপনি আজকে আপনার আর্টের মাধ্যমে তেমন সুন্দর একটি চা বাগানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি ভাইয়া কি আর বলব আপনার আর্টের কথা আপনি যে খুব ভালো একজন আর্টিস্ট আপনার আর্ট দেখলেই বোঝা যায়। এত সুন্দর একটি চা বাগানের চিত্রাংকন আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
চা বাগানে চা পাতা তোলার দৃশ্য অঙ্কন অসাধারণ হয়েছে দাদা। আমাদের দেশের সিলেট অঞ্চলে এরকম দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। সিলেটের চা বাগান দেখতে অনেক সুন্দর। আজকে যখন আপনার এই অঙ্কন চিত্রটি দেখছিলাম তখন বারবার প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম। মনে হচ্ছে যেন সত্তিকারের চা বাগান আপনি আপনার অঙ্কনের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মনের মাধুরী মিশিয়ে ও আপনার দক্ষতায় অনেক সুন্দর ভাবে এই চিত্রটি অঙ্কন করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।❤️❤️
জীবনটা হলো এক কাপ চায়ের মত।এটা তেমন স্বাদ দিবে যেমনটা আপনি বানাবেন।
আর সেই চিরচেনা স্বাদের চা পান করি আমরা চা পাতা থেকে। চা পাতা তোলার দৃশ্য আজ আমাদের দাদা আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছে যা দেখে আমার বাংলা ব্লগ বাসী অবাক হয়ে যাবে। কারণ এই ধরনের চিত্র আমরা সাধারণত চা-বাগানে দেখি কিন্তু সেটা যে আমাদের কমিউনিটি তে চলে আসবে তা ভেবে অবাক হওয়ারই কথা।দাদা আপনি এত সুন্দর ভাবে কিভাবে বাস্তবচিত্রের মতো করেই আঁকা চিত্র তুলে ধরেন আমি তা ভেবে পাইনা। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমি কিন্তু একজন চা খোর তাই একটি কথা না বললেই নয়।
রাত হোক কিংবা দিন চা হলো বাঙালির একপ্রকার নিকোটিন।
দাদা, আপনার অংকন গুলো সব সময় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার অংকন গুলো দেখলে আমার কাছে একদম বাস্তব মনে হয়। আর আপনি যখনই যে অংকন করেন না কেন তা খুবই আকর্ষনীয় করে ফুটিয়ে তোলেন। আজকেও আপনি দুটি মহিলা চা বাগানের থেকে চা পাতা তুলছে সেই দৃশ্যটা তুলে ধরেছেন। সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্যের মাঝে মহিলা দুজন আপন-মনে চা পাতা তুলে তার থলেতে ভরছে, কি অপরূপ দৃশ্য যা দেখলে মনটা একদম ভালো হয়ে যায়। খুবই সুন্দর করে চা বাগানে চা পাতা তোলার দৃশ্য অংকন আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দাদা আপনি খুবই চমৎকার করে একটি চা বাগানের দৃশ্য অঙ্কন করেছেন। দেখতে খুবই ভালো লাগতেছে। মহিলা দুটি চা পাতা তোলার এত সুন্দর করে দৃশ্য গুলো তুলে ধরেছেন। এরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।যা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি দাদা। আপনার চা বাগানের অঙ্কনটি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। সুন্দর করে মিলিয়ে মিলিয়ে চা-বাগানে অঙ্কনটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই প্রিয় দাদা শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা প্রতিনিয়ত আপনার অংকন দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। অসাধারন চিত্রাংকন । কালার কম্বিনেশন দৃশ্যপট সব কিছুই যেন বাস্তবতায় ঘেরা। সাধারনত খালি চোখে আমারা যেমন দেখি ঠিক তেমনি লাগছে। চা পাতা তোলার মূহুর্তে মেয়েরা যে ধরনের পোশাক পরিধান করেন ঠিক তেমন কাধে একটি ঝুড়ি মতন যেটাতে চাপাতা ছিরে রাখে। দূরে পাহারের ঢালে আকাশের সাথে মেঘের লুকোচুরি খেলা দৃশ্য টিকে আরো ফুটিয়ে তুলেছে। সবুজ রং টা যেন চোখে পড়ার মতন । এক কথায় অসাধারন । মূলত চা শিল্প বা চাষ করে একটি দেশ বেশ পরিমান আর্থিক আয় করতে পারে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টিও হয়। দার্জিলিং এর চা মাসি এবার পাঠিয়েছে। যাহোক আজকের চিত্রাংকন দারুন হয়ে দাদা । ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল আপনার জন্য।
যখন সিলেট এ গিয়েছিলাম তখন এভাবে চা পাতা তুলতে দেখেছিলাম মহিলাদের।আজ যেনো তার বাস্তব চিত্রটিই দেখলাম।
দাদা এ যাবত আপনার আকা যতগুলো ছবি দেখেছি তার মতে এই ছবিটাই আমার কাছে সবচাইতে ভালো লাগলো। আসলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতি আমার একটু আগ্রহ বেশি। চা বাগানের পরিবেশ এমনিতেই খুব সুন্দর হয়ে থাকে। সেখানে দুজন মানুষের চা তোলার দৃশ্য চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। দারুন আপনার ছবি আঁকার দক্ষতা। সত্যি প্রশংসা পাবার যোগ্য। ধন্যবাদ দাদা। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।❤️👍