রাসের মেলায় একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে কিছু ফোটোগ্রাফি বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত ১৪ তারিখ গিয়েছিলাম রাসের মেলায়। রাসের মেলায় সাধারণত আমি তেমন যাইনা বললেও চলে, কারণ কোনোবছর যাওয়াও হয় না। আর এই রাসের মেলাটা এই বছর কবে থেকে শুরু হয়েছে সেটাও জানতাম না, হঠাৎ করেই যাওয়া আর কি। ওইদিন এমনি স্টেশন এর দিকে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে আর তখন এক বন্ধু ফোন করে বললো রাসের মেলায় যাওয়ার কথা। আমিতো সেইভাবে রেডি হয়েও যাইনি,কিন্তু ধারে কাছে যে মধ্যমগ্রামে হচ্ছে সেটাই খেয়াল ছিল না। যাইহোক তখন এক পরিচিত দাদার দোকানে কেনাকাটা করা জিনিসগুলো রেখে ট্রেন ধরে চলে গেলাম রাসের মেলায়। বারাসাত থেকে ১ স্টেশন বাদেই মধ্যমগ্রাম। আমি এই রাসের মেলায় এক করোনার আগে একবার গিয়েছিলাম আর এই বছর এই গেলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

রাসের মেলা সব থেকে বড়ো করে হয় শান্তিপুরের দিকে, যদিও আমি যাইনি, লোকমুখে শোনা কথা আর কি। তবে সামনের বছর যাওয়ার একটা প্ল্যান আছে শান্তিপুরের দিকে। এখনো রাসের মেলা চলছে , গেলেও যাওয়া যায় কিন্তু প্রথম থেকে যাওয়ার একটা মুড না থাকলে আর যেতেও ভালো লাগে না। ধারে কাছে হলে তাও যখন তখন হুট হাট করে চলে যাওয়া যায় কিন্তু শান্তিপুর আমাদের এখান থেকে অনেক দূর তাই চাইলেও আর যাওয়া সম্ভব হয় না। রাসের মেলা অনেক ধুমধাম করে হয়ে থাকে এখানে। আমাদের এই মধ্যমগ্রামে লাস্ট আগে যখন গিয়েছিলাম তখন আমার যতদূর মনে আছে এতো কিছু আয়োজন ছিল না, কিন্তু এইবার অনেক কিছু মেলায় উঠেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

মেলায় এইবার ভিড়ও হয়েছে প্রচুর পরিমানে, রবিবার যাইহোক ছুটির দিন মানা যায় কিন্তু সোম-মঙ্গলবারের দিকেও অসম্ভব ভিড়, ঠেলে ফাঁক করা যায় না। আর আমার এই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ঢুকলে ফোন, মানিব্যাক এর জন্য টেনশন বেড়ে যায়। আজকাল মেলার মধ্যে চোর লুকিয়ে থাকে, কখন যে ভিড়ের মধ্যে পকেটে হাত ঢুকিয়ে টান দেবে টের পাওয়া যাবে না। আমার আগে একটা মানিব্যাক চুরি হওয়ায় অনেককিছু জলে গেছে তাই টেনশনটাও বেশি হয় এখন, আমার অন্যদিকে কি হচ্ছে না হচ্ছে তার থেকে নজর আর মন মানিব্যাক আর ফোনের দিকে থাকে সবসময়। এইজন্য এই মেলায় গিয়েও বেশিক্ষন আর থাকিনি, ঘন্টাখানিক থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি দেখার জন্যও এখানে লাইন দিতে হয়, যদিও আমাদের এখানে অতটা দেখার কেউ আগ্রহ করে না, ফলে লাইনটাও সামান্য। কৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে সবকিছুই এখানে তুলে ধরেছে আর এইগুলোই দেখার জন্য একটু লাইন পড়ে এই আর কি। মেলায় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস উঠেছিল, আমি না কিনলেও আমার বন্ধু কিনেছিলো কিছু জিনিস। দাম কম থাকলেও আগের তুলনায় তুলনামূলক একটু বেশিই মনে হলো। যাইহোক এরপর লাইন দিয়ে রাধা-কৃষ্ণের মূর্তি আর তার বাল্যকালের মূর্তির মাধ্যমে তুলে ধরা বিষয়গুলো দেখতে চলে গিয়েছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইটা রাধা-কৃষ্ণের মূর্তির ছবি। মূর্তিটি ছোটোখাটো করে তৈরি করলেও দেখতে বেশ ভালো লাগছে। আর লাইটিংটা দেওয়ায় আরো বেশি ভালো লাগছে।

Photo by @winkles

প্রথমে গেটের মুখে ঢুকতেই কংসের কারাগারের দৃশ্যটা চোখে পড়ে। এখানে কংস কৃষ্ণের মাতা-পিতার বসুদেব আর দেবকীকে বন্দি করে রেখেছিলো আর কারাগারের বাইরে দুইজন সৈনিক পাহারা দিচ্ছিলো। বিষয়টা সেইরকমই এখানে মূর্তি গঠনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে।

Photo by @winkles

এরপরে আসে কৃষ্ণের জন্ম বৃত্তান্ত বিষয়। শ্রী কৃষ্ণ যখন জন্মগ্রহন করেছিল তখন তার পিতা বসুদেব কংসের হাত থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য দেবতাদের সহায়তায় কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির রাতে তাকে গোকুলে যশোদা আর নন্দের কাছে দিয়ে আসে, আর তখন থেকেই যশোদা আর নন্দ ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পালিত পিতা-মাতা হিসেবে পরিচিত। এখানে মূর্তির মাধ্যমে বিষয়টা সেইভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে।

Photo by @winkles

এরপর আসে শ্রী কৃষ্ণের বাল্য দর্শন। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ যখন গোকুলে আস্তে আস্তে বড়ো হতে লাগে তখন ভগবান শিব তার দর্শনের জন্য ব্যাকুল ছিল। কারণ ভগবান শিব আর শ্রী কৃষ্ণ একজন আরেকজনের আরাধ্য ছিল। এখানে ভগবান শিবের কৃষ্ণের বাল্য দর্শনের বিষয়টাও মূর্তির মাধ্যমে সেইভাবে তুলে ধরেছে।

Photo by @winkles

এরপরে আসলো ননী চুরির কাহিনী। শ্রী কৃষ্ণ বাল্যকালে গোকুলে সবার বাড়ি থেকে ননী চুরি করে খেত আর সাথে তার বন্ধুদের নিয়েও যেত। এইটা নিয়ে শ্রী কৃষ্ণের ননী চুরির অনেক মজার ব্যাপার আছে। এখানে মূর্তির মাধ্যমে সেইরকম ননী চুরির বিষয়টা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে।

Photo by @winkles

এরপর আসলো পুতনা বধ। কংস যখন জানতে পারে শ্রী কৃষ্ণ গোকুলে বড়ো হচ্ছে আর তার প্রাণ তার থেকে সংকটে, তাই বিভিন্ন উপায়ে শ্রী কৃষ্ণকে বাল্যকালেই মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। পুতনাকে পাঠানোও ছিল কংসের একটা প্ল্যান। পুতনা বুঝতেই পারিনি যে সে ভগবানেরও ভগবান তাকে মারা কারো পক্ষেই সম্ভব না। পুতনা তাকে কোলে করে নিয়ে যেতে লাগে এবং পরে একটা স্থানে তাকে বধ করে দেয় আর এই কান্ড দেখে তার পালিত পিতা-মাতাও অবাক হয়ে যায়। এখানে পুতনা বধের বিষয়টাও সেইভাবে তুলে ধরেছে মূর্তি গঠনের মাধ্যমে।

Photo by @winkles

এরপর আসলো বকাসুর বধ। কংস যখন পুতনাকে পাঠিয়ে অসফল হলো, তখন আবার বকাসুরকে পাঠালো কৃষ্ণকে মারার জন্য। শ্রী কৃষ্ণও তার সাথে জঙ্গলের মধ্যে একটু দৌড় করিয়ে করিয়ে মজা নিয়েছিল আর শেষে নিমিষের মধ্যেই বকাসুরকে বধ করে দিলো। এখানে বিষয়টাও মূর্তির মাধ্যমে দেখিয়েছে।

Photo by @winkles

এরপর আসলো শ্রী কৃষ্ণের গোচারণ এর বিষয়। এখানে শ্রীকৃষ্ণের প্রথমবার গোচারণের বিষয়টা তারা মূর্তির মাধ্যমে তুলে ধরেছে।

Photo by @winkles

এরপর আসলো কালিয়া নাগ দমনের বিষয়টা। গোকুলে একটা নদী ছিল আর সেই নদীতে কালিয়া নাগ বলে বিশাল বড়ো সাপ ছিল আর সবাই ভয়ে সেখানে যেত না। একদিন শ্রী কৃষ্ণ তার বন্ধুদের সাথে খেলা করতে করতে তার বল জলে পড়ে যায় আর কৃষ্ণও জলে বল আনার জন্য ঝাঁপ দেয় আর তখন কালিয়া নাগ তার উপর আক্রমণ করে কারণ সে তার পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিল। কৃষ্ণের সাথে অনেক্ষন লড়াই করার পরে যখন কৃষ্ণ তার মাথায় উঠে নৃত্য করে তখন তার কাছে হার মানে আর সেখান থেকে চলে যায়। এই কাহিনীটাও এখানে মূর্তি গঠনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইরকম একে একে এরপর আসে কংস বধের পালা, তারপর বামন অবতার ধারণ করার দৃশ্য। এরপর কৃষ্ণলীলা,এরপর শ্রী কৃষ্ণের সখীদের সাথে নৌকাবিলাসের দৃশ্য, এরপর ষড়ভুজ আকৃতি ধারণ করার দৃশ্য, এরপর রামের বনবাসের দৃশ্য, এরপর মহাভারতের যুদ্ধের সময় ভীষ্মের প্রতিজ্ঞাবদ্ধের দৃশ্য, এরপর সর্বশেষ কৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শন এর দৃশ্য যেটা যুদ্ধের সময় অর্জুনকে দেখিয়েছিলো। লাস্টের দিকে সংক্ষিপ্ত আকারে দিলাম, কারণ এর প্রতিটা বিষয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে অনেক বড়ো হয়ে যাবে।

All photos what3words location: https://w3w.co/encoding.rift.beginning

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনমধ্যমগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ১৪.১১.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রাসের মেলা ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে কলকাতা প্রতিটি পূজা অনেক সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়। এই পুজোটা অনেক সুন্দরভাবে আয়োজন করেছে এবং মেলার দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ভিড়ের মাঝেও আপনি উপস্থিত হয়ে ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

বাল্যকালটা তুলে ধরেছে বলে অনেক ইতিহাস জানতেও পারলাম কিন্তু মোটামুটি আপনার লেখা আর ছবি গুলো থেকে।মেলাতে আগে জিনিষপত্র এর দাম কম থাকতো,কিন্তু এখন অনেক বেশি থাকে।

 2 years ago 

দাদা আপনার এক পোষ্টে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি এক সাথে দেখতে পারলাম। আপনার বন্ধুর জন্য আপনি রাসের মেলটা দেখতে পেলেন। দাদা আমার থেকে এখনো ফোন বা মানিব্যাগ চুরি করে নিতে পারেনি,তবে আমি যেখানে যায় মোবাইল আর মানিব্যাগ সতর্ক রাখার চেষ্টা করি। তবে কোন দিন যেন নিয়ে যায় বলা যায় না। আপনার ভিতরে তো ফোন আর মানিব্যাগ নিয়ে টেনশন ছিল,মনের ভিতরে টেনশন থাকলে কোথাও গিয়ে শান্তি নাই। আপনার আগে একবার মানিব্যাগ চুরি হয়েছে জেনে কিছুটা খারাপ লাগলো। সব কিছু দেখে মনে হলো মোটামুটি বড় করেই রাসের মেলার আয়োজনটা করা হয়েছে। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

রাসের মেলা বলতে কি বুঝিয়েছেন দাদা? এটি কি জায়গার নামে মেলা? নাকি মেলার নামকরণে অন্য কোন কারণ আছে। মেলায় মাটির জিনিস গুলো বেশ ভালো লাগলো দেখতে। তাছাড়া এসব মেলায় ভিড় হলে আসলেই মোবাইল মানিব্যাগ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পরতে হয়। কারণ চোররা এসব ভিড়ের অপেক্ষায় বসে থাকে। কৃষ্ণের জীবন বৃত্তান্ত যেভাবে তুলে ধরেছে তা দেখার জন্য ভিড় হওয়ারই তো কথা। কৃষ্ণের এই জীবন বৃত্তান্তের একটা সিনেমা দেখেছিলাম অ্যানিমেশন মুভি। খুব ভালো লেগেছিল সিনেমাটি। আপনার বর্ণনা গুলো পড়ছিলাম আর সিনেমার প্রতিটি কাহিনী চোখের সামনে ভাসছিল। খুব সুন্দর করে আপনি প্রতিটি বিষয়ে বর্ণনা করেছেন। আর একটা বিষয় আপনার যেটি ভালো লাগে সেটি হল পোস্ট যত বড় হোক না কেন আপনি একদিনে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করেন। তা না হলে অনেকেই এই পোস্টটিকে তিন চার পর্বে উপস্থাপন করত। যাই হোক দাদা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মেলায় বোঝাই যাচ্ছে।

 2 years ago 

রাসের মেলা বলতে কি বুঝিয়েছেন দাদা? এটি কি জায়গার নামে মেলা?

রাস মেলা হলো শ্রী কৃষ্ণের বজ্রলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারা সম্বলিত একটা ধর্মীয় উৎসব, একে বৈষ্ণবীয় রাস যাত্রাও বলে থাকে। আমাদের এখানে শান্তিপুর, কোচবিহার, সুন্দরবনে বিখ্যাত।

 2 years ago 

প্রথমে আমার নমস্কার দাদা ৷
আসলে ইন্ডিয়া যে প্রতিটি পুজো দারুন ভাবে উদযাপন হয় ৷ সেটা দূর্গাপুজো থেকে দেখছি ৷
যা হোক রাস মেলা অনেক ভক্তদের আগমন ঘটেছে ৷ অনেক ভিড় তো আর তার সাথে ছিল ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ৷
তবে সবচেয়ে ভালো লাগলো প্রতিটি অবতার রুপ গুলো দেখে ৷ আসলে এ পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ভগবান পরমেশ্বর বারংবার একেক অবতার রুপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে ৷ যে গুলো ফটোগ্রাফি দেখলাম সত্যি বলতে অনেক ভালো লাগলো ৷
হরে কৃষ্ণ রাধে রাধে ৷
আরও অনেক কথা এই রাস লীলার ৷ তবে কমেন্টে আর বেশি না বলাই ভালো ৷

 2 years ago 

ভিড়ের মাঝে ফটোগ্রাফি করা সত্যি অনেক কষ্টের ব্যাপার। অনেকটা সময় নিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করতে হয়। কারণ যখনই ফটোগ্রাফি করতে যাওয়া হয় তখনই কেউ না কেউ ঠিক সামনে চলে আসে। এভাবে হুট করে ছবি তুলতে তুলতে হঠাৎ করে আমাদের বৌদি কিন্তু সামনে চলে আসতে পারে দাদা। তাই সাবধানে ছবি তুলবেন 🤪🤪🤪। শ্রী কৃষ্ণের ননী চুরির অনেক গল্প শুনেছি। আর সেই মূর্তি গুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। আসলে যে কোন মেলায় ঘুরতে ভালো লাগে। তবে গতবার যেহেতু করোনা ছিল তাই তো এবারে ভিড় টা একটু বেশি হয়েছে। আর ছুটির দিন হওয়াতে ভিড়ের পরিমাণ আরো বেড়ে গেছে। মাটির তৈরি জিনিসগুলো দেখতে ভালো লাগে। দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। আর সবচেয়ে ভালো লাগলো রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। সত্যি দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে রাসের মেলার মূর্তিগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা অনেক সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

দাদা যে কোন মেলায় ঘুরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।ছোটবেলায় আব্বুর সাথে মেলায় ঘুরতে যেতাম।এই ধরনের মেলাগুলো কিন্তু ভীষণ ভীড় হয়ে থাকে।আর এই ভিড়ের মাঝে ফটোগ্রাফি করাটা যে কত কষ্টের উফ আমি সেটা বুঝতে পারি। তবে এত ভিড়ের মাঝেও আপনি দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। করনার আগে একবার গিয়েছেন এখন গিয়ে দেখলেন ভীড় আরো বেশি। কারণ দিন দিন জনসংখ্যা শুধু বাড়ছে।তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুন হয়েছে দাদা।

 2 years ago 

দাদা আপনি এত ভিড়ের মধ্যে কেমনে এত ফটোগ্রাফি করলেন,তখন মানিব্যগের জন্য চিন্তা হয়নি।আসলে এত মানুষের জন্য আমারও ভালো লাগে না।সামনে বছর যাবেন কি নতুন বৌদি বানিয়ে
শান্তিপুরের এর মেলায়।যাই হোক শ্রী কৃষ্ণ সম্পকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।তারপর কি আপনার দাদার দোকান থেকে জিনিস পএ নিয়ে বাড়ি পৌছিয়েছেন।

 2 years ago 

দাদা রাস মেলায় এতো ভিড়ের মধ্যে ঢুকে আমাদের জন্য চমৎকার সব ছবি দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। অনেক মানুষ হয়েছে দেখছি। মাটির তৈরি জিনিসপত্র আর খেলনা দেখে সত্যিই ছোট বেলার মেলার স্মৃতি মনে পরে যাচ্ছিল। জিনিসপত্রের দাম আগের থেকে বেশ বেড়েছে বলছিলেন।

দাদা এখানে তো দেখছি কৃষ্ণের জীবন বৃত্তান্ত সহ সব বিস্তারিত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলছে আর আপনি ধাপে ধাপে প্রতিটি বিষয় সুন্দর গুছিয়ে বর্ননা করেছেন। সত্যিই বেশ ভালো লেগেছে।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

 2 years ago 

কৃষ্ণের সব বাল্যকালের লীলাগুলো টিভিতে যেমন ভালো লাগতো দেখতে এখনও তেমন ভালো লাগে। সেগুলো মূর্তি বানিয়ে প্রদর্শন করিয়েছে সেটা খুব ভালো লাগলো। আর এই বছর মেলায়, পুজোয় ভিড় হবেই কারণ কোভিডের জন্য প্রআয় দুবছর মানুষ উপভোগ করতে পারে নি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 63968.11
ETH 2756.38
USDT 1.00
SBD 2.66