মুভি রিভিউ: ব্ল্যাক ওয়াটার
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা মুভি রিভিউ শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি একটি ইংলিশ মুভি রিভিউ দেবো। এই মুভিটির নাম হলো "ব্ল্যাক ওয়াটার"। এই মুভিটিতে অ্যাকশন এর সাথে সাথে থ্রিলার পার্টও আছে। এই মুভিটি আমি অনেক আগে একবার দেখেছিলাম আর আজকে আবার একটু দেখে ভালো লেগেছিলো। আর তাই কাহিনীটি আপনাদের সাথেও ভাগ করে নিতে চলে আসলাম। আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে কাহিনীটি আশা করি।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
❣মূল কাহিনী:❣
কাহিনীর শুরুতে দেখা যায় জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটি তার নিজের রুমে যখন প্রবেশ করে তখন পেছন দিক থেকে কোর্টনি ব্লাইথ তুর্ক নামক মেয়ে বন্ধুক হাতে নিয়ে তার কাছে যা যা আছে তাই নিচে রাখতে বলে। এখানে এরা দুইজন আগে থেকেই সাধারণত পরিচিত ছিল, যাকে বলে বন্ধু । কিছুক্ষন পর মেয়েটি চলে গেলে দরজায় একজন মহিলা এসে বেল বাজায়। কনফার্ম হওয়ার জন্য লোকটি জানলা দিয়ে দেখে নেয় কে, কিন্তু কাউকে দেখতে পায় না। এরপর সে যখন দরজা খোলে তখন তার উপর শত্রু পক্ষ থেকে একনাগাড়ে গুলি বর্ষণ তার উপরে চলতে থাকে, এতে করে সামনের সেই মহিলাটি গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যায়। জন ক্লড ভ্যান ড্যাম একাই সংঘৰ্ষ করে কয়েকজনকে মেরে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে কোনোমতে এবং কোর্টনি ব্লাইথ তুর্ক মেয়েটির সাথে একটা রুমের মধ্যে যায় আর তারা সেখান থেকে একটা গাড়ি নিয়ে পালানোর কথা ভাবে এবং কোর্টনি ব্লাইথ তুর্ক মেয়েটিকে ওই গুলি চলাকালীন এর মধ্যে গাড়ি স্টার্ট দিতে বলে সেখান থেকে বেরিয়ে। এদিকে লোকটির সাথে তাদের গোলাগুলি চলছে রীতিমতো। এরপর মেয়েটি গাড়ির আবডালে লুকিয়ে লুকিয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু তারা দেখে ফেললে তার দিকে টার্গেট করে গুলি চালানো শুরু করে। এরপর লোকটিও দৌড়িয়ে সেখানে গাড়ির কাছে গেলে দেখে লক করা আর এদিকে মেয়েটি চাবি আসতে গিয়ে ফেলে দিয়েছে। এরপর মেয়েটি চাবি আনতে গেলে তার কাঁধে গুলি লেগে যায় আর সেখানেই পড়ে গেলে তারা তাকে ধরে ফেলে আর গুলি মেরে দেয়। এরপর লোকটি সেখান দিয়ে অন্য গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
লোকটি গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পরে একটি স্থানে থামে এবং সেখানে আবার তাকে চারিদিক থেকে প্যাট্রিক কিলপ্যাট্রিক এবং তার লোকজন ধরে ফেলে। এরপর তাকে বেহুশের ইনজেকশন দিয়ে বেহুশ করে গাড়িতে করে অন্য একটি স্থানে নিয়ে যায়। এই অন্য স্থান বলতে তাদের সাবমেরিনে করে কোথাও নিয়ে যাচ্ছিলো। সাবমেরিনের মধ্যেও ভাগ ভাগ করে জেল খানার মতো করে রাখা আছে যেখানে কয়েদিদের রাখা হয়। তো সেখানে জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটিকে বেহুশ অবস্থায় নিয়ে যায় আর একটি রুমে বন্ধ করে দেয়। সাবমেরিন বলতে এখানে যেগুলো গভীর জলের নিচে দিয়ে চলে থাকে। যাইহোক এরপর জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটির জ্ঞান ফিরলে দেখে অন্য জায়গায় সে এবং সেখানে ডলফ লুন্ডগ্রেন লোকটির সাথে দেখা হয় এবং সেও একজন কয়েদি হিসেবে আছে সেখানে। ওই লোকটির জ্ঞান ফেরার পরে তাকে মুখে কালো কাপড় দিয়ে অন্য একটি রুমে নিয়ে গিয়ে বসায় যেখানে ইন্টারোগেশন করা হয়ে থাকে। সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তু কোনো সঠিক উত্তর দেয় না। এরপর আরো একজন গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেও কিছু বলেনা। এর মধ্যে প্যাট্রিক কিলপ্যাট্রিক এর সাথে তাদেরই মধ্যে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা বাদে আর একজন আরেক জনকে মেরে ফেলে গুলি করে। এই সুযোগে জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটি আস্তে আস্তে হাতের বাঁধনটি খুলে বাকিদের উপরে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে আসে সেই রুম থেকে এবং সেখানে জেসমিন ওয়াল্টজ মেয়েটিও ছিল আর তাকে রক্ষাও করে।
জেসমিন আর তার একজন সঙ্গী মিলে লোকটিকে সেখান থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে একটি রুমে নিয়ে যায় এবং সেখানে রাখা কিছু বন্দুক নিয়ে তারা তিনজন ইঞ্জিনের ধারে কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে কারণ সেখান থেকে বাইরে বার্তা পাঠাতে চায়। তবে অন্যরা তাদের উপরে তাদের সিস্টেম এর মাধ্যমে নজরে রেখেছে সেটা বুঝতে পারিনি তারা। সামনের দিকে এগিয়ে গেলে অন্যদিকে থেকে সবাই গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে করে তাদের বেশ কিছুজন মারা গেলেও তাদের জেসমিন এর সঙ্গীর গলায় গুলি লাগে আর সেখানে সে মারা যায়। এরপর জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটি জেসমিন মেয়েটিকে নিয়ে সেখান থেকে সোজা চলে যায় ইঞ্জিন রুমে এবং সেখানে তারা কিছু একটা উল্টোপাল্টা করে যার ফলে সমস্ত ইঞ্জিনে প্রব্লেম দেখা দেয় আর ইঞ্জিনে একটা কম্পন সৃষ্টি হয়। বেশিক্ষন কম্পনের ফলে ভিতরে জল চলে আসতে লাগে। এদিকে তারা দুইজন একটা দরজার সামনে পৌঁছিয়ে যায় কিন্তু সেখানে একজন লোক বন্দুক নিয়ে তাদের মারার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। লোকটি জেসমিন মেয়েটিকে গুলি করে কিন্তু তেমন একটা সমস্যা হয়নি আর জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটিকে মেরে জেসমিনকে একটা নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
জেসমিনকে নিয়ে একটা রুমে যায় এবং যেখানে গুলি লেগে বেরিয়ে গেছিলো সেখানে ব্যান্ডেজ করে নিয়ে আবার তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর মেকানিক লোক গিয়ে ইঞ্জিনের সমস্যাটা সমাধান করে ফেলে। এরপর তারা দুইজন আরেকজন যে কয়েদি ছিল তাকে মুক্ত করে বাইরে বের করে আর তারা একটা প্ল্যান সাজায় এদের মারার। কয়েকজন বন্দুক হাতে নিয়ে সামনের দিকে এদের খুঁজতে লাগে এবং জেসমিন মারা যাওয়ার ভান করে নিচে এক জায়গায় শুয়ে থাকে আর বাকি দুইজন লুকিয়ে থাকে পাশের দরজার মুখে। জেসমিন এর কাছে গিয়ে যখন একজন ঝুঁকলো তখন পায়ে ছুরি বসিয়ে দেয় আর পরে গুলি করে দেয়। আর বাকি দুইজনও রুমের মধ্যে যাওয়ার সাথে সাথে ঘাড় মটকিয়ে মেরে ফেলে। এরপর বাকি আরো যে কয়জন ছিল সবাইকে তারা বুদ্ধি করে সেখানে আসতে বলে কিন্তু ওর মধ্যে একজন ছিল চালাক, বিশ্বাস করিনি তাই ওদেরই আবার বলে জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোকটিকে ধরে আমাদের সামনে আনতে। এরপর ওরাও ওদের প্ল্যানে ওদেরই মারার প্ল্যান করলো। ওদের সামনে নিয়ে আসতেই মেয়েটি পিছন দিক থেকে গুলি করে দিলো আর এরা সামনের দিক থেকে মেরে দিলো। এরপর তারা ক্যাপ্টেন এর রুমে যায় যেখানে চালকরা থাকে আর সেখানে গিয়ে শয়তান অফিসারটি ক্যাপ্টেনকে ভুল বুঝিয়ে সাবমেরিন জলের উপরে আনতে বলে কিন্তু এরা গিয়ে সেটিকে আবার আটকাতে বলে।
তারা গিয়ে বলার পরেও সাবমেরিন জলের উপরে নিয়ে আসতে আটকাতে পারিনি কারণ একবার প্রসেসিং করা কমপ্লিট হয়ে গেছে তাদের। ওই শয়তান অফিসারটি তখন চালাকি করে ক্যাপ্টেনকে ধরে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাদের সবাইকে অস্ত্র নিচে রেখে দিতে বলে। এদিকে তাদের আরো সাঙ্গপাঙ্গ স্পিড বোটে করে আসতে লাগে। এর মধ্যে সেখানে আরেকজন মেয়ে এসে হাজির হয় এবং সেও ওদের দলের লোক। এরপর তাদের মধ্যে হাতাপাই হয় কিছুক্ষন এবং এবং সবাই মোটামুটি মারা যায় জেসমিন আর জন ক্লড ভ্যান ড্যাম লোক বাদে। আর যে মেয়েটি লাস্টে এসেছিলো সে পালিয়ে চলে যায়। এরপরে তারা দুইজনও সেখান থেকে বেরিয়ে ইন্টেলিজেন্ট ব্যুরো তে চলে যায়। আর সেই মেয়েটিকে পরে গুলি করে মেরে দেয়।
❣ব্যক্তিগত মতামত:❣
এই মুভিটির কাহিনী সবটাই জলের নিচে সাবমেরিন এর মধ্যে ঘটলো। এখানে জন ক্লড ভ্যান ড্যাম ছাড়া বাকি সবাই এজেন্সি স্পেশিয়াল অফিসার ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু স্বার্থপর ছিল যা পিঠ পিছে ঘাত লাগিয়ে বসেছিল আর সুযোগ বুঝেই ছুরি মেরে দিয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব করে সব সমস্যার সৃষ্টি করেছিল। আর লাস্টে যে মেয়েটির এন্ট্রির কথা বলেছিলাম এইটা ছিল প্রথমে জন ক্লড ভ্যান ড্যাম এর বন্ধু হিসেবে গিয়েছিলো সেই মেয়ে, এ ওদেরই দলে ছিল। লাস্টে যে গুলিটা মেরেছিলো সেটা ওর গায়ে মারেনি যার জন্য বেঁচে ছিল এবং অনেক আগে থেকেই সাবমেরিন এর ভিতরে এক জায়গায় ঘাত মেরে বসেছিল। ওই মেয়েটির চালাকির জন্য জন ক্লড ভ্যান ড্যাম ধরা পড়েছিল, না হলে ধরা পড়তো না।
❣ব্যক্তিগত রেটিং:❣
০৮/১০
❣ট্রেইলার লিঙ্ক:❣
অসাধারণ একটি মুভি রিভিউ করেছেন দাদা, ব্ল্যাক ওয়াটার মুভিটি আমি আগে যদিও দেখি নাই। তবে আপনার রিভিউ আর ট্রেইলার দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ইংলিশ অ্যাকশন মুভিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে তাদের ফাইটিং স্কিল অসাধারণ।
জন ক্লড ভ্যান ড্যাম এর চরিত্রটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। জেসমিন মারা যাওয়ার ভান করে শুয়ে থেকে যে একটা ফাইটিং দেখায় এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তবে লাস্ট পর্যন্ত জেসমিন ও জন ক্লড ভ্যান ড্যাম টিকে ছিলো এটা অনেক ভালো লাগে। আর বিশেষ করে পুরো মুভি সাবমেরিনের মধ্যে শুট করা হয়েছে এটা অনেক আকর্ষনীয় ছিলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পুরো কাহিনী আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ইংলিশ মুভি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি খুব দ্রুত মুভিটি দেখে ফেলবো। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। 💞💞
ভাইয়া বরাবরের মতো আজকেও খুব সুন্দর একটি মুভি রিভিউ করেছেন। আপনার মুভি রিভিউ টি পড়ে বোঝা গেল যে মুভিটি খুবই ইন্টারেস্টিং। মুভির নাম টা খুব সুন্দর ব্ল্যাক ওয়াটার যদি আমি মুভিটি দেখিনি তারপরও আপনার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো সময় পেলে অবশ্যই মুভিটি দেখে নিব। আসলে এসব মুভিগুলো থেকে আমাদের অনেক শিক্ষানীয় বিষয় আছে। যেমন মানুষের মাথায় উপস্থিত বুদ্ধি থাকলে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। মেয়েটির মাথায় খুব বুদ্ধি ছিল তাই মেয়েটির চালাকির কারণে লোকটি ধরা পড়ে গেল। ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে রিভিউটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ওরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমি অবশ্যই সময় করে মুভিটি দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
"ব্ল্যাক ওয়াটার" এই মুভিটি একটি অ্যাকশন মুভি এটা আপনার মুভি রিভিউ পড়ে বোঝাই যাচ্ছে দাদা। দাদা আপনার শেয়ার করা মুভি রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে ইংলিশ মুভি খুব একটা দেখা হয়না। আজকে আমি যখন আপনার এই মুভি রিভিউ পড়ছিলাম তখন আলাদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। এই মুভি রিভিউ পড়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম এই মুভিটি পানির নিচে সাবমেরিনে তৈরি করা হয়েছে। জেসমিন আর জন ক্লড ভ্যান নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। দারুন এই মুভি রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ♥️♥️
একটি মুভির মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি আর আপনি যে ইন্টারেস্টিং মুভি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেন তাহলে অদ্ভুত। দাদা আজকের মুভিটির নাম হচ্ছে ব্ল্যাকওয়াটার এই অর্থ কি কালো পানি।হাহাহা মজা করলাম😊গল্পের শুরুতেই যখন একজন লোক মারা যায় তখনই আমি একটু আতঙ্কিত হয়ে উঠি ।আমি আবার জিৎ মুভির মধ্যে মারামারি বেশি হয় তা দেখতে একটু ভয় পাই। তবে এই মুভিটির মধ্যে ইন্টারেস্টিং কিছু আছে বোঝাই যাচ্ছে ।গল্পের জেসমিনকে বারবার অ্যাটাক করায় আমি একটু ভয় পাই।না জানি কি ঘটে যায় ।যাই হোক অনেক কিছু জানলাম মুভিটা সম্পর্কে। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
প্রথমেই বলছি দাদা আপনার রিভিউ পোষ্ট গুলো সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে লেখেন যে কারনে বুঝতে একটুও অসুবিধে হয় না। সত্যি বলতে দাদা আমি বেশ কিছু ইংলিশ মুভি দেখেছি কিন্তু মূল চরিত্রের নাম মনে রাখতে পারিনি। জন ক্লড ভ্যান ড্যাম এর মুভিও দেখেছি। কিন্তু আজকে নাম টা ভাল করে জানলাম। পুরো কাহিনী টি পড়লাম। ভালই লেগেছে। জন ক্লড ভ্যান ড্যাম এর বডি স্ট্রাকচার আমার কাছে ভাল লাগে। ওর পেশী ও অন্যান্য এক্সপ্রেশন দেখার মতন।মুভিটি দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ দাদা ভাল থাকবেন ।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
দাদা তাহলে শেষ পর্যন্ত জেসমিন আর জন ক্লড ভ্যান ড্যাম বাদে সকলেই মারা গেল। আমি একজন মুভি লাভার আর এই মুভিতে তো দেখছি শুধুমাত্র গোলাগুলি আর অ্যাকশনএ পরিপূর্ণ । আর আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এই মুভিটির শুটিং গুলো হয়েছে সাবমেরিন এর ভিতরে যার জন্য এটি আমার কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। গতকাল একটা একশন মুভি দেখেছিলাম আজকেও এই মুভিটা দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা, মুভির ট্রেইলার দেখে আমি আরো বেশি এক্সাইটেড । আমি সময় করে অবশ্যই ব্ল্যাক ওয়াটার মুভিটি দেখার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।
ব্ল্যাক ওয়াটার অর্থাৎ কালো জল ।এই মুভিগুলো অনেক শিক্ষণীয় হয় যেটার সাহায্যে অনেক যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ও জানা যায়।তাছাড়া সাবমেরিন গভীর জলের নিচে ঘোরাফেরা করে।এই মুভিগুলো খুবই ইন্টারেস্টিং হয় ।কিন্তু গল্পের মধ্যে অফিসারটি খুবই শয়তান ছিল।
শেষমেশ এই মেয়েটি মারা যায় নি জেনে অবাক লেগেছে দাদা।কারণ লেখাই তো আছে মেরে দেয় গুলি করে।কেমন রহস্যময়,ধন্যবাদ দাদা।
ব্ল্যাক ওয়াটার মুভিটি খুবই সুন্দরভাবে রিভিউ করেছেন। দাদা মুভি রিভিউ পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো।এই মুভিটি আমি দেখেছিলাম তবে আজকে আপনার রিভিউ পড়ে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন। আসলে এই মুভিটি অনেক রহস্যময় মুভি। আর এই মুভির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের নিজেদের ভিতর শত্রু থাকে। যা আমাদের পিছন থেকে আঘাত করে। আর পিছন থেকে আঘাত গুলো কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
দাদা আপনার আজকের মুভি রিভিউ এর কাহিনীটি আমার কাছে বেশ জটিল লেগেছে। খুব একটা ভালো বুঝতে পারিনি। তবে ভ্যান ড্যাম এর ছবি মানেই ধুমধারাক্কা একশন। যদিও তিনি এখন অনেকটাই বয়স্ক হয়ে গেছেন কিন্তু তার যৌবনকালের ছবিগুলো আমার কাছে খুবই ভাল লাগত। হলিউড মুভি গুলোর একটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের বৈচিত্র্যময় কাহিনী। এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে তারা সিনেমা তৈরি করে না। আপনার মুভি রিভিউ পড়ে শুধু আকর্ষণই বাড়ল। মনে হচ্ছে সিনেমাটি দেখতেই হবে। আমাদের সঙ্গে সহজ ভাষায় রিভিউটি ভাগ করে নেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।❤️👍
দাদা আপনার আজকের মুভি রিভিউ পোস্টটি অসাধারণ।আসলে আমি বেশি ইংরেজি মুভি দেখি না।তবে আজকের ব্ল্যাকওয়াটার মুভির রিভিউ সুন্দর করছেন। মুভিটির মধ্যে অনেক ভয়ংকর ভয়ংকর দৃশ্য দেখে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে।আপনি অনেক চমৎকার করে মুভির রিভিউ দেখিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা।