পুঁইশাকের পাতা ভাজি রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। গতকাল রাতে এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম। আমার আসলে কোনো টাইম ঠিক নেই, যখন মনে হয় এখন এই কাজটা করবো তখন সেইটা করে ফেলি থেকে। রাতেও তাই ভাবছিলাম এখন ভাজিটা করে ফেলি তাহলে কালকে আর সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা লাগবে না। রাতে ঘুম না আসতে লাগলে এইসব করতে থাকি হাতের দিকে কোনো কাজ না থাকলে। যাইহোক আমি পুঁইশাকের পাতা ভাজি করেছিলাম। বাড়িতে কিছু পুঁইশাক গাছ হয়েছিলো তাই কেটে রাখা ছিল আগের দিন আর সেগুলো থেকে পাতাগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছিলাম। পুঁইশাক এর বীজ পড়ে আপনাপানি হয়ে উঠেছে ফাঁকা জায়গায়। দেখলাম গাছের চেহারা খারাপ হয়নি যখন, তখন তুলে খাওয়া যাবে এইটা। যাইহোক গাছের কয়েকটা ডাগ কেটে এনে রেখে দিয়েছিলাম আর পাতাগুলো বেছে বেছে দুপুরের দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে রেখে দিয়েছিলাম ফ্রিজের মধ্যে। পুঁইশাকের বড়ো বড়ো মাংসল পাতাগুলো ভাজি করে খেতে সেই টেস্টি লাগে, পুঁইশাকের গন্ধে আমি খিদে আটকে রাখতে পারিনা সত্যি কথা বলতে গেলে, এতটাই প্রিয় যে মনে হয় একাই খেয়ে সবাড় করি। ভাজিটা কিছু চিংড়ি দিয়ে করেছিলাম, পুঁইশাকের পাতা ভাজিতে চিংড়ি না দিলেও হয় কারণ এ শুধু ভাজাও দুর্দান্ত লাগে। আমি দিয়েছিলাম কারণ কোনো ভাজায় কিছু না দিলে যেন কমতি কমতি মনে হয় আমার কাছে। যাইহোক এই ভাজি রেসিপিটার এখন কিছু উপকরণ সহ মূল পর্বের দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
❦এখন ভাজি রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
ꕥপ্রস্তুত প্রণালী:ꕥ
❖চিংড়িগুলো কেটে রাখা ছিল, ফলে আমি ফ্রিজ থেকে বের করে আরেকবার ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর বেছে রাখা পুঁইশাকের বড়ো বড়ো পাতাগুলো ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার পরে কেটে কুচি কুচি করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নিয়ে পরে জল দিয়ে ধুয়ে বিচিগুলো ফেলে দিয়েছিলাম।
❖ধুয়ে রাখা চিংড়িতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একটু গরম হয়ে আসার পর লবন, হলুদ মাখানো চিংড়ি সব ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖চিংড়িগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম। এরপর কড়াইতে আবারো সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং এবার তাতে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖গোটা জিরা দেওয়ার পরে তাতে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ এর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং জিরার সাথে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে ধুয়ে রাখা পুঁইশাকের পাতা কুচি করে রাখা অংশটা সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ভেজে রাখা চিংড়ি সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖চিংড়ি দেওয়ার পরে তাতে ধুয়ে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে ২ চামচ করে লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖পুঁইশাকের পাতার সাথে সব ভালোভাবে উল্টেপাল্টে মিক্স করে নিয়েছিলাম। এরপর পাতাগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসার জন্য ঢেকে রেখে দিয়েছিলাম কিছু সময়।
❖পুঁইশাকের পাতাগুলো দ্রুত আর ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসার পর ঢাকনাটা তুলে নিয়েছিলাম। বেশ খানিকটা জল বের হয়েছিল এবং জ্বাল দিয়ে দিয়ে জলটা একেবারে কমিয়ে নিয়ে এসেছিলাম।
❖জল কমে যাওয়ার পর জ্বালটা একেবারে লো মিডিয়ামে রেখে আরো কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে ভালো করে ভাজা মতো করে নিয়েছিলাম। এরপর ভাজার শেষে পরিবেশনের জন্য একটি বাটিতে সব তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রাতে ঘুম না আসতে লাগলে কেউ রেসিপি তৈরি করে সেটা আপনাকে দেখে বুঝলাম দাদা।পুঁইশাকের পাতা ভাজি আমার ও খুব ভালো লাগে খেতে।আসলে পুইশাকের দানা পড়লেই গাছ হয়,তার জন্য আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয় না।পুইশাক আপনাআপনি ও ভালো হয় ,অবশ্য আমাদের বাড়িতে পুইশাকের আলাদা ক্ষেত করা হয়েছিল।পুইশাক একমাত্র চিংড়ির সঙ্গে স্বাদ বেশি লাগে ,তাছাড়া পুইশাকের ডাটা খেতে ও খুব ভালো লাগে আমার কাছে।আপনার রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। পুঁই শাক ভাজি আর পুঁই শাক ভাজি আমারও খেতে খুব পছন্দ। আমি যখন বাড়িতে যাই তখন পুঁই শাক ভাজি করে আমার আম্মা দেয়। আর এই পুঁইশাক খুবই টেস্টি করা।আপনার রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে পুঁইশাক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনি পুঁই শাক রেসিপি সাথে চিংড়ি দিয়েছেন। আর চিংড়ি রেসিপি পরিবেশন দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে।এই রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আমাদের সাথে এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পুঁইশাকের গন্ধে আপনার খিদে পেয়ে যায় আর পুঁইশাক ও চিংড়ি মাছের এই মজার রেসিপি দেখে আমারও খিদে পেয়ে গেলো। রাতের বেলায় যখন ঘুম আসে না তখন রান্না করে রাখাই ভালো। আপনার কাছে নতুন একটি কাজ শিখে নিলাম দাদা। আসলে সকালবেলায় অনেক সময় ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। তাইতো রাতে যখন ঘুম আসে না তখন রান্নার কাজ একটু এগিয়ে রাখলে খাওয়ার কাজও এগিয়ে যায় 🤪🤪। না খেয়ে তো আর থাকা যায় না। তাই তো আগেভাগেই রান্নাটা করে নিয়েছেন বেশ ভালো হয়েছে। পুঁইশাকের পাতা ও চিংড়ি মাছের এই ভাজি রেসিপি দারুন লোভনীয় লাগছে দাদা। আমাদের একটু দিলে মনে হয় ভালো হতো।😋😋
পুঁইশাক রান্নার সবচেয়ে ভালো মাছ হলো ইলিশ ও চিংড়ি। আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে পুঁইশাক রান্না দেখে জিভে জল চলে এলো।আসলে দাদা আপনার নিজের গাছের পুঁইপাতা আর সাথে চিংড়ি মাছ অতুলনীয় রেসিপি। আপনি ঠিক বলেছেন পুঁইশাকের গন্ধে খিদে আটকে রাখতে পারা যায় না।আর অনেক সময় রাতে ঘুম না আসলে রান্নার কাজ একটু এগিয়ে রাখলে ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
এটা বেশ নতুন ধরনের রেসিপি আমার কাছে। নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হবে। অবশ্যই করে দেখতে হবে।
দেশের চিংড়ি গুলো তো সব আপনার পেটেই যায়😜😜।পুইঁশাক ভাজি আমারও ভালো লাগে সাথে আলু দিলে খেতে আরো ভালো লাগে।পুঁইশাকের সাথে চিংড়ি দিয়ে ঝোল করলে খেতে বেশ ভালো লাগে।ভাজিও খেতে বেশ ভালো লাগবে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
পুইশাক ভাজি কখনও জিরা ফোড়ন দিয়ে রান্না করা হয়নি । এটা আমার কাছে বেশ নতুন। একদিন এভাবে রান্না করে দেখতে হবে। আর পুই শাক চিংড়ি খুবই মজার একটি খাবার। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা পুঁইশাকের পাতা ভাজি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
আর চিংড়ি মাছ দিলে তো স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আমি আমার বেলকনিতে কিছু পুঁইশাক চাষ করেছি, বেশ বড় হয়ে উঠেছে সেগুলো। আমারতো এখনি ভেঁজে খেতে ইচ্ছে করছে 😋।
আপনার রেসিপি সবসময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আর সুন্দর, এটাই আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
আমার কাছে মনে হয় যে পুঁই শাকে চিংড়ি অথবা ইলিশ মাছ না দিলে পুঁইশাক ভাজি অপূর্ণ থাকে। এমনিতেও খেতে ভালো লাগে। তখন অবশ্য সাথে ডাল হলে আরো জমে যায়। পুঁইশাকের বিচি থেকে গাছ হয়ে তো ভালোই হয়েছে। আপনার এত পছন্দের পুঁই শাক যখন মন চাইবে তখন গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে টাটকা খেতে পারবেন। দাদা এভাবে চিংড়ি ভাজার ছবি দিবেন না তো মুখে পানি আটকানো যায় না😋। পুঁই শাক দিয়ে চিংড়ি আসলেই খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি। দেখেই মনে হচ্ছে যে খেতে বসে যাই।