গতকাল সারাদিনের মুহূর্তগুলো যেভাবে কাটালাম / ২৬.০৭.২০২১
হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। গতকালের সারাদিনের কিছু মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে যাচ্ছি।
গতকাল সকালে আমার ইউনিভার্সিটির কিছু কাজ ছিল যেটা আমি অনলাইনে বসে সম্পন্ন করেছি। তবে কাজটা করতে গিয়ে একটা সমস্যায় পড়তে হলো আমাকে, সেটি হলো কাজটি সম্পন্ন করে সাবমিট করার কথা ছিল ১২-১ টার মধ্যে, কিন্তু সেটা আর করতে পারলাম না। কারণ সকালে উঠতে গিয়ে দেরি করে ফেললাম। রাতে অন্যান্য সময়ে ৪:৩০-৫ টার মধ্যে ঘুমোতে চলে যাই, কিন্তু গতকাল হাতের কাজ কমপ্লিট করতে করতে সকাল হয়ে গেলো। সকাল ৬ টার সময়ে ঘুমিয়ে পড়েছি এবং অ্যালার্মও দিয়ে রেখেছিলাম সকাল ১১ টা অব্দি। কিন্তু অ্যালার্ম বন্ধ করে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম আর এইজায়গায় দেরি হয়ে গেলো। যাইহোক সকালে আর ফ্রেশ হওয়ার সময় পেলাম না, ঐভাবেই উঠে কাজটা কমপ্লিট করে ১:৩০ টার সময় সাবমিট করলাম।
ইউনিভার্সিটির কাজটা সম্পন্ন করার পরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে আবার খাওয়ার সময়ও পেলাম না। আমি যেহেতু সকালে খাইনা, একেবারে ১২ টার পরে খাই কিন্তু সেটার আবার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, কখনো ২টার সময়ে আবার কখনো ৩ টের সময়ে। যাইহোক কালকে আমার ভাইয়ের স্কুলে ভর্তির তারিখ ছিল। আমার ভাই এইবার একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবে। ফ্রেশ হয়ে সেই সময় ভাইকে নিয়ে স্কুলে ছুটলাম এবং যেতে যেতে দুপুর ২টা বেজে গেলো। অলরেডি স্কুলে ১১ টার থেকে ভর্তির কার্যক্রম চালু হয়ে গেছে।
২টার সময়ে স্কুলে ভাইকে নিয়ে পৌঁছালাম এবং গিয়ে দেখি সেখানে ৫০-৬০ জনের লম্বা লাইন পড়ে আছে। ভাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে আমি ভর্তির ব্যাপারে একটু স্যারদের সাথে কথা বলতে গেলাম। স্কুলে বেশ কিছু স্যারদের সাথে ভালো পরিচয় আছে। স্যারদের বললাম এবং ওনারা বললেন যে ফর্ম তুলে ফিলাপ করতে হবে তারপর ভর্তি করা যাবে। আমি তারপর ভাবলাম এই লাইনে দাঁড়ালে তো সন্ধ্যার আগে বাড়ি যাওয়া হবেনা। শেষে আমি স্যারদের বললাম যে ডাইরেক্ট ভর্তি করতে হবে এবং তারা রাজি হলো। যেহেতু আমার চেনাপরিচিত ছিল যার জন্য সম্ভব হলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
what3words Location:https://w3w.co/neck.decompose.removed
ভাইকে ডাইরেক্ট ভর্তি করিয়ে দিয়ে একপ্রকার ভর্তির কাজ সম্পন্ন করলাম। তারপর আমরা বেরিয়ে দেখি বাইরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এদিকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ছাতা নিতে আর মনে ছিল না। তারপর কি আর করার সেখানে আবার আধাঘন্টার মতো দাঁড়িয়ে থাকলাম স্কুলের ভিতরে। একটু থামতেই দুইজন বেরিয়ে পড়লাম এবং কিছু পথ যেতেই আবার জোরে শুরু হলো। একজায়গায় কিছুক্ষন আবার দাঁড়িয়ে থাকার পরে রওনা হলাম। কিন্তু রেল লাইন পার হতেই এমন জোরে বৃষ্টি শুরু হলো আর থামার নাম নেই।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
what3words Location:https://w3w.co/neck.decompose.removed
লাইন পার হওয়ার পরে ক্লাব এর কাছে একটা ছাওনি মতো জায়গায় দুইজন দাঁড়িয়ে পড়লাম। সেই ৩:৩০ টার সময় বৃষ্টি শুরু হলো আর থামতেই চাচ্ছে না এইরকম মনে হলো। কখন থামে সেই অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলাম, কারণ এখন বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাও আবার করোনার সময়ে। যার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলাম কিন্তু যত সময় যাচ্ছে ততই বৃষ্টি জোরে আসছে। সেই পনি ৫ টা অব্দি দাঁড়িয়ে থাকলাম। তারপরও কমলো না, তখন ভাবলাম আর দাঁড়াতে গেলে হচ্ছে না, খিদেয় পেট জ্বালাপোড়া করছে। ভাবলাম বৃষ্টিতে চলেই যাই যা হওয়ার দেখা যাবে। বাড়িতে এসে পৌঁছালাম এবং প্রায় সন্ধ্যা মতো হয়ে গেলো। তারপর স্নান করে ভাত খেয়ে দিলাম ঘুম একটা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | বারাসাত, বনমালিপুর রোড |
তারিখ | ২৬.০৭.২০২১ |
Discord Link:https://discord.gg/5aYe6e6nMW
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
বৃষ্টির কারনে দিনটা ভিন্নভাবে শেষ হয়েছে বুঝতে পারছি, আর দৃশ্যগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ
কাল অনেক্ষন ধরে টানা অনেক্ষন মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
বর্ষাকালে আকাশে মেঘ হলেই আমার মনটা ভালো হয়ে যায়। বর্ষাকালটা আমি খুব উপভোগ করি
একদম ঠিক বলেছেন । তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেভাবে আনন্দ করা যাছে না। ঠান্ডা লেগে অসুখ হলেই অন্য টেনশন ।
হুম। ঠিক বলছেন।
দাদা অ্যালার্ম বন্ধ করার অভ্যাস আমারও আছে বিশেষ করে এটা শুক্রবারে দিনে হয় যাইহোক ভাল ছিল আপনার ঘটনাটা শুভেচ্ছা রইল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই ভালো লাগলো আপনার কাটানো দিনের গল্প।
ধন্যবাদ।