বাংলা মুভি রিভিউ: অন্ধ প্রেম
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটা বাংলা মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই বাংলা মুভিটি অনেক পুরানো একটা মুভি। এই মুভিটির নাম হলো "অন্ধ প্রেম"। এই মুভিটি অসাধারণ সুন্দর একটা মুভি। আপনারা এই মুভিটি অনেকে দেখেছেন মনে হয়। এই মুভির কাহিনী বেশ রোমান্টিক। আর রোমান্টিক মুভি সবাই পছন্দ করে। যাইহোক এখন আমি মুভিটির প্রধান বিষয়গুলোর দিকে চলে যাবো। আশা করি রিভিউটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
☬কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:☬
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে দেখা যায় পাহাড়ি এলাকার রাস্তায় পুলিশের গাড়ি দীপংকর দে এর গাড়িকে ফ্লো করে এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। কারণ পুলিশের ধারণা যে সে স্মাগলিং করে পালাচ্ছে। এরপর গাড়ির পিছু নিতে নিতে দীপঙ্কর এর গাড়ি কিছু দূর গিয়ে উধাও হয়ে যায় অর্থাৎ সে পাহাড়ের একটা ছোট রাস্তা দিয়ে কেটে পড়ে। পুলিশ জানতো এখানে তার একটা বাড়ি আছে এবং সে যাওয়া আশা করে এখানে, ফলে এখান থেকে কিছু ইনফরমেশন পাওয়া যাবে। এরপর পুলিশ এর ফোর্স সেই বাড়ির চারিদিকে ঘিরে নেয় এবং বাড়িতে ছিল লাবনী। লাবনীকে পুলিশ জেরা করে কারণ লাবনী দীপঙ্কর কে পছন্দ করতো আর তার বাড়িতেই থাকতো আর পুলিশ সেই সূত্র ধরে তাকে জেরা করে এবং দীপঙ্করের সম্পর্কে জানতে চায়। দীপঙ্কর সেখানে পুলিশ দেখে পালিয়ে তার পার্টনার এর কাছে চলে যায় এবং সবকিছু বিষয় খুলে বলে। এরপর পুলিশের কথা বলতেই সে একটু ঘাবড়িয়ে যায় এবং বলে গাড়ি কোথায় রেখেছো। তখন দীপঙ্কর বললো যে গাড়িটি লুকিয়ে রেখেছি কারণ পুলিশ গাড়িটিকে ট্রেস করে ফেলেছে। এরপর তার পার্টনার বলে গাড়িটিকে তুমি খাদে ফেলে দিয়ে এক্সিডেন্টলি প্রমান করে দাও আর দূরে কলকাতার কোথাও গিয়ে লুকিয়ে পড়ো তারপর বাকিগুলো আমি সামলিয়ে নেবো অর্থাৎ এখানে তার পার্টনার তাকে চালাকি করে বাইরে পাঠিয়ে দেয় যাতে সে তার নিজের সুবিধাটা করতে পারে। বাড়িতে দীপঙ্করের সাজানো দুর্ঘটনার খবরটা দিলে লাবনী ভীষণভাবে ভেঙে পড়ে। এদিকে দীপঙ্কর কলকাতা পৌঁছিয়ে তার পার্টনার এর কাছে ফোন করলে সে আরেকটা মিথ্যা কথা সাজিয়ে তাকে বলে দেয় যে লাবনী পাহাড় থেকে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছে আর এইটা শুনে দীপঙ্করও হুশ হারিয়ে ফেলে আর একটা মহিলার গাড়ির সামনে গিয়ে পড়ে। গাড়িতে করে তারপর সেই মহিলা তাকে হসপিটালে নিয়ে এসে সুস্থ করে তোলে।
দীপঙ্করকে সুস্থ করার পরে সেই মহিলাটি পরেরদিন হসপিটালে তার সাথে দেখা করতে যায় এবং তাকে বাড়ির ঠিকানা বলতে বললে নেই বলে। এরপর সেই মহিলাটি দীপঙ্করকে তার বাবার কোম্পানিতে একটা চাকরি করে দেয় এবং সেই সাথে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এদিকে লাবনী দীপঙ্করের লেখা একটা ডায়েরি পায় যেটাতে তাদের কাজের সমস্ত বিষয় লেখা ছিল এবং সেই ডায়েরি নিয়ে সে শিব মন্দিরে লুকিয়ে রাখে। এরপরে সে জানতে পেরেছিলো যে দীপঙ্কর বেঁচে আছে। এরপর প্রসেনজিত কে দেখা যায় যে সে একটা দোকানে গিয়ে কাজের খোঁজ করতে লাগে। এরপর সেই লোকটি তাকে একটা কাজ দেয় এবং দীপঙ্করের কাছে পাঠায়। এরপর রচনা ব্যানার্জি কে দেখা যায় যে সে তার বান্ধবীর সাথে টেনিস বল খেলছে এবং বল খেলতে খেলতে বলটি হঠাৎ করে রাস্তার পাশে একটা নোংরা জলে গিয়ে পড়ে। যেহেতু এখানে প্রসেনজিত সেই স্থান দিয়ে ওই মুহূর্তে হেটে আসছিলো এবং সেই নোংরা জল তার গায় গিয়ে লাগে। এরপর তাদের মধ্যে এই নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়ে যায়। এরপর তাদের কলেজে ফুটবল লীগ শুরু হওয়ার কথা ছিল আর রচনা ব্যানার্জি তার অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কিছু গুন্ডাপান্ডা ভাড়া করে টাকা দিয়ে। এরপর খেলা শুরু হয় এবং তারা প্ল্যান করে প্রসেনজিতদের হারাতে চেয়েছিলো কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটা আর করতে পারেনি। এদিকে রচনা ব্যানার্জি বাড়িতে এসে একটু ফ্যামিলি ক্রাইসিস এর মধ্যে পড়ে আপসেট হয়ে পড়ে কারণ তার বাবা আর মা তাদের নিজস্ব বিভিন্ন কাজে এতো ব্যস্ত থাকার কারণে তাকে একটু সময় দিতে পারতো না। আর এই বিষয়টা তাকে ভীষণ আপসেট করে তোলে।
প্রসেনজিত যে কাজ নিয়েছিল দোকান থেকে সেই দোকান থেকে তার মাসিক বেতন নিয়ে বাড়িতে দাদা, বৌদি আর তার বোনের জন্য কিছু কেনাকাটা করে নিয়ে যায়। এরপর তার দাদা এসে পড়লে সবাই একদম চুপ হয়ে যায় কারণ সবাই একটু ভয় পেতো। এখানে ভয় বলতে তেমন কিছু না, মজার ছলে অনেকসময় যেটা হয় আর কি। প্রসেনজিত ও তার বন্ধুরা কলেজের ক্যাম্পাসে যায় এবং তাদের খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে আনন্দ করতে লাগে আর সেখানে রচনা ব্যানার্জি উপস্থিত থাকায় বিষয়টা আরো ইন্টারেষ্টিং হয়ে ওঠে। কারণ সে তাকে হারানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল সেটা প্রসেনজিত জেনে গিয়েছিলো, ফলে এই বিষয়টা নিয়ে তাকে আরো রাগ ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ক্যাম্পাসে সবার মধ্যে। এরপর এই খেলায় জেতার উদ্দেশ্যে কলেজ থেকে সবাই পিকনিক করার চিন্তা করে এবং সবাই দিঘায় চলে যায় আনন্দ করতে করতে। দিঘায় গিয়ে সবাই অনেক মজা করে আর পিকনিক এর খাওয়াদাওয়া করে। এরপর সবাই হোটেলে ফিরে আসে বিচ থেকে এবং রচনা ব্যানার্জি এখনো তার জায়গায় স্থির ছিল যে কিভাবে প্রসেনজিত কে অপমান করা যায়। এরপর সে একটা প্ল্যান করে। সে রুম নম্বরটা চেঞ্জ করে দেয় এবং প্রসেনজিত ভুল করে মেয়েদের রুমে ঢুকে পড়ে আর সেখানে রচনা ব্যানার্জি প্ল্যান করে আগে থেকেই শুয়ে ছিল। এরপর চিৎকার করে সবাইকে ডেকে নিয়ে এসে প্রমান করার চেষ্টা করে যে প্রসেনজিত তার সাথে জোরজবরদস্তি করছে। আর তার বন্ধুরাও এই ঘটনায় বিশ্বাস করে তাকে ভুল বোঝে। এরপর প্রসেনজিত রচনা ব্যানার্জি কে অন্যভাবে এমন অপমান করে যে তার নিজের জীবনটাই চেঞ্জ করে দেয় এবং সম্মান কি জিনিস সেটা বুঝিয়ে দেয়। এরপর প্রসেনজিত সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলো কিন্তু রচনা ব্যানার্জি তাকে ডেকে ফিরিয়ে এনেছিল পরে।
প্রসেনজিত কলেজ থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে বৃষ্টি নামে এবং সে একটি গাছের নিচে দাঁড়ায়। তখন রচনা ব্যানার্জি গাড়ি নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো এবং প্রসেনজিত কে দেখে গাড়ি থামায় আর গাড়িতে উঠে আসতে বলে। কিন্তু প্রসেনজিত গাড়িতে উঠে আসতে একদমই রাজি হচ্ছিলো না, পরে জোর করে তাকে গাড়িতে তুলে বাড়ির কাছে নামিয়ে দেয় । কিন্তু গাড়িতে সে তার ডায়েরি ভুল করে ফেলে দিয়ে যায় এবং রচনা ব্যানার্জি সেইটা পেয়ে তাতে কিছু লেখে প্রসেনজিত কে নিয়ে। এরপর প্রসেনজিত কে তার ডায়েরি ফেরত দেওয়ার জন্য তার বাড়িতে চলে যায়। এরপরে কলেজে গিয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে একটু ভাব বিনিময় হয় এবং আস্তে আস্তে একজন আরেকজনকে পছন্দ করতে লাগে। এরপর একটি পার্কে দুইজন দেখা করে আর রচনা ব্যানার্জি বলে তোমার সাথে বাবা কথা বলতে চায় আমাদেরকে নিয়ে। এখানে দীপঙ্কর আর সেই মহিলাই হচ্ছে রচনা ব্যানার্জির মা, প্রথম দিকের সেই ঘটনার পরে তারা দুইজন বিয়ে করে নিয়েছিল। যাইহোক এরপর প্রসেনজিত তাদের বাড়িতে যায় কিন্তু রচনা ব্যানার্জির বাবা দীপঙ্কর প্রসেনজিত কে অপমান করে বাড়ির থেকে বের করে দেয়। তারপর তার ঠিকানা জোগাড় করতে গেলে খোঁজ পায় যে তার দাদা আমার অফিসে মানে দীপঙ্করের অফিসে কাজ করে। এরপর প্রসেনজিত এর দাদা কে অফিসে ডেকে এনে বিভিন্ন আজেবাজে কথা বলে অপমান করে। এরপর বাড়িতে এসে প্রসেনজিত কে গালিগালাজ করে এবং বাড়ির থেকে বের করে দেয়। রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে একটা ছাউনির নিচে শুয়ে পরে প্রসেনজিত কিন্তু পুলিশ এসেও শান্তি দিলো না, তাড়িয়ে সেখান থেকেও বের করে দিলো। এদিকে রচনা ব্যানার্জির বাড়িতে তার বাবা অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে কিন্তু রচনা ব্যানার্জি মোটেও রাজি হয় না। এরপর রচনা ব্যানার্জি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বেরিয়ে প্রসেনজিতের বাড়িতে চলে যায়। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে প্রসেনজিত কে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে রচনা ব্যানার্জি ।
রচনা ব্যানার্জি রাতের অন্ধকারে যখন বাইরে খুঁজে বেড়াতে লাগে তখন রাস্তার ফাঁকা স্থানে কিছু গুন্ডা হামলা করে। মূলত তার বাবার একজন ব্যবসায়ী নিজের কার্য উদ্ধার করার জন্য এই কিডন্যাপটা করায়। এরপর কিডন্যাপ করে দীপঙ্করের আগের সেই পুরানো পার্টনারের কাছে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ফাঁক বুঝে একটা ছোট বাচ্চা মেয়ে খেলা করতে করতে রচনা ব্যানার্জির কাছে যায় এবং তার হাতের বন্ধন খুলে দিলে সেখান থেকে পালাতে লাগে। এরপর তারা এসে গাড়িতে তাকে না দেখতে পেলে গুন্ডারা আবার পিছু নেয় কিন্তু রচনা ব্যানার্জি সুযোগ বুঝে পাহাড়ি জঙ্গলের একটা স্থানে লুকিয়ে পড়ে। তারা এসে তাকে খুঁজে না পেয়ে চলে যায় এবং রচনা ব্যানার্জি পা পিছলে পাহাড়ের উপর থেকে নিচে পড়ে যেতে লাগলে প্রসেনজিত এসে বাঁচিয়ে নেয়। এরপর তারা দুইজন রাতে পাহাড়ি এলাকার একটা হোটেলে খেতে যায় এবং অনেক কিছুই মোটামুটি তারা খায়। কিন্তু লাস্টে মজার ঘটনা হলো তাদের কাছে মাত্র ১৫ টাকা ছিল আর বিল হলো ৯০ টাকা। এরপর তারা বিল না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে কিন্তু সেখানে লাবনী ছিল এবং তাদের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বিল পেমেন্ট করে দিয়েছিলো। এরপর লাবনী তাদের সাথে নিয়ে গেছিলো। এদিকে রচনা ব্যানার্জির বাবা ভুল বুঝে প্রসেনজিতের দাদা কে শেষপর্যন্ত চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেয়। লাবনী তাদের বাড়িতে এনে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো। রচনা ব্যানার্জির বাবা তাদের খুঁজে বের করার জন্য সমস্ত টিভি চ্যানেলে নিউজ প্রচার করে এবং সেই খবর লাবনী দেখতে পায় আর তার বাবার নাম শুনে চিনতে পারে। এদিকে প্রসেনজিত চাকরির জন্য ভূপেন নামক একজন লোকের কাছে যায় কিন্তু তারা জানতো না যে ভূপেন এইসব স্মাগলিং বা খারাপ কাজের সাথে যুক্ত। সেখানে ভূপেন নামক লোকটা রচনা ব্যানার্জি কে চিনে ফেলে আর প্রসেনজিত কে কাজের একটা সন্ধান বলে সেখানে পাঠিয়ে দেয় একা । রচনা ব্যানার্জি কে চালাকি করে এদিকে আটকিয়ে রাখে। এদিকে লাবনী কলকাতায় দীপঙ্করের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে দেখা করে এবং কথা বলে সবকিছু ভুল বোঝাবুঝি মেটায়। আর তাদের মেয়ে তার কাছেই আছে সেটা তাদের জানায়।
ভূপেন নামক গুন্ডা লোকটি যে লোকটার কাছে চাকরির জন্য পাঠিয়েছিল একটা হোটেলে সেখানে প্রসেনজিত পৌঁছিয়ে যায় এবং তাদের সাথে দেখা হয়। মূলত তাকে মারার জন্য পাঠিয়েছিল। এরপর তাদের মধ্যে সেখানে অনেক হাতাহাতি হয় এবং সবাইকে মেরে তাড়িয়ে দেয় আর রচনা ব্যানার্জিকে ওই শয়তানটার হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়। লাবনীর বাড়ির যে কাজের লোকটা ছিল সে সেই শয়তান দের বিষয়ে সবকিছু খুলে বলে যে তারা এখানে এইসব বিপদজনক দুই নম্বরি কাজবাজ করে। আর তোমাদের যেহেতু তারা চিনে ফেলেছে তাই তোমাদের এখানে থাকলে হবে না, একটা নিরাপদ স্থানে তোমাদের যেতে হবে। তারা একটা গাড়িতে করে তো যাচ্ছিলো কিন্তু রাস্তায় কিছু গুন্ডা তাদের দেখে ফেলে আর ফোন করে জানিয়ে দিলে তাদের পিছনে পড়ে যায় ভূপেনের সাঙ্গপাঙ্গ। তাদের পাহাড়ি জঙ্গলের রাস্তার মাঝে ধরে ফেলে এবং কিছু সময় হাতাহাতি করে তাদের থেকে বাঁচে । এদিকে দীপঙ্কর আর প্রসেনজিত এর দাদা ফ্লাইট করে সেখানে তাদের নিয়ে আসতে রওনা হয়। পাহাড়ি একজনের বাড়িতে প্রসেনজিত আর রচনা ব্যানার্জি যায় এবং সেখানে আশ্রয় নেয় কিছুদিন। সেই লোকটাকে সবাই পাহাড়ি ভাষায় কাও বাবা এইরকম কিছু একটা নামে ডাকতো। যাইহোক সেই লোকটি বাজার থেকে বাজার করে বাড়ি আনে আর রচনা ব্যানার্জিকে রান্না করতে বলে কিন্তু সে রান্না করতে পারে না। এদিকে কিছু গুন্ডা তাদের সন্ধান কিভাবে পেয়ে যায় এবং ভূপেন কে গিয়ে বলে দেয়। এরপর তারা সেখানে এসে তাদের উপর হামলা করে দেয় এবং কাও বাবা নামক লোকটি তাদের রক্ষা করতে গেলে তাকে মেরে দেয়। এরপর প্রসেনজিত এর সাথে অনেক্ষন ধরে মারামারি হয় এবং শেষ পর্যায়ে পুলিশ এসে শয়তানগুলোকে ধরে নিয়ে যায় আর তাদের দুইজনের সম্পর্ক সবাই মেনে নেয়।
✔শিক্ষা:
এখানে অহংকারের একটা দিক ফুটে উঠেছে। রচনা ব্যানার্জির বাবা মানে দীপঙ্কর বাবু নিজে একসময় দারিদ্র এবং অসহায়তার মাঝে জীবন পার করে এসেছে কিন্তু একসময় তার যখন ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু হলো তখন তার মধ্যে একটু অহংকারের বাসা বাঁধলো। তার মেয়ে যখন একজন গরিব ছেলেকে ভালোবাসলো তখন তিনি তাদের তুচ্ছ করে দেখে আর অপমানিত করে। তবে শেষে একসময় না একসময় তো সবারই অহংকার চূর্ণ হয় আর এখানে শেষে তারও অহংকার চূর্ণ হয়েছিল তাদের ভালোবাসার সামনে।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই মুভিটা আমি আগেও কয়েকবার দেখেছিলাম এবং আজকে দেখেও অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া তখনকার সময়ে প্রসেনজিত আর রচনা ব্যানার্জির মুভি মানে অন্যরকম ব্যাপার ছিল। এইসব মুভি দেখার মধ্যে বেশ একটা আনন্দ আছে। কাহিনীটা বেশ চমৎকার।
✔ব্যক্তিগত রেটিং:
৮.৫/১০
✔মুভির লিঙ্ক:
আসলে অহংকার সবসময় ই পতনের মূল। এই ধরণের মুভি গুলো দেখলে তা আরো ভালো ভাবে বুঝা যায়। এই ধরণের পুরনো মুভি গুলো সবসময় ই আমার ভালো লাগে।আর যেখানে প্রসেনজিৎ এবং রচনা ব্যানার্জি থাকে তাহলে তো আরো বেশিই ভালো লাগে।
এইসব পুরানো মুভিগুলোতে আসলে সবদিক বিবেচনা করে কাহিনীগুলো বেশ ফুটিয়ে তোলে। প্রসেনজিত এবং রচনা ব্যানার্জির মুভিগুলো তখনও বেশ জনপ্রিয়তা ছিল আর এখনো বেশ জনপ্রিয়তা আছে। অভিনয়গুলো বেশ দারুন। ধন্যবাদ রিভিউটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য।
অন্ধ প্রেম মুভি টি আমি কিছুদিন আগেই টেলিভিশনে দেখলাম , তবে এর আগেও এই মুভিটা আমি দেখেছি। এখন দেখছি আপনিও এই মুভিটির রিভিউ দিয়ে দিয়েছেন। ভাইয়া আপনি সবসময়ই বাছাই করে খুব সুন্দর সুন্দর মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। রচনা ব্যানার্জি ও প্রসেনজিতের জুটি মানেই অসাধারণ মুভি।
আসলেই এদের জুটির মুভিগুলো বেশ জনপ্রিয়। অভিনয়গুলো বেশ চমৎকারভাবে কাহিনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে। এসব মুভি টিভি তে বিভিন্ন চ্যানেলে সবসময় দেখাতে থাকে বর্তমানে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দাদা এই মুভি টা আমি দেখেছি অনেক সুন্দর একটা মুভি,মুভির কাহিনী টা দারুন ছিল ,আসলে এই মুভি টির মাদ্ধমে এটা প্রকাশ পায় , অহংকার কখনো মানুষকে সুখ দেয়না , আর জেক অবহেলা করা হয় অবশেষে তার কাছেই তার মাথা নত করা লাগে। অনেক ধন্যবাদ দাদা একটি শিক্ষণীয় মুভি রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ারে করার জন্যে।
ঠিক বলেছেন, অহংকার যে করবে তাকে শেষমেশ পতনের দিকেই যেতে হবে। সংসারে অশান্তি বয়ে আনে একপ্রকার। আর হ্যা আজ আপনাকে যে অবহেলা করবে জীবনের কঠিন মোড়ে একসময় না একসময় তাকে আপনার কাছে নতি স্বীকার করতে হবে। মুভির কাহিনীতে বিষয়বস্তুগুলোও ঠিক এইরকমটাই ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই মুভিটা খুবই ভালো।আমি এটি দেখেছি।সকল অহংকার শেষ পর্যন্ত হার মানে।খুব সুন্দর করে মুভিটা রিভিউ দিয়েছেন।তাছাড়া রচনা ও লাবনীর মুভি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা অনেক ভালো একটা কাহিনী অবলম্বনে তৈরি এই মুভিটা। রচনা ব্যানার্জিও প্রসেনজিতের সাথে অভিনয়গুলো দারুন ফুটিয়ে তুলতে পারে। আর লাবনী সরকারের অভিনয় নতুন করে বলার নেই, এক কোথায় দারুন, মুগ্ধকর অভিনয়। ধন্যবাদ তোমাকে সুন্দর মতামতের জন্য।
রচনা ব্যানার্জি এর অভিনয় আমার খুব খুব ভালো লাগে।বিশেষ করে তার দিদি নাম্বার ওয়ান একটু বেশিই দেখি।
আর প্রসেনজিত এর অভিনয়ও অনেক ভালো লাগে,যদিও একটি ছবিতে সে গুন্ডার ক্যারেক্টারে ছিলো সেটা ভালো লাগেনি।
আর এই মিভওটি আমার এখনো দেখা হয়নি।কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগলো।🙂