নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি -পর্ব ৩ ( শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে বনগাঁর দূর্গা পূজার সর্বশেষ দেখা কয়েকটি মণ্ডপ আর প্রতিমার ছবি শেয়ার করবো। গতকাল 'আয়রন স্পোর্টিং ক্লাব আর সুভাষ নগর সেবা সমিতি এর কিছু ছবি শেয়ার করেছিলাম। আজকে বাকি ৩ টি মণ্ডপের ছবি শেয়ার করবো। তো সুভাষ নগর সেবা সমিতি দেখার পরে আমরা চলে গিয়েছিলাম "নোবেল স্পোর্টিং ক্লাব" এর দিকে। মূলত এটাতে যাওয়ার কথা ছিল না, ওখানে দূরে দূরে অনেক ভালো ভালো প্যান্ডেল আছে আরো, তো না চেনার কারণে ম্যাপ ধরে যাচ্ছিলাম অন্য একটি প্যান্ডেলের দিকে। এখন যেতে যেতে এইটা চোখের সামনে বেধে গেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আসলে এইবার একটু অন্য সাইড দিয়ে এসেছি ফলে এই প্যান্ডেলটি হঠাৎ করে পড়লো, আর উল্টো দিক দিয়ে আসার কারণে যে এইভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি, কারণ প্রতিবছর প্রথমেই এই এই নোবেল স্পোর্টিং ক্লাবটাই দেখা হয়। এই নোবেল স্পোর্টিং ক্লাব আগে যতবারই দেখেছি অনেক ভালো প্যান্ডেল করতো, কিন্তু এই বছর কেমন জানি আমার কাছে প্যান্ডেলটি ভালো লাগেনি। আর এইটা আমি লোকজন দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম। প্রতিবছর যে নোবেল স্পোর্টিং ক্লাব এর প্যান্ডেল আর প্রতিমা দেখার জন্য লোকের ভিড়ে উপছে পড়তো সেখানে যেন জনশূন্য অবস্থা একপ্রকার, লাইনে ঢুকেও আরামসে কয়েক মিনিটে চলে যাওয়া যাচ্ছে আর আগে দেখতে গেলে মারামারি হতো এইসব জায়গায়।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তবুও এইবার যেমনটা করেছে ততো একটা ভালো না করলেও একেবারেই যে খারাপ তা কিন্তু না আবার। ভিতরের দিকে ডিজাইন করেছে ভালোই, শুধু প্যান্ডেলের কাঠামোটা যদি আরেকটু ভালো করতো তাহলে সবকিছু ভালো থাকতো। যাইহোক প্যান্ডেলের ভিতরে ঢোকার সম্মুখভাগে সাদা সাদা কিছু সুতোর মতো ঝুলানো রয়েছে এইগুলো দেখতে ভালোই লাগছে, এইগুলো আমার যতদূর মনে হয়েছিল যে তুলো টাইপ এর কিছু দিয়ে করা। বাইরে যাইহোক না কেন ভিতরের দিকে মোটামুটি সাজসজ্জা ভালোই করেছে কারিগররা। আস্তে আস্তে ভিতরে মায়ের কাছাকাছি চলে গেলাম এবং মায়ের মূর্তির কিছু ছবি তুলে বেরিয়ে চলে এসেছিলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

"নোবেল স্পোর্টিং ক্লাব" এর থেকে বেরিয়ে আসার পর চলে এসেছিলাম বনগাঁর সব থেকে সেরা প্যান্ডেল দেখতে। এইটা ছিল "এগিয়ে চলো সংঘ" এর দিকে। এগিয়ে চলো সংঘ এর দিকে আসলে এতো চমৎকার করেছে যে চোখ ফেরানোর মতো না, আসলে আমি এখানে লিখে বা বলে যাই বলিনা কেন এইটার ব্যাপারে বললে অনেক কম হবে। এগিয়ে চলো সংঘের গেটের থেকে যেতে যেতে যেন পথ আর শেষ হয় না, যতই যাই ততই গেট পড়ে, অনেক বড়ো এগিয়ে চলো সংঘ এর পূজাটা এইবার। গেটগুলো কিভাবে লাইটিং দিয়ে সাজিয়েছে সেটা দেখতেই পাচ্ছেন, এতো সুন্দর ডিজাইন লাইটিং এর আর লাইটিং এর কালারটাও মাল্টিপল আছে। ধারে কাছে দাঁড়িয়ে না দেখলে এর আকর্ষণটা অনুভব করা যাবে না।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আমিতো সেভাবে গুনিনি, তবে কমপক্ষে ১২-১৪ টা গেট অতিক্রম করে তারপর এই প্যান্ডেলে যেতে হয় আর একটা খুৱ বড়ো মাঠেই এইটা করেছে। আমি শুধু খানিক্ষন ধরে এর লাইটিংগুলো রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে রেস্ট নেওয়ার সময় দেখছিলাম তাকিয়ে আর ভাবছিলাম যে কিভাবে করলো এইগুলো, যারা করেছে আসলেই প্রশংসার যোগ্য, হাতের ভেলকি আছে বলতে হবে। আর এগিয়ে চলো সংঘের প্যান্ডেল দেখার জন্য ভিড়ের কথা আর নাইবা বলি, এ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। এতটাই ভিড় ছিল যে বুঝতেই পারছিলাম না এর লাইন কথার থেকে শুরু আর কোথায় গিয়ে শেষ হচ্ছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আমিতো এদিকে লাইটিং এর ছবি তুলতে তুলতে আর কিছু ভিডিও করতে করতে কখন যে লাইন ছেড়ে চলে গেছি নিজেও জানিনা, আর মাসিমা ওরা কিছুই বুঝতে পারছেনা, আমিও যেদিকে যাচ্ছি ওরাও সেদিকে যাচ্ছে। আর ওই লাইনে কমপক্ষে ৮০-১০০ জনের পরে লাইন ছিল, আর একবার ছাড়িয়ে গেছে, পরে ব্যাক করে দেখি মুহূর্তের মধ্যে সেখানে আরো ২০ জনের মতো ঢুকে গেছে। এরপর ভাবলাম এই লাইনে আজকে দাঁড়ালে ১২ টা বাজবে আর কোনোটাই দেখা হবে না, বাড়িও যাওয়া হবে না, কারণ বনগাঁর থেকে আমাদের এদিকে লাস্ট ট্রেন ছিল ১১ টার দিকে। আর মাসিমা, বোনেদের নিয়ে সারা রাত দেখতে গেলেও হবে না, কারণ হেঁটে পেরে উঠবে না। তাই ভাবলাম আর লাইনে দাঁড়িয়ে লাভ নেই, সাইড দিয়ে গিয়ে প্যান্ডেলের চেহারাটা দর্শন করে আসি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তো আপনারাও প্যান্ডেলটি ছবিতে দেখতে পাবেন আর আপনারাই বলবেন কেমন, আমি সত্যি কথা বলতে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম, এটা কোনো প্যান্ডেল না কোনো রাজপ্রাসাদ। আমি দেখে জাস্ট চোখ ফেরাতে পারছিলাম না, আর ওখানে মনে হচ্ছিলো ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকি সারারাত আর প্যান্ডেলের দৃশ্যটা উপভোগ করি। তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আপসোস হচ্ছিলো যে লাইনে কেন দাঁড়ালাম না, বাইরে যদি এইরকম করে তাহলে ভিতরের দৃশ্যগুলো কত সুন্দর করেছে। আমি যদিও ফাঁকফোকর দিয়ে লাইনে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু আবার ভাবছিলাম সবার সামনে খিস্তি মারে কিনা। সাহস করে ঢুকে গেলে হয়ে যেত কিন্তু সাহস দেখাতে গিয়েও আর শেষ পর্যন্ত পারলাম না। যাইহোক একটা আপসোস থেকে গেলো, এখন আপনাদের সাথে বলতে গিয়েও মনে পড়ছে কেন দাড়ালাম না লাইনে, দরকার হলে এইটা দেখেই বাড়ি যেতাম। যাইহোক কি আর করার, প্যান্ডেল দেখেই শান্তি নিয়ে বেরিয়ে আসলাম।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এগিয়ে চলো সংঘ থেকে বেরিয়ে চলে গেছিলাম "কুঠিবাড়ি স্পোর্টিং ক্লাব" এর দিকে। কুঠিবাড়িটাই ছিল আমাদের শেষ টার্গেট কারণ বোনেরা আর হেঁটে পারছিলো না, তাই জোর করে আরেকটা দেখিয়ে নিয়েছিলাম। কুঠিবাড়িতে তেমন জাকজমক না, তবে প্যান্ডেলের স্টাইল আর লাইটিংটা অসাধারণ করেছে, আমি প্যান্ডেলের বিভিন্ন লাইটিং এর একটা ভিডিও ক্লিপ দেব শেষের দিকে। লাইটিংগুলো একভাবে চেঞ্জ হচ্ছে, যদিও এখানে কালার ২-৩ রকমের দিয়েছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

তাও প্যান্ডেলের লাইটিং দেখতে খুব সুন্দর লাগছিলো, আমি প্যান্ডেলের ভিতরে যাওয়ার আগে বাইরে দাঁড়িয়েই লাইটিং এর ঝলক দেখছিলাম। আর এমনিতেও ভিতরে তেমন কিছু দেখার নেই মায়ের মূর্তি ছাড়া, যা আছে সব প্যান্ডেলের দিকে। সবাই সেটাই উপভোগ করছিলো রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে, সাথে আমরাও দেখছিলাম। যাইহোক খানিক্ষন দেখে ভিডিও করে আমি একা প্যান্ডেলের ভিতরের দিকে গেছিলাম এবং মায়ের দর্শন করে কিছু ছবি তুলে চলে এসেছিলাম। এরপর সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে, এটাই এই বছরের মতো শেষ পূজা দেখা ছিল। এইবছর আসলে সারা রাত কোনোটাই দেখতে পারিনি, অন্যান্য বছর ভোরে বাড়ি আসতাম। যাইহোক সামনে আর অল্প কিছুদিন পর আমাদের এলাকাতেই সেরা কালী পুজো আসতে চলেছে, শেয়ার করবো আপনাদের সাথে বিষয়গুলো।


এগিয়ে চলো সংঘ আর কুঠিবাড়ি স্পোর্টিং ক্লাব এর অসাধারণ লাইটিং এর ভিডিও ক্লিপ---

All photos what3words location: https://w3w.co/hardly.decorated.irritated

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনবনগাঁ, পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডিয়া
তারিখ০৪.১০.২০২২


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ছিল। সত্যি দাদা আজকে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন, এই ফটোগুলো ছিল দেখার মতো। লাইটিং এর দৃশ্য ছিল অসাধারণ। কি সুন্দর গেট এবং অপরূপ সুন্দর দৃশ্য। মনে এত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। লাইটিং এর দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে। এখানে একই সময়ে আলোচিত বদলে যাচ্ছে এবং দুই তিন রকমের আলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সত্যিই আজকে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরি শেষ পর্বে ৩ টি মণ্ডপের ছবি শেয়ার করেছেন। সুভাষ নগর সেবা সমিতি দেখার পরে আপনারা চলে গিয়েছিলেন "নোবেল স্পোর্টিং ক্লাবে।
। মূলত এটাতে আপনাদের যাওয়ার কথা ছিল না। ওখানে দূরে দূরে আরো অনেক ভালো ভালো প্যান্ডেল আছে। তবে রাস্তা না চেনার কারণে, ম্যাপ ধরে যাচ্ছিলেনন। অন্য আর একটি প্যান্ডেলের দিকে। ওয়াও!!প্যান্ডেলের লাইটিং গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।আর আপনি বাইরে দাঁড়িয়েই লাইটিং এর ঝলক দেখছিলেন।সংঘ থেকে বেরিয়ে চলে গেলেন "কুঠিবাড়ি স্পোর্টিং ক্লাব" এর দিকে।কুঠিবাড়িতে তেমন জাকজমক না।তবে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে দাদা।নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে ঘোরাঘুরির অনুভূতি, এবং চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। প্রিয় দাদা।♥♥

 2 years ago 

ভালোই হয়েছে দাদা উল্টো পথে এসে আরো একটি পুজো মন্ডপে মায়ের দর্শন করতে পেরেছেন ৷ আসলে পথ না চিনলেই যত ঝামেলা ম্যাপের হাত ধরে চলতে হয় ৷ যাই হোক দাদা মায়ের মূর্তি গুলো কিন্তু দারুণ ভাবে সাজানো ৷ আমি অবশ্য এবার বেশি ঠাকুর দেখিনি আপনার মাধ্যমে বেশ ভালোই ঠাকুর দেখতে পেলাম ৷ আপনার অবশ্য এবার কম ঠাকুর দেখা হয়েছে জেনে খারাপ লাগালো ৷ সারা রাত ঠাকুর দেখে ভোর বেলা বাড়ি ফিরেন জেনে বেশ অবাক লাগলো ৷ প্রতি বছর তো তাহলে অনেক অনেক ঠাকুর দেখেন ৷ এবারে একটু কম হয়ে গেলো ৷

 2 years ago (edited)

তো আপনারাও প্যান্ডেলটি ছবিতে দেখতে পাবেন আর আপনারাই বলবেন কেমন,

প্যান্ডেলটি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা এবং রাজপ্রাসাদের মত সাজানো প্যান্ডেল দেখে সত্যিই চোখ জুড়িয়ে গেল। দাদা আপনি লাইনে দাঁড়ালে মনে হয় ভালো করতেন। কাছ থেকে এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারতেন এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদেরকে দেখাতে পারতেন। যাই হোক এখন আর আফসোস করে কোন লাভ নেই। কিছু কিছু ভালোলাগা আছে যেগুলো হয়তো প্রশংসা করার মতো ভাষা থাকে না। তবে আপনার লিখনি এবং শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি প্যান্ডেলটি কতটা সুন্দর। ভিডিওগ্রাফিতে বিভিন্ন আলোকসজ্জা গুলো দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো দাদা।নবমীতে বনগাঁর দুর্গা পুজোতে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল দাদা।

 2 years ago 

নবমীতে পূজোর ঘুরাঘুরির খুবই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে লাইটিং আলোকসজ্জা ছিল অসাধারণ। চোখ ধাঁধানো দেখে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

ম্যাপ ধরে যাওয়ার কারণে আপনার উল্টো হলেও একটি মন্ডপ দেখা হয়ে গেল। যদিও আমার কাছেও মনে হয়েছে যে অন্যান্য মন্ডপগুলো থেকে এই মন্ডপটি একটু সাদামাটা। অন্যান্য মন্ডপগুলোতে যত লাইটিং ছিল এই মন্ডপ তো সে ধরনের লাইটিং খুবই কম। উপরের সাদা সাদা সুতার মতো যেই ডিজাইনটি করেছে ডিজাইনটি আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। মূল মণ্ডপের আগেই ১২ থেকে ১৪ টা গেট তার মানে তো খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে "এগিয়ে চলো সংঘ" মন্ডপটি তৈরি করেছে। এত লাইটিং এর ছবি তুলতে তুলতেই আপনি লাইন থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আর আপনার প্রতিমার কাছে গিয়ে দেখা হলো না। আমার মনে হয় শেষটা না দেখে "এগিয়ে চলো সংঘ"এর টাই দেখে শেষ করলে ভালো করতেন। ঐটাই সবথেকে বেশি সুন্দর ছিল।

 2 years ago 

আমার কাছে আজকের পুরো পোষ্টের মধ্যে সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে আলোক শয্যায় সাজানো গেট। লাইটিং করা এই ধরনের গেট গুলি আমার কাছে অসাধারণ লাগে। কিন্তু ১২ থেকে ১৪ টা গেট পেরিয়ে মন্ডপে যেতে হয় এটা শুনে অবাক হলাম। আর দেখলাম ভেতরের দিক দিয়ে অনেকগুলো গেট দেখা যাচ্ছে। সত্যি যারা তৈরি করেছে মনে হচ্ছে অনেক নিখুঁত হাতের কাজ। সত্যি প্রশংসার দাবিদার। পুজোর মন্ডপ থেকে শুরু করে সব কিছুই ভীষণ ভালো লেগেছে।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 2 years ago 

বোনগা অবধি চলে এসেছেন,, আর একটু এগোলেই তো বাংলাদেশ। চলে আসলেই হয়ে যেত কাজ 😉। বাপরে বাপ কি প্যান্ডেল এক একটা।!! আমার কাছে তো সব গুলোই দূর্দান্ত লেগেছে। আর সব শেষে ভিডিও তে ভিড় দেখে তো হার্ট ফেইল করার অবস্থা। এত ভিড়ে আজ পর্যন্ত কখনো ঠাকুর দেখি নি গো দাদা। দারুন রোমাঞ্চকর লাগছিল সবটা।

 2 years ago 

দাদা আমি কিন্তু এই তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। আমার কাছে মনে হচ্ছিল এই পর্বে কিছু ধামাকা দেখতে পাবো আর ঠিক তাই হলো। এগিয়ে চলো সংঘ জাষ্ট দেখিয়ে দিয়েছে। এতো সুন্দর লাইটিং যা থেকে চোখ সরানো যাচ্ছেনা। আর বিশেষ করে এক বিশাল প্রাসাদ সাজিয়েছে এতো সুন্দর করে, সত্যিই অভাবনীয়। তবে সত্যিই আমাদের আফসোস রয়ে গেলো, কোন মতে যদি লাইনে ঢুকে যেতে পারতেন তাহলে আমরা হয়তো আর ধামাকা দার কিছু দেখতে পেতাম। দারুন উপভোগ করলাম দাদা।

দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 68501.73
ETH 2459.44
USDT 1.00
SBD 2.63