ব্যস্তময় শহর কলকাতার উদ্দেশ্যে একদিন

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

কয়েকদিন আগে কলকাতার দিকে গিয়েছিলাম। মূলত ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটিতে আমার কিছু কার্যক্রম ছিল, যার জন্যই মূলত যাওয়া আর কি। এখন বিষয় হলো করোনার কারণে বহুদিন যাইনা ইউনিভার্সিটির দিকে, ফলে যাওয়ার বিষয়ে টাইমটাও একটু এলোমেলো হয়ে গেছিলো। ভেবেছিলাম যেহেতু ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম ১১ টার দিকে শুরু হবে সেহেতু দ্রুত সেরে বাড়ির দিকে চলে আসবো। আর এইজন্য রাতে সব কাজ শেষ করে ৬ টার দিকে শুয়েছিলাম আর ভেবেছিলাম যাবো যখন গাড়ি বুক করে, তাই ৯ টার দিকে উঠলে হবে।


Photo by @winkles

সেইমতে বাড়িতে ৯ টার দিকে ডেকে দিতে বলেছিলাম এবং ৯ টার দিকে উঠে গাড়ি বুক করতে বসেছিলাম। কোনো একটা কারণে প্রথম বুকিংটা ক্যানসেল হয়ে যায় এবং আমি তখন টুক করে ফ্রেশ হয়ে এসে আবার বুক করতে বসলাম কিন্তু সেই বুকিংটাও একসেপ্ট করলো না, ফলে ক্যানসেল হয়ে গেলো। এই নিয়ে পুরো ১ ঘন্টা যাবৎ বুক করতে থাকলাম একটার পরে একটা কিন্তু বুক আর হয় না, শেষে পড়লাম মহা বিপদে।


Photo by @winkles

এদিকে ট্রেনে যে যাবো সেইটা নিয়েও তনোমোনো করছি শুধু আর এদিকে সময়টাও চলে যাচ্ছে। পৌঁছানোর কথা ১১ টার মধ্যে আর সেই সেখানে বাড়িতে বসেই সাড়ে ১০ টা বেজে গেলো। শেষে সাহস করে লাস্ট একবার বুক করলাম এবং সেটি একসেপ্ট করলো। এইবার আমাদের এখানে অনেক অলিগলি ফলে মেইন রোড থেকে বাড়ি পর্যন্ত আসতে আসতে ড্রাইভারদের ঘাম ছুটে যায় একপ্রকার,কারণ ওদের লোকেশন গলির ভিতরের দিকে কাজ করে না তেমন।


Photo by @winkles

যাইহোক এরপর আসতে আসতে আরো ২৫ মিনিট লাগিয়ে দিলো ১০ মিনিটের জায়গায়। শেষে বাড়ি বসে বসে ভাবছিলাম আজকে মনে হয় কাজ সেরে আসতে আসতে সন্ধ্যাই হয়ে যাবে। এরপরে আরো একটা কাহিনী আছে আমাদের এখানে, আমাদের ডাকবাংলো মোড়ে একবার জ্যাম বাধলে আর সহজে ছাড়াতে চায় না, পর পর ৩ টা সিগন্যাল পার করতে গেলে অসহ্য লেগে যায় যদি সেটা দ্রুত কোথাও যাওয়ার থাকে। ঐদিনটা আসলে আমার জন্য এতো খারাপ একটা দিন ছিল তা সে আর বলার মতো না, যাওয়ার সময় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবকয়টা সিগন্যালে দাঁড়াতে দাঁড়াতে সময় চলে গেলো।


Photo by @winkles

বাইরোডে গাড়ি করে যেতে হলে হাতে ঘন্টাখানিক সময় নিয়ে না বের হলে খুব বিপদ, আর সেইটাই ঘটেছিলো ঐদিন। গাড়িতেই বসে বসে একভাবে ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি আর কখন পৌঁছাবো সেই চিন্তা করেই যাচ্ছি, একপ্রকার গাড়িতে বসেই অসহ্য ধরে গেলো আমার আর সাথে মন মেজাজও বিগড়ে গেছিলো একপ্রকার। যাইহোক এরপর অবশেষে রোডের সব সিগন্যালে একপ্রকার ঠোকর খাওয়ার মতো খেতে খেতে গন্তব্যে পৌঁছিয়ে গেছিলাম ১ টার দিকে ।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর সেখানে গিয়ে শুনি যাদের কাছে মূলত কাজ তারাই আসেনি, ফলে সেখানে ঘন্টাখানিকের মতো দেরি করলাম। সেখানে পুরোনো কিছু বন্ধুদের সাথে দেখাও হয়ে গেছিলো ফলে কিছুক্ষন নানান গল্পের মধ্যে দিয়ে সময়টা পার হয়ে গেছিলো। এরপর পনি ৩ টা নাগাদ তারা আসলো এবং আমার কার্যক্রম গুলো মিটিয়ে নিয়েছিলাম তাদের কাছ থেকে। ৫-৬ মিনিটের কাজের জন্য সারাদিনে ভালোই প্যারা গেলো একপ্রকার বলতে গেলে । সরকারি কাজে এতো ঝামেলায় পড়তে হয় তা সে বলার মতো না, জ্বালায় না পড়লে টের পাওয়া যায় না ।


All Photos What3words location: https://w3w.co/trouble.shorthand.tumblers

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি
লোকেশনকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
তারিখ২৩.১১.২০২১


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

পর পর ৩ টা সিগন্যাল পার করতে গেলে অসহ্য লেগে যায়

আমার তো এক বার সিগন্যালে পরলেই ইচ্ছে করে নেমে হাঁটা ধরি। এতো বিরক্ত লেগেছিলো আমার কাছে৷ আর আপনি তো একেবারে ৩ টা সিগন্যালে!!

 3 years ago 

সিগন্যাল মানেই বিরক্তিকর। আর তাও যদি সেটা কিছুক্ষনের জন্য হয়। আজকাল এতো জ্যাম হচ্ছে যে গাড়ি করে চলাফেরাই মাঝে মাঝে মুশকিল হয়ে যায়, সময় মতো পৌঁছানো যায় না অনেক আগে না বেরোলে।

 3 years ago 

ট্রাফিক জ্যামে পড়ার পরে কতটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে যে সময়টা পার করতে হয় সেটা আমি খুব ভাল করে জানি। আমি একবার পড়েছিলাম এতটা বিরক্ত করা লাগে যা বলার মতো না। মনে হয় যেন এখান হেঁটে চলে যায়। ট্রাফিক জ্যামে আমিও পড়েছিলাম ঢাকা শহর থেকে চিটাগাং শহরে যাওয়ার সময়। আপনিও আজকে কলকাতা শহরের ট্রাফিক জামের কথা শুনে মনে পড়ে গেল আমার সেই দিনগুলোর কথা। তবে ট্রাফিক জ্যামে খুবই কষ্টকর সময় আপনি পার করেছেন এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। তবে আপনার কাজটা সম্পূর্ণ হয়েছে এটা জেনে আমার খুবই ভালো লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ট্রাফিক জ্যাম খুবই অস্বস্তিকর লাগে যদি অনেক্ষন জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আর একভাবে জ্যাম পড়লে বিরক্তই লাগে। আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয় নেমে গিয়ে আবার একটা বুক করি। ১ ঘন্টার জায়গায় যদি গাড়িতে বসে বসে ২ ঘন্টা লাগে তাহলে এমনিতেই বিরক্ত হয়ে যেতে হয়। আজকাল ট্রাফিক জ্যাম এতো হচ্ছে যে ট্রাফিক পুলিশরাই কন্ট্রোল করে পারে না।

হ্যালো বন্ধুরা, আপনি কি আমার পোস্টকে ডাউনভোট করেছেন এবং আমি কি আমার বাংলা কমিউনিটিতে আমার ভূমিকা পোস্টে ভুল করেছি? দয়া করে ব্যাখ্যা করুন এবং আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না আমি কি ভুল করছি। অনুগ্রহ করে আমার মন্তব্যের উত্তর দিন এবং আমার ভূমিকায় কী ভুল আছে তা আমাকে জানান।

 3 years ago 

আপনি ডিসকর্ড সার্ভারে যোগযোগ করুন। ওখানে সব উত্তর দেওয়া হবে।

 3 years ago 

দাদা আপনার পোস্ট পরে বুঝতে পারলাম ট্রাফিক জ্যাম এর কষ্ট সবদেশেই আছে , এই সময়টা এতটা বিরক্তিকর যা বলার বাহিরে , কোথাও যেতে গেলে সারাদিন চলে যায় রাস্তায় রাস্তায় , আর সরকারি কোনো কাজ হলে তো একদিনে জীবনে ও শেষ হবেনা , সারাদিন প্রচুর কষ্ট করলেন দাদা, খুবই খারাপ লাগার বিষয় , তবে তবুও যে কাজটি সম্পূর্ণ হয়েছে সেটা হচ্ছে বড়ো কথা।

 3 years ago 

ট্রাফিক জ্যাম আমাদের উভয় দেশে বেশি। একবার বাধলে ছাড়াতে চায় না, আর তখনি বিরক্ত হয়ে যেতে হয়। আর সরকারি কাজের কথা কি বলবো, একবার না হলে অনেক ঘুরপ্যাঁচ আছে সেই জিনিস ঠিক করা।

 3 years ago 

সেখানকার পরিস্থিতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, তাই আমরা শুধুমাত্র ছবিগুলো দেখলেও আপনার জায়গার পরিস্থিতি জানতে পারি।

 3 years ago 

আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এটাই অনেক।

 3 years ago 

সারাদিনে খুব প্যারা গেলো ভাই ।এই জ্যাম শহরের মধ্যে সব কিছুকে আচল করে দেয় ।সময় মতো কোন কাজ কেউ করতে পারেনা ।এজন্য পরতে হয় ভোগান্তিতে ।সব বাধা পার করে কাজটি হয়েছে এটাই বাস্তোবতা ।ধন্যবাদ ভাই আপনার যাত্রার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

এই জ্যামের জন্যই আসলে অনেক সময় সঠিক সময়ে পৌঁছানো যায় না। জ্যাম পড়া মানে সময় নষ্ট। আজকাল বেশি যানজট সৃষ্টি হচ্ছে যার জন্য এই সমস্যা, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

 3 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই।

 3 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন দাদা, সরকারি কাজে এত ঝামেলায় পড়তে হয় তা সে বলার মতো না, জ্বালায় না পরলে টের পাওয়া যায় না। এমন জ্বালায় আমিও অনেকবার পড়েছি। আর ট্রাফিক জ্যামে পরাটা যে কি বিরক্তিকর সেটা তাড়াহুড়োর মধ্যে যারা থাকে তারাই বুঝে। লাস্ট পর্যন্ত যে কাজের জন্য গেছেন তা সফল হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য দাদা।

 3 years ago 

হ্যা সরকারি কাজে বেশি ঝামেলা, কাজ ঠিকঠাকভাবে হয় না। সরকারি কোনো কাজে একবার বাধা আসলে সেটা উদ্ধার করতে গেলে জীবনটাই শেষ হয়ে যায় দৌড়াদৌড়ি করতে করতে। আর ট্রাফিক জ্যাম তো আজকাল কি বলবো, মানুষের বিরক্ত করে ছাড়ে মাঝেমধ্যে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 68857.19
ETH 2715.71
USDT 1.00
SBD 2.72