ফল বাগানে গাছে মই খাটিয়ে একটা বাচ্চা মেয়ের ফল পাড়ার দৃশ্য অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা নতুন আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি একটা ফল বাগানের চিত্র অঙ্কন করেছি। এই ফল বাগানের চিত্রটা কিছুদিন ধরে ভাবছি আঁকবো আঁকবো কিন্তু আর আঁকা হয় না, তাই আজকে এঁকেই দিলাম। এখানে আমি ফল বাগান আঁকানোর সাথে সাথে দেখিয়েছি যে একটা বাচ্চা মেয়ে গাছের গায়ে মই খাটিয়ে উপরে উঠে ফল পাড়ছে। সাধারণত এই ফল গাছটা আমি আপেল গাছ এঁকেছিলাম। কালকে অনেক রাতে জেগেও কেন জানি আজকে আর ঘুম হলো না, সকাল ৬ টায় ঘুম ভেঙে গেল। সকালে উঠেই দেখি প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি হচ্ছে, ফলে আর এই বৃষ্টিতে কি করবো তখন বসে বসে এই অঙ্কন করেই বৃষ্টির সময়টা পার করে দিলাম। বেশিক্ষন বৃষ্টি আমার আবার ভালো লাগে না, চারিদিকে স্যাঁতসেঁতে বিরক্ত লাগে বড্ডো। যাইহোক আজকের এই ফল বাগানের চিত্রটি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
❂উপকরণ:❂
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো----
➤প্রথম ধাপে একটা বড়ো গাছের চিত্র অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং সেই গাছের প্রত্যেকটা ডালে ফল অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর গাছের পাতাগুলো বোঝানোর জন্য একটা শেপ দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে একটা মই অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং সেই মইয়ের উপরে একটা বাচ্চা মেয়ের চিত্র অঙ্কন করে দিয়েছিলাম। এরপর নিচে একটা ঝুড়ি মতো দেখতে অঙ্কন করে দিয়েছিলাম যেটাতে মেয়েটা ফল পেড়ে পেড়ে রাখছে এবং সেই সাথে দুটি ছোটখাটো ফুল গাছের চিত্রও এঁকে দিয়েছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে আরো একটি ফল গাছের চিত্র অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং সেই গাছে অন্য আরেক ধরণের ফল অঙ্কন করে দিয়েছিলাম আর ছোট ছোট পাতার দৃশ্যও অঙ্কন করে দিয়েছিলাম, সাথে আগেরটার মতো গোল করে একটা শেপ দিয়ে রেখেছিলাম । এরপর দূরে মেঘের মতো দৃশ্য তৈরি করেছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে একটা ফল মাটিতে পড়ে আছে এমন দৃশ্য এঁকেছিলাম এবং খানিকটা ঘাসের মতো দেখতে আর ফুলের মতো দেখতে গাছ অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে অঙ্কন করা সমস্ত দৃশ্যে পেনের কালী দিয়ে বিষয়গুলোকে আরো ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে কালার দিয়ে আকাশের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে একটি গাছের পাতা এবং ফলগুলোতে ভালোভাবে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে সেই ফল গাছের ডালপালা এবং সম্পূর্ণ বডিতে কালার দিয়ে পরিপূর্ণ করেছিলাম।এরপর মইতে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤নবম ধাপে অন্য আরেকটি গাছের পাতা এবং ফলে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে প্রথম গাছের মতো দ্বিতীয় ফল গাছের ডালপালা এবং বডিতে সম্পূর্ণ কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর অঙ্কন করা মেঘের দৃশ্যটিতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। যে বাচ্চা মেয়েটি মই বেয়ে উঠে ফল পাড়ছে তাকে সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।
➤একাদশ ধাপে ফল রাখার ঝুড়ি সহ যেসব ফুল গাছের মতো এবং বড়ো বড়ো ঘাসের মতো দেখতে অঙ্কন করেছিলাম তাতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর নিচে দিয়ে আরো ছোট ছোট ঘাস বোঝাতে কালার দিয়ে একদম ফলের বাগানটিকে কালারফুল করে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আজকে আপনার চিত্র অংকনটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলা আমি আম গাছে এভাবে মই দিয়ে উঠে আম পারতাম। আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফল বাগানে একটি মেয়ে মই দিয়ে আপেল ফল পাড়ার দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যি দাদা আপনার চিত্র অংকনটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এই চিত্র উপস্থাপন অনেক সুন্দর হয়েছে। চিত্রটি দেখে ছোটবেলার সেই কথাগুলো মনে পড়ে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের চিত্রটি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে এমন হয় রাতে দেরি করে ঘুমালেও সকাল বেলায় ঘুম ভেঙে যায়। সকাল বেলায় ঘুম ভাঙাতে ভালোই হয়েছে এত সুন্দর একটা আর্ট করতে পেরেছেন। তাছাড়া বৃষ্টির সময় আর্ট করতে তো খুব লাগার কথা। একটানা অনেক সময় ধরে বৃষ্টি হলে আমারও ভালো লাগে না । যদি বাইরে কোন কাজ থাকে। আপেল বাগানে মেয়েটি মই দিয়ে গাছে উঠে আপেল পেড়ে ঝুড়ি একদম ভোরে ফেলেছে। আপনি আর্ট করার সময় ছোট ছোট বিষয়গুলো কেও খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেন। আজকের আর্টের যেমন ঝুড়িটাও খুব নিখিতভাবে আর্ট করেছেন। সব শেষে আপনার রং করাটাতো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর হয়েছে।
সারারাত সজাগ থাকলেন দাদা ! সকালের সময়টা আর্ট করেই অতিবাহিত করলেন। গ্রামে বেশি বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট একদম কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে এজন্য আপনার মতো আমারও তেমন বেশি একটা ভালো লাগে না। যায়হোক, আজকের আর্টটি চমৎকার হয়েছে দাদা। গাছ থেকে মেয়েটি আপেল পাড়ছে এটা আর্টের মাধ্যমে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
যাক তাহলে আজ পোস্ট করলেন 🙏। তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে আসুন তারপর আপনার ঘুমের চিকিৎসা করে দেব আমি 😉। আমার প্রথম কথা মেয়েটা গাছে ওটা কি ফল পাড়ছে মই লাগিয়ে 🤪? আম না কমলা? 😅। ছবিটা দেখে আমি শুধু ভাবছিলাম ওই জায়গাটায় যদি আমি থাকতাম তবে গাছের ডালে বসে দু পা দুই দিকে দিয়ে টাটকা ফল মনের আনন্দে খেতাম 🥰। হিহিহিহি,, তবে আপনি সত্যি অনেক ভালো ছবি আঁকেন। কালার কম্বিনেশন টা দুর্দান্ত হয়েছে দাদা 👌। মিষ্টি একটা থিম নিয়ে ছবিটা এঁকেছেন। খুবই ভালো লাগলো।
দাদা বৃষ্টি এলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তবে বেশিক্ষণ বৃষ্টি হলে একঘেয়েমি চলে আসে। দাদা আপনি তো দেখছি আমার ছবি এঁকে ফেলেছেন ।আমাদের অনেক বড় একটি আম গাছ আছে প্রতিবছর আম ধরলে আমি গাছ থেকে এভাবে পেড়ে খাই। আমাদের আম গাছটি একটি দেয়ালের সাথে আর আমি দেয়ালে মই লাগিয়ে এভাবে পাড়ি। তাই এই দৃশ্যটি আমারই প্রতিচ্ছবি মনে হচ্ছে। তবে মেয়েটি আপেল পাড়ছে ভিন্নতা শুধু এখানেই। দাদা মেয়েটি তো দেখছি এক ঝুড়ি আপেল পাড়লো। আপনি যে কতটা আনকমন চমৎকার দৃশ্য আঁকেন তা আর নতুন করে কি বলবো। সত্যিই দাদা একটি বাস্তব চিত্রাংকন করেছেন।
ভাইয়া আমি তো প্রথমে কনফিউস ছিলাম যে আসলে ফলটার নাম কি..? পরে বিস্তারিত পড়ে বুঝলাম এটা আপেল ফল। ভাইয়া পাশে আরেকটা ফল গাছ আছে,সেটা কি ফল সেটা তো বুঝতে পারলাম না।ধন্যবাদ ভাইয়া, এক কথায় চিত্রটা অসাধারন হয়েছে।
বৃষ্টির দিন আমারও অনেক ভালো লাগে তবে বেশি সময় বৃষ্টি হলে ঘর থেকে বের হতে না পারলে যেন মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে ইলিশ মাছ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি খেতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে।।
জাস্ট অসাধারণ একটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন আপেল গাছ এবং আপেল গাছে মই লাগিয়ে একটি মেয়ের আপেল পাড়ার দৃশ্য।। বিশেষ করে চিত্রের কালার কম্বিনেশন টা খুব সুন্দরভাবে ফুটেছে এজন্যই চিত্রটি দেখতে এত আকর্ষণীয় লাগছে।।
তবে বৃষ্টির দিনে ভুনা খিচুড়ি অথবা কোন ভাজাপোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।ঠিকই বলেছেন আপনি বেশি বৃষ্টি হলে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। চারদিকে খুবই স্যাতস্যাতে লাগে ।চমৎকার একটি চিত্র অংকন করেছেন দাদা। চিত্রাংকন টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কালার কম্বিনেশন টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে মই দিয়ে। ফল পাড়ার দৃশ্যটি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। চমৎকার একটি চিত্রাংকন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা আপনি ভালো আছেন কিনা তাই বলেন আগে? কারণ কয়েকদিন থেকে দেখছি আপনি পোস্ট শেয়ার করছেন না। তাই মনে মনে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমান আবহাওয়ায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি ভেজা দিনে আর্ট করতে খুবই ভালো লাগে। বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হলো। তাইতো আমিও কিছু কিছু আর্ট করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনার আর্ট গুলো যখন দেখি তখন মনের মাঝে আলাদা রকমের প্রশান্তি চলে আসে। কারণ একেবারে প্রফেশনাল আর্টিস্ট এর মতই আপনি আপনার আর্ট গুলো করেন। মনে হচ্ছে যেন বাস্তবিক কোন চিত্র এখানে দেখতে পাচ্ছি। একটি বাচ্চা মেয়ে গাছ থেকে ফল পেরে নিচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন শৈশবের স্মৃতির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। হয়তো আমাদের শৈশবের স্মৃতির সাথে এই দৃশ্যটির অনেক মিল আছে। গাছের সাথে মই লাগিয়ে এরপর ফল পাড়া এবং ঝুড়িতে রাখা সত্যি অনেক দারুন ছিল দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা আপনার আর্ট গুলো অনেক বেশি প্রফেশনালি লাগে আমার কাছে ,তবে আমি জল রং ছাড়া আর্ট করতে পারিনা আর করলেও এতটা ভালো হবে না। তবে জাস্ট দারুন আর্ট করেন। ধন্যবাদ দাদা।