একটি মৎস কন্যার চিত্র অঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে সপ্তাহ বাদে একটা আর্ট শেয়ার করে নেবো। আর্টটি গতকাল করবো বলে ভেবেছিলাম কিন্তু অঙ্কন করার সময় হয়ে ওঠেনি। আর কালকে একটু কলকাতার দিকে গেছিলাম সকালের দিকে, ভাবলাম দুপুরে করবো কিন্তু গরমে আর হলো না, এরপর ভাবলাম সন্ধ্যায় করবো তাও করবো করবো করে আর হলো না 😃। যাইহোক আজকে ভোরের দিকে উঠে একটা মৎস কন্যার ছবি অঙ্কন করে ফেললাম। এই মৎস কন্যার ছবিটা আঁকবো এটা ১ দিন আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম। অনেক সময় আমাদের মনে কত কিছু ঘুরপাক খায়, এই জায়গার কথা, ওই জায়গার নানান কথা। আমারো মনে পৌরাণিক কিছু ঘুরপাক খেতে খেতে অনেক কিছু আসলো তারপর স্থির করে নিলাম যে এইবার মৎস কন্যার ছবিই আঁকবো, ব্যাস এটাই সিলেক্ট করে রাখলাম। এটাকে মৎস কন্যা ছাড়াও জলপরীও বলা যায়, আর এইগুলো আসলে সবই পৌরাণিক গল্পকথার মতো। আমি পৌরাণিক গল্পের মতো একটা মৎস কন্যার আঁকার চেষ্টা করলাম, তবে এই দৃশ্যগুলো জল রঙ দিয়ে করলে সব থেকে ভালো হয়। আমার কাছে সাধারণ রঙ থাকায় সেটা দিয়েই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি , আশা করি আজকের অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
✠উপকরণ:✠
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচে তুলে ধরলাম---
➤প্রথম ধাপে মৎস কন্যাটির মুখমন্ডলের ছবি এঁকে নিয়েছিলাম এবং পরে চোখ, নাক, মুখের ছবি অঙ্কন করে নিয়েছিলাম। এরপর মাথায় চুলের শেপ তৈরি করে নিয়েছিলাম।
➤দ্বিতীয় ধাপে কন্যাটির সরু গলা অঙ্কন করে নিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে টেনে দুটি হাত আর কোমর পর্যন্ত টেনে সম্পূর্ণ বডি তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর মাথার দিকে যে চুলের শেপ দিয়ে রেখেছিলাম সেখান থেকে লম্বা লম্বা চুল অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে কন্যাটির কোমরের থেকে টেনে মাছের মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে লেজের দিকের চিত্রটা এঁকে সম্পূর্ণ করে দিয়েছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে কন্যাটির হাতের আঙ্গুলগুলো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং একটা ঢিবির মতো দেখতে অঙ্কন করেছিলাম যেটাতে সাপোর্ট দিয়ে আছে। এরপর কিছু ঘাস বা শ্যাওলা জাতীয় দেখতে অঙ্কন করেছিলাম এবং একটি মাছের দৃশ্যও অঙ্কন করেছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে পেন্সিল দিয়ে সব অঙ্কন করার পরে পেনের কালী দিয়ে সব বিষয় ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤সপ্তম ধাপে মৎস কন্যাটির চুল, মুখ, হাত এবং বডির কোমর পর্যন্ত কালার করে দিয়েছিলাম।
➤অষ্টম ধাপে কোমরের থেকে মাছের মতো দেখতে অংশটা লেজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।
➤নবম ধাপে ঢিবি মতো দেখতে বিষয়টিতে হালকা করে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ঘাস বা শ্যাওলা মতো দেখতে বিষয়টিতেও কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। মাছের চিত্রটিতেও কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤দশম ধাপে জল রঙ না থাকায় এমনি কালার দিয়ে জলের মতো দৃশ্য বুঝিয়েছিলাম এবং অঙ্কনটা শেষ নামিয়ে দিয়েছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যখন কোন কিছু আর্ট করতে ইচ্ছে করে তখন মনের মাঝে অনেক কল্পনায় এসে ভিড় করে। তাইতো বারবার ঘুরপাক খায় একটি কল্পনা। দাদা আপনি অনেক সুন্দর ভাবে মৎস্য কন্যার অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। আপনার অংকন চিত্র যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার অংকনের জাদুতে দারুন ভাবে মৎস্যকন্যা বা জলপরীর সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। জলপরীটি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি চিত্র শেয়ার করার জন্য। সবচেয়ে বড় কথা আপনি আপনার ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে এই চিত্রটি অংকন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
আসলে ভাই আপনার মনের ভিতরে ঘুরপাক খায় এবং মনের ভিতর কল্পনা থেকে আপনি মৎস্যকন্যার চিত্র অংকন করলেন। আর এই মৎস্যকন্যার চিত্র অংকনটি আপনার কল্পনার মাধ্যমে খুবই সুন্দরভাবে অঙ্কন করেছেন।আসলে মনের ভিতর যখন একটা বিষয় ঘুরপাক খায় সেটিও অঙ্কন করতে খুবই ভালো লাগে।আর আপনার মৎস্যকন্যা চিত্র অংকনটি একদম অরজিনাল চিত্র অংকন হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। আসলে আপনার চিত্র অংকন গুলো যত দেখি ততই ভালো লাগে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই রকম একটা সুন্দরী মৎস্যকন্যা আমার কপালে জোটে না কেন। দেখে মনে হচ্ছে জল থেকে উঠে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। হা হা হা... খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।
তবে অবাক হলাম এত সুন্দর একটা মৎস্যকন্যা আঁকতেও তোমাকে এতবার ভাবতে হল। আমি হলে তো ভাবার আগেই এঁকে ফেলে দিতাম।
আপনার মত আমারও হয়। আজ আর্ট করবো, কাল করবো করে আর করা হয় না। আপনি তো তাও সকালে উঠে ঠিকই এঁকে ফেলেছেন। আমার তো আর সময়ই হয়ে উঠে না। তাছাড়া মনের মধ্যে কত কিছু ঘুরপাক করে সব কি আর আঁকা সম্ভব। আপনি মৎস কন্যার ছবিটি জল রং দিয়ে না আঁকলেও খুব সুন্দর হয়েছে। কালার আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। অষ্টম ধাপে এসে আর্টটি আরো ফুটে উঠেছে।
আপনার কল্পনা আর আপনার তুলি দুইটির চমৎকার কম্বিনেশনে কাজ করে।তাই চিত্রকর্ম গুলো এত অসাধারণ হয়।সেই ছোট বেলায় দেখা ডিজনি কার্টুনের মৎস্য কন্যার মতই অসাধারণ।
ওয়াও আপনার মৎস্যকন্যার চিত্রাংকনটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর একটি মৎস্যকন্যা অঙ্কন করেছেন। কালার কম্বিনেশন টা ছিল দারুন। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন দাদা। হঠাৎ হঠাৎ করে আমাদের মনে অনেক কিছু ঘুরপাক খায়। যেগুলো মাঝে মাঝে আমরা হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় চিন্তা করতে পারিনা। কারণ এগুলো হঠাৎ করেই আসে। মৎস্যকন্যা টি কে অসম্ভব সুন্দর লাগছে দেখতে। সাধারণ রঙ দিয়েই এত সুন্দর দৃশ্য করেছেন দাদা জলরঙ দিয়ে করলে তো হয়তো বাস্তব মনে হতো। সত্যি দারুন লেগেছে আপনার অঙ্কন টি। বিশেষ করে নিচে পাথরগুলো খুব সুন্দর ভাবে রং করেছেন। এত সুন্দর ড্রয়িং আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
জল রং ছাড়াই সাধারণ রং দিয়ে অসাধারণ একটি জলপরিচিত্রাংকন করেছেন দাদা। আপনার চিত্রাংক কোনটি অত্যন্ত পরিপাটি ভাবে ফুটে উঠেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ওরে বাপরে জলপরীর জন্য ভালোই সময় বের করে রেখেছেন দেখছি 😉😉,, আবার সকাল সকাল উঠেই পরীকে আঁকতে বসা 👌👌,, ছোট বেলায় কার্টুনে এমন মৎস কন্যা দেখে ভাবতাম যে সত্যি সত্যি নদীতে এমন কেউ আছে হয়তো 😍। ছবিটি বেশ একেছেন দাদা সত্যি । সব গুলো হালকা রং ব্যবহার করায় বেশ ফুটে উঠেছে।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা মাঝে মাঝে আমারও এমন হয় আর্ট করবো করবো করে করাই হয়ে উঠে না তারপর একটা সময় করে বসেই পড়তে হয় তা না হলে আর আঁকা হয় না। আপনার মনে কোন কিছু ঘুরপাক খেলে আপনি কত সুন্দর সেটা ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারেন কিন্তু আমার মনে হাজার কিছু ঘুরপাক খেলেও সেটা আর ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয় না ।সাধারণ রঙ দিয়ে জলপরীর ছবিটা এত সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন জল রং হলে না জানি আরো কত ভালো আঁকতেন। আপনার ছবি তোলার হাত অসম্ভব ভালো যাই চেষ্টা করেন না কেন খুব সুন্দর ফুটে ওঠে। জলপরীর নিচের অংশটুকু আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে।