গতকাল সময়গুলো যেভাবে কেটে গেলো ।। ০৬/১০/২০২১

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

গতকাল সময়টা একটু অলসতার উপর দিয়ে কেটে গেছে বলতে গেলে। কাল তেমন কোনো কাজ ছিল না, শুয়ে শুয়ে দিনটা অতিবাহিত হয়েছে কিছুটা । তবে কাল সকালে ঘুমটা ঠিকঠাক আমার হয়নি একপ্রকার, হঠাৎ কি করে যেনো ঘুম ভেঙে গেলো। ও হ্যাঁ, আসলে কালকে সকালে বাড়ির কাছে মাইক লাগিয়ে উচ্চ স্বরে মাইক বাজানো শুরু করে দিয়েছিলো যার ফলে ঘুম ভেঙে গেলো।

এখন পুজোর সময় এসে গেছে তাই তারা আনন্দটাও আগেভাগে শুরু করে দিয়েছে, কারণ আমাদের বাঙালিরা কোনো কিছু শুরু হওয়ার ১০ দিন আগে থেকেই ফুর্তিতে মেতে ওঠে। আর এখন এই মাইকের উচ্চ স্বরে গান বাজানো সেই কালী পুজোর পরে গিয়ে থামবে, ফলে আমার আর ঘুম পড়া হবে না সকালে 😃। যাইহোক সকালে ঘুম তো আর হয়নি, তাও ঘন্টাখানিক এর মতো শুয়ে শুয়ে কাটিয়ে দিলাম।

এরপর সকালে ৯:৩০ টার দিকে উঠে একটু রান্নাবান্না করলাম এবং খেয়ে দেয়ে উঠে সেই রান্নার রেসিপিটি পোস্ট করলাম। এরপর আরো কিছুক্ষন অন্য কাজ করে শুয়ে আবার একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম, কারণ সকালে ঘুম না হওয়ায় একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো।

ঘুমটা বেশ ভালোই হয়েছিল ওই সময়টায় কারণ আবহাওয়াটা ভালো নরমাল ছিল আর হালকা করে বৃষ্টিও হয়েছিল ফলে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘুম ভালোয় ভালোয় হয়ে গেছিলো। যাইহোক ঘুম পড়ে উঠলাম বিকাল ৪ টার দিকে, তারপরও আলস্য ভাব যেন আর ছাড়ে না। ঘুম পড়ে ওঠার পরেও যেন মনে হয় আরো কিছুক্ষন শুয়ে থাকি। এরপর একদম সন্ধ্যা মতো সময়ে স্নান করে এসে আবারো শুয়ে পড়লাম।


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এরপর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে একটু বেরিয়ে মধ্যমগ্রাম ( কলকাতা ) স্টেশন এর দিকে গেছিলাম একটা কাজে। সেখানে কাজ সেরে প্লাটফর্ম এর উপর দিয়ে কিছুক্ষন হাঁটাহাঁটি করছিলাম এবং বেশ ভালোই লাগছিলো। কারণ অনেকদিন বাদে প্রায় দুই বছর পরে প্লাটফর্মে পা দিয়েছি। যদিও আমি সেখানে একা একা হাটছিলাম না, ওখানেই এক বন্ধুকে ফোন করলে সে আসলো এবং আমরা অনেকদিন পরে কিছুক্ষন সেখানে গল্প করছিলাম আর হাঁটছিলাম।

রাত ৭:৩০ টার দিকে তেমন কোনো লোকজনের যাতায়াত ছিল না ফলে করোনার রিস্কও ছিল না। মধ্যমগ্রামে নতুন একটা ওভার ব্রিজও হয়ে গেছে এর মধ্যে। আমি গত দুই বছর আগে লাস্ট যখন প্লাটফর্মে উঠেছিলাম তখনই তার কার্যক্রম মোটামুটি শুরু হয়েছিল আর এতদিন বাদে পুরো প্লাটফর্ম নিয়ে একটা বড়ো ব্রিজ স্থাপন করে ফেলেছে।

আর এইটা দেখতে বা ডিজাইনটা অসাধারণ করেছে, অন্ধকার মতো ছিল বলে পুরোটা ঠিকমতো তোলা যায়নি। তবে এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় রেল এর পক্ষ থেকে একটা অসাধারণ উদ্যোগ নিয়ে এই ব্রিজ টা সম্পন্ন করেছে। আর এটা লোকজনের যাতায়াতে সব থেকে বেশি সুবিধা হবে কারণ আগে ওভার ব্রিজ ছিল ছোট ছোট আর এক থেকে দুই প্লাটফর্ম এর মধ্যে সীমাবন্ধ ছিল, ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটা অসুবিধা হতো সবার, বিশেষ করে বয়স্কদের।

তবে ব্রিজটা এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন করে পারেনি, ছাওনি দিতে বাকি আছে এবং সিঁড়ির পাশ দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কিছু দেওয়া হয়নি এখনো। তবে মোটামুটি উপর দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়ার মতো করা কম্পিলিট। আমরাও এর উপরে উঠে হেঁটে এপার থেকে ওপারে গিয়েছিলাম এবং উপরে উঠলেই বোঝা যাবে যে কতটা উঁচু, যথেষ্ট উচ্চ সম্পন্ন ব্রিজ তৈরি করেছে। যাইহোক সেখানে আমরা মোটামুটি ঘন্টা দেড় এর মতো সময় কাটালাম এবং পরে ও ওর বাড়ির দিকে চলে গেলো আর আমিও একটু বাজারের দিকে চলে গেলাম সেখান থেকে।


Photo by @Winkles

Photo by @Winkles

Photo by @winkles

বাজারের ভিতরের দিকে গিয়ে কি কিনবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না একপ্রকার। ফুলকপি খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিলো তাই ভাবছিলাম এই কয়েকটা কিনে নিয়ে যাবো, কিন্তু সমস্যা হলো ফুলকপির ধারে গিয়ে দেখি সব যেন বাচ্চা ফুলকপি। ছোট ছোট ফুলকপি তাও দাম বলে পার পিচ ১০ টাকা, ভাবলাম এ কিনেও লাভ নেই কারণ খেয়ে তেমন মজা পাবো না।

কিনলাম না তারপর সেখান থেকে চলে গেলাম বিগ বাজারে। বিগ বাজারে গিয়ে সারা জায়গায় একটু ঘুরলাম আর অনেক কিছু নিত্যনতুন জিনিসের বাহার দেখলাম। আমি বিগ বাজারে প্রায় যাইনা বললেও চলে, মাঝে মধ্যে মনে উঠলে একটু ঘুরপাক দিয়ে আসি আর কিছু কেনার ইচ্ছা হলে কিনেও ফেলি। তবে কালকে শুধু খাদ্যখাবার কিনেছি, কারণ পুজোর কেনাকাটা একপ্রকার অনলাইনে সব অর্ডার দিয়ে রেখেছি যেটা দুইদিন বাদেই ডেলিভারি দিয়ে যাবে ফলে আর এখান থেকে কিছু কিনলাম না।

বিগ বাজারের খাদ্যখাবারের জায়গা থেকে কিছু কেক, বিস্কুট, নুডুলস আর কিছু ঠান্ডা কিনেছিলাম। এরপর বিগ বাজার থেকে বেরিয়ে আবারো সবজি বাজারের মধ্যে ঢুকলাম কারণ কিছুতো কিনে বাড়ির দিকে ঢুকতে হবে। তাই সবজির দিকে বেগুন, কুমড়ো, পটল কিনলাম আর ফলের দিকে আপেল, লেবু, নাসপাতি কিনে নিয়ে বাড়ির দিকে চলে আসলাম।


All Photos What3words Location: https://w3w.co/trouble.shorthand.tumblers

শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরারেডমি নোট ৭
ক্যাটাগরিফোটোগ্রাফি
লোকেশনকলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
তারিখ০৬.১০.২০২১

______

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 3 years ago 

মহালয়ার শুভেচ্ছা দাদা।আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

তোমাকেও মহালয়ার শুভেচ্ছা।

 3 years ago 

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি। দিনটি আরো ভালো কাটুক এই কামনাই করি।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

 3 years ago 

আশ্চর্যের ব্যাপার কি জানেন ভাইয়া?
আমি কোনোদিন ই রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটি নি।
আসলে আমার বাসা থেকে রেল লাইন অনেক দূরে তাই।
রেল লাইনের ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।
কুমড়ো ভাজি খুব পছন্দ, দেখে মনে হচ্ছে ভালোই টাটকা।

 3 years ago 

রেল লাইনের উপর দিয়ে আমি অনেকবার হেঁটেছি। বেশ ভালো লাগে আবার ভয়ও করে। ট্রেন যেহেতু সব লাইন দিয়ে সর্বক্ষণ যাতায়াত করে কখন কিভাবে মেরে দিয়ে যায়।

কুমড়ো ভাজি খুব পছন্দ, দেখে মনে হচ্ছে ভালোই টাটকা

কুমড়ো একটু মোটামোটি তাজা পাওয়া যায় কিন্তু তাও কম। কারণ স্টকে জমিয়ে রাখা তাই বিক্রি করে অনেক সময়। ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

খুব সুন্দর দিন কাটিয়েছেন ভাইয়া।ছবিগুলো খুবই চমৎকার হয়েছে ।রেললাইনের ছবিটা দেখতে খুবই ভালো লাগলো ।সবজি গুলো খুবই টাটকা মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

সন্ধ্যার মুহূর্তগুলো বেশ ভালো কেটেছিল সুন্দর আবহাওয়ার সাথে। হ্যা এই সবজিগুলো মোটামুটি তাজা কিন্তু পুরোপুরি না কারণ সব জল ছিটিয়ে ছিটিয়ে সতেজ করে রাখার চেষ্টা করে। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

গতকালের সময়গুলো সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট লেখার জন্য।

 3 years ago 

আপনার মতামত ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

আপনার পোস্ট খুব ভাল আপনি ব্যাখ্যা সহ সুন্দরভাবে লিখেছেন।

ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

 3 years ago 

আপনি পোস্টটি পড়েছেন তার জন্য আমি খুশি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

বাজারের টাটকা সবজি ও বৃষ্টির ভেজা রেল লাইনের রাস্তা ছবিগুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। আপনার সারাদিনের সময় নিয়ে অনেক বড় করে লিখেছেন। সামনের দিন গুলো আরো ভালো কাটুক। আপনার জন্য শুভ কামনা।

 3 years ago 

আপনি পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 3 years ago 

অনেক ভালো লাগলো তোমার সারাদিনের কাজ জেনে। উৎসবের সময়েই অনেক দিন ধরে পূজার আগে থেকেই মাইক বাজে। মাইকের শব্দে ঘুম তেমন হলো না তারপর উঠে আবার রান্না বান্না করে তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়া। সন্ধ্যার স্নান করে আবার ঘুমানো ।মাধ্যম গ্রামে ঘোরাফুরী ।সেখানে উচ্চ ব্রিজ তৈরি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। রেল লাইনে ঘোরাঘুরি এবং সবজি বাজারে ঘোরাঘুরি আবার বড় বাজারে কিছুটা কেনাকাটা এবং অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার জিনিস আসবে সব কিছু মিলে মিশে কন্টেন্ট টি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছো ।শুভেচ্ছা নিও।

 3 years ago 

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64364.24
ETH 3416.30
USDT 1.00
SBD 2.48