বাংলা মুভি রিভিউ: বেহুলা লখীন্দর ( Benificiary 10% @shy-fox )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি বাংলা মুভি শেয়ার করবো। এই মুভিটি অনেক পুরানো একটি মুভি। আগেরকার পুরানো মুভিগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে এখনকার মুভির থেকে, যদিও এটা আমার দিক থেকে, অনেকের পুরানো মুভি ভালো নাও লাগতে পারে। এই মুভিটি আমি এই পর্যন্ত কতবার দেখেছি নিজেরও খেয়াল নেই, অনেকবার দেখা হয়েছে। আজকে আবার অনেকদিন বাদে দেখার ইচ্ছা হলো তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করে আসি। যাইহোক এখন মুভির মূল বিষয়বস্তুর দিকে যাওয়া যাক।
❉মুভির কিছু তথ্য:❉
✔মূল কাহিনী:
মুভির শুরুতে মর্ত্যবাসিতে মনসা দেবীর পুজো শুরু হয় এবং সেখানে একজন গান করতে থাকে। এরপর অনেক লোকজন সেখানে এসে জড়ো হতে লাগে। গান শেষে স্বর্গলোকে দেব দেবী সবাই বের হয় এবং সেখানে বেহুলা লখীন্দর বাজনার তালে তালে নৃত্য করতে থাকে। তাদের নৃত্য দেখে স্বর্গে প্রস্থানরত সব দেব দেবীগণ খুব খুশি হতে লাগে। সেখানে মনসা দেবীও ছিল এবং সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের সুন্দর নৃত্য উপভোগ করছিলো কিন্তু সে যখন আসন গ্রহণ করতে যায় তখন অন্য দেবী বসতে মানা করে। এরপর মনসা দেবীর রাগ হয়ে যায় এবং রেগে গিয়ে বেহুলা লখীন্দরের নৃত্যের তাল ভঙ্গ করে দেয়। এরপর তারা নৃত্যের কোনো তাল খুঁজে পাচ্ছিলো না এতে অন্যান্য দেবগন তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে, বিশেষ করে দেবরাজ ইন্দ্র ক্রোধিত হয়ে যায় বেশি। সেই মুহূর্তে ইন্দ্র দেব নৃত্য বন্ধ করে দেয় এবং রেগে গিয়ে বলে যেখানে স্বয়ং নটরাজ শিব উপস্থিত সেখানে নৃত্যের তাল ভঙ্গ? এই বলার পরে তাদের বলে দেয় স্বর্গলোকের অভিশাপে আজ থেকে তোমরা মর্ত্যলোকে নির্বাসিত। এরপর শিব দেবতাদের চিন্তিত হতে মানা করে এবং বলে এটা বিধির বিধান তাই আমার মানসকন্যা মা মনসা ঝলনার আশ্রয় নিয়ে নৃত্যের তাল ভঙ্গ করেছে, কারণ সে স্বর্গসভায় স্থান পেতে চায় । এরপর শিব মনসাকে বলে মর্ত্যলোকের পুজো ছাড়া স্বর্গসভায় স্থান মেলা সম্বভ নয় এবং বেহুলা লখীন্দরের উদ্দেশ্যে বলে পৃথিবীতে ৭ বার তাদের জন্ম এবং তাদের সর্বশেষ রূপ বেহুলা লখীন্দর । এরপর মনসাকে ঝলনার শাস্তি স্বরূপ পাতালপুরীতে যেতে বলে।
মর্ত্যলোকে চাঁদ সওদাগরের সামনে হঠাৎ করে মনসা দেবী প্রকট হয়ে পড়ে এবং চাঁদ সওদাগর তার পরিচয় জানতে চাইলে সে পদ্মাবতী নাম বলে। তারপর চাঁদ সওদাগর তাকে জিজ্ঞাসা করে তোমার এক চোখ কানা কেনো এবং সে বলে দেবী চন্ডিকা ভুল বুঝে বিল্লকন্টকে আমার এক চোখ কানা করে দিয়েছিলো, তাই বাবা মহেশ্বর তার ভয়ে আমাকে সিজুয়া পর্বতে স্থানান্তরিত করেছে এবং সেখানে আমি নাগেদের মাতা। এই শুনে সওদাগর তাকে বলে তাহলে তুমি বেদিনী! পদ্মাবতী বলে না আমি দেবী, তখন সওদাগর বলে তাহলে এখানে কেন দেবীর স্থান তো স্বর্গে। তখন বলে সওদাগর তুমি আমাকে পুজো দিলে আমি স্বর্গলোকে স্থান পাবো, কিন্তু সওদাগর রাগান্বিত স্বরে বলে মোটেও না, আমি দেবালিদেব মহাদেব ছাড়া আর কারো পুজো করবো না। তখন পদ্মাবতী বলে চাঁদ এতে মর্ত্যলোকের মঙ্গল হবে, কিন্তু চাঁদ তাও না শুনলে পদ্মাবতী রেগে যায় এবং বলে আমিও তোমাকে ছাড়বো না, তারপর পদ্মাবতী সাপ দেখালে সওদাগর চ্যাঙমুড়িকানি বলে হেতাল লাঠি দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর সেখান থেকে মনসা সওদাগরের স্ত্রীর কাছে আসে এবং তাকে ভয় দেখিয়ে পুজো করতে বলে। কিন্তু পুজো করতে গেলে সওদাগর বাণিজ্য থেকে ফিরে এসে পুজো ভঙ্গ করে দেয়। এতে পদ্মাবতী রেগে গিয়ে তার নেতা কে বলে আমি চাঁদ সওদাগরের সর্বনাশ চাই, এই কথা শুনে সে একটু চমকে যায় এবং সে একটা পরামর্শ দেয় যে তুমি তোমার নাগবাহিনী নিয়ে তার সুপারি বাগান কেটে ধংস করে দাও তাহলে সে তোমার পুজো দিতে বাধ্য হবে।
এরপর সেইমতো সে সুপারি বাগান কাটতে চলে যায় তার নাগবাহিনী নিয়ে এবং সেখানে সমস্ত কর্মচারী কে সাপের দংশনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। এরপর চাঁদ সওদাগর সেইসব কর্মচারীদের আবার ঠিক করার জন্য ওঝা ধর্নান্তরি কে ডেকে আনে এবং মন্ত্র পাঠ করে ওষুধ দিয়ে আবার ঠিক করে তোলে। এরপর পদ্মাবতী রেগে গিয়ে ধর্নান্তরিকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করে এবং তখন সে আর তার নেতা মায়া রূপ ধারণ করে। একজন চাঁদের জন্য মায়াকানন রচনা করার জন্য জঙ্গলের মধ্যে চলে যায় এবং অন্যজন ধর্নান্তরির বাড়িতে চলে যায় তার মহতজ্ঞান মন্ত্র জানার জন্য। পদ্মা ধর্নান্তরির বাড়ি গিয়ে সবকিছুতে ঝলনার আশ্রয় নিয়ে থাকে। এরপর বুদ্ধি করে ধর্নান্তরির স্ত্রীকে মন্ত্র শেখানোর জন্য বলতে বলে এবং পদ্মা জানালার পাশ থেকে সেই কথাগুলো চালাকি করে শুনছিলো। এরপর ধর্নান্তরি তার স্ত্রী কে তার জীবন মরণ ওষুধের কথা বলে দেয় এবং পদ্মা সেখান থেকে সেই ঔষধ নিয়ে চলে যায়। এরপর পদ্মা সেই ঔষধ নিয়ে তার নেতার সাথে জঙ্গলে দেখা করে এবং সে তাকে বাড়ি যেতে বলে এবং বলে আমি এখানে থেকে চাঁদের দম্ভ চূর্ন করবো। এরপর চালাকি করে পদ্মা তার হেতাল লাঠি নিয়ে নেয় এবং মহতজ্ঞান মন্ত্র বলে দেয়। এরপরও সওদাগর তাকে পুজো দিতে বললে না করে এবং সওদাগরের ৬ ছেলেকে সাপের দংশনে মেরে ফেলে।
এরপর চাঁদ সওদাগর সব শোক ভুলে গিয়ে আবার সপ্তডিঙি করে বাণিজ্যে রওনা হয়। তারপর যেতে যেতে সওদাগর মনে মনে পদ্মাবতী কে গালি দিতে থাকে এবং এতে পদ্মা রেগে যায় আর সমুদ্রে ভয়ানক ঝড় তোলে। আর এই ঝড়ে তার সপ্তডিঙি জলে ডুবে যায় এবং চাঁদ সওদাগর জলে হাবুডুবু খেতে লাগে। তখন নেতা এসে মহাদেবের বাণী মনে করিয়ে দিয়ে তাকে বাঁচাতে বলে এবং সে তাকে বাঁচানোর জন্য জলে মালা ভাসিয়ে দিলে তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায় এবং সেটি ধরতে চায় না। এরপর মহাদেব বলে ডাকলে মহাদেবের ত্রিশূল এর সহায়তায় তীরে এসে পৌঁছায়। এরপর কয়েক মাস পথে ঘাটে ঘুরে ঘুরে চেহারা পাগলের মতো করে ফেলে। এইরকম করে ঘুরতে ঘুরতে একদিন তার বাড়িতে এসে পৌঁছায় কিন্তু তার চেহারা দেখে কেউ চিনতে পারে না। তারপর বাড়ির লোকজন এসে তাকে চিনলে ঘরে নিয়ে যায়। এদিকে ঘরে লখীন্দর জন্মগ্রহণ করে ফেলেছে।
এরপর লখীন্দর আস্তে আস্তে পাঠশালায় পড়াশুনো করতে করতে বড়ো হয়ে গেলো এবং তার বাবা মায়ের কাছে আশীর্বাদ নিতে যায়। তখন তাকে বাণিজ্যের কাজে লেগে যেতে বলে এবং উজান নগরে তাদের নিজস্ব বনভূমিতে পাঠায়। সেখানে লখীন্দর এবং তার সঙ্গী সাথীরা চলে যায়, এরপর বাঘের গর্জনে সবাই ভয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগে। এরপর লখীন্দর এসে তীর মেরে বাঘটিকে মেরে ফেলে। উজান নগরে তাদের সোনার দোকানে গিয়ে তারা বসে এবং সেখানে হিরে কেনার জন্য বেহুলা ও তার সাথীরা যায়। এরপর দুইজন একে অপরকে দেখতে থাকে এবং তাদের মনে হলো যেন তারা দুইজন দুজনকে বহুদিন ধরে চেনে। এদিকে লখীন্দরের বাড়িতে বাবা মা তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে কিন্তু পুরোহিত মশাই বলে তার বাসরঘরে অশুভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে অর্থাৎ বাসরঘরে সর্পদংশনে মৃত্যু হবে। এই কথা শুনে সওদাগর তার বিয়ে দিতে চায় না আর। পরবর্তীতে আবার মনকে শান্ত করে মেয়ে দেখার চিন্তা করে। এরপর বেহুলা বাড়িতে নৃত্যকলা করতে লাগে এবং এর ফাঁকে পুরোহিত তার বাবার সাথে বিয়ের কথা বলে এবং চম্পক নগরের লখীন্দরের কথা বললে শুনে খুশি হয়। এরপর বেহুলা পুকুর ঘাটে আসে এবং পদ্মাবতী সেখানে বুড়ির রূপ ধারণ করে এসে ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয় এবং তাকে বিধবা হওয়ার অভিশাপ দিয়ে দেয়।
চাঁদ সওদাগর শেষ পর্যন্ত মেয়ে দেখতে চলে যায় লখীন্দরের জন্য। সেখানে বেহুলার নৃত্য দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে সবাই এবং সে নৃত্যকলা শুরু করে তাদের জন্য। এরপর চাঁদ সওদাগর তাদের পরিবারের রেওয়াজ অনুযায়ী লোহার মাষকলাই দিয়ে সাধারণ ডালের মতো করে রান্না করতে বলে। কিন্তু সেখানে সবার মানা করার পরেও বেহুলা দেবী চন্ডির নাম করে সাধারণ ডালের মতো তৈরি করে ফেলে। এরপর তাদের বিবাহের আয়োজন শুরু হয়ে যায় এবং তাদের বাসরঘরের জন্য স্বয়ং বিশ্বকর্মা নিযুক্ত হয়। সে তাদের জন্য সাঁতাল পর্বতে লোহার বাসরঘর তৈরি করে কিন্তু পদ্মাবতী সেখানে এসে বিশ্বকর্মা কে লোহার বাসরঘরে ছিদ্র রাখতে বলে কিন্তু সে রাজি না হলে সাপ দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিদ্র তৈরি করে নেয়। এরপর বেহুলা আর লখীন্দর বিয়ের পরে সেই বাসরঘরে চলে যায় এবং বাকি লোকজন সবাই বাইরে তাবু টানিয়ে থাকে এবং হেতাল লাঠি দিয়ে একটা গন্ডি কেটে দেয়, যেন সেখান দিয়ে কোনো সাপ প্রবেশ করতে না পারে । তাই পদ্মা রাতে হঠাৎ প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি তুলে দেয় ফলে সবার ধ্যান ঐদিকে থাকে, আর এই ফাঁকে পদ্মাবতী তার সাপের মধ্যে একটিকে দংশন করার জন্য তাদের বাসরঘরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর বেহুলার চুল বেয়ে সাপ উপরে উঠে আসে এবং লখীন্দরের হাত গায়ে পড়তেই দংশন করে। এরপর সাথে সাথে বেহুলা কিছু একটা দিয়ে আঘাত করিয়ে সাপের লেজ কেটে নেয়। এরপর বিশ্বকর্মা চাঁদ সওদাগরের কাছে সত্যি কথা বলে দিলো।
সেখানকার কিছু লোকজন লখীন্দরের মৃতদেহকে আগুনে পুড়িয়ে সৎকার করার কথা বলে। কিন্তু বেহুলা তাতে রাজি হয় না। এরপর সেখানে তার সতীর্থ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলে এবং তাকে সতী হওয়ার প্রমান দেওয়ার জন্য একে একে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে দিতে হয় এবং উত্তীর্ণ হয়। এরপর কলার ভেলায় করে সমুদ্রে ভেসে লখীন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য স্বর্গের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এইভাবে যেতে যেতে ছয় মাস পার হয়ে যায় এবং লখীন্দরের শরীর কঙ্কালে পরিণত হয়। সমুদ্রে যাওয়ার সময় বেহুলাকে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। অবশেষে সব বাধা অতিক্রম করে লক্ষ্যের কিনারায় পৌঁছিয়ে যায় বেহুলা। সেখানে বেহুলা তার স্বামীর অর্থাৎ লখীন্দরের কঙ্কাল শরীর নিয়ে হাটতে থাকে এবং পদ্মা সেখানে একটি বুড়ির রূপ ধারণ করে এসে বলে এখানে মাটি খুঁড়ে কঙ্কালগুলোকে রেখে দাও। মূলত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পদ্মাই তাকে দিক নির্দেশনা দেখিয়ে দেখিয়ে নিয়ে গেছে এবং সমস্ত বিপত্তি থেকে রক্ষা করেছিল। এরপর সেখানে নেতা ধোবি ঘাটে দেবতাদের কাপড় ধৌত করতো এবং পদ্মা তার সাথে গিয়ে দেখা করতে বলে। এরপর নেতা তাকে দেখেই চিনতে পেরে যায়। বেহুলা দেবতাদের কাপড় কেঁচে দেয় এবং তার কাপড় কাচা দেখে দেবতারা প্রশংসা করে এবং স্বর্গসভায় তাকে নিয়ে যেতে বলে। এরপর তার স্বামীর কঙ্কাল নিয়ে নেতা মায়ের সাথে স্বর্গে চলে যায় এবং সেখানে গিয়ে গান আর নৃত্যকলায় সমস্ত দেবগন কে মুগ্ধ করে। এরপর তাকে কিছু চাইতে বললে বলে আমার স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে। তারপর কঙ্কাল টিকে নিচে রাখলে মহাদেব পদ্মা কে তার স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে দিতে বলে। পদ্মা মহাদেব এর কথা মতো তার স্বামীর প্রাণ পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে এবং পরিবর্তে চাঁদ সওদাগরকে পুজো দিতে বলতে বলে। বেহুলা তখন তাকে আশ্বাস দেয় যে চাঁদ সওদাগর তাকে পুজো দেবে লখীন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিলে। এরপর একে একে চাঁদ সওদাগরের ছয় ছেলে এবং ডুবে যাওয়া সপ্তডিঙি ফিরিয়ে দেয়। আর এইভাবেই মর্ত্যলোকে মনসাদেবীর পূজা শুরু হয় এবং স্বর্গলোকে স্থান পায়।
✔শিক্ষা:
শিক্ষা বলতে এখানে মুভিটিতে অহংকারের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। অহংকারেই পতনের মূল। এখানে চাঁদ সওদাগরের অহংকার, জেদের কারণে একে একে সবাইকে হারিয়েছিল।
✔ব্যক্তিগত মতামত:
এই মুভিটি আসলে এমন একটা মুভি যে একবার দেখার পরেও বার বার দেখার ইচ্ছা করবে, এটা আমার ব্যক্তিগত মতে। মুভিটি আমার বার বার দেখতে ইচ্ছা হয়। মুভিটি আসলেই অনেক সুন্দর একটি মুভি।
✔ব্যক্তিগত রেটিং
১০/১০
মুভির লিংক
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এই মুভিটি আমিও দেখেছি,অনেক আগেই দেখেছিলাম যার কারণে কাহিনীও ভালো ভাবে মনে ছিলোনা। তবে আজকে আপনার পোস্টে আবার কাহিনীটা জানতে পারলাম।
শিক্ষাটা ভালো ছিলো এই মুভিটির।
অহংকার কখনোই ভালো কিছুই বয়ে আনে না।
এই মুভিটি আমার বারে বারে দেখতে মন চায়। এইজন্য মাঝে মাঝে সময় করে দেখি। এই সিনেমার কাহিনীটা আসলে এমন যে এর প্রতি মন বার বার আকৃষ্ট হয়। সময়ের পর সময় চলে যাবে কিন্তু এই কাহিনী বেঁচে থাকবে সবসময়।
আসলেই ভাইয়া,পুরনো কিছু জিনিষ কখনো পুরনোই হয়না।
সাপের ছবি দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে।এই ছবিটি আমি অনেক দিন আগে আংশিক দেখেছিলাম।আমি মুভিটি আপনার দেওয়া লিংক থেকে কিছু অংশ দেখলাম।খুব ভালো লাগলো।অনেক সুন্দর করে আপনি উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
এই মুভিটি আমি বহুবার দেখেছি, এখনো মাঝে মাঝে সময় পেলে দেখি। মুভিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন, ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।
এই মুভিটা আমি ছোট বেলায় দেখেছিলাম অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে মুভিটা রিভিউ করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ
এই মুভিটি তখনকার সময় থেকে এখনো পর্যন্ত হিট করে যাচ্ছে। এই মুভিটির মধ্যে অনেক কিছু বোঝার আছে। অনেক ভালো একটা মুভি। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
বেহুলা লকিন্দরের কাহিনী পুরো পুরি জানা। এমনকি এই মুভিটা দেখেছি। তুমি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রিভিউ করেছো। নতুন করে আবার তোমার পোস্টে দেখলাম। শুভেচ্ছা অবিরাম
কাহিনীটি পড়ার জন্য ও দেখার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
বেহুলা লক্ষীন্দর কাহিনী গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। একটা জিনিস বলতেই হয়, এতো পুরোনো সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও সিনেমার কাজ বেশ ভালো। মেক আপ থেকে ব্যবহৃত জিনিস।
বেহুলা লক্ষীন্দর থেকে অনেক কিছুই শিক্ষনীয় আছে তবে আমি তোমার সাথে একমত অহংকার পতনের মূল কারণ।
আমি একদিন সময় করে দেখবো।
হ্যাঁ, এই সিনেমা অনেক পুরানো হওয়া সত্বেও এর কাহিনী এখনো বেঁচে আছে সবার মাঝে। সামনেও এই সিনেমার কাহিনী বেঁচে থাকবে, অমর করে রাখার মতো একটি কাহিনী।
সাপের কাহিনী নিয়ে নির্মিত অনেক গুলো ছবি দেখেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ছোট বেলা থেকেই সাপ দেখতে অনেক ভয় পাই। বেহুলা লক্ষীন্দর , ছবিটিও আমি দেখেছি খুব ভালো লেগেছে ছবিটি। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আমিও সাপের সিনেমা দেখতে খুব পছন্দ করতাম আগে, এখনো দেখি এইসব মুভিগুলো। বেশ ভালো লাগে এইসব মুভি আমার কাছে। মুভিটি দেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বেহুলা লক্ষিন্দরের কাহিনী নিয়ে তৈরি করা টিভি সিরিজ এবং মুভি সব ভাবেই দেখেছি। সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সবকিছু মিলিয়ে অনেকটা বাস্তব মনে হয়েছে সবচাইতে ভালো লেগেছে একটা নারী মন থেকে যদি কাউকে ভালোবাসে তাকে যেভাবেই হোক নিজের কাছ থেকে হারাতে চায়না ধরে রাখতে চাই সবসময়। এই ব্যাপারটি এই মুভিতে খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।
এই মুভিটার কাহিনী একটা বাস্তবতার সাথে মিল রেখে তৈরি করেছে যা কাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠেছে।
এই জায়গাটায় বেহুলার পাটের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে এবং এই ব্যাপারটা এখনো বা পরেও সবার মধ্যে বেঁচে থাকবে।
আমি এই ধর্মীয় মুভিটি অনেক বার দেখেছি। বেশ ভালো লাগে।অনেক সুন্দর সাজিয়ে -গুছিয়ে মুভি রিভিউ করেছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম এই মুভিটির কাহিনী সব দিক থেকে পারফেক্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। কাহিনীর প্রতিটা জায়গায় বোঝার ব্যাপার আছে। বেশ ভালো। ধন্যবাদ।
খুব ভালো একটি মুভি রিভিউ করেছেন আপনি।বেহুলা লখীন্দর মুভির রিভিউ দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার মনে আছে এই মুভিটা আমি আমার পাশের বাড়ির ঘরের মেঝেতে বসে দেখেছিলাম। যখন আমি মুভিটা দেখেছিলাম তখনকার সময় আমার বাসার আশপাশে শুধুমাত্র ঐ বাড়িতেই টিভি-সিডি ছিল। এই মুভি রিভিউটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমিও এই মুভিটি সিডি ডিভিডি থাকা কালীন সময় থেকে এখনো পর্যন্ত দেখে আসছি। অসাধারণ একটি মুভি বাংলা সিনেমা জগতের। ধন্যবাদ আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।
অনেক বড় করে পুরো কাহিনী লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।