ঝিঙ্গে, আলু, বেগুন এবং কুমড়ো দিয়ে সয়াবিন বড়ির রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি একটা নিরামিষ তরকারি রান্না করেছি। আর এই নিরামিষ তরকারিটা সয়াবিন বড়ি দিয়ে করেছি। সয়াবিন বড়ি আমি খেতে ভীষণ ভালোবাসি, ফলে মনে উঠলেই যখন তখন ভাজা করে খেয়ে নেই। সয়াবিন বড়ি কিন্তু ভাজা করে খেতে অনেক ভালো লাগে, তবে জলে ভিজিয়ে আগে সফ্ট করে নিলেই ভালো হয় কিন্তু আমি অতক্ষণ আর দেরি করিনা, সোজা তেলে ছেড়ে দেই একটু ধুয়ে নিয়েই 😄। সয়াবিন বড়ি খাওয়া ভালো শরীরের জন্য কারণ এতে একধরণের ফাইবার থাকে যা শরীরের ওজন কমাতে হেল্প করে থাকে, এছাড়া এতে আছে আরো নানান গুনাগুন যা স্বাস্থ্যসম্মত দিক থেকে অনেক ভালো। আর এই স্বাস্থ্যসম্মত সোয়া বড়ির সাথে আছে আরো ৪ পদের সবজি। ঝিঙে, বেগুন, আলু, কুমড়ো দিয়েই আজকের এই সুস্বাদু নিরামিষ তরকারিটা তৈরি করেছি। সাধারণত এই সয়াবিন বড়ি দিয়ে আমি নিরামিষ শুধু আলু দিয়েই তরকারি মতো করে খেয়ে থাকি কিন্তু এই তারিখ একটু ভিন্ন ভিন্ন সবজির সাথে করে দেখলাম কেমন লাগে। এতগুলো সবজির সাথে সত্যি নিরামিষ তরকারিটা অসাধারণ লেগেছিলো। যাইহোক এখন দেখি এই স্বাদের রেসিপিটার মূল উপকরণের দিকে চলে যাই।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে তৈরি করলাম---
❆প্রস্তুত প্রণালী:❆
❖সব সয়াবিন বড়িগুলোকে জলে ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম সফ্ট হয়ে আসার জন্য। এরপর কুমিরটিকে কেটে তার খোসাগুলো ছালিয়ে নিয়ে পরে আরো ছোট পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলু তিনটির খোসা ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে ছোট করে নিয়েছিলাম এবং পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖ঝিঙ্গেটিকে মাঝখান দিয়ে কেটে নেওয়ার পরে খোসা ছালিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম এবং পিচ পিচ করে কেটে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। এরপর বেগুনটিকেও কেটে ছোট সাইজ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে হালকা তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং জলে ভিজিয়ে রাখা সয়াবিন বড়িগুলোকে তুলে চেপে জল বের করে দিয়ে কড়াইতে তেলে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে আরেকটু তেল দিয়ে আলুগুলোকেও লাল মতো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖কেটে রাখা কুমড়োর পিচগুলোকেও কম তেলে ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖বেগুনের পিচগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖সব ভাজাভাজির পর্ব শেষ হয়ে গেলে কড়াইতে পরিমাণমতো সরিষার তেল দেওয়ার পরে দিয়ে দিয়েছিলাম পরিমাণমতো পাঁচফোড়ন। পাঁচফোড়ন একটু ভাজা হয়ে আসলে তাতে কেটে রাখা ঝিঙে সব দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ঝিঙে দেওয়ার পরে তাতে ভাজা বেগুন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে লাল করে ভেজে রাখা আলুর পিচগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖আলু দেওয়া হয়ে গেলে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম ( কাঁচা লঙ্কাগুলো কাটতে ভুলে গিয়েছিলাম তাই একবারে কেটে ধুয়ে দিয়ে দিলাম মশলা দেওয়ার সময় )। এরপর মশলার সাথে সব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম।
❖মেশানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল ঢেলে দিয়েছিলাম। এরপরে ভেজে রাখা কুমড়োটা দিয়ে দিয়েছিলাম। তরকারিগুলো সব ভালোভাবে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
❖সিদ্ধ করার পরে তরকারির থেকে অল্প কয়েক পিচ আলু তুলে নিয়ে ভালোভাবে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
❖আলু গলানোর পরে তাতে ভেজে রাখা সয়াবিন বড়িগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছুক্ষন পরে তাতে গলিয়ে রাখা আলুর অংশটা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖তরকারির সাথে একটু নেড়েচেড়ে আলুর গোলানো অংশটা মিশিয়ে দিয়েছিলাম এবং মিডিয়াম জ্বালে রেখে কিছুক্ষন অপেক্ষা করেছিলাম সয়াবিনের তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
❖কিছুক্ষন অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৪ রকম সবজি দিয়ে সয়াবিনের একটা দারুন টেস্টি রেসিপি তৈরি হয়ে গেছিলো এবং আমি তাতে আরেকটু সুগন্ধি জিরা গুড়োটা ছড়িয়ে দিয়ে আরো টেস্টফুল তৈরি করে ফেলেছিলাম। এরপর এই নিরামিষ তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঝিঙ্গে, আলু, বেগুন এবং কুমড়ো দিয়ে সয়াবিন বড়ির রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলেই রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। এ ধরনের রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি তাই আপনার রেসিপির পরিবেশন খুব ভালোভাবে দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব। আপনি ঠিকই বলেছেন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শরীরের ওজন কমিয়ে দেয়। তাই এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মজাদার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সত্যি দাদা আপনার কাছ থেকে কত হাজার রকমের রেসিপি শিখেছি তা আসলে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে আমরা ভিন্নধর্মী রেসিপিগুলো দেখে যাচ্ছি। সয়াবিন ব বড়ি কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু সয়াবিন খেয়েছি ভেজে। আপনার আজকের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে দাদা। বিভিন্ন রকম উপকরণ দিয়ে সয়াবিন বড়ির মজাদার রেসিপি করেছেন। যা মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয়।
সয়াবিন বড়ির নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি । আলু ,ঝিঙে, কুমড়া এমনিতেই রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। সেখানে তো আপনি সয়াবিনের বড়ি দিয়ে রান্না করেছেন। সয়াবিনের অনেক পুষ্টিগুণ শুনেছি খেতেও নাকি অনেক সুস্বাদু। আপনার আজকের রেসিপি'র কালার দেখেই বুঝতে পারছি যে আসলেই অনেক সুস্বাদু একটি খাবার সয়াবিন। আর আপনি যতগুলো সবজি দিয়ে রান্না করেছেন সুস্বাদু না হয়ে উপায় আছে। কালার দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
দাদা ইউনিক একটি রেসিপি করছেন আপনি।ঝিঙ্গে, আলু, বেগুন এবং কুমড়ো সবজিগুলোর সাথে সয়াবিন বড়ি দিয়ে রান্না করা তরকারি দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। এ ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করা তরকারি খেতে অনেক সুস্বাদ এবং মজাদার লাগে। খুবই রুচি সম্মত একটি রেসিপি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এভাবে নিরামিষ তরকারি রান্না করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে দাদা। তবে এর ভিতরে যদি এই কুমড়ো বড়ি দেওয়া হয় তাহলে তো খেতে আরও বেশি মজার হয়। তবে আমি কখনো কুমড়ো বড়ি খাইনি তবে শুনেছি এটা দিলে তরকারি খেতে খুব মজার হয়। আপনার রেসেপি আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে সয়াবিন বড়ি কখনো খাইনি। তবে আজকে যেহেতু আপনার কাছে এই রান্নার পুরো পদ্ধতি শিখলাম তাই আমি রান্না করে খেয়ে দেখব। সবাই বলে সয়াবিন বড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই এই খাবারটি খেতে আমার খুব ইচ্ছে করে। যেহেতু সয়াবিন বড়ি খুবই পুষ্টিকর তাই আমাদের সকলেরই খাওয়া উচিত। বিভিন্ন প্রকারের সবজির সমন্বয়ে এই মজার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমিও এই রেসিপি তৈরি করা শিখে নিলাম দাদা। আপনার রন্ধন প্রণালীর নিপূর্ণতায় এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
ঝিঙে আলু বেগুন মিষ্টি কুমড়ার মিশ্রণে খুবই লোভনীয় সুস্বাদু এবং সবজি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।। সব ধরনের সবজি দিয়ে এমন নিরামিষ রেসিপি আমার ওপর ফেভারিট।। মাঝে মাঝে এরকম ভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া হয়।। বিশেষ করে এ ধরনের রেসিপি গুলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ থাকে যা দেহ গঠনে অনেক সহায়তা করে।। ধন্যবাদ দাদা লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।।
ওয়াও দাদা আপনার আজকের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। ঝিঙ্গে আলু ও বেগুন কুমড়ো দিয়ে অনেক সুস্বাদু সয়াবিন বড়ির রেসিপি তৈরি করেছেন। সয়াবিন বড়ি দিয়ে এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
ওয়াও অসাধারণ একটি ইউনিক পোস্ট দেখতে পেলাম সেটি হচ্ছে ঝিঙ্গে, আলু, বেগুন এবং কুমড়ো দিয়ে সয়াবিন বড়ির রেসিপি। দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। সত্যি রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।সত্যিই অনেক লোভনীয় ছিল আপনার রেসিপিটি। আপনার রেসিপি ধাপ গুলো অসাধারণ ছিল দাদা আপনার রেসিপি দেখে আমি নতুন একটি রেসিপি শিখে নিতে পেরেছি ।সব থেকে বেশি ভালো লাগছে যে আমি একটি নতুন রেসিপি শিখতে পারলাম তাও আবার আপনার কাছ থেকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দাদা। শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য।