শিশু পার্কের চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা নতুন আর্ট শেয়ার করে নেবো। আজকে আমি আর্টটা একটু ভিন্ন ধরণের করেছি, বলা যায় বাস্তবের সাথে মিলিয়ে করা। আমি আজকে একটা শিশু পার্কের চিত্র অঙ্কন করেছি। আজকে ভাবছিলাম কি করা যায় কি করা যায়, এই করতে করতে মনের মধ্যে চলে আসলো শিশু পার্কের বিষয়টা। আমি এমনিতেও ভাবছিলাম যে আজকে বাস্তবের সাথে মিলিয়ে কিছু করা যায় কিনা দেখি, আমার ভাবতে ভাবতে মনের মধ্যে একবার যেটা চলে আসে ওটাকেই আমি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আর শিশু পার্কে মোটামুটি কি কি থাকে সেগুলো মনে করে করে বিষয়গুলো অঙ্কনের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের অঙ্কনটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
 |
|---|
☫উপকরণ:☫
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো---
 |
|---|
➤প্রথম ধাপে পার্কের চারিপাশ দিয়ে পাঁচিল মতো তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং পরে একটা গেট তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর সাইডে বড়ো একটা গাছের মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং পাশে একটি বসার বেঞ্চের মতো তৈরি করেছিলাম। পার্কে খেলার একটা স্থান থাকে যেটাতে বাচ্চারা খেলতে বেশি পছন্দ করে যেমন আমি যেটা অঙ্কন করেছি তাতে উপরে উঠে বসলে নিচে স্লিপ খেয়ে চলে যায়। তাই এইরকমই একটা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছি।
 |
|---|
➤দ্বিতীয় ধাপে গেটের থেকে টেনে একটা রাস্তা মতো তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং আরো এক পাশে একইরকম একটা গাছ আর কিছু ঘাসের মতো দেখতে তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর এক পাশে বাচ্চাদের দোল খাওয়ার মতো একটা দোলনার কাঠামো তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং সাথে একটি ছেলে বল খেলছে তার দৃশ্য অঙ্কন করে নিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤তৃতীয় ধাপে যে দোলনার কাঠামো তৈরি করেছিলাম তাতে একটা দোলনা তৈরি করে দিয়েছিলাম এবং একটি বাচ্চা দোল খাচ্ছে এমন দৃশ্য অঙ্কন করেছিলাম। প্রথম গাছের পাশে যে বেঞ্চ মতো তৈরি করেছিলাম সেখানে একজন বসে বই বা পেপার পড়ছে এমনটা ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর দুটি বাচ্চা একটা খেলনার উপরে বসে আছে দুই সাইডে এবং একজন একদিকে ভর দিলে আরেক পাশ উঁচু হয়ে যায় এইরকমটা একটা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছিলাম এবং পার্কের রাস্তা দিয়ে একটা লোক হেঁটে যাচ্ছে সেটা অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤চতুর্থ ধাপে এই পর্যন্ত অঙ্কন করা সমস্ত বিষয়গুলোতে পেন এর কালী দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর গেটের দিকে একটু ডিসাইন মতো করে দুই সাইডে বড়ো বড়ো দুটি গোল লাইটের মতো অঙ্কন করে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤পঞ্চম ধাপে আকাশের দৃশ্য অঙ্কন করে দিয়েছিলাম এবং গেটের বাইরে যে সবুজতা আছে সেটা হালকা করে কালার দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। এরপর দুই পাশে দুটি গাছে সম্পূর্ণ কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤ষষ্ঠ ধাপে পাঁচিলের সম্পূর্ণ অংশে এবং গেটের গায়ে আর গোল দুটি লাইটে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤সপ্তম ধাপে পার্কের রাস্তার এক পাশের ঘাসগুলোতে কালার করে দিয়েছিলাম এবং পরে নিচে ছোট ছোট ঘাস আছে তা কালার দিয়ে তুলে ধরেছিলাম। এরপর যে বাচ্চাটা দোলনায় দোল খাচ্ছে এবং যে বাচ্চাটা বল খেলছে তাদের সম্পূর্ণ কালার করে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤অষ্টম ধাপে পার্কের রাস্তার অন্য পাশেও সেম ভাবে কালার দিয়ে ছোট ছোট ঘাসের দৃশ্য অঙ্কন করে সম্পূর্ণ সবুজতার রূপ দিয়ে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤নবম ধাপে গাছের নিচে বসে থাকা লোকটিকে আর বেঞ্চে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তার পাশে আরো তিনটি বাচ্চাকে কালার করে দিয়েছিলাম যারা খেলা করছিলো। এরপর একজন লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তার চিত্রে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
 |
|---|
➤দশম ধাপে প্রথমে যে বাচ্চাটা যে স্থানে খেলা করছিলো তাতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে দোলনায় কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর রাস্তায় হালকা একটু কালার ঘষে দিয়েছিলাম আর এখানেই অঙ্কনটার ইতি টেনেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার ভাবনা থেকে আপনি শিশুপার্কের সুন্দর দৃশ্য চিত্র অঙ্কন করেছেন। সত্যি ভাইয়া আপনার চিত্র অংকনটি একদম অরজিনাল হয়েছে। আর শিশু পার্কের দৃশ্য গুলো আপনি চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে শিশু পার্কে ঘুরতে গেলে দোলনায় দোল খাওয়ার দৃশ্য আমার খুবই ভালো লাগে এবং আমিও দোল খেতে খুবই পছন্দ করি। আসলে ভাইয়া আপনার চিত্র অংকনটি আজকে আমার মন ছুঁয়ে গেছে। অনেক দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে চিত্রটি আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। অসাধারণ হয়েছে, আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
দাদা আপনার অঙ্কিত শিশু পার্ক এর চিত্র অংকন দেখে আমার ছোটবেলায় শিশু পার্কে ঘুরে বেড়ানোর কথা মনে পড়ে গেল। এভাবেই শিশু পার্কে গিয়ে আমি দৌড়াদৌড়ি করে ছিলাম এবং অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেছিলাম। আজো যখন আমার ছোট ছোট ভাইবোনদের নিয়ে শিশু পার্কে ঘুরতে যায় এইসব দৃশ্য দেখতে পায়। দাদা আপনি খুবই চমৎকার এবং নিখুঁতভাবে শিশুপার্কের চিত্রাংকন করেছেন। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।এত সুন্দর ভাবে শিশুপার্কে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দৌড়াদৌড়ির দৃশ্য চিত্র অংকন এর মাধ্যমে তুলে ধরে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
চমৎকারভাবে করেছেন দাদা আপনি শিশু পার্কের চিত্রাঙ্কন। কঠিন একটি বিষয়বস্তর একেবারে জলের মতো সহজ অঙ্কন করেছেন। অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
কোন কিছু আঁকার ক্ষেত্রে তো এটাই হয় মনের মধ্যে যা আসে তাই আঁকার চেষ্টা করি আমরা। আর আপনার মনে তো সুন্দর সুন্দর আর্ট ঘুরে বেড়ায় যার কারণে প্রতিটি আর্ট চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলেন। আজকের শিশু পার্কের আর্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে। একটি শিশু পার্কে যা যা থাকে তা সবকিছুই আপনি আপনার আর্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। বিশেষ করে বাচ্চাদের খেলার দৃশ্যটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। সব মিলে খুব চমৎকার হয়েছে আপনার আজকের আর্টটি।
চমৎকার হয়েছে দাদা!অংকনের বিষয়টাও দারুণ বেছেছেন।
রঙগুলোও বেশ ভালো ফুটে উঠেছে আর আপনার পেন্সিল আর্টের তো কোনো জবাবই নেই।শুভ কামনা রইলো ☺️
শিশু পার্ক এর এই চিত্রাঙ্কন খুবই সুন্দর ছিল দাদা। শিশুরা দোলনায় খেলছে। শিশুদের ওপর এই পোস্ট আমার খুব ভালো লাগলো। তাছাড়া অনেক গুলো ছবি দেওয়ার মাধ্যমে কিভাবে চিত্র সম্পন্ন তারও একটা সুন্দর ধারণা পাওয়া গেলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিনশেষে নিজের মনের মত করে কাজ করা টাই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়। মানসিক শান্তি টা তো পাওয়া যায়। আর্টের থিম টা দারুন লেগেছে আমার। কবে থেকে শিশুপার্ক যাই না। অথচ একটা সময় ছিল শিশুপার্ক একবার ঢুকলে আর বেরোতে চাইতাম না। যেমন সুন্দর দৃশ্য গুলো একেছেন তেমন সুন্দর রং করেছেন । এক কথায় মন ছুঁয়ে গেল।
দাদা আপনার অংকন চিত্রগুলো যতই দেখি ততই মুগ্ধ হয়ে যাই। সত্যি কথা বলতে আপনি আপনার কল্পনা থেকে বাস্তবচিত্রগুলো এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেন দেখে খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন একটি বাস্তবের প্রতিচ্ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। মনে হচ্ছে যেন কিছুক্ষণ সময়ের জন্য পার্কের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করছে আর কেউ বা বসে পেপার পড়ছে সবকিছুই একেবারে নিখুঁতভাবে অংকন করেছেন। সত্যি দাদা আপনার প্রতিভা দেখলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের আর্ট। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
দাদা কার্টুন ধর্মী এই চিত্র গুলো আঁকো। বেশ ভালো লাগে। টিভিতে কার্টুনগুলো রবিবার করে যেগুলো হত। ওরকম দৃশ্য সামনে আসে।
Never underestimate the importance of having fun! We’ve re-shared this post! 💃🏽😎💚