গতকাল সময়টা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কেটে গেলো /০২.০৯.২০২১ || (Benificiary 10% @shy-fox )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
What3words Location: https://w3w.co/booth.snored.commutes
গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল আমার ভ্যাকসিন দেওয়ার তারিখ। ফলে আমি গতদিনের সারাদিনের কার্যক্রমগুলো রাতে শেষ করে নিয়েছিলাম। আমি প্রতিদিন প্রায় ৪:৩০ টার মধ্যে ঘুমানোর চেষ্টা করি কাজ শেষ করে তবে মাঝে মাঝে সাড়ে ৫ টাও বেজে যায়। যাইহোক ঐদিন রাতে আমি পনি ৬ টার দিকে শুয়ে পড়েছিলাম। যদিও ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় নির্ধারণ ছিল সকাল ১১ থেকে দুপুর ১ টা অব্দি। আমি তার আগেরদিনই ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছিলাম এবং ২ তারিখ কাছাকাছি পেয়েছিলাম।
যাইহোক সকাল পনি ৬ টায় ঘুমিয়ে ১০ টার মধ্যে আবার ওঠাও মুশকিল বিষয়, তাই মা কে ৯:৩০ টার দিকে ডেকে দিতে বলেছিলাম। মা ৯:৩০ টার দিকে ডাকলেও আলস্য ভাবমূর্তিতে সেখানে শুয়েই ১০:১৫ বেজে গেলো। সকালে এদিকে আবার কিছু খেয়েতো যেতে হবে ভ্যাকসিন দিতে গেলে। ঐসময় আমি আর মা সকালে কিছু খাওয়াদাওয়া করে ১১ টার দিকে বাড়ির থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
আমার সাথে মা কেও ভ্যাকসিন দিয়েই নিলাম। ভাইকে আর দেওয়ানো হয়নি কারণ ১৮ বছরের নিচে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না এখন, আর বাবা অনেক আগে সরকারি ভাবে একটি ক্লাব থেকে নিয়ে নিয়েছিল । ভ্যাকসিনের সেন্টার টা আমাদের বাড়ির থেকে মাত্র ২০ মিনিটের পথ। আগে আমি যে স্কুলে পড়াশুনো করেছিলাম তার অপজিটে ক্যান্সার হসপিটালে নিয়েছিলাম।
এরপর সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মোটামুটি ঐ ১১:৩০ টা বা তার একটু বেশি সময় লেগে গিয়েছিলো। যাইহোক হসপিটালের ভিতরে ঢুকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করা কাগজটি দেখিয়ে কাউন্টার থেকে একটা টোকেন নিলাম এবং আমাদের টোকেন নম্বর ছিল ১৫৯ এবং ১৬০। গেটের বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে দেখে মনে হচ্ছিলো অল্প কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে আছে তাহলে বেশিক্ষন লাগবে না, সবার মোটামুটি প্রায় দেওয়া হয়ে গেছে।
কিন্তু ধারণটা আসলে ভুল ছিল, ভিতরে ঢুকে দেখি লোকজন ভিতরে বসে আছে আরো প্রায় ২০০ জনের কাছাকাছি। আমরা যখন টোকেন নিলাম তখন সিরিয়াল নম্বর ৯০ চলছিল, সর্বমোট ২০০ নম্বর পর্যন্ত টোকেন নিয়েছিল । তবে একটা ভালো দিক হলো তারা এক এক ট্রিপে ১০ জন করে ডেকে নিচ্ছে, ফলে দ্রুত সিরিয়াল কমে যাচ্ছিলো। তাও ঘন্টাখানিকের মতো সময় লেগে গিয়েছিলো প্রায় ১ টার কাছাকাছি। যাইহোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই ঘন্টাখানিক সময় পার হয়ে গেছিলো এবং অবশেষে আমাদের সিরিয়ালে ডাক পড়লো।
এরপর হসপিটালের ভিতরে গিয়ে টোকেন নম্বর একজনের কাছে দেওয়ার পরে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিলো ৫ জনের। তারপর এক এক করে রেজিস্ট্রেশন এর কাগজটা দেখলো এবং তারপর সেখান থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার রুমে পাঠিয়ে দিলো। সেখানে গিয়ে কোভিশিল্ড এর প্রতি ডোজ ৭৮০ টাকা করে দিতে হয়েছে এবং তারা পে স্লিপ দেওয়ার পরে টিকা দিয়েছে। অনেকদিন পরে টিকা দিলাম ফলে একটু ভয় ভয় করছিলো যে কি হবে কিন্তু তারা যখন ইঞ্জেকশন দিলো আমি টেরই পেলাম না, নার্স বললো হয়ে গেছে এইবার সাইড এ গিয়ে ১০ মিনিট বসুন।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
What3words Location: https://w3w.co/booth.snored.commutes
এরপর সেখানে ১০ মিনিট বসার পরে বাইরে বেরিয়ে আসলাম এবং টুকিটাকি কিছু বাজার করার জন্য ঐসময় কোর্টের মাঠের দিকে গেলাম। আমাদের এখানে বারাসাত কোর্টের পাশে একটা মাঠ মতো আছে এবং তার পাশে বাজার বসে সকালের দিকে, তা প্রায় ১:৩০ টা পর্যন্ত চলে। মূলত কোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে সেখান থেকে বাজার উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে কিন্তু কে কার কথা শোনে, ইচ্ছা মতো সবাই চালিয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক শেষমেশ ঐ বেলায় সবজি কিছুটা বেঁচে ছিল। সেখানে একটি দোকান থেকে একটা মিষ্টি কুমড়ো, ভেন্ডি, আমড়া এবং মিষ্টি আলু কিনলাম। এরপর আরেকটা দোকান থেকে কিলো খানিক শশা এবং লেবু কিনে নিলাম। এরপর সেখান থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম এবং রেল লাইনের ওভার ব্রিজ পার হয়ে টোটো করে বাড়িতে পৌঁছে গেলাম।
বাড়িতে পৌঁছিয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম এবং ৩:৩০ টার দিকে স্নান করে অল্প কিছু ভাত খেয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। সবই ঠিকঠাক ছিল কিন্তু সন্ধ্যার সময় থেকে শরীর টা একটু খারাপ লাগছিলো তবে সেরকম জোড়ালো খারাপ কিছু না। শুধু মাথাটা হালকা ব্যাথা ব্যাথা করছিলো। সারা রাত মাথা ব্যাথা করেছে টিপটিপ করে তাও রাতের কার্যক্রম শেষ করে ৪ টার দিকে শুয়ে পড়েছিলাম। সকালের দিকে এখন মোটামুটি ভালো লাগছে তবে শরীরটা কেমন যেন দুর্বল দুর্বল অনুভব হচ্ছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | রেডমি নোট ৭ |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | বনমালিপুর |
তারিখ | ০২.০৯.২০২১ |
Discord Link: https://discord.gg/5aYe6e6nMW
Support @amarbanglablog by Delegation your Steem Power
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
অনেক সুন্দর একটি দিনলিপি ছিল ব্যাস্ততার সাথে দিনটি পার করেছেন।
পৌনে ছয়টায় ঘুমিয়ে পড়লেন আর ঘুম থেকে উঠতে ১০:১৫😮
এতক্ষণ আমি ইচ্ছা করেও শুয়ে থাকতে পারি না। পিঠ ব্যাথা করে😁
অনেক ধন্যবাদ দাদা দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুভেচ্ছান্তে @sabbirrr
আসলে বিষয় হলো সবসময় ভোরের দিকে শুয়ে পড়া হয়তো এইজন্য সকালে উঠতে উঠতে প্রায় 11 টার বেশি বেজে যায়।
ওহ আচ্ছা 😊
দাদা আমিও গতকাল ভ্যাকসিন নিয়েছি। সারাদিন স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যা থেকে আমার প্রচণ্ড জ্বর আর মাথা ব্যাথা। এখন একটু ভালো বোধ করছি। শুনে ভালো লাগল আপনার পরিবারে আপনার ছোট ভাই বাদে প্রায় সবাই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
ভ্যাকসিনের একটা রিয়াকশণ থাকে। ভ্যাকসিন সঠিক থাকলে জ্বর মতো একটু আসবেই, তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য। আমারও রাত পর্যন্ত ছিল, সকালে সেরে গেছে।
দাদা ঠিকই বলেছেন। আমি এখন সুস্থ্য।
আপনি বেছে নিয়েছেন তা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আমি এখনো ভ্যাকসিন নিতে পারিনি এর কারণ হচ্ছে আমি এখনো আমার জাতীয় পরিচয় পত্র টি হাতে পাইনি। জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে হাতে পেলে আমিও ভ্যাকসিন নিব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল অনেক ব্যস্ততম দিন একটি কাটিয়েছেন আপনি।
আমি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে নিয়েছিলাম এবং পরের দিন প্রিন্ট করে নিয়ে গেছী। অনলাইন এ করলে একটা সুবিধা রাত 3 টের সময়েও করে নেওয়া যায়।
ভ্যাকসিনের সেকেন্ড ডোজ নিয়ে বিছানায় কাৎ হয়ে শুয়ে, আপনার ব্লগ টি পড়লাম। পড়ছি আর ভাবছি আপনিও হয়তো এখন আমার মত কাত হয়ে শুয়ে আছেন।কি যে ব্যাথা দাদা বুঝাতে পারব না বলে।
ভ্যাকসিন কাজ দিয়েছে । আমার রাতের দিকে মোটামুটি ভালই ধরে নিয়েছিল তাও কন্ট্রোল করে নিয়েছিলাম। আমি মেডিসিন নেইনি যদিও সাথে সাথে। তবে এখন হাতে ব্যথাটা আছে।
আমারও ব্যাথাটা আছে এখনো
খুবই ভালো কাজ। করোনা প্রতিকারে ভ্যাকসিন তো দিতেই হবে। খুব ভালো ।ভালোর কাজে অনেক সময় গেলেও ফল মিষ্টি। অনেক শুভেচ্ছা
হ্যাঁ এটা ঠিক কথা বলেছো।
ভ্যাকসিন দেওয়া বিশাল চাপের। প্রথম ভ্যাকসিন দেবার Availability খোঁজো, যেটা খুঁজতে মাঝে মাঝে কয়েক বছর লাগার মতো ফিলিংস আসে। ভ্যাকসিন দিতে গিয়েও ঝামেলা। লাইন অবধারিত। সে যখনই যাওয়া যাক না কেন। নিয়েও শান্তি নেই, শরীর খারাপ হবার চান্স থাকছে প্রবল।
ভ্যাকসিন দেওয়ার একটা বড়ো ঝামেলা হলো এই সিরিয়াল দেওয়া। টাকা দিয়ে দিতে গেলেও শান্তি নেই, সেখানেও লাইনে থাকতে হবে 100 জনের পরেও। একবার ভিতরে ঢুকতে পারলেই আর বেশিক্ষণ লাগেনা ।
এসব দেখেই তো আমার আর ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছা করে না। আমি এখনো নিই নাই।
ভ্যাকসিন আমারও নেওয়ার কণো ইচ্ছা ছিল না। প্রথম থেকেই আমি ভ্যাকসিন না নেওয়ার পক্ষে । কিন্তু এখন কথাও যেতে গেলে ভ্যাকসিন এর সার্টিফিকেট চেয়ে বসে, এইজন্য দেওয়া লাগলো।
ভাই ভ্যাকসিন দিয়ে ভালো কাজ করেছেন ।আমি এখনো ভ্যাকসিন দেইনি । তবে কলেজ থেকে নোটিশ দিয়েছে, কলেজে আমাদের কে ভ্যাকসিন দিবে ।
ভ্যাকসিন না দিলে কলেজে ঢুকতে দেবে না। শুধূ কলেজ না যেকোনো জায়গায় ঘুরতে গেলেও ঢুকতে দেবে না। আমিও এইজন্য দিয়েছি।
হ্যা ভাই। আমাদেরকেও এ কথা বলেছে
হা হা হা হা মজা পাইছি, ভেতরে দুইশন এর কথা শুনে। আমিতো প্রায় দুই ঘণ্টা লাইন এ দাড়িয়ে থেকে তবে সিরিয়াল পেয়েছিলাম। তবে শেষটা বেশ নাটকীয় ছিলো আমার জন্য, কারন আমি ছিলাম টাইটানিকের শেষ যাত্রি। আমি ভেতরে ঢোকার পরই টিকা শেষ হয়ে যায়। ভাগ্যিস আমি পেয়েছিলাম।
এই কথাটা আমারও বেশ মজার লেগেছে। টিকা বেশি রাখতে চায় না, লোকজনের পরিমান হিসেবে যে পরিমান রাখা উচিৎ সেইটা রাখে না। লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়াণোর পরে যদি শুনতে হয় ভ্যাকসিন নেই, মেজাজটা গরম হয়ে যায়।