গল্প || প্রতারণা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি গল্প শেয়ার করব । আসলে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ নিয়েই এক একটি গল্প। প্রতিদিন আমাদের জীবনে কোন না কোন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে সেগুলোই এক একটি গল্প আকারে রূপ নিচ্ছে । তেমনি আজ একটি গল্প আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল গল্পে।
গল্প ||প্রতারণা
শহরের মেয়ে সামিয়া । মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম ।পরিবারে দুই বোন, এক ভাই ও মা বাবার সংসার । বোনদের মধ্যে সামিয়া বড়। এসএসসি পাশ করে মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে। বেশ হাসি খুশি স্বভাবের মেয়ে সে। পড়ালেখায় মোটামুটি ভালো ছাত্রী ছিল। নতুন নতুন কলেজে ভর্তি হয়ে বেশ ভালই লাগছিল । বান্ধবীদের সঙ্গে বেশ আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটাচ্ছিল।
সামিয়ারা একটি ভাড়া বাসায় থাকে । সেই বাসায় বাড়িওয়ালার একটি ছেলে ছিল । ছেলেটির সঙ্গে সামিয়ার বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল, মাঝে মাঝে কথাবার্তা হতো। এভাবে বেশ কিছুদিন চলে গেল ।সামিয়ারা এই বাসায় আছে প্রায় দশ বছর । বাড়িওয়ালার বাসায় বেশ আসা-যাওয়া ছিল । বাড়িওয়ালা ও বাড়ি ওয়ালীকে সে খালা খালু বলে ডাকতো । সবার সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল । এভাবে তার সময় গুলো কাটছিল।
বেশ কিছুদিন পর সামিয়া হঠাৎ অনুভব করল বাড়িওয়ালার ছেলেটি তাকে বেশ পছন্দ করে । সামিয়াও অনেকদিন থেকে মনে মনে বাড়িওয়ালার ছেলেকে পছন্দ করে । ছেলেটির নাম দীপু ।এভাবে দীপু যখন একদিন সামিয়াকে প্রপোজ করল তখন সামিয়া আর না করতে পারল না । সেও রাজি হয়ে গেল । এভাবে দুজন দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হলো।
বেশ কিছুদিন তাদের ভালোবাসা এভাবে চলতে থাকলো । সামিয়া কলেজে তার প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে তার সব কথা শেয়ার করত । মাঝে মাঝে সামিয়া কলেজ ফাঁকি দিয়ে দিপুর সঙ্গে দেখা করতে যেত ।এভাবে বেশ কয়েক মাস তাদের সম্পর্ক বেশ ভালই চলছিল । এভাবে কিছুদিন যাবার পর সামিয়ার বড় ভাই সামিয়ার আচরণে কিছুটা সন্দেহ পোষণ করতে থাকে। সামিয়ার বড় ভাই মোটামুটি বুঝতে পারে দিপুর সঙ্গে তার একটা সম্পর্ক হয়েছে । তাই সামিয়াকে সে দিপুদের বাসায় যেতে একদম না করে দেয়। তারপরও সামিয়ার ভাই একদিন সামিয়াকে দিপুর সঙ্গে কথা বলতে দেখে সামিয়াকে বেশ চর থাপ্পড় দেয় ।
তারপর দিন সকালে উঠে সামিয়া কলেজে চলে যায়। কলেজে যেয়ে আবার দিপুর সঙ্গে দেখা করে । তখন দিপুকে জড়িয়ে ধরে খুব কান্নাকাটি করতে থাকে, বলে ভাইয়া আমাকে কাল খুব মেরেছে । তখন দিপু খুব রেগে যায় । দিপু বলতে থাকে ওর এত বড় সাহস তোমার গায়ে হাত দেয় । দিপু সামিয়ার ভাইয়ের থেকে বেশ বড় ছিল। দিপু বলে আমি তোমার ভাইকে দেখে নিব । তখন সামিয়া তাকে বোঝায় তোমার কিছু বলার দরকার নেই ,আমরা এখন থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করব । বাসায় আর দেখা করব না। এতে দিপুও রাজি হয় । সামিয়া দিপুকে অনেক বেশি বিশ্বাস করত এবং ভালোবাসতো । সামিয়া ভাবতো দিপুও বুঝি তার মতোই তাকে ভালোবাসে । এভাবে তাদের ভালোবাসা বেশ কিছু দিন চলতে থাকে। সবকিছু ঠিক ছিল । কিন্তু হঠাৎ একদিন সামিয়া জানতে পারে দিপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তারপর ------
চলবে
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু আজকে আপনি আজকে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন প্রতারণা আসলে প্রতারণা শব্দটি অনেক কষ্টের একটি শব্দ। সামিয়া কিন্তু বাড়িওয়ালার ছেলেটিকে বেশ ভালোবাসতো এটার কোন দ্বিমত ছিল না। কিন্তু বাড়িওয়ালার ছেলে দিপু সামিয়াকে ঠকে আবারও অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে। সবকিছু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। আসলে ভালবাসার ক্ষেত্রে অনেকে এভাবে প্রতারিত হয় যেটি আমি গল্পে তুলে ধরেছি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু ।বেশ দুর্দান্ত গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সামিয়া এবং দিপুর ভালোবাসার পরিণতি কি হবে? দিপুর বিয়ে ঠিক হওয়ার পরে কি হয়েছে জান খুব ইচ্ছে জাগছে। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব । পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।
প্রতারণা গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে গল্পটার প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। সামিয়ার পরিবার যেহেতু দিপুদের বাসায় ভাড়া থাকতো তাই সামিয়া তাদের বাসায় একটু বেশি যাতায়াত করত। আর এর মধ্যেই তাদের প্রেম হয়ে যায়। তারা শেষ পর্যন্ত লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে কারণ সামিয়ার ভাই তাকে মেরেছে। পরবর্তীতে দিপুর বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর কি হল তা জানানোর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মনোযোগ সহকারে আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করব ।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই অল্প বয়সের উড়ন্ত প্রেম ভালোবাসা গুলো অনেক জঘন্য হয়। কিন্তু বড়রা যদি বারণ করে সে বারণ মানলে কিন্তু অনেক ভালো হয়। সামিয়া তার ভাইয়ের কথা না শুনে দিপুর সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকলো। অবশেষে প্রতারণা করলো। কিন্তু সম্পর্কের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য থাকা দরকার। একটা ভাড়াটিয়ার সাথে একটা মালিকের ছেলের সম্পর্কটা মেনে নেওয়ার কথা না। খুব সুন্দর গল্প শেয়ার করলেন পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।
আসলে আপু ভালোবাসার ক্ষেত্রে কি আর সামঞ্জস্য রেখে ভালোবাসা হয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে উঁচু-নিচু অনেকেরই তো মিল হয় । তবে সত্যি কারের ভালোবাসাটাই সবচেয়ে বড় কথা ।ধন্যবাদ আপনাকে
সামিয়া এবং দিপুর ভালোবাসার সম্পর্ক দেখছিলাম বেশ ভালোই যাচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যে তার বড় ভাই লক্ষ্য করার কারণে তাকে মারধর করেছিল। এবং কি দীপুদের বাড়িতেও যাওয়ার জন্য বারণ করেছিল। এরপর তারা বাড়িতে দেখা না করে বাহিরে লুকিয়ে দেখা করতো। কিন্তু সর্বশেষে দেখছি দিপুর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে। এটা যখন সামিয়া জানতে পারলেও তখন তার কি অবস্থা হয়েছে তা তো জানতে পারলাম না। অপেক্ষায় থাকলাম সেই পর্বটা দেখার জন্য।
আপু সামিয়ার দিপুর বিয়ের খবর জানতে পেরে কি অবস্থা হয়েছিল সেটা জানার জন্য পরের পর্বটি পড়তে হবে । খুব শীঘ্রই পরে পর্ব নিয়ে হাজির হবো ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার লেখা বাস্তবধর্মী গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো।আসলে এমন ঘটনা আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে।ভালোবাসার নাটক করে মুখোশের আড়ালে অনেকেই হারিয়ে যায়।গল্পটি সুন্দর ছিল,পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু বাস্তবতার নিরিখেই গল্পটি লেখা । আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।