কাঁচা আমের জুস তৈরি রেসিপি ||১০%বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজার একটি জুসের রেসিপি নিয়ে এসেছি। যেটি এই সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি রেসিপি। আর সেটি হচ্ছে কাঁচা আমের জুসের রেসিপি ।এখন বৈশাখ মাস। গরমের তীব্রতায় জনজীবন অতিষ্ঠ। তার ওপর আবার রমজান মাস ।একদিকে প্রচুর গরম এবং রমজান মাস হওয়ায় সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে এরকম ঠান্ডা এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস পেলে শরীর ও মন বেশতৃপ্তি পায় ।তাই আমি প্রতিদিনই এই কাঁচা আমের জুস তৈরি করে থাকি। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে ।আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার রেসিপিটি ভালো লাগবে ।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করছি আমার আজকের রেসিপি কাঁচা আমের জুস তৈরি। |
---|
কাঁচা আমের জুস তৈরি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
কাঁচা আম | ২টি |
বিট লবন | ১চা চামচ |
চিনি | ৩চা চামচ |
লবন | স্বাদমত |
কাঁচা মরিচ | ১ টি |
পানি | পরিমান মত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে আমগুলো ভালোমতো ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেই।
ধাপ-২
তারপর একটি ব্লেন্ডারে আমগুলো দিয়ে দেই।
ধাপ-৩
তারপর বিট লবণ ও লবণ দিয়ে দেই।
ধাপ-৪
তারপর চিনি ও কাঁচামরিচ দিয়ে দেই।
ধাপ-৫
তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দেই।
ধাপ-৬
তার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ব্লেন্ড করে নেই।
ধাপ-৭
তারপর একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নেই।
ধাপ-৮
তারপর এক টুকরো বরফ দিয়ে দেই।
ধাপ-৯
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার কাঁচা আমের জুস ।এখন পরিবেশন করতে হবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনার কাঁচা আমের জুস খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সত্যিই আপনার উপস্থাপনা বেশ অসাধারণ। এই গরমে এক গ্লাস কাঁচা আমের জুস খেতে পারলে কলিজা শীতল হতো। এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ভাই আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্য পড়ে সত্যি মনটা জুড়িয়ে গেল ।এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করছি ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বর্তমানে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এই গরমে কাঁচা আমের জুস খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি প্রতিদিন কাঁচা আমের জুস তৈরি করেন জেনে ভাল লাগল। আসলে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে যদি এই কাঁচা আমের জুস রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয় তাহলে অনেক উপকার হয়। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি কাঁচা আমের জুস রেসিপি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।সবসময় ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদিকে গরম অন্য দিকে রমজান। শরবত তো খেতেই হয়।আর তা যদি হয় কাঁচা আমের শরবত তাহলে তো কথাই নেই। টক ঝাল মিষ্টি আমের শরবত নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। দেখেছি বুঝা যাচ্ছে সেই স্বাদ। এমন শরবত হলে মাথা ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনি দারুণ ভাবে শরবত তৈরি করে দেখালেন। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনার শরবত রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন টক-ঝাল-মিষ্টি এই জুস খেতে খুবই সুস্বাদু ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন আপু, এই প্রচণ্ড গরমে এবং রোজায় এরকম এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত পেলে শরীর এবং মন দুটোই তৃপ্তি হয়। আমি কোনদিন কাঁচা আমের জুস খাইনি। তাই এর টেস্ট কেমন তাও বুঝতে পারছিনা। তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপি দেখে আমিও একদিন ট্রাই করবো। আপনাকে ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া সত্যি বলছি এই গরমে এই জুসটি খেতে খুবই সুস্বাদু ।আপনি নিশ্চয়ই একবার খেয়ে দেখবেন তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা সুস্বাদু। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
কাচা আমের জুস খুবিই মজাদার আমিও দুইদিন আগে বানিয়েছি, দেখে মনে হচ্ছে খুবিই স্বাদের ছিল।সারাদিন রোজা রাখার পর এক গ্লাস ঠান্ডা জুস হলে খুবই ভালো লাগে,এবং তা যদি ভিটামিন জাতিয় তাহলে তো আর কথাই নাই।ধন্যবাদ আপু
আপনি যেহেতু দু'দিন আগেও বানিয়েছেন তাহলে তো বুঝতেই পারছেন এটি কতটা সুস্বাদু ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভাইয়া ।ভালো থাকবেন।
কাঁচা আম হোক আর পাকা আম হোক দুই ধরনের জুস খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি কাঁচা আমের জুস খেতে পারলে মনে হয় সত্যিই প্রাণটা জুড়িয়ে যেতো। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, এই সময়ের জন্য খুবই প্রয়োজন একটি রেসিপি এই কাঁচা আমের জুস। প্রচণ্ড গরমে যখন শরীরটা দাবানলের মত জ্বলতে থাকে ঠিক তখনই বরফ যুক্ত কাঁচা আমের শরবত খেলে শরীরটা শীতল হয়ে যাবে। আপনার রেসিপি তৈরীর পদ্ধতিটি খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন আম দিয়ে যেকোনো ধরনের জুসই খুবই সুস্বাদু। তবে এটিও ঠিক এই গরমে এই কাঁচা আমের জুস টি বেশি সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভালো থাকবেন।
কাঁচা আমের খুবই লোভনীয় শরবত প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে টক-ঝাল-মিষ্টি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল যদিও এর আগে কখনও এ ধরনের খাবার প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি তবে দেখেই লোভ লেগে গেছে বাড়িতে প্রস্তুত করে দেখতে হবে কেমন মজা হয় সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন পোস্টটি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ভাইয়া আপনি যেহেতু এই জুসটি খাননি অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ।তাহলে বুঝতে পারবেন এটি কতটা সুস্বাদু ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কাঁচা আমের টক ঝাল আমের জুস, বেশ চমৎকার, কাঁচা আম নামটা শুনেই কেমন যেন লাগছে 😝 এই জুস আমার খুবই পছন্দের আপনি বেশ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
এই জুসটি আপনার খুবই পছন্দের জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া ।এটা আমারও খুবই পছন্দের একটি জুস ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
কাঁচা আমের জুস খুবিই পছন্দনীয় এবং প্রিয়। বিশেষ করে কাঁচা আম দিয়ে জুস বানিয়ে অনেক খেয়েছি। তবে তুলনামূলকভাবে এই বছর খুবই কম খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই জুসটি আপনারও খুবই পছন্দের একটি জুস জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে যে গরম পড়েছে তাতে এটি বেশি বেশি খাবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু সত্যিই আমার অনেক পছন্দ এবং যথাসম্ভব বানিয়ে খেয়ে নিব। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
জ্বি আপু মনি কয়েকদিন থেকে যা রোদ, এই রোদে এমন সুন্দর কাঁচা আমের জুস পাশে থাকলে সত্যি মনের তৃপ্তি মিটে যাবে, আপনি অনেক সুন্দর করে কাঁচা আমের জুস তৈরি করেছেন আপু, উপস্থাপন বেশ চমৎকার ছিলো।
আপনার কাছে আমার জুস তৈরি টি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। এভাবেই মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।