একদিন গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
একদিন গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া
এখন গ্রামের বেশিরভাগ ফসলের মাঠে পাকা ধান দেখতে পাওয়া যায়। কেননা এখন পাকা ধান ঘরে তোলার সময়। ফসলের মাঠে পাকা ধান দেখতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। এই দৃশ্যটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
এই ফসলের মাঠগুলোতেও কি যেন লাগানো রয়েছে। সবুজ গাছে সারা মাঠ সবুজ হয়ে আছে। তবে এটি কি ফসল আমি চিনতে পারলাম না। তারপরেও দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।
গ্রামের এই ধরনের রাস্তা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। দুই পাশে সারি সারি গাছ আর মাঝখান দিয়ে সরু রাস্তা সত্যি চমৎকার। এই রাস্তা দিয়ে দূরদূরান্তে হেঁটে চলে যেতে ভীষণ ভালো লাগে। এই গাছগুলোর দুই পাশেও ছিল গাছের বাগান ।সেগুলো দেখতেও চমৎকার ছিল।
সাধারণত প্রতিটা গ্রামেই কিছু পুরনো বটগাছ দেখতে পাওয়া যায় ।এই গ্রামেও তেমন একটি বটগাছ দেখতে পেলাম ।তবে এই বটগাছটি নদীর তীরে অবস্থিত। বট গাছের নিচে বসার বেশ ভালো ব্যবস্থা ছিল। লোকজন গোল করে বসেছিল। এ দৃশ্যটি দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল ।এই বটগাছ পার হয়ে নদীতে যেতে হয় ।রাতের বেলায় এই জায়গাটি আমার কাছে মনে হয় ভীষণ ভয়ঙ্কর ।একবার রাতের বেলায় গিয়েছিলাম ভয়ে আমার গা ছমছম করছিল।
এটি হচ্ছে এই গ্রামের বিশাল বড় গড়াই নদী। এটি মূলত এই গ্রামের সৌন্দর্য বহন করে আমার কাছে মনে হয়েছে ।অনেক বড় চওড়া নদীটি ।বর্তমানে এখন বেশিরভাগ নদী শুকিয়ে গিয়েছে কিন্তু এই নদীতে প্রচুর পানি দেখলাম ।নদীটির এক পাশে সিঁড়ি বাধানো ছিল। লোকজন সেখানে গোসল করছিল। আমার হাজবেন্ডরাও নাকি একসময় এই নদীতে অনেক গোসল করেছে।নদীর সৌন্দর্য সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার কাছে। বেশ কিছুক্ষন নদী পাড়ে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম ।আসলে প্রতিটা গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটা একই রকম থাকে ।ফসলের মাঠ ,নদী, গাছপালা তারপরেও যার যার গ্রাম তার তার কাছে মনে হয় অনেক বেশি ভালো লাগার জায়গা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
লোকেশন | কামারখালী,ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনার সাথে একদমই একমত।রাস্তার দুপাশে গাছ আর মাঝ দিয়ে যে যে রাস্তা যায় সেই রাস্তাগুলোতে হাটার মজাই আলাদা।আমার অনেক ভালো লাগে।
গ্রাম মানেই একটা অন্যরকম প্রশান্তি।কংক্রিটের শহর থেকে গ্রামে ঢুকলেই বোঝা যায় প্রকৃতি কত সুন্দর!
ছবিগুলো ভালো ছিল।শুভ কামনা রইলো 🖤
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন কংক্রিটের শহর থেকে গ্রামে ঢুকলে আসলেই বোঝা যায় প্রকৃতি কতটা সুন্দর। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামে বেড়াতে যেতে বরাবরই আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে আপু । গ্রামে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি অনেক মুগ্ধ করে। আজ আপনি গ্রাম বাংলার অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তবে দ্বিতীয় নম্বর ও শেষের ছবিটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আপু আপনার কাছেও গ্রাম ভালো লাগে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো।আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই গ্রাম মনে হয় সকলেরই টানে,আর নিজের গ্রামে বেশি ভালো লাগে, অন্যর গ্রাম থেকে।আপনার হ্যাসবেন্ডের দাদার গ্রামের বাড়ির ছবি দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই। আর আসলেই দুইপাশে গাছ আর মাঝখানে রাস্তা থাকলে, সেই রাস্তায় হাটতে মজাই আলাদা।গড়াই নদী ছবিটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটি ছবিই সুন্দর। ধন্যবাদ
আসলে নিজের গ্রামের প্রতি যে পরিমাণ টান অন্য গ্রামের প্রতি তার বিন্দুমাত্র টান অনুভব করা যায় না ।ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে ।ধন্যবাদ।
আসলে আপু আপনি কথাটা ঠিকই বলেছেন রাস্তার দুই পাশে সারি সারি গাছ থাকে এবং রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মজা আলাদা। আরে এ ধরনের দৃশ্যগুলো শুধু গ্রামেই দেখা যায়। সবচেয়ে বড় কথা গ্রামের প্রকৃতি গুলো মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতি যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। যেটা শহরে অনুভব করা যায় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে গ্রাম থেকে দূরে থাকলে এমনিতেই গ্রামের প্রতি অনেক টান বেড়ে যায়। আপনার গ্রামের গড়াই নদীর ফটোগ্রাফি টা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফির গ্রামের রাস্তার মতো প্রায় সেম টাইপের রাস্তা আমি এক জায়গায় দেখেছি। দুটো রাস্তায় দেখতে অনেকটাই সেম মনে হচ্ছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গ্রামের বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রাম থেকে দূরে থাকলে গ্রামের প্রতি টানটা বেশি অনুভব করা যায় ।মন্তব্যটি পড়ে বেশ ভালো লাগল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যে গ্রামের সাথে নিজের শৈশব মিশে আছে সেই গ্রামের সাথে অন্য কোন গ্রামের তুলনা হয় না আপু। আসলে নিজের আপন গ্রাম অনেক আপন মনে হয়। মনে হয় যেন প্রত্যেকটি আনাচে কানাচে শৈশব মিশে আছে। তবে যাই হোক ভাইয়ার দাদা বাড়ির গ্রামে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে আপু।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের গ্রামের বাড়ি সত্যিই অন্যরকম একটি জায়গা ।সেখানে নিজের শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু নিজের জন্মস্থান যেভাবে আমাদেরকে টানে অন্য কোন গ্রামে সেভাবে যাওয়ার ইচ্ছা জাগে না কারণ সেখানে সবকিছুই অপরিচিত লাগে ।তারপরেও গ্রামে যেতে ভালোই লাগে। পাকা ধান দেখতে ভালো লাগে তবে সবুজ গাছগুলো কি সেটা ছবি দেখে আমিও চিনতে পারলাম না । গড়াই নদীর ছবিটা খুব সুন্দর লাগছে আকাশের নিচে বিশাল নদী বয়ে যাচ্ছে সত্যি দেখতে ভালো লাগে। এখানে সময় কাটাতে ভালোই লেগেছে মনে হয়।
হ্যাঁ আপু গ্রামে যেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। আর ফসলের মাঠগুলো দেখলে তো সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে ।আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শহরের বন্দে জীবনের থেকে গ্রামাঞ্চলের খোলামেলা পরিবেশ সকলের ভালো লাগে। আমি গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে খুব ভালো সময় অতিক্রম করছি। তার অবশ্যই নিজের গ্রাম আপনাকে একটু বেশি জানবে কারণ সেখানে আপনার শৈশবের সময় অতিক্রম করেছেন। সময় পেলে আপনার নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসবেন এতে আপনার কাছে আর একটু বেশি ভালো লাগবে। ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সবুজ প্রকৃতির দৃশ্য প্রকাশ পেয়েছে।
শৈশবের দাদা বাড়িতে বেড়াতে যেতে অন্যরকম আনন্দ ছিল আপু। এখন আর সেখানে তেমন কেউ থাকেনা ।আগের মত সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না ।যাইহোক আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শহর থেকে গ্রামের পরিবেশ আমারও অনেক ভালো লাগে। কারণ গ্রামের পরিবেশ গ্রীষ্মকালে আমার কাছে খুব অসাধারণ লাগে। আপনার সাথে আমিও একমত গ্রামের দুই পাশে গাছ মাঝখান দিয়ে রোডগুলো হাঁটতে ও আমার কাছেও ভালো লাগে। আমার হাজবেন্ডের বাড়ীর সাথে একটি নদী আছে। তবে আপনার নদীটির ছবি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে প্রতিটি গ্রামেই মনে হয় একটি করে নদী থাকে। কেননা নদী ছাড়া গ্রাম অসম্পূর্ণ। যাইহোক আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ।ভালো থাকবেন।
গ্রাম মানেই আলাদা এক শান্তি । প্রকৃতির মাঝে গিয়ে কিছু সময় কাটাতেও বেশ ভালো লাগে যা গ্রামে গেলেই দেখতে পাওয়া যায়। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে যে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন তা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। রাস্তার দুই ধারে গাছের সারি থাকলে রোদের সময় রোদ লাগেনা, একটা শীতলতা ভাব বিরাজ করে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যার মধ্যে একটা আলাদাই প্রশান্তি রয়েছে।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগলো ।আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন দুই ধারে গাছ লাগানো থাকলে রোদ লাগে না, বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।