টিকিয়া বানানোর রেসিপি||১০% বেনিফিশিয়ারি আমার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই যে যেখানে আছেন ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন।আমিও বেশ ভাল আছি।
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে একটি রেসিপি শেয়ার করতে এসেছি। আর সেটি হচ্ছে টিকিয়া বানানোর রেসিপি। টিকিয়া খুবই মজাদার একটি খাবার ।এটা আমার খুবই পছন্দের। টিকিয়া পোলাও কিংবা বিরিয়ানির সঙ্গে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এটি আমি যখন বানাই একটু বেশি করে বানাই। ডিপ ফ্রিজে রেখে বেশ কিছুদিন এটা খাওয়া যায়।যখন ইচ্ছে হয় বের করে ভেজে নিলেই হয়ে যায়। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করছি আমার আজকের রেসিপি, টিকিয়া বানানোর রেসিপি।
টিকিয়া বানানোর রেসিপি
উপকরণ
| উপকরণ | পরিমান |
|---|---|
| বুটের ডাল | ২৫০গ্রাম |
| খাসির মাংস | ৫০০গ্রাম |
| আদা বাটা | ২টেবিল চামচ |
| রসুন বাটা | ২টেবিল চামচ |
| পেঁয়াজ কুচি | ১কাপ |
| শুকনা মরিচ | ১০টি |
| কাঁচা মরিচ | ৭টি |
| এলাচ | ৪টি |
| জিরা গুড়া | ১চা চামচ |
| গরম মসলা গুঁড়া | ১চা চামচ |
| আস্ত জিরা | ১চা চামচ |
| লবণ | স্বাদমতো |
| দারচিনি | ২ টি |
| তেজপাতা | ১টি |
| ডিম | ১টি |
| ধনিয়া পাতা | ২০গ্রাম |
প্রুস্তুতপ্রণালী
১ম ধাপ
 |  |
|---|
প্রথমে আমি ডাল টা আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখেছি।তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
২য় ধাপ
 |  |
|---|
তারপর আমি মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ধুয়ে নিয়ে ডালের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
৩য় ধাপ
 |  |
|---|
তারপর শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ ,সব গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
৪র্থ ধাপ
 |  |
|---|
তারপর সব বাটা মসলা, এলাচ ,দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি।
৫ম ধাপ
 |  |
|---|
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে দিয়েছি ।তারপর বারোটি সিটি উঠলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
৬ষ্ঠ ধাপ
 |  |
|---|
এখন সব উপকরণ সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে ।তারপর একটি বাটিতে ঢেলে নিয়েছি।
৭ম ধাপ
 |  |
|---|
এখন পাটায় সব উপকরণ বেটে নিয়েছি। তারপর হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।
৮ম ধাপ
 |  |
|---|
এখন একটি চুলায় কড়াই বসিয়ে দেই ।তারপর তেল দিয়ে দেই ।তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই।
৯ম ধাপ
 |  |
|---|
পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে একটি বাটিতে তুলে রাখি।
১০ম ধাপ
 |  |
|---|
তারপর ধনেপাতা কুচি করে কেটে নেই এবং বেটে রাখা ওই ডাল ও মাংসের মিশ্রণের মধ্যে একটি ডিম দিয়ে দেই।
১১ম ধাপ
 |  |
|---|
তারপর কাঁচামরিচ কুচি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দেই।
১২ম ধাপ
 |  |
|---|
এখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে দেই ও হাত দিয়ে সমস্ত উপকরণ ভালো মতো মিশিয়ে নেই।
১৩ম ধাপ
তারপর হাতের সাহায্যে সবগুলো গোল গোল করে টিকিয়া আকৃতি করে নেই।
১৪ম ধাপ
 |  |
|---|
এখন একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। তারপর অপর একটি পাত্রে একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে নেই। তারপর একটু লবণ দেই।
১৫ম ধাপ
 |  |
|---|
তারপর ওই ডিমের মধ্যে টিকিয়া টি ভালো মতো চুবিয়ে কড়াইয়ের তেলের মধ্যে দিয়ে দেই।
১৬ম ধাপ
 |  |
|---|
এখন এপাশ-ওপাশ ভালোমতো ভেজে নেই।
১৭ম ধাপ
ব্যস হয়ে গেল আমার টিকিয়া ভাজা ।এখন একটি প্লেটে পরিবেশন করি। গরম গরম টিকিয়া খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। এটা আপনারা পোলাও কিংবা বিরিয়ানির সঙ্গেও খেতে পারেন ।খুবই সুস্বাদু লাগবে।এভাবে করে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আগামীতে দেখা হবে আবার কোনো নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন। আমার আজকের ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
তোমার টিকিয়া গুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে।অনেক লোভনীয় লাগছে দেখে খেতে মন চাইছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছো। যে কেউ বানাতে পারবে আমিও শিখে নিলাম।অনেক অনেক ধন্যবাদ মজাদার একটি খাবার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
টিকিয়া বানানোর রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল। আপনার পরিবেশন আমার কাছে খুব এ ভাল লাগল।শুভ কামনা রইল আপু
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
খুবই সুন্দর হয়েছে দেখেই খেতে মন চাচ্ছে, গরম ভাতের সাথে এটি খেতে খুবই মজা। ধন্যবাদ সুন্দর এই রেসিপিটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
টিকিয়া আমার অনেক পছন্দের খাবার।আমি আমাদের শহরে গেলেই টিকিয়া খাই খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ এতো সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার এর জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার টিকিয়া গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে।
দেখা মাত্রই এক্কেবারে খেতে ইচ্ছে করছে।
প্রত্যেকটা স্টেপ খুব সুন্দর ভাবেই লিখেছেন আপু।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে পড়তেই জিভে জল চলে আসলো একদম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু