গল্প|| আমার শোনা ভয়ংকর একটি ঘটনা

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে ।আজ আমি মূলত আমার শোনা একটি ভয়ংকর ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি শুনে আমার কাছে খুবই ভয়ঙ্কর লেগেছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। যদিও এটি যিনি আমাকে বলেছেন তারই এক কলিগের আত্মীয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক ঘটনা। অনেক সময় কিছু কিছু ঘটনা আছে যেগুলো বিশ্বাস করা সত্যি ভীষণ কঠিন হয়ে যায়। তবে মানুষকে ভালো পথে আনার জন্য এরকম দু একটা দৃষ্টান্ত আগেকার দিনে প্রচুর দেখা যেত। এখন যদিও এরকম দৃষ্টান্ত খুব কমই দেখা যায় ।যাই হোক গল্পটির সত্যতা কতটুকু আমার জানা নেই। আশা করছি আপনাদের কাছে গল্পটা ভালো লাগবে।

forest-2000030_1280.jpg

source

গল্প|| আমার শোনা ভয়ংকর একটি ঘটনা


করিম সাহেব যিনি পুলিশে চাকরি করতেন। তার ছিল তিনটি মেয়ে ।তিনটি মেয়েকেও বেশ ভালো ভালো জায়গায় বিয়ে দিয়েছেন তিনি ।একজন মেয়ের জামাই কর্নেল ,একজন পুলিশের কর্মকর্তা , আরেক জনও সরকারি কোন এক কর্মকর্তা ছিলেন ।লোকটি সারা জীবন পুলিশের চাকরি করেছেন। খুব একটা সততার সঙ্গে তার পেশায় নিয়োজিত ছিল না। যাই হোক অবশেষে বৃদ্ধ বয়সে লোকটি একদিন মারা যান। তখন তার তিন মেয়ে এবং তিন মেয়ের হাজবেন্ড সবাই এসে উপস্থিত হয়। সবাই ভীষণ কান্নাকাটি জুড়ে দেয় । সাধারণত যা হয় বাস্তবে।


তারপর সব নিয়মকানুন শেষ করে লোকটিকে কবরস্থানে নেয়া হয় দাফনের জন্য। তারপর লোকটির কবরে মেয়ের জামাইরা নামেন ।তারপর নিয়ম-কানুন মেনে কবর দিয়ে উপরে উঠে আসেন ।তারপর সম্পূর্ণ দাফন সম্পন্ন হয় । তারপর সবাই মিলে বাড়িতে ফিরে আসে। তারপর যে মেয়ের জামাই কর্নেল সে যখন তার পকেটে হাত দেয় দেখে তার মানিব্যাগ নেই। তখন লোকটি বলে আমি আমার মানিব্যাগ মনে হয় কবরের মধ্যে ফেলে এসেছি। তখন সবাই বলে যেহেতু কবর হয়ে গিয়েছে তাহলে মানিব্যাগটা উঠানোর কোন উপায় নেই। কিন্তু লোকটি বলতে থাকে এর মধ্যে আমার বিভিন্ন জরুরী কাগজপত্র, আইডি কার্ড, এ ছাড়া ব্যাংকের কার্ডগুলো রয়েছে। এই মানিব্যাগ আমার খুবই জরুরী ।এটা আমাকে আনতেই হবে।


তারপর স্থানীয় হুজুরের সঙ্গে পরামর্শ করে।হুজুর কবর খুঁড়তে অনুমতি দেয়।তারপর তারা আবার ওই কবরস্থানে যায় মানিব্যাগ উঠানোর জন্য ।কিন্তু কর্নেল একটু ভয় পাচ্ছিলেন, তিনি বলছিলেন আমি কবরে নামতে পারবো না। আমার খুব ভয় লাগছে ।আর যেহেতু আরেক মেয়ের জামাই পুলিশের কর্মকর্তা ছিলেন তার ভয় একটু কম ছিল। পুলিশের লোক সাধারণত লাশ নিয়ে বেশ ঘাটাঘাটি করে এ কারণে তার ভয় একটু কম ছিল। সে বলছিল কোন সমস্যা নেই আমি নিয়ে আসবো ।প্রথমে অল্প কিছু অংশ ফাঁকা করে তারা লাইটের মাধ্যমে দেখতে থাকে ভেতরে মানি ব্যাগ আছে কিনা ।কিন্তু তিনি মানিব্যাগ দেখতে পান না। তিনি দেখেন তার শশুর কবরের মধ্যে নেই। তিনি তখন চিৎকার করে বলে ওঠেন শশুর তো কবরের মধ্যে নেই।


এই শুনে আশেপাশে যত এলাকাবাসী ছিলেন সবাই ভয়ে দৌড় । তখন কবরস্থানে শুধু তার কয়েক মেয়ের জামাই রয়ে গিয়েছিল। তারা বিষয়টায় বেশ অবাক হয়েছিল। শ্বশুর কবর থেকে কোথায় গেল। মাত্র কিছু সময় হয়েছে তারা তাকে এখানে দাফন করে গিয়েছে। তারপর আরো বেশ খানিকটা কবর খোঁড়া হলো। তারপর সেই পুলিশের কর্মকর্তা অর্থাৎ তার মেয়ের জামাই কবরের মধ্যে নেমে পড়লেন তার শশুরকে খোঁজার জন্য। কি ভয়ংকর ভাবতেই আমার গা শিওরে উঠছে ।যাই হোক তারপর তিনি যা দেখতে পেলেন সেটা আরো ভয়ংকর।


তারপর লোকটা জ্ঞান হারিয়ে কবরের মধ্যেই পড়েছিল ।সবাই ধরা ধরি করে তাকে হসপিটালে নেয়। জ্ঞান ফেরার পর লোকটি জানায়, তিনি দেখলেন তার শ্বশুর এক পাশে গুটিসুটি হয়ে বসে আছে ।তার মুখের মধ্যে কাফনের কাপড় গোঁজা ।তিনি যেই মুখের থেকে কাপড় টান দিয়েছেন অমনি লোকটা আগুন দেখতে পেয়েছে। আর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা আর কিছু মনে নেই। তারপর থেকেই লোকটি তার সকল খারাপ কাজ ছেড়ে দেয়। একদম সৎ পুলিশ অফিসার হয়ে যায়। আর কোন অপরাধের সাথে সে নিজেকে জড়ায় না ।তার বুকে নাকি এখনো পোড়া দাগ রয়েছে যা কবরস্থান থেকে হয়েছিল। আশা করছি গল্পটা আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তবে সত্যি কথা বলতে গল্পটি পুরোপুরি আমার কাছে বিশ্বাস হয়নি। জানিনা এর সত্যতা আদৌ আছে কিনা । তবে যিনি বলেছেন, তিনি বলেছেন ঘটনা টা সত্যি ।এটা তার কলিগের আত্মীয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাস্তব ঘটনা। সেই পোড়া দাগটা তাদেরকেও দেখানো হয়েছে। যাই হোক এই গল্প পড়ে কেউ ভয় পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। খারাপ মানুষ কে ভালো করার জন্য পৃথিবীতে অনেক নজির রয়েছে।এটা সেরকমই কিছু হতে পারে।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 2 months ago 

আসলেই একটা ভয়ংকর গল্প শেয়ার করেছেন আপু। তবে গল্পটি সত্যি হওয়ার সম্ভবনা কম মনে হয়েছে আমার কাছে।আপনার মত আমারও বিশ্বাস হচ্ছেনা ঘটনাটি। আবার আপনার কলিগই বা এমন মিথ্যে গল্প বলবে কেন!! সে প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে আপনার লিখনির কারণে গল্পটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু গল্পটি আমার কাছেও খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি ।তবে যিনি বলেছেন তিনি আমার কলিগ না আমার আত্মীয়ের কলিগ। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

বেশ ভয়ানক একটি ঘটনা আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই ঘটনা বলার পর বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। এভাবে যদি একটি গল্প উপস্থাপন করা যায় তাহলে অনেকেই জানতে পারে সেই সমস্ত বিষয়ে। যাই হোক ঘটনাটা আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ভাইয়া আপনার কাছে গল্পটি ভীষণ ভয়ের লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।আসলেই গল্পটি অনেক ভয়ের ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ট্যাগ মিসিং আছে আপু।

 2 months ago 

আপু এই প্রথম এই ভুল টি হলো।আমি নিজেই অবাক কিভাবে ভুল টি করলাম। অনেক ধন্যবাদ।

 2 months ago 

ঘটনাটি কতোটা সত্যি তা জানি না তবে গল্পটি অনেক ভালো।মৃত্যুর পর যে খারাপও ভালো কাজের বিচার হয় তা এই পোস্টে স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। আসলে আমাদের সবার উচিত পরকালের চিন্তা করা এবং ভালো পথে চলা।ধন্যবাদ গল্পটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 2 months ago 

আপু আপনার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ।ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60796.19
ETH 2601.58
USDT 1.00
SBD 2.57